![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন সপ্তম শ্রেনীতে পড়ি। আমার ফুফাতো বোনের শ্বশুড় আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসসে। রাতে আমি আর আমার বড় ভাই তার কাছে ঘুমিয়েছি। উদ্দেশ্য রাতে ৭১ এর মহান যুদ্ধের কাহিনি শুনবো। তিনিই আমার দেখা প্রথম মুক্তিযু্দ্ধা। তার দিকে তাকালে কেমন জানি একটা শিহরণ যাকতো মনে। মনে হত তখন যদি আমি থাকতাম, নিশ্চই যুদ্ধ করতাম। মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি পড়তে এবং নিজেকে একজন যুদ্ধা ভাবতে বরাবরই ভালো লাগতো। তাঁরা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করছে। যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে এ দেশের জনগণ ক্ষেপে গিয়েছিলো আসতে আসতে.... তা এক সময় স্বাধীণতায় রুপ নিলো। শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে মুক্তি যুদ্ধাদের কথা চিন্তা করলে।
দুঃখিত, এখন আর মাথা নত হয়ে আসে না শ্রদ্ধায়। একটা কষ্টে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে বুকের ভীতর থেকে। কিছুটা নিজের স্বার্থের জন্য।ভীতর থেকে এখন আর সেই শ্রদ্ধাটা আসে না। আমি আসলেই দুক্ষিত এই সত্য কথাটা বলার জন্য। আমাকে ক্ষমা করবেন।
মাস্টার্স শেষ করছি প্রায় ৩ বছর হলো। অনেক গুলো ভাইবা দিছি কিন্তু একটা জব হয় নাই। জব হয় নাই এতে আমার কষ্ট নাই। হ্যা, মার্কে পিছিয়ে ছিলাম তাই হয় নাই। কিন্তু কষ্টটা হলো যত জন নেওয়ার কথা ছিলো ততজন নেয় নাই, যেমন, ৭০০ জন নেওয়ার কথা। ৫০০ জনকে নিছে আর ২০০ টা পোষ্ট ফাকা রইছে। বিশেষ ২০০ জন যারা পিলি, রিটেন দিয়ে ভাইবা পর্যন্ত আসতে পারে নাই কিন্তু তাদের জন্য পদ গুলো সংরক্ষন করে রাখা হয়েছে। আর এ দিকে ভাইবা দিয়ে ২০০ পোষ্ট ফাকা থাকা সত্ত্বেও চাকরি না হওয়ার কষ্টটা বহু গুন বাড়িয়ে বসে আছে। তখন মনে প্রশ্ন জাগে, খুব জানতে ইচ্ছা করে, মুক্তিযুদ্ধারা কি এই বৈষম্য মেনে নিচ্ছে? না তারা এই বিষয়টা সম্পর্কে অবগত না। নাকি তারা আজ সব স্বার্থপর হয়ে গেছে?
বেশ কিছু দিন যাবত কোঠা সংস্কার এর পক্ষে আন্দলন হচেছ। তারা তুলে ধরার চেষ্টা করছে বৈষম্যটা কোথায় হচেছ আর কেনই বা সংস্কার দরকার। বর্তমান কোটা ব্যবস্থার দশমিক ১৩ শতাংশ মুক্তিযুদ্ধার সন্তান নাতি দের জন্য বরাদ্ধ ৩০শতাংশ,মহিলাদের জন্য ১০ শতাংশ (অন্যান্ন ১৬ শতাংশ) আর সারা দেশের সবার জন্য ৪৪ শতাংশ। বিগত কয়েকটা চাকরির পরীক্ষা দেখলে দেখা যাচেছ কোন পরীক্ষায় ৫ শতাংশের বেশি তারা টিকতে পারছে না। ফলে বিপুর পরিমান পদ ফাকা পরে আছে, কিন্তু ভাইবা দিয়েও চাকরি পাচেছ না অনেকেই। তাই ক্ষোপটা ভীতর থেকেই চলে আসে। নিচের পরিসংখ্যানটা দেখলেই বুঝা যায় ক্ষোপটা কই,
আস্তে আস্তে ফুলে উঠছে বেকার যুবকরা তাই সরকারের উচিৎ এখনই কিছু করা। মুক্তি যুদ্ধের মহান যুদ্ধা শ্রদ্ধাভরে বেচেঁ থাক সবার মনে। এই বৈষম্যের যাতাকলে বর্তমান যুবকদের মন যদি বিষিয়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে এই যুবকরা যখন বৃদ্ধ হবে এবং তাদের নাতি নাতনিদের গল্প করবে তখন কি গল্প করবে.. ? বেচেঁ থাকবে তো আমাদের মহান যুদ্ধারা?
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১২
গ্যাব্রিয়ল বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা চালু করে নাই... সরকার করছে,।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন: টাকার বিনিময়ে নাকি অনেক মুক্তিযোদ্ধা অন্যের বাবা, নানা-দাদা হচ্ছেন। ট্রাই করবেন নাকি একবার? (আমি কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করে কথাটি বলিনি, আজ পেপারে দেখলাম তাই বললাম)
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধারা কি কোটা চালু করেছেন, নাকি চালু রাখতে বলেছেন?