নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াফিক ফারূক

ওয়াফিক ফারূক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসাতে অর্থনীতির কি হবে?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৭

১৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে, যেখানে তাদের ২১টি অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে। এসব অঙ্গীকারের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দূরীকরণ, শিল্পোন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-সেবার উন্নতি, পরিবেশ সুরক্ষা পরিকল্পনা, ক্রীড়াসহ আরও অনেক বিষয়ের কথা বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন ক্রিকেটার মাশরাফি মর্তুজা এবং ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, তারা যার যার অবস্থানে যোগ্য। তাই আশা করা যায়, আঙ্গিকার বাস্তবায়ন হবে।

উন্নয়নশীল একটি দেশের উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত হল অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন। তাই আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে। আশা করা যাচ্ছে দলটি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে।

ক্ষমতায় থাকাকালীন বিগত দশ বছর সময়েও অর্থনীতিসহ দেশের আরও অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৭.৮৬ শতাংশ হারে। মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলারে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে এই পরিমাণটি ছিল খুবই নগণ্য। তথ্য সূত্রঃ আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসছে

এরকম আরও অনেক অর্জনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকার ভবিষ্যতেও দেশের জন্য আরও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে, যা অনেকাংশেই যুক্তিযুক্ত। এগুলো সরকারের বৃহৎ অর্জনের কিছু নমুনা। এখন প্রশ্ন হল, আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় আসাতে দেশের অর্থনীতিতে তা কীরূপ প্রভাব ফেলবে?

ব্যবসায়িক খাতকে তরান্বিত করার লক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়েতে অন্তর্ভুক্তির কথা বলেছে। এছাড়াও, রাজশাহী, সিলেট, চিটাগাং ও বরিশাল এয়ারপোর্ট আরও উন্নত করার কথাও বলেছে তারা।

আওয়ামী লীগ সরকারের ইচ্ছা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে দেশের দারিদ্র্যের হার ২১.৫০% থেকে কমিয়ে ১২.৩০%-এ নিয়ে আসা হবে। একই অর্থবছরে জিডিপি ১০% হারে বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার এবং সংরক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জনের অঙ্গীকারও তারা ব্যক্ত করেছে। তথ্য সূত্রঃ
বাংলাদেশে কি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ কোন সুবিধা আছে?

এসব ছাড়াও বর্তমানের চলমান পদ্মা সেতু এবং মেট্রোরেলের কাজ হয়তো আরও দ্রুত এবং যথাযথভাবে সম্পন্ন হবে যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আর দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে এই প্রকল্প দুইটির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

ফলে আশা করাই যায় আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাস্তবিকভাবেই ঊর্ধ্বগত থাকবে। ১৯৭১ সালে জন্ম নেয়া এই রাষ্ট্রের ২০২১ সালে ৫০ বছর পূর্ণ বা সুবর্ণজয়ন্তী পালনকালে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় এই সরকার। এছাড়াও, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে একটি দারিদ্রমুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। গত দশ বছরের অভিজ্ঞতা বলছে তারা পারবে। তথ্য সূত্রঃ ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে যোগ দিলে কি ভাল হয় নাকি খারাপ?

আওয়ামী লীগ পারুক।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: শুধু প্রশ্ন দেখেই বলি,

জিডিপি, রিজার্ভ, আয়, আমদানী, রপ্তানি, রেমিটেন্স বাড়বে। দারিদ্রতা, মৃত্যুহার, গণতন্ত্র, মানবিকতা কমবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.