নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াসীম সোবাহানের ভাবনা

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী

ওয়াসীম সোবাহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাইপজিগের উত্থান

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪১

জার্মান ক্লাব লাইপজিগের উত্থান কোন উপন্যাস বা কোন ফিল্মের অতিরঞ্জিত চিত্রনাট্য থেকেও বেশী বিস্ময়কর। এগারো বছর আগে এই ক্লাব ছিল পূর্ব জার্মানীর ছোট একটা শহরের ছোট একটা ফুটবল দল। প্রতিষ্ঠা হবার মাত্র সাত বছরের মাথায়, ২০১৬ সালে, চার চারটি ধাপ পেরিয়ে লাইপজিগ পঞ্চম বিভাগ থেকে পৌঁছে গিয়েছিল বুন্দেসলিগায় যেটা জার্মানীর প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ। আর এই বছর তারা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলতে এসেই সেমিফাইনাল খেলছে। সেমিফাইনালে আসার যুদ্ধে হারিয়ে এসেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে, টটেনহামকে।



চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ভাল করতে হলে বা লীগ টেবিলে শীর্ষে উঠতে হলে কাড়ি কাড়ি অর্থ ঢালতে হয় এই ফর্মুলা লাইপজিগের মালিক 'রেড বুল' ব্যবহার করেনি। তারা জোর দিয়েছে স্কাউট করে খেলোয়াড় টানাতে, কঠিন ট্রেনিং ও ঠিকঠাক পরিচর্যার মাধ্যমে তেইশের কম বয়সী খেলোয়াড়দের স্কিল বাড়ানোতে এবং নিজেদের মালিকানায় থাকা অন্য ক্লাবগুলোর (ফিডার ক্লাব) থেকে খেলোয়াড় আদান-প্রদানের মাধ্যমে। রেড বুল ইউরোপের অন্য লীগে ও ল্যাটিন আমেরিকার লীগে কিছু ফিডার ক্লাব তৈরি করেছে। সময় সুযোগ মত সেইসব ক্লাব থেকে তারা স্কিলফুল খেলোয়াড় নিয়ে আসে। নিজেদের মালিকানার মধ্যে থাকাতে কোন জটিলতা হয় না। যেমন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করা টাইলার অ্যাডামসকে তারা নিউইয়র্ক রেড বুলস থেকে এবং মিডফিল্ডার হানস উলফকে সালজবুর্গ থেকে নিয়ে এসেছিল। নিউইয়র্ক রেড বুলস ও সালজবুর্গ দুটাই লাইপজিগের ফিডার ক্লাব। লাইপজিগ বাজী ধরেছে তারুণ্যে। এতটাই ধরেছে যে তাদের হেড কোচ জুলিয়ান নাগেলসমানের বয়স ৩৩। স্টার খেলোয়াড় রোনালদোর থেকে এই কোচ দুই বছরের ছোট, অন্য স্টার খেলোয়াড় মেসির সমবয়সী।

চ্যাম্পিয়ন্স লীগ মানে কুলীন ক্লাবদের দ্বৈরথ। ইউরোপের ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে সে কারা কারা, তার মানদণ্ড চ্যাম্পিয়ন্স লীগ। সেই মানদণ্ডের শেষ চারে এই প্রথম এক জোড়া জার্মান ও এক জোড়া ফরাসী টিম। ১৯৯০-৯১ মৌসুমের পর সেমিফাইনালে নেই কোনও ব্রিটিশ, স্পেনিশ বা ইতালিয়ান ক্লাব। এই অঘটনের মূল কারিগর লাইপজিগ ও ফরাসি ক্লাব লিয়ঁর।

রেড বুলের মূল শ্লোগান হচ্ছে ‘ইট গিভস ইউ উইংস’যার অক্ষরিক বাংলা হতে পারে - এটা তোমাকে ডানা দেয় । লাইপজিগ আসলেই উড়ার ডানা পেয়েছে। সাফল্যের ক্ষুধা পেয়ে বসা দলটির দৃষ্টি এখন ফাইনালে। সামনে ক্ষুধার্ত প্যারিস সেন্ট জার্মেই যে ক্লাব গত ১৫ বছর ধরে চেষ্টা করছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে পৌঁছাতে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১১

ঘরহীন বলেছেন: মনে হয়, নাগেলসমান এর আগে ফুটবল ম্যানেজার খেলে ভালোমতন হাত পাঁকিয়ে নিয়েছেন। দারুণ লাগলো পড়ে। এরকম রূপকথার গল্প ভালো লাগে বাস্তবে দেখতে। আশা জাগায় মনে যে, দেয়ার ইজ সামথিং কলড মিরাকল।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.