![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আগাগোড়া একজন সিনেমাপ্রেমী। কিছু মুভি আমি শুধু দেখি না, পারলে খেয়ে ফেলি। তবে হালের গুটিকয়েক সিনেমা আমার নজর কেড়েছে। বিগত পাচ বছরে হলিউড বলিউডের তেমন কোন ভাল মুভি দেখতে পাই না। গত একদশকের মুভিগুলোর অতিরঞ্জিত গ্রাফিক্স, দুর্বল প্লট, নিম্নমানের অভিনয় কলা আমার মনে ধরেনি কখনোই। তাই এই লকডাউনে বারবার আমি ফিরে যাই ১৯৬০-৯০ এর দশকে! হলিউড, ঢালিউড, বলিউডের অনেক পুরোনো মুভি রয়েছে যা যেকোন কালের দর্শকের মন কাড়বেই। এমন একটি হলিউড মুভির নাম হল ব্রিজ অন রিভার কাগায়ুই
ডেভিড লীন পরিচালিত এই মুভিটি সে সময় অস্কারের সাতটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছিল। এছাড়াও এই মুভির ঝুলিতে ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি ফিল্ম এওয়ার্ড, ব্রিটিশ সোসাইটি অব সিনেমেটোগ্রাফ, ডিরেক্টরস গিল্ড অব অ্যামেরিকা এওয়ার্ড, গোল্ডেন গ্লোব, গোল্ডেন স্কিন ও গ্রামি অ্যাওয়ার্ড সহ অসংখ্য পুরস্কার জিতেছিল। মজার বিষয় হল এসব পুরস্কারের বিষয়টি আবিস্কার করলাম মুভি রিভিউ লিখতে গিয়ে। এই মুভিতে অভিনিত ব্রিটিশ লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিকলসন চরিত্রটির জন্যে অ্যালেক গুইনিয়েস সেরা অভিনতা হিসেবে অস্কার জিতেন। সিসেয়ু হায়াকাওয়া সেরা পার্শ্বনায়ক হিসেবে জাপানী কর্নেল সাইতো চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে অস্কার পুরস্কার লাভ করেন। তবে এতো কিছু পেলে পরিচালক বাদ যাবেন কেন? তিনিও সেরা পরিচালকের অস্কার জিতে নেন! মুভিটির কিছু দৃশ্য দেখে আপনার কান্না চলে আসতে পারে। কেন আসবে তার ব্যাখ্যা হয়ত পাবেন না। কিছু দৃশ্যে শিহরিত হবেন বারবার। আর এই মুভিটির বেস্ট পার্ট হল প্রতিটি চরিত্রের অভিনয় ও ডেডিকেশন! মোটকথা, একজন পরাজিত সৈনিকের জাত্যাভিমান, দৃঢ সংকল্প, অটুট মনোবল, ধৈর্য, সাহস ও শৌর্যের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই মুভিটি আপনাকে নাড়া দিবেই!
আজকাল অনেকে বিভিন্ন রেটিং দিয়ে মুভির মান বের করে ফেলেন। এই মুভিটি অনেক পুরনো হলেও রেটিং এ কম যায়নি। আধুনিক যেকোন মুভির সাথে টক্কর দিতে সক্ষম এই মুভির রোটেন টোম্যাটোর স্কোর ৯৫%।
প্লট অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়াতে এর আই এম ডি বি রেটিং দশে আট দশমিক এক
কাহিনী সারসংক্ষেপঃ ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিয়ানমারের ঘনজংগলে জাপানীজ সোলজারদের হাতে একদল ব্রিটিশ সোজলার বন্দী হন। জাপানীজ কমান্ডার সাইতো এই বন্দী ব্রিটিশ সোলজারদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে কাগায়ুই নদীতে ব্রিজ নির্মান করতে চান। এই ব্রিজ নির্মানে জাপানিজ সেনা অফিসারদের নির্দেশনায় ব্রিটিশ বাহিনীর বন্দি সকল সদস্যকে শ্রমিক করতে চায় কমান্ডার সাইতো। কিন্তু একগুঁয়ে ব্রিটিশ লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিকলসন এতে বেকে বসেন। নিকলসন জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী ব্রিটিশ অফিসারদের শ্রমিকের কাজ করতে দিতে অসম্মতি জানান তবে সাধারণ সৈন্যদের সে কাজের অনুমতি দেয় । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কমান্ডার সাইতো তাকে এবং তার সকল অফিসারকে সারাদিন তপ্ত রোদে দাড় করিয়ে রেখে শাস্তি হিসেবে ছোট্ট ছোট্ট বন্দিঘরে বন্দি করে রাখে। নিকলসনের সকল সৈন্যদলকে শ্রমিকের কাজ করাতে বাধ্য করে। কর্নেল সাইতোর মতে পরাজিত ব্রিটিশ অফিসারদের কোন সন্মান নেই। তাদেরও সৈন্যদের পাশাপাশি শ্রমিকের কাজ করতেই হবে নয়ত অনাহারে কালকুঠুরিতে মরতে হবে। কঠোর সেনা অফিসার কর্নেল সাইতো ব্রীজ বানাতে তার সর্বশক্তি নিয়োগ করে। কিন্তু দুমাস গড়িয়ে গেলেও কোন অগ্রগতি হয় না। জাপানিজ কমান্ডারদের নির্দেশনায় ব্রিটিশ সাধারণ সৈনিকেরা ঠিকমত কাজ সম্পন্ন করতে অসমর্থ হয়। এরমাঝে হুট করে একদিন কালকুঠুরী থেকে পলায়ন কালে কর্নেল সাইতোর সৈন্যদল দুজন অফিসারকে কুকুরের মত গুলি করে মারে। ক্যাম্পে বন্দি আরেকজন অ্যামেরিকান নেভি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শেয়ার্স আহত হয়ে মিয়ানমারের জংগলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বিদ্রোহীদের ক্যাম্পে চিকিৎসা নিয়ে সে সুস্থ হয়ে জাপানিজদের ক্যাম্প আক্রমণের ছক কষতে থাকে। এদিকে কর্নেল সাইতোর ব্রীজ নির্মাণের অগ্রগতি না হওয়ায় দিনদিন হতাশায় পাগল হয়ে ওঠে! তবে জেদি নিকলসনের জিদের কাছে তার পরাজয় অনিবার্য হয়ে ওঠে। সে নিকলসনকে সাময়িক মুক্তি দিয়ে তার কাছে ব্রিজ নির্মানের জন্য সহযোগিতা চায়। নিকলসন জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী সকল অফিসারদের শ্রম মুক্তির যুক্তিতে অটল থাকে। কর্নেল সাইতো ক্ষুধার্ত দুর্বল শীর্ণ শরীরের নিকলসনের উপর ভয়ানক ক্ষেপে ওঠে। কিন্তু ব্রীজ নির্মানে নিজেদের ব্যার্থতা তাকে মনে মনে আগেই ধ্বসিয়ে দেয়। ইন্ডিয়ায় ব্রিজ নির্মানে অভিজ্ঞ নিকলসন বাহিনীর উপর তার ভরসা না করে উপায় থাকে না। এদিকে নিকলসন যুদ্ধে পরাজিত হলেও ব্রীজ নির্মানে নিজ জাতির মাথা উচু রাখতে জাপানিজদের সহায়তা করতে চায়। সে মনে করে এই অঞ্চলে জাপানীজদের কেউ মনে রাখবে না। একদিন এই ব্রীজে যারা চলাচল করবে তারা এই পরাজিত ব্রিটিশ বাহিনীর গুনগান করবে। এটাই হবে তাদের পরাজয়ের মাঝে বিজয়। এমন সময় মাত্র এক মাসের মধ্যে প্রায় তিনশত মিটার লম্বা একটি ব্রিজ খরস্রোতা কাগায়ুই নদীর উপর নির্মান করতে পারবে কি নিকলসন? পলায়নরত শেয়ার্স কিভাবে প্রতিশোধ নিবে জাপানীজদের উপর? কর্নেল সাইতো কি পারবে নিজের লক্ষ্যপূরণ করতে? বন্দী ব্রিটিশ সেনাদের ভাগ্যে কি ঘটবে?
তপ্ত রোদে দাড়িয়ে থাকার দৃশ্য
ব্রিজ নির্মাণে লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিকলসন
পোস্টার
এসব প্রশ্নের উওর পেতে আজই সিনেমাটি দেখতে পারেন। লকডাউনে এমন মুভি মিস করবেন না। এই মুভির রেটিং আমার কাছে ৯.৫/১০. নিচে ইউটিউব লিংক সংযুক্ত করা হলঃ
পার্ট - ১
পার্ট- ২
১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: রোযার পরে দু‘একটা খেয়ে দ্যাখেন। খাওয়ার পর টেস্ট জানাতে ভুলবেন না যেন
আচ্ছা ভ্রাতা! দেব দেব আপনিও কিছু দিয়েন। আর আপনি তো এটা দেখেছেন। যাক ভালই দেখছেন তবে
আমি 'আই বম্বড.....
দেখতে গেলাম। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল!
২| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৫৯
শোভন শামস বলেছেন: রিভিউ আর লিঙ্ক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:২০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: রিভিউ পড়ে মন্তব্য করার কষ্ট করায় আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ!
৩| ১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:১১
নতুন বলেছেন: খুবই ভালো একটা ছবি। অনেক আগে দেখেছিলাম।
কিন্তু উচ্চারনে কি কাওয়াই/ কাই/ হবে না কি কাগায়ুই । একটু কনফিউজড হইলাম।
১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:২২
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: যারা প্রকৃত মুভি লাভার তাদের প্রায় সবারই এটা দেখা। আর উচ্চারণ নিয়ে এতো টেনশন নাই! হবে একটা কিছু
ভাল রইবেন নতুন দা শুভেচ্ছা রইল!
৪| ১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:২২
রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটা দেখি নি।
লকডাউনে শুধু মুভি দেখেই সময় পার করছি।
আমি বেছে বেছে ফালতু ছবি দেখি। কারন, খুজে বের করতে চেষ্টা করি পরিচালক এমন ফালতু ছবিউ বানালেন কেন? কাহিনি এত সস্তা কেন? আর অভিনয় এত নিম্ম মানে রকেন?
একটা মুভি বানাতে অনেক কষ্ট। অনেক সময় লাগে। টাকা লাগে। তাহলে কিছু লোক কেন এত ফালতু মুভি বানায়। এসব জানিতে বুঝতে আমি সব সময় ফালতু মুভি দেখি।
১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
'তালা খুইলা দে সুলেমান তালা খুইলা দে' এই মুভিটা দেখছেন রাজিব ভাই ৷ পুরাই ঝাক্কাস
৫| ১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
নতুন বলেছেন: গতরাতে অসুর টিভিসিরিজের ১ম সিরিজ দেখে শেষ করলাম।
হিন্দি সিরিয়াল কিলারের কাহিনি হিসেবে ভালোই হয়েছে। দেখতে পারেন। ৭/১০
তবে শেষটা একটু গোজামিল হয়েগেছে আরো ভালো হতে পারবো।
কিন্তু পরিচালনা ভালো।
১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমি তো এখনো মহাভারত টিভি সিরিজ শেষ করতে পারলাম না। ৭৮ নং এ আটকে আছি ভাই। আপাতত রেটিং ৭.৬/১০ । তবে কুরুক্ষেত্রে গেলে আশাকরি আরো বাড়বে!
দ্রৌপদীর জন্যে মায়া লাগে! বেচারী! আর কর্ণের জন্যে কষ্ট লাগে!
তবে এখানেও গোজামিলের শেষ নাই। কি যে করি। কি যে দেখি। ভাল কোন সিনেমার লিংক দেন!
৬| ১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪
নতুন বলেছেন: আপাতত এই সাইটে ঢু মেরে দেখতে পারেন। uwatcgfree
১৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ধন্যবাদ! মুভির ভান্ডার দেখছি! কিন্তু ফুল স্কিন শো করছে না! কোন উপায় আছে কি নতুন দা?
৭| ১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:
নতুন বলেছেন: আপাতত এই সাইটে ঢু মেরে দেখতে পারেন। uwatcgfree
=============================================
দারুন একটা সাইট। ধন্যবাদ।
১৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আসলেই দারুন। কিন্তু ফুল স্কিন আসলে আরো দারুন হত!
৮| ১৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫
জুন বলেছেন: আমার দেখা ও লেখা ব্রিজ অন দ্যা রিভার কাওয়াই ভ্রমরের ডানা
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এটা সেই ঐতিহাসিক ব্রীজ নয় আপু! দুঃখিত!
৯| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৫
নতুন বলেছেন: এড এর একটু উতপাত আছে কিন্তু তা ছাড়া কোন সমস্যা তো নাই।
প্রথমে মুভিতে ক্লিক করুন, নতুন পেজ খুলবে, প্লেতে ক্লিক করলে অনেক অনেক পেজ খুলবে কিন্তু মুভিটা পাবেন।
ডানে ফুলস্ক্রিনের বাটান পাবেন।
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৩
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমি মোবাইলে দেখে অভ্যস্ত! ল্যাপটপে ভাল্লেগা না! কিন্তু মোবাইলে ফুল স্কিন আসছে না দাদা ভাই
১০| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৭
নতুন বলেছেন:
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এই পর্যন্ত প্লে করা শেষ! রেজুলেশন অত্যন্ত সুখপ্রদ! কিন্তু মোবাইলে ফুল স্কিন না আসায় মেজাজটা বিগড়ে আছে
১১| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১০
নতুন বলেছেন: ঐখানে ক্লিক করলে কয়েক বার কয়েকটা পেজ আসবে ঐগুলা কেটে দিয়ে ফুল স্ক্রিনে ক্লিক করুন তবে ফুল স্ক্রিন হবে।
আমি প্রতিদিনই দেখছি। প্রচুর মুভি আর অনেক টিভি সিরিজ আছে। ইনজয়।
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ল্যাপটপে দেখছি! ঘাড়ে ব্যাথা করছে চমৎকার রেজুলেশন! থ্যাংকস এ লট দাদা, আরো অনেক রিভিউ দিব!
১২| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৩২
জুন বলেছেন: আপনি কি বলছেন ভ্রমরের ডানা!! আমার লেখাটি ওই ম্যুভির সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা যা আমি নিজ চোখে দেখে এসেছি। এই ব্রীজটিই জাপানি সৈন্যরা মিত্র বাহিনীর সৈন্যদের দিয়ে তৈরি করিয়েছিল অমানুষিক নির্যাতন এর মাধ্যম।
আপনি কি আমার লেখাটি পুরোটা পড়েছেন? আপনি যেই ম্যুভির নাম উল্লেখ করেছেন সেটা বহু বছর আগেই দেখেছি আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে এখানে ভ্রমণ আর তার উপর লেখা।
আমি দুঃখিত আমার লেখাটির লিংক দিয়ে আপনাকে বিরক্ত করার জন্য। ভালো থাকুন।
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৫৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আমার লেখাটি ওই ম্যুভির সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা যা আমি নিজ চোখে দেখে এসেছি। আপু দুঃখিত! এই মুভির কোন সত্য ঘটনা নেই পুরোটাই কাল্পনিক! তবে এটির থিমটি সত্য! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মিজ রেলওয়ে লাইনকে ডেথ রেলওয়ে বলা হত। বার্মা থাইল্যান্ডের অসংখ্য স্থানে বন্দি সৈন্যদের রেলওয়ে নির্মানের জন্য শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা হত। আপনি যে স্থানের বর্ননা করেছেন তা মুভির সেই ঐতিহাসিক স্থানটি নয়। আপনার এই ব্রিজের স্থানটির মত হাজারো ব্রিজ সে সময় তৈরি হয়েছিল। তবে ব্রিজ অন রিভার কাওয়ায়ুই মুভিটি পিয়ার বাউলির লেখা অবলম্বনে চিত্রিত! বাস্তবে সে সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কোন নিকলসন নামের লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমন কোন ব্রিজ নির্মাণ করেন নি। এটি শুধুই লেখকের কল্পনা। আর লেখকের কাল্পনিক বর্ননা মতে এই ব্রিজটি নির্মান হয়েছিল বার্মার ঘন জংগলে। থাইল্যান্ডে নয়। এই ভুলটি প্রায় সবাই করে কেননা কেউ লেখকের বইটি পড়ে দেখেন না। থাইল্যান্ডে রিভার কাওয়ায়ুই তে নির্মিত ব্রীজটি সিনেমার সেই ব্রিজ নয় এ নিয়ে গুগল করলেও অনেক কিছু পেয়ে যাবেন।
আপনি যেই ম্যুভির নাম উল্লেখ করেছেন সেটা বহু বছর আগেই দেখেছি আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে এখানে ভ্রমণ আর তার উপর লেখা। আমি জানি আপনি অবশ্যই সেটি দেখেছেন। আপনার লেখাটি ভালভাবে পড়েছি। আপনি অত্যন্ত নিরীহ ভাবেই থাইদের কথা গুলো হয়ত বিশ্বাস করেছেন। তাই মুভির আসল ক্লিপটি আনলামঃ
মুভির এই অংশটিতে যে ম্যাপ লোকেট করছে তা কিন্তু থাইল্যান্ডে নয় বরং তা মিয়ানমারে।
আর আপনি বলেছেন,
আমি দুঃখিত আমার লেখাটির লিংক দিয়ে আপনাকে বিরক্ত করার জন্য। কি বলেন আপু! আপনি এই লিংক না দিলে আমি থাইদের মুভির ব্রীজ নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা সম্পর্কে হয়ত অজ্ঞ থেকে যেতাম। আপনি লিংকটি দিয়ে উপকৃত করলেন। লেখাটি নিয়ে আশা করি আপনি আমার অবস্থান বুঝতে পেরেছেন! আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ!
আপু, শুভকামনা রইল!
১৩| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪১
নতুন বলেছেন: আমি তো ল্যাপটপের সাথে টিভিকে জোড়া দিছি এবং টিভিতেই বড় পদাতেই দেখি।
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৫৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: টিভিতেই গুতোতে হবে বুঝছি
১৪| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৩:১২
অনল চৌধুরী বলেছেন: বিটিভি'তে ৮০-৯০-এর দশকে ছবিটা অনেকবার দেখিয়েছে।
আমার ভালো লােগেনি।
ছবিতে বৃটিশদের মহান দেখিয়েছেন বৃটিশ পরিচালক ডেভিড় লীন, আর জাপানীদের রক্তচোষা। অথচ ভারত, আফ্রিকাসহ বিশ্বের দেশে দেশে একইসময়ে বৃটিশদের আচরণ ছিলো আরো খারাপ।
এই লীন একজন খাটি ইংরেজ,তাই সে লরেন্স অফ এরাবিয়া ছবিতেও ইংরেজ গুপ্তচর লরেন্সকে, যে কিনা প্রখম বিশ্বযুদ্ধের সময় আরবদের তুর্কিদের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়েছিলো,তাকেও মহান দেখিয়েছে।
এটা মূলত পৃথিবীর মানুষের কাছে ইংরেজ-বৃটিশদের বর্বরতা ঢাকার জন্য নির্মিত ছবি।
১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: মুভিটি সম্পর্কে আপনার ভিউজ বুঝকাম। আমি এখানে পরিচালকের মুভিটি পরিচলনা গুণ দেখেছি। আর আপনি ব্রিটিশদের এত ঘৃনা করেন আজ বুঝলাম। বৃটিশদের বর্বরতা কিনা জানি না এই উপমহাদেশে আজো বিখ্যাত নির্মান গুলোর দিকে তাকালে ব্রিটিশদের সমীহ করতেই হয়!
ধন্যবাদ !
১৫| ১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪৮
রাফা বলেছেন: ব্রিজ অন দ্যা রিভার কাগায়ুই না হবে কাওয়াই।
২য় বিশ্বযুদ্ধের উপর সকল মুভিই আমার দেখা । ৭১-এর লিবারশন ওয়ার-এর উপর লাখাপড়া করতে গিয়েই মুলত আমার যুদ্ধের মুভি দেখা হয়েছে। আরেকটি মুভির কথা আমার খুব মনে পড়ে।
ইগল হ্যাজ ল্যান্ডেড।মুলত বেশিরভাগ মুভি নির্মিত হয়েছে হলিউডে তাই প্রতিটি মুভিতেই আমি কিছু না কিছু পক্ষপাতিত্ব দেখতে পাই।
রিভিউ ভালো হয়েছে।ধন্যবাদ,ভ্র।ডানা।
১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:০৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
নদীর নাম উচ্চারণে সমস্যা আছে।
পক্ষপাতিত্ব হোক সমস্যা কি! মনোভাব তো বোঝা গেল। এই জাতীয়তাবোধ সবারি আছে। কেউ দেখায় আর কেউ দেখায় না। দিনশেষে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। লেটার ফ্রম আইয়ো জিমা মুভিটা দেখিয়েছে জাপানিজ প্রতিরোধ কাকে বলে। ব্রেভ হার্ট মুভিতে স্কটিশ লড়াই, এমন ভুড়িভুড়ি মুভি আছে ওদের যা ভিনদেশের সংস্কৃতি, লড়াইকে তুলে ধরেছে। তবে পক্ষপাতিত্ব ভালই আছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই!
রিভিউ পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ! শুভকামনা রইল!
১৬| ১৭ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:১৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার হলিউডের মুভি ভাল লাগে তবে অনেক ধরে মুভি দেখি না। এই লক ডাউনের সময়ে কিছু সিরিজ দেখেছি তার মধ্যে অন্যতম প্রিজন ব্রেক, সিরিজটা অনেক জনপ্রিয় তবে আগে দেখিনি। তিনটা সিজন দেখলাম।
আপনি যেই রিভিউটা দিলেন তাতে ট্রেইলারটা দেখব, ভাল লাগলে দেখা শুরু করব।
১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
দেখতে পারেন। তবে একটু স্টাডি করে নিবেন স্টোরিটা! তাহলে বুঝতে আরো সহজ হবে! শুভকামনা রইল!
১৭| ১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:৫৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মুভি কম দেখি আর এমন খটমটে মুভি যা দেখলে মনে হয় পড়াশোনা করছি, তাতো কখনোই দেখিনা। আপনি এরপরে সহজ ও মজার কোন মুভির রিভিউ লিখবেন, এসব কঠিন মুভি বুঝিনা।
ভালো থাকবেন।
১৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:২৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মুভি কম দেখি আর এমন খটমটে মুভি যা দেখলে মনে হয় পড়াশোনা করছি, তাতো কখনোই দেখিনা।
হা হা হা আমি এভাবেই মুভি দেখি! আর এই জন্যেই আমি বলেছি "আমি মুভি দেখি না, খাই" এভাবে হিস্টোরিক্যাল মুভি দেখার মজাই আলাদা। শুধু মুভি দেখে কিছুই জানা যায় না!
তবে কিছু মুভি আছে যা দেখার জন্যে তেমন স্টাডি লাগে না। যেমন মেগা মাইন্ড, কুংফু পান্ডা, ফিওনা, কিলবিল, জার্নি এরাউন্ড দ্যা আর্থ ইন এইট্টি ডে ইত্যাদি!
আপনার জন্যে একদিন এমন একটি রিভিউ লেখব!
শুভকামনা রইল
১৮| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ২:০৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি পৃথিবীর সব দেশ দখলকারী-গণহত্যা আর লুটপাটকারীদেরই ঘৃণা করি,সেটা বৃটিশ.ফরাসী,এ্যামেরিকান, রাশিয়ান বা চীন ভারতীয় যেই হোক না কেনো।
এই উপমহাদেশে আজো বিখ্যাত নির্মান গুলোর দিকে তাকালে ব্রিটিশদের সমীহ করতেই হয়!- ভারত,এমনকি বাংলাদেশেও অনেক লোক আছে যারা মনে করে বৃটিশরা এখানকার মানুষদের চেয়ে বেশী সভ্য কারণ তারা সেখানে বিদ্যুৎ,রেলগাড়ি চালু করেছে, চা খাওয়া শিখিয়েছে (!!! যদিও চা চীনাদের আবিস্কার),ইংরেজী শিখিয়েছে এবং সর্বোপরি মুসলমান শাসকদের হাত থেকে রক্ষা করে তাদের হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ করে দিয়েছে !!!!
আপনিও যে এই নীতির অনুসারী-সেটা দেখে আঘাত পেলাম।
বৃটিশ বর্বররা একমাত্র ষড়যন্ত্র,হিংস্রতা,নীচতা,খুনাখুনী ছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থা, জ্ঞান-বিজ্ঞান,সামরিক শক্তি কোনোদিক দিয়েই সেইসময় ভারত বা বাংলার সমকক্ষ ছিলো না।
সীমাহীন অভাবের কারণেই নিজ দেশে খাবার না পেয়ে জলদস্যু ইংরেজরা বাণিজ্যের নামে প্রথমে ভারত এবং পরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ দখল করেছিলো। ওরা কিভাবে বিখ্যাত নির্মাণ প্রকৌশলী হলো!
ওরা যা কিছু করেছে,সবই তো এদের মানুষের টাকায়।
বরং এই বর্বররা না আসলে এখন পর্যন্ত বাংলা আর ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশগুলির মধ্যে থাকতো,যেমন ছিলো ওরা আসার আগে।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমাদের চিন্তা একটি বিন্দুতে নাও মিলতে পারে তবে আমি আপনার চিন্তাকে সন্মান জানাই!
শুভকামনা রইল!
১৯| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ২:২৩
আমি সাজিদ বলেছেন: ছোটবেলায় বিটিভিতে মুভি অব দ্যা উইকে দেখাতো এই সিনেমাটা। দেখা ও বুঝার মতো অবস্থা ওই সময় ছিলো না৷ পরে আর দেখাও হয় নি৷ রিভিউ পড়ে সব জেনে গেলাম। তবুও, দেখবো একবার হলেও। কারন রিভিউটা অনেক স্বাদের হইসে।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
রিভিউটি পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ! ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। শুভেচ্ছা রইল!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু মুভি আমি শুধু দেখি না, পারলে খেয়ে ফেলি। রোযার পরে দু‘একটা খেয়ে দ্যাখেন। খাওয়ার পর টেস্ট জানাতে ভুলবেন না যেন!!
![:)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_03.gif)
আমিও ইদানিং পুরানো ক্লাসিক মুভিগুলি আবার দেখছি। প্রধানতঃ ওয়েস্টার্ণ আর ২য় বিশ্বযুদ্ধের মুভিগুলি দেখছি। গতকাল দেখলাম 'আই বম্বড পার্ল হারবার' আর 'লরেন্স অফ এ্যারাবিয়া'। এটাও দেখেছি অনেক অনেক আগে। রিভিউ আর লিঙ্ক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আবারও দেখবো।