নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াফিক ফারূক

ওয়াফিক ফারূক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস এর মারাত্বক দূর্ঘটনাগুলো

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সবচেয়ে মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটে ঢাকায় ১৯৮৪ সালের ৫ ই আগস্ট। ৪৯ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়। এটা ছিল ফকার কোম্পানি নির্মিত একটি এফ-২৭ বিমান। বিমানটি চিটাগাং থেকে ঢাকায় আসছিল। ঐ সময় ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল এবং প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছিলোনা।







পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন কানিজ ফাতেমা, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পাইলট। প্রথমে তিনি ২৩ নং রানওয়েতে ল্যান্ডিং করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রানওয়ে দেখতে পাচ্ছিলেন না এবং শেষ মুহূর্তে বুঝতে পারেন যে তিনি ভুল দিকেঅগ্রসর হচ্ছেন। তারপর তিনি ILS ( এক ধরনের রেডিও বিম ট্রান্সমিটার যেটা বিমান কে পথ নির্দেশনা দেয়) এর মাধ্যমে ১৪ নং রানওয়েতে ল্যান্ড করার চেষ্টা করেন কিন্তু আবার ব্যর্থ হন। তৃতীয়বার ল্যান্ডিং চেষ্টা করার সময় বিমানটি রানওয়ে থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটা ডোবায় আবতরন করে এবং বিধ্বস্ত হয়। জায়গাটা উত্তরা জসিমুদ্দিন রোডের কাছে। বিমানটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ৪ জন ক্রু সহ ৪৯ যাত্রীর সবাই নিহত হন।





এই বিমানটি PIA এর জন্য নির্মিত হয়েছিল। ডেলিভারির সময় ছিল ১৯৭১। যেহেতু ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তাই ফকার কোম্পানি PIA এর কাছে বিমানটি ডেলিভারি করতে পারেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর PIA বিমানটি গ্রহন করেনি। পরে এই বিমানটি (registration S2-ABJ) ডাচ সরকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ১৯৭৬ সালে উপহার হিসেবে দেয়।





১৯৭৬ সালে PIA বিমান বাংলাদেশকে একটি বোয়িং ৭০৭ উপহার দেয় হজ্বযাত্রীদের বহন করার জন্য। এই বিমানটি মাত্র ৪ বছর টিকেছিল। ১৯৮০ সালে এটি সিঙ্গাপুরে এমনভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিল যা আর মেরামত করা যায়নি। Singapore-Paya Lebar Airport থেকে উদ্দয়নের পরপরই ১০০ ফিট উচ্চতা থেকে বিমানটি রানওয়ের উপর আছড়ে পরে। বিমানটির ৪ টি ইঞ্জিন একই সময়ে বিকল হয়ে গিয়েছিলো। যদিও বিমানটি প্রায় ১৯০০ ফিট ছেচড়ে গিয়েছিলো, তবুও কেউ আহত হয়নি। এর আগে ১৯৭৫ সালের ৫ই জুলাই ইসলামাবাদে বিমানটির আসনের নিচে সন্ত্রাসীরা বোমা পেতে রেখেছিল। অবশ্য তখন কোন বিপদ ঘটেনি কারন বিস্ফোরনের সময় বিমানটি মাটিতে ছিল।





১৯৯৭ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি এফ-২৮ স্থানীয় ফ্লাইট ঢাকা থেকে আসার সময় সিলেট বিমান বন্দর থেকে ৩ কি:মি দূরে ধান ক্ষেতে অবতরন করে। বিমানটি ৫৬ জন যাত্রী বহন করছিল। শীতকালীন কুয়াশার কারনে পাইলটের দেখতে সমস্যা হচ্ছিল। সিলেট বিমান বন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের কোন ধারনা ছিলনা বিমানটিতে কি ঘটেছিল। বিধ্বস্ত হবার ২ ঘন্টা পর গ্রামবাসীদের মাধ্যমে তারা খবর পান। ঐ ঘটনায় ১৭ জন যাত্রী আহত হয়েছিল, কেউ নিহত হয়নি।



স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৫৭ সালের ১ লা জুলাই PIA Douglas DC-3 ফ্লাইট বঙ্গোপসাগরের চারলাখি দ্বিপে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ৪ জন ক্রু সহ ২০ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছিল। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে একটি Cargolux Canadair CL-44 ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় একটি খামারের উপর বিদ্বস্ত হয়েছিল। ৪ জন নিহত হয়েছিল।



মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯

চারশবিশ বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যগুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

আদম_ বলেছেন: ব্যতিক্রম ধর্মী পোস্ট।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আল্লাহর রহমতে এত পুরোনো বিমান থাকার পরও আমাদের দেশে যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনা অনেক কম।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। প্রথম মহিলা পাইলট কানিজ ফাতেমা রোখসানা আমাদের আত্মীয়, উদ্ধারকাজে অবহেলা ও চরম অদক্ষতার জন্য তারা মারা গিয়েছিলেন।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

নীল ভোমরা বলেছেন: জানলুম!....ভবিষ্যতে আর কোন দূর্ঘটনা না হোক...সেটাই কাম্য!

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

ওয়াফিক ফারূক বলেছেন: আপনাদের লেখা টা পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। .ভবিষ্যতে আর কোন দূর্ঘটনা না হোক এটা আমাদের সবার কাম্য। এত পুরোনো বিমান থাকার পরও যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনা আসলেও অনেক কম।

উদ্ধারকাজে অবহেলা হয়না কিন্তু চরম অদক্ষতা এবং সঠিক উদ্ধারকাজ নাজানার মূল্য দিতে হয়েছে অনেকবার।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: বেশির ভাগইতো দেখি PIA রিলেটেড, তাই বাঙ্গলাদেশিরা PIA থেকে সাবধান!!!

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

ওয়াফিক ফারূক বলেছেন: ভাই মুদ্‌দাকির, পাকিস্তান রেলেটেড ঘটনা আরও আছে...
Pakistan Air Force donated ninety F6 jets to Bangladesh Air Force in late 1980's early 1990's. All of these jets were damaged during a cyclone in Chittagong before being inducted.

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭

জহুরুল০০৭ বলেছেন: ওয়াফিক ভাইকে বলছি F6 যুদ্ধবিমান পাকিস্তান বাংলাদেশকে দান করেনি। এগুলো মার্কিন যুদ্ধবিমান ছিল যা আমেরিকা পাকিস্তানকে দিয়েছিল। পরবর্তীতে আমেরিকা পাকিস্তানকে আধুনিক F16 দেয় এবং পুরাতন F6 গুলো বাংলাদেশকে দিয়ে দেয়। কাজেই F6 পাকিস্তানের দেওয়া নয় বরং আমেরিকার দেওয়া। ১৯৯১ সালের উড়ির চরের ঘূর্ণিঝড়ের সময় চট্টগ্রামে এই বিমানগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

ওয়াফিক ফারূক বলেছেন: Thank you জহুরুল০০৭ ! The lot came from Pakistan after its government agreed on the US deal. I was trying to make a point that the most deals relating to airplanes with Pakistan has some way or the other gone bad for Bangladesh.

You and I have some common interests it seems :-)

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

পথহারা নাবিক বলেছেন: ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে একটি Cargolux Canadair CL-44 ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় একটি খামারের উপর বিদ্বস্ত হয়েছিল। ৪ জন নিহত হয়েছিল।

এইটা মনে হয় সামরিক বিমান ছিলো!! যাই হোক অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট করেছে!! অনেক অজানা তথ্য পেয়েছি!! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!!

১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাগ্য ভাল যে বিমানে চড়ি না ;)

দূর্ঘটনার ভয়ও নাইক্যা!!! আইচ্ছা বিমান যদি চড়ে :P

আল্লাহ মাফ করুক।

যাই হোক অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট করেছে!! অনেক অজানা তথ্য পেয়েছি!! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!!

১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
পাকিস্তানের F6 বিমানগুলো ১০০% চীনে তৈরি। আমেরিকা দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
৮০র দশকে ফ্লাইট আওয়ার শেষ হওয়া প্রায় বাতিল এই বিমানগুলো বাংলাদেশকে দেয়া হয়েছিল, তবে পাকিস্তান থেকে আনার পরিবহন খরচ বাংলাদেশের।
পরে অবস্য কিছু F6 ও F7 ফাইটার বিমান কেনা হয় চীন থেকে।

৯০ দশক পর্যন্ত কয়েকটি আমেরিকান ফাইটার বিমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ব্যাবহার করত। সেগুলো F86 স্যাবরজেট। এগুলো ৭১ পরাজিত পাকিস্তানিরা ফেলেগিয়েছিল। এখন ডিকমিশনড।

১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পোস্ট ও মন্তব্য দুটোই উপভোগ্য। ++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.