নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াফিক ফারূক

ওয়াফিক ফারূক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়ানমারের সামরিক বাহিনী কতটা শক্তিশালী?

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪০

মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ১৯৯০ সালের চেয়ে এখন অনেক বেশী সুসজ্জিত। দেশটি ১৯৯০ দশকে ও ২০০০ দশকে প্রচুর আধুনিক যুদ্ধ বিমান, স্থল আক্রমনকারী হেলিকপ্টার, ভারি যুদ্ধ ট্যাংক, কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত মোবাইল গান, ছোট অস্ত্র, ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ এবং গোলাবারুদ রাশিয়া ও চায়না থেকে সংগ্রহ করেছে। আর ২০১১ ও ২০১২ সালে ইতালী ও ইউক্রেনীয় অস্ত্র সরবরাহকারীদের কাছ থেকেও মায়ানমার কিছু অস্ত্র কিনেছে।



যদিও খাতা কলমে মায়ানমারের সামরিক বাজেট ২ বিলিয়নের কিছু উপরে, কিন্তু প্রকৃত ব্যয় আসলে ৩ বিলিয়নেরও উপরে। মায়ানমার সামরিক বাহিনী ১৯৭০ দশক থেকে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা পরিচালনা করে এবং সেখান থেকে প্রতি বছর শত শত মিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে। সেই আয়ের একটা বিশাল অংশ দেশটি অস্ত্র উন্নয়নে ব্যয় করে।



দেশটির সামরিক নেতারা ২০০০ দশকের শুরুর দিকে লক্ষ্য ঠিক করেন যে তারা সামরিক বাহিনীকে এশিয়ার এ অঞ্চলের একটি অন্যতম স্বয়ংসম্পূর্ণ ও শ্রদ্ধাযোগ্য বাহিনীতে রূপান্তরিত করবেন। এ পক্রিয়া খুব ভালভাবে এগুচ্ছে। মায়ানমার স্থানীয়ভাবে ৬০০ BTR 3 U APC এবং ২০০ MT-LB MsH IFV এসেম্বল করে থাকে।এ ছাড়াও চায়না থেকে লাইসেন্স নিয়ে কে ৮ উৎপাদন করে। দেশটি ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে রাষায়নিক অস্ত্র উৎপাদনের কমসূচি শুরু করেছিল কিন্তু ১৯৮৪ সালের পরে তা বন্ধ হয়ে যায়; যদিও ধারনা করা হয় যে দেশটির সামরিক বাহিনীর কাছে এখনও রাষায়নিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে এবং বিদ্রোহী গেরিলাদের উপর প্রয়োগ করা হয়।



মায়ানমার সরকার ২০১২ সাল থেকে বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে। ২০১৩ সালে মায়ানমার চায়নার সাথে চারটি বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপনাস্ত্র সহ KaiShan 1A এবং Hongqi-10 ক্রয় করার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে্। ২০১৪ সালের জুলাইতে রকেটগুলো মায়ানমারে পৌছাবে। বর্তমানে মায়ানমারের বিমান বাহিনীর কাছে 30 F-7M, 6 FT-7S, 22 A-5M, 16 MiG-29A, 8 MiG-29UB, এবং 12 K-8 ফাইটার আছে। এছাড়াও দেশটির কাছে Super Galeb G4's, 17 Swiss Pilatus PC-7 এবং 10 PC-9 রয়েছে।



মায়ানমারের সামরিক বাহিনী কমান্ডার ইন চিফ দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। সামরিক বাহিনীর সবচাইতে উচ্চ পদবী হলো ‘সিনিয়র জেনারেল’ যা পশ্চিমা দেশগুলোর ফিল্ড মাশাল পদবীর সমান। বর্তমানে মিন অং এ পদে অধিস্ট আছেন। মায়ামানমার সেনাবাহিনী মৌলিক রণকৌশল হিসেবে ব্যাটেলিয়ন ব্যবহার করে। ব্যাটেলিয়নগুলো প্রশাসনিক ভাবে ব্রিটিশদের মত রেজিমেন্ট হিসেবে বিভক্ত। এগুলোর মধ্যে বারমা লাইট ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্ট, বারমা রাইফেলস, চিন রাইফেলস, সান রাইফেলস এবং কায়্যাহ রাইফেলস অন্তর্ভুক্ত। ২৭ জন অফিসার এবং ৭২৩ OR নিয়ে একটি ব্যাটেলিয়ন গঠিত হয়।



১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মায়ানমার সামরিক জান্তা দ্বারা শাসিত ছিল এবং বাকি বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। ২০ বছর পর ২০১০ সালে প্রথম নিবাচন অনুষ্ঠিত হয়। সামরিক শাসন থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার প্রথম পদক্ষেপ ছিল সেটা। একজন সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান নির্বাচনে জয় লাভ করেন সরকার গঠন করেন। প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি নির্বাচন বয়কট করেছিল কিন্তু পরবর্তীতে শাসকদের সাথে সুসম্পক স্থাপন করে। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হলেও দেশটির সংবিধান এখনও সেনাবাহিনীকে প্রতোক্ষ ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের সংবিধান অনুযায়ী উল্লেকযোগ্য আসন সংখ্যা সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং আন্ত, প্রতিরক্ষা এবং সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রানলায় সেনাবাহিনীর জেনারেলদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।



বতর্মান সরকারের আমলে মায়ানমারে সামরিক ব্যয় উল্লেকযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে সামরিক ব্যয় মোট বাজেটের ১২ শতাংশে দাড়ায়, যা ২০১১-১২ অথ বছর থেকে ১৯ শতাংশ কম। যদিও সামরিক ব্যয় এখনও শিক্ষা ও স্বাস্থ খাতের চাইতে অনেক বেশী।



দেশটির পরবর্তী নির্বাচন ২০১৫ সালে । প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি অধিকাংশ আসন পেতে পারে। যেই জিতুক, সেনাবাহিনীই মুখ্য ভুমিকা রাখবে বলে অনুমেয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

দুঃখ বিলাস বলেছেন: আমাদের দেশের শক্তির সাথে তুলনা করলে কারা এগিয়ে আছে?

২| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯

ওয়াফিক ফারূক বলেছেন: মায়ানমার এগিয়ে আছে।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০০

আহলান বলেছেন: আমদের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জাতীয়তাবোধের। আমার ধারণা এখন কোন সেনা অফিসারই যুদ্ধ করে জীবন দেয়ার পক্ষে আছেন। এত আরাম আয়েস ভোগ বিলাস আর উচ্চমানের সুযোগ সুবিধা ফেলে কেউ মৃত্যুমুখে যেতে রাজী হবে না.... দেশের স্বার্বভৌমত্ব দিয়ে কি হবে, যদি নিজেই না বেঁচে থাকলাম.....এটাই এখনকার হিসাব নিকাশ........ আমি না থাকলে আমার পরিবারকে কেউই সহায়তা করবে না ....... একটু আহা উহু পর্যন্তই ..... সুতরাং আগে নিজে বাঁচো পরে আর সব ..... ;)

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

নষ্ট ছেলে বলেছেন: বিডিআর বিদ্রোহে যত সেনা অফিসার হত্যা করা হয়েছে ৭১-এ এত সেনা অফিসার মারা যায় নাই।
বিডিআর বিদ্রোহের পরে যত বিডিআরকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে স্বাধীনতার পরও সীমান্তে এত বিডিআর মারা যায় না।

দুই দিক থেকেই আমাদের পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। ভেতরে ভেতরে কি হচ্ছে আল্লাহই জানে। হয়ত গোলা বারুদের ভান্ডারও খালি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.