নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখে আছি, সুখে আছি সখা, আপন মনে।

সখা, নয়নে শুধু জানাবে প্রেম, নীরবে দিবে প্রাণ, রচিয়া ললিতমধুর বাণী আড়ালে গাবে গান। গোপনে তুলিয়া কুসুম গাঁথিয়া রেখে যাবে মালাগাছি। এই ব্লগের©শান্তির দেবদূত।

শান্তির দেবদূত

নিজের কথা কি আর বলবো ...... নিজে সুখী মানুষ, পৃথিবীর সবাই সুখী হওক এই কামনা করি...... কয়লার মধ্যে কালো খুঁজি না, হীরা খুঁজে বেড়াই .......

শান্তির দেবদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

(কল্প-গল্প) --- খাস্তগীরের রাসায়নিক ভালবাসা

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫



এক.

সারাদিন অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে এসে সরিষার তেল ছাড়াই রাতে ভাল ঘুম হওয়ার কথা, কিন্তু হয় না কারন অফিসের বেশিভাগ সময়ই কাটে আমার ঝিমুনিতে। অনেক কসরতের পর মাত্র চোখটা লেগে আসছিল এমন সময় মোবাইল চিৎকার দিয়ে বলল, “স্যার স্যার স্যার কল; স্যার স্যার স্যার কল”। ছাপোষা কেরানী, সবাইকে স্যার ডাকতে ডাকতে জিহ্বাই আমার ক্ষয় হওয়ার জোগার তাই অফিস থেকে ফিরেই প্রথম কাজ হল মোবাইলের রিং টোন “স্যার স্যার স্যার কল” সেট করে কারও কলের জন্য অপেক্ষা করা। তাই বলে রাত তিনটার সময়? চোখেমুখে চরম বিরক্তির ভাব নিয়ে বালিসের কাছে রাখা মোবাইলটা হাতে নিয়ে নামটা দেখেই পিলে চমকে উঠলাম।



ধরবো? নাহ, থাক; ধরবো না। একবার ভাবলাম অর্ধাঙ্গিনী মৈনাক পর্বত কুম্ভকর্ণকে ডেকে বলতে বলি যে আমি বাসায় নাই, অফিসের জরুরী কাজে চিটাগাং গিয়েছি; এতে আমার আসলেই নাই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে না দিতে পেরে ভয়ে ভয়ে ধরে বললাম, “হ্যালো?”



- “হ্যাঁ দোস্ত, বাদঁর কোথায় পাওয়া যাবে বলতে পারিস?”, আগে পিছে কিছু না বলে, কোন কুশলাদি না জিজ্ঞেস করে তার মুখে বিশ্বব্রক্ষান্ডের কঠিনতম এই প্রশ্ন শুনে আমি বিষ্ময়ে বাকহারা!



পাছে অর্ধাঙ্গিনীর ঘুম ভেঙ্গে যায় আর রাতটা ঈশ্বরচন্দ্র হয়ে স্টেশনেই কাটাতে হয় এ ভয়ে চিৎকার দিতে গিয়েও দিলাম না। নিচু গলায় বলাম, “হারামজাদা, আমি কি বাঁদরের সওদাগর? তবে একটা জেলা আছে বান্দরবন; নিশ্চয় সেখানে বনে বাদারে লাখ বাদঁর ঘুরে বেড়ায়। তুই সেখানে গিয়ে এইসব বাদঁরের সাথে দোস্তি পাতাতে পারিস”।



- “আরে বাদঁরের দোস্তি দিয়ে আমি কি করব? তুই যথেষ্ঠ”, নির্বিকার ভাবে বলল দোস্ত আমার কিন্তু প্রশংসা নাকি তিরষ্কার বুঝলাম না, “আসলে একটা এক্সপেরিমেন্টের জন্য দুটা বাদঁর খুঁজছিলাম আর কি! এ শহরে কোথায় পাওয়া যাবে বলতে পারিস?”



“সেটাত জানি না, তবে শুনেছি ঢাকার কাঁটাবনে নাকি পশুপাখির দোকান আছে, তুই ঐখানে যোগাযোগ করতে পারিস”, প্রায় ফিসফিস করে বললাম; এরি মাঝে মৈনাকপর্বত ভুবন প্রকম্পিত করে এপাশ থেকে ওপাশ ফিরলে আমার হৃদপিন্ড প্রায় গলার কাছে উঠে আলজিহ্বায় কড়া নাড়ানাড়ি শুরু করে; আলত করে ঢোক গিলে হৃদপীন্ডটিকে স্বস্থানে পাঠিয়ে একটু স্বস্থি লাভ করি।



- “ওদের কি অনলাইন বুকিং দেওয়ার সিস্টেম আছে? হোম-ডেলিভারী?”



ইন্টারনেটে কিভাবে বাঁদর কেনা যায়; তার উপর আবার হোম-ডেলিভারী!, “কি জানি দোস্ত! আজকাল ত শুনি ইন্টারনেটে দুনিয়ার সব কিছুই পাওয়া যায়, তুই খোঁজ নিয়ে দেখতে পারিস; ইন্টারনেট, কম্পিউটার এইসব ব্যাপারে আমার বিন্দু মাত্র ধারনা নাই”, মৈনাকপর্বত হালকা নাক ডাকা শুরু করলে আমিও গলার স্বর একটু বাড়িয়ে দেই।



- তোরা যে কি না? এই যুগে এসে কেউ যদি বলে ইন্টার্নেট বুঝি না তার আসলে আফ্রিকার জঙ্গলে গিয়ে থাকা উচিত, আফ্রিকার জঙ্গলেও গিয়ে দেখবি জংলিরা নেংটি পড়ে ল্যাপটপ চালাচ্ছে আর একটু পরপর আনন্দে উলুউলু দিচ্ছে।



আরও কি কি যেন বলছিল, কর্ণকুহরে প্রবেশেই আটকে দেই। শেষে ফিসফিস করে বললাম, “তোর ভাবী ঘুমাচ্ছে, কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে, তোর বাদঁর ত বুঝে পেয়েছিস, এইবার রাখি”, বলে আর সময় না দিয়ে দিলাম লাইনটা কেটে।



- হঠাৎ দেখি আধশোয়া হয়ে পাখির নীড়ে মত চোখ তুলে “এই মাঝরাতে ফিসফিসিয়ে কার সাথে কথা বলা হচ্ছে শুনি?” আরে না, নাটরের বনলতা সেন না, আমার অর্ধাঙ্গিনী শুধায়।

ভাব বাচ্যে সম্মোধন! ঝড়ের পূর্বাভাস। সাইক্লোন, টর্নেডোতেও মোড় নিতে পারে যে কোন সময়, ব্যাটা জীবনানন্দ, জীবন আনন্দেই কাটিয়েছ; তাইত চোখকে দেখ পাখির নীড়, কলমপেষা কেরানী হলে তখন দেখতে ‘সর্বনাশ’!



আমতা আমতা করে বললাম, “সাইন্টিষ্ট খাস্তগীর”



দুই.

ভাগ্যিস প্লাস্টিকের সেন্ডেল পড়ে বাজারে এসেছিলাম; মাছ বাজারে পা দিয়েই যেন অন্য গ্রহে এসে পড়েছি। অবশ্য এই গ্রহভ্রমন আমাকে প্রতি শুক্রবারেই করতে হয়। কাদা মাড়াতে মাড়াতে এগিয়ে যাচ্ছি আর একেক জনের ডালার উপর নানান জাতের মাছ দেখছি, সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ের যখন মুটামুটি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি তখন দাম কিঞ্চিত কমানোর আশায় মাছের পেটে হালকা চাপ দিয়ে বললাম, “এই মিঞা, তোমার মাছ ত নরম, ভাগায় পাঁচ টাকা কম পাবা।”



বিক্রেতা মৃদু ঊম্মা প্রকাশ করে বলল, “স্যার কি যে বলেন না! একদম তাজা মাছ, কেঁচকি মাছ ত তাই খালি চোখে কাঙ্কা দেখা যাচ্ছে না, আপনার কাছে যদি আতশি কাচ থাকে তাহলে দেখতেন টকটকে লাল কাঙ্কা।”



অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে কেঁচকি মাছের কাঙ্কা পরীক্ষা করার কোন ইচ্ছা আমার ছিল না, তাই আর কথা না বাড়িয়ে তিনভাগা নিয়ে কেটে পড়লাম। একটু সামনে এগোতেই দেখি কতক শিশুকিশোর ছোট খাট একটা জটলা পাকিয়ে আছে আর তাদের মাঝে লম্বামত একজন হেটে যাচ্ছে। পেছন থেকে কেমন যেন চেনা চেনা লাগছিল। আরে! খাস্তগীর না? তাই ত, খাস্তগীরই ত! কিন্তু ওর এই অবস্থা কেন? হাটার গতি একটু বাড়িয়ে দিয়ে কাছাকাছি গিয়ে ডাক দিলাম, “খাস্তগীর, এই খাস্তগীর”।



মনে হল মুহূর্তক্ষণ থমকে দাঁড়িয়ে আবার হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিল সে, কি জানি! না কি আমারই চোখের ভুল। আমিও আর একটু এগিয়ে জোরেই আবার ডাকি, “এই, খাস্তগীর, খাস্তগীর?”



- এইবার আর পালানোর পথ না পেয়ে ঘুরে মৃদু কাষ্ঠ হাসি হেসে বলে, “আরে দোস্ত, কি ব্যাপার? অনেক দিন পর, কেমন আছিস”



আমি আছি ভাল, কিন্তু তোর এই অবস্থা কেন?



- কোন অবস্থা?



এই যে দুই কাঁধে দুই বাঁদর নিয়ে ঘুরছিস?



- “ও! এদের কথা বলছিস”, আরে এটা কিছু না, শুধু একটু গ্যাসের সমস্যা। যেন কিছুই হয়নি এমন ভাবে বলল সে কথাটা।



কিন্তু আমার মন বলছে ব্যাটা বড় ধরনের কোন ঝামেলা পাকিয়েছে, আর এখন আমার কাছে লুকাতে চাচ্ছে। তাই ধরে টেনে অদূরেই “চান্দের মামা হোটেল ও রেস্তোরা” নামের রেস্তোরার ক্যাবিনে গিয়ে ঢুকলাম কাঁধে দুই বাঁদর সহ। এই ধরনের কেবিনগুলো সাধারনত উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ডেটিং এর জন্য ব্যাবহার করে; তাই কেবিন জুড়ে নানান নীতি কথার পোষ্টার, “শালীনতা বজায় রাখুন”, “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত”, “ব্যবহারে বংশের পরিচয়”। কিছু রসিক ছেলেপিলে এই সকল পোষ্টারের উপর আবার মিষ্টিমধুর ভাষায় তাদের জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য লিখে রেখেছে, দুচারটা চিত্রাংকন প্রতিভার স্ফুরনও দেখা গেল।



হ্যাঁ, কি যেন বলছিলি গ্যাসের সমস্যা?



- আরে তেমন কিছু না



আমি কোন কথা না বলে চুপকরে তাকিয়ে থাকি তার দিকে, জানি খাস্তগীর নিজের বাদর-কীর্তির কথা সবিস্তারে বলার জন্য মুখিয়ে আছে।



- কিছুক্ষণ পর, মুখ এগিয়ে নিয়ে এসে প্রায় ফিসফিস করে যেন খুব গোপন কথা ফাস করছে এমন ভাবে বলল, “আমি আসলে লাভিং গ্যাস নিয়ে কাজ করছি”।



মাত্র গ্লাস তুলে মুখে নিয়েছিলাম, পানিটা গলায় আটকে গেল, অনেক কসরত করে কোন রকমে কাশিটা আটকালাম, “কি! কি গ্যাস বললি?”



- লাভিং গ্যাস, এত অবাক হওয়ার কি আছে? ক্রায়িং গ্যাস আছে, লাফিং গ্যাস আছে তাহলে লাভিং গ্যাসের কি সমস্যা?

ক্রায়িং গ্যাস মানে?



- আরে, বাংলায় কাঁদানে গ্যাস বলে যেটাকে, আর কি।

বাদঁর দুটো হঠাত করে খাস্তগীরের কাধে মৃদু লাফালাফি শুরু করল। আমি বললাম, “এই শাখামৃগ দুটাকে কাঁধে নিয়ে ঘুরছিস কেন? তোর কাঁধ ত আর শাখা না”



- মৃদু হেসে, “আরে শাখামৃগ বলছিস কেন? এর নাম মলি আর এটার নাম ডলি”, হাত দিয়ে একবার ডান আরেকবার বা কাধে ইঙ্গিত করে বলে সে।



ও! দুটোই বাঁদরী?



- আর বলিস না, সেই যে তোর কাছ থেকে ফোনে জায়গার নাম নিলাম না? তারপর তাদের সাথে যোগাযোগ করে বললাম আমার দুইটা সুস্থ, তেজী ও বদমেজাজি বাঁদর লাগবে। তারা অনেক দিন ঘুরিয়ে শেষে এই দুটা বাঁদরনী দিয়ে বলে গেল, “এই দুটার মত তেজি আর বদমেজাজি বাঁদরী আর বাঁদর সমাজে নেই” গ্যারান্টি কার্ডও দিয়ে গেছে। আমিও আর উচ্চবাচ্চ করিনি, আমার কাজ হলেই হল।



কিন্তু তোর কাজটাই ত বুঝতে পারছি না!



- মুচকি হেসে, “যদি বুঝতেই পারতিস তাহলে তুই খাস্তগীর হতি”



হুমম



- আচ্ছা, দুনিয়ার মুল সমস্যা কি বলতে পারিস?

চমকে উঠলাম, কিছুদিন আগে খাদ্য সমস্যা নিয়ে যে ঝামেলা গিয়েছে সেটা মনে করে একটু ভয়ও পেলাম, এবার না জানি কোন ঘাপলা বাধায়! হাজার রকমের সমস্যা আছে দুনিয়াতে, এখন কোনটা সেটা আমি কিভাবে বলব? জনসংখ্যার সমস্যা? নাকি দারিদ্রতা? নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা?



- হাসি তার সমগ্র মুখে ছড়িয়ে পড়ে, আরে তুইত দেখি দুনিয়ার কোন খবরই রাখিস না! আরে, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গিয়ে ভালবাসার অভাব, আর বাকি গুলোত এর উপসর্গ মাত্র। দুনিয়াজুড়ে যে এত অরাজকতা তার মুলেই হল ঘৃণা আধিক্য আর ভালবাসার না থাকা। একবার ভাবত, রাস্তায় বিক্ষোভ হচ্ছে আর পুলিশ তাদের হাসতে হাসতে ভালবেসে আলতো লাঠিচার্জ করছে, আবার বিক্ষোভকারীরাও পুলিশের দিকে হাসতে হাসতে ঢিল ছুঁড়ে মারছে, বুকে জড়িয়ে ধরে লাথি মারছে; রাস্তায় পকেটমার ধরা পড়েছে সবাই মিলে তাকে আচ্ছা মতন না বানিয়ে আরও কয়েকজনের মানিব্যাগের সব টাকা তাকে দিয়ে দিয়েছে, আর সে এই টাকা না নিয়ে আবার ফিরিয়ে দিচ্ছে; মানুষে মানুষে কোন ঘৃণা নেই, কোন উগ্রপন্থী নেই, নেই কোন জঙ্গিবাদ, সবাই সবাইকে শুধু ভালবাসছে, তাহলে কি দুনিয়ার আর কোন সমস্যা থাকত? বলতে বলতে একটু উদাস হয়ে যায় খাস্তগীর, কি জানি হয়ত দিবাস্বপ্নে মাদাম-তুসোর জাদুঘরে নিজের মোমের মূর্তি উদ্ভোধন করছে!



দ্বিমত করার মত কিছু পেলাম না, কিন্তু ঠিক কেন যেন ভরসাও পাচ্ছিলাম না; কি জানি! হয়ত ভালোই হবে। দেখাই যাক না! সবই বুঝলাম কিন্তু এই মলি-ডলি কেন? তাকিয়ে দেখি বাঁদর দুটো পরম ভালবাসায় দস্তগিরের দুই কাধে বসে আছে, চরম তৃপ্তির সঙ্গে তার গালের সাথে গাল ঘসছে, অদ্ভুত আবেগে নয়নে নয়ন রেখে হারিয়ে যাচ্ছে দূর অজানায়, যদি বাংলা সিনেমা হত তাহলে এতক্ষণে কোমর দুলিয়ে গান শুরু হয়ে যেত “চোখ যে মনের কথা বলে”।



- আরে, মলি-ডলি হল আমার গিনিপিগ, লাভিং গ্যাসের প্রথম টেষ্টটা এদের উপরই করেছি।



মানে? তুই অলরেডি লাভিং গ্যাস আবিষ্কার করে ফেলেছিস? ছানাভরা চোখে তার দিকে তাকাই আমি।



- তা আর বলতে! এটা এমন কি কঠিন কাজ? আমাদের ব্রেনের একেকটা অংশ একেকটা অনুভুতি নিয়ন্ত্রণ করে, আমার গ্যাস ভালবাসা অংশে শুধু একটু স্টিমুলেসন দিবে এই যা! মলি-ডলির উপর পরীক্ষাও করে ফেলেছি। শুধু একটা সমস্যা হয়েছে বাঁদর দুটো একে অপরকে ভাল না বেসে আমাকে ভালবেসে ফেলেছে, আর সেই থেকে এই দুটাকে কাঁধ থেকে নামাতে পারছি না, মুখটা একটু করুন করে বলে বন্ধু আমার। আর মাড়ির দাঁত সব কেলিয়ে দিয়ে একটা হাসি দিয়ে খাস্তগীরের গলা আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মলি, আর ডলি হালকা লাফিয়ে উঠে মাথা উপর নিচ করে “উঊঊঊঊ” শব্দ করে যেন সায় দেয় তার কথায়।



বন্ধুর এ দুরবস্থা দেখে মায়ায় লাগল, “এই ভালবাসা কি পার্মানেন্ট না কি”



- আরে না, তিন থেকে বড় জোড় চার সপ্তাহের মত স্থায়ী হবে এই ভালবাসা। প্রথম দুই সপ্তাহ পর্যন্ত এটা উর্ধমুখি তারপর থেক আস্তে আস্তে এর প্রভাব নিচের দিকে নেমে আসবে।

যাক, বাচা গেল। মলি-ডলির কয় সপ্তাহ বাকি?



- “মাত্র গতপরশু ডোজ দিয়েছি, এদের ভালবাসার পরিমান আগামী দুই সপ্তাহ ক্রমাগত বাড়তে থাকবে”, তার কথায় নিশ্চিত আতঙ্ক ঝড়ে পরছিল।



আমি আর সামনে চিন্তা করতে পারছিলাম না। বিলটা দিয়ে রেস্তোরা থেকে বের হয়ে গেলাম, খাস্তগীর বের হয় নি, মলি-ডলির খাওয়া নাকি এখনও আসেনি, তাই।



তিন.

আজ সকাল সকাল একটা খবর পড়ে বেশ হাসলাম, যখনই ঘটনাটা মনে পড়ছে তখনই পেট ফেটে হাসি আসছে আর অনেক কষ্টে তা নিবারন করছি। ছুটির দিন, বারান্দায় বসে চায়ের জন্য অপেক্ষা করছি আর দৈনিকের পাতা উল্টাচ্ছিলাম, প্রথম পাতার একেবারে শেষের কলামে খবরটি ছাপা হয়েছে। “কৈ আমার মাতঙ্গ সোনা, চা আর কতদূর?”, বউকে আহ্লাদ করে মাতঙ্গ ডাকি, ভাগ্যিস সে বাংলায় কাচা না হলে এই মাতঙ্গের পায়ের নিচেই চিড়েচ্যাপ্টা হওয়া ছিল অবধারিত।



- “আসছে আমার সিরাজদ্দৌলার নাতি! হুকুম করবে আর হাজির! একদম চুপ করে বসে থাক, যখন হবে আমি নিয়ে আসব”, রন্ধনশালা থেকে ততোধিক উচ্চস্বরে ভেসে আসে বৃংহিতকণ্ঠ।



কিছুক্ষণ পর চা নিয়ে সে হাজির, এসে দেখে আমার মুখে মুচকি হাসছি, কিছুটা অবাক হয়; হয়ত আশা করেছিল ঝাড়ি খেয়ে মুখ কাল করে বসে থাকব। আমি বেতের চেয়ারটা এগিয়ে দিয়ে বললাম বস তোমাকে একটা খবর পড়ে শোনাই। গলা খাকাড়ি দিয়ে পড়া শুরু করলাম,



“উম্মাদ ভক্তের” কবলে প্রধাণমন্ত্রী



গতকাল দিবাগত রাত ৭:১৫ টায় প্রধাণমন্ত্রীর বাসভবনের

সামনে এক ব্যাক্তিকে চিৎকার চেচামেচিরত অবস্থায়

দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আটক করলে সে বলতে

থাকে, “আমি প্রধাণমন্ত্রীর প্রেমিক, আই লাভ ইউ

প্রাইম- মিনিষ্টার, আমি তোমাকে ছাড়া বাচব না”, তারপর

সে ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটে প্রধাণমন্ত্রীর নাম লিখতে

থাকে। ব্যাপারটাকে গুরুত্ব না দিয়ে তাকে উম্মাদ কোন

ভক্ত ভেবে তাড়িয়ে দেয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তার কিছুক্ষণ

পর মাননিয় প্রধাণমন্ত্রী দাপ্তরিক কাজ সেরে নিজ

বাসভবনে ফিরার সময় তার বহরের সামনে ঝাপিয়ে পড়ে

সেই “উম্মাদ ভক্ত”, ক্রমাগত চিৎকার দিয়ে শুধু একবার

প্রধাণমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে চায়। তারপর হঠাৎ বাংলা

সিনেমার নায়কদের মত নেচে নেচে রোমান্টিক গান

গাওয়া শুরু করে,



“সবার জীবনে প্রেম আসে তাইত সবাই

ভাল বাসে, প্রথম যারে লাগে ভাল যায় না ভোলা

কভু তারে”।




এক পর্যায়ে সে এক গাছ থেকে আরেক গাছে

দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে ও গাছের গুড়ি জড়িয়ে ধরে নেচে

নেচে গান গাইতে থাকে। অতঃপর এসএসএফের

কর্মকর্তা এগিয়ে এসে তাকে সেনাবাহিনীর একজন মেজর

হিসাবে সনাক্ত করেন এবং মিলিটারি পুলিশ এসে তাকে

গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গ্রেফতার অবস্থায় ও উক্ত মেজর

চিৎকার করে প্রধাণমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গাইতে থাকেন,

“যেও না সাথী, চলেছ একেলা কোথা, পথ খুঁজে পাবে

নাকো শুধু একা।”




কি কারনে সেনাবাহিনীর উক্ত কর্মকর্তার এমন মতিভ্রম

হল সেটা এখনও অজানা তবে উনি মাদকাসক্ত কিনা তা

খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি

পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধারন করা হচ্ছে

এর পিছনে বিরুধীদলের কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।

(নিজস্ব প্রতিবেদক)




পড়া শেষ করে আমি উচ্চস্বরে হা হা করে হাসতে থাকি, বউ আমার দিকে কিছুক্ষণ চোখ পাকিয়ে থেকে বলে, “এখানে হাসি কি হল? দেশে কি পাগলের অভাব আছে নাকি? তোমার সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি”



চুপসে গেলাম হঠাৎ করে, ঠিক এমন সময় মোবাইলটা বেজে উঠে আমাকে উদ্ধার করল।



- হ্যালো, দোস্ত, একটা ঝামেলা হয়ে গেছে, তুই কি এক্ষণি একটু আমার বাসায় আসতে পারবি?”



“কি ঝামেলা?”



- বড় ধরনের ঝামেলা, ফোনে বলা যাবে না। তুই এক্ষণি চলে আয়। বলেই ফোনটা কেটে দিল খাস্তগীর।



কালবিলম্ব না করে কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌছে গেলাম তার বাসায়। একি দশা হয়েছে তার! চোখ ফুলে লাল, চুলগুলো উসক-খুসক, চশমার কাচ ঘোলা হয়ে আছে, মনে হয় কতদিন মুছে না। সার্টের বোতামের ক্রম উল্টা পাল্টা হয়ে আছে। আমাকে দেখেই যেন হাপ ছেড়ে বাচল; ফিসফিস করে বলল “আজকের খবরের কাগজ পড়েছিস?”



ওর আচরনের কিছু বুঝতে পারছিলাম না; বললাম, “তুই এমন ফিসফিস করে কথা বলছিস কেন? আর খবরের কাগজ পড়েই বের হয়েছি, তুই কোন খবরের কথা বলছিস”



- এই যে এই খবরটা পড়েছিস।



চমকে উঠলাম; যা বুঝার বুঝে গিয়েছি, “মানে! প্রধাণমন্ত্রীকে ঘীরে উম্মাদ ভক্তের কান্ড কারখানা পিছনে তোর লাভিং গ্যাসের কোন সংযোগ আছে? মাই গড! কিভাবে কি হল? খুলে বল জলদি”



- আমি নিজেও ব্যাপারটা পুরোপুরি বুঝতে পারছি না। আমার লাভিং গ্যাসের ফিল্ড টেস্ট সফল হওয়ার পর আমি ভেবে দেখলাম প্রধাণমন্ত্রী আর বিরোধীদলীয় নেত্রীর মাঝে যদি একে ওপরে প্রতি ভালবাসা জাগিয়ে তুলতে পারি তবে আমাদের যাবতিয় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একজন বলবে ‘আপা আপনিই প্রধাণমন্ত্রী হন’, আরেক জন বলতে ‘না ভাবি, এত কষ্ট দেশ চালান! দরকার নেই আমার, আপনি প্রধাণমন্ত্রী হন’ ।



- ভেবে দেখেছিস মুহূর্তেই আমাদের যাবতিয় সমস্যার সমাধান! কিন্তু সমস্যা হয়ে দাড়াল তাদের দুজনের কাছে লাভিং গ্যাসটা পৌছান, অনেক ভেবে একটা চমৎকার বুদ্ধি বের করলাম, দুইটা খামে গ্যাস ভরে প্রধাণমন্ত্রী আর বিরোধীদলীয় নেত্রীর ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলাম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি তাদের কাছে পাঠান চিঠিপত্র সব নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন খুলে ভাল মত পরীক্ষা করে তারপর পার করে।



বুঝলাম, কিন্তু ঐ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এতটা পাগলাম কেন করল আর খামে তোর ঠিকানা দেস নি ত?



- “আরে আমি কি অত বোকা নাকি? প্রেরকের জায়গায় হোয়াইট হাউজের ঠিকানায় দিয়ে দিয়েছি। আর যুগের পর যুগ ধরে আমাদের প্রধাণমন্ত্রী আর বিরোধীদলীয় নেত্রীর বুকে একে অপরের প্রতি যে তীব্র ঘৃণা জমা হয়েছে সেই কারনে গ্যাসের পাওয়ার বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলাম”, ফ্যাকাসে কাষ্ঠ হাসি দিয়ে উত্তর দেয় সে।



হাপ ছেড়ে বাঁচলাম। এখন অনেক কাজ, এই ল্যাবের সব আলামত ধ্বংস করতে হবে, লাভিং গ্যাসের সাথে সংশ্লিষ্ট সব কিছু নষ্ট করতে হবে। খাস্তগীরকে সব বুঝিয়ে বললাম কি করতে হবে; বেচারা মিনমিন করতে করতে রাজি হল, তারপর বললাম, “দোস্ত, বিশ্ববাসীর চিন্তা বাদ, এবার নিজের চিন্তা কর, লাভিং গ্যাস আসলে দরকার তোর। আমি বলি কি ভাল মত একটা মেয়ে দেখে বিয়ে করে থিতু হ এবার”



সে কি বুঝল আল্লাহ জানে, তবে তার চোখ হঠাৎ জ্বলজ্বল করে উঠল। আমি চিনি এই দৃষ্টি, নির্ঘাত নতুন যুগান্তকারী কোন আইডিয়া চলে এসেছে তার মাথায়।



ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি বাঁদরী দুটো পরম আবেগে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে গালে গাল ঘষছে আর এজন আরেক জনকে কলা ছিলিয়ে ছিলিয়ে খাওয়াচ্ছে, নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসল আমার বুকচিড়ে।



--------------------------- সমাপ্ত --------------------

এই সিরিজের পূর্বের গল্পগুলো

( কল্পগল্প ) --- খস্তগীরের বিস্ময়কর চিত্রগ্রহন যন্ত্র

( কল্পগল্প ) --- খস্তগীরের স্বাদ সূচক

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন +

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না.......................................

ল্যাব গুড়িয়ে দিও না... আমাদের দুই নেত্রীর জন্য ঐ গ্যাস খুবই দরকার.......!!!!!!!
=p~ =p~ =p~ =p~ =p~
+++++++++++++

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
তিনটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, কৈ আছেন আপনি! শুধু ল্যাব গুড়িয়ে দিয়েই খ্যান্ত না, খাস্তগীরকে বলেছি কয়েক মাস একটু আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে।

অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনাকে। শুভেচ্ছা রইল।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: মজার হৈসে ভাইয়া। খাস্তগীরের সাথে আপনার মাথায়ও নিশ্চয়ই নতুন আইডিয়া এসেছে! দ্রুত এর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা, নতুন আইডিয়া! কি জানি, খাস্তগীর আপাতত একটু গা ঢাকা দিয়ে আছে, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হোক, তারপর দেখি সে নতুন কি নিয়ে আসে।
শুভেচ্ছা রইল।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, দারুণ লাগল খাস্তগীরের কাহিনি।

সায়েন্টিফিক রম্য খুব ভালো লেগেছে। বাকি পর্বগুলোও পড়ে দেখি।

আজকে কোন এক কারণে কোন পোস্টেই প্লাস দিতে পারছি না। ব্রাউঁজারের দোষ নাকি সামুর কে জানে! প্লাস প্রদানের ক্ষমতা ফিরে এলে প্লাস দিয়ে যাব:)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কোন ব্যাপার না, পড়েছে, আনন্দ পেয়েছেন, চমৎকার উৎসাহপ্রদ মন্তব্য করেছেন, ব্যাস লেখা স্বার্থক। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কয়েকদিন ধরে সামু মনে হয় বেস স্লো, লোড হতে সময় নেয়, ব্রাউজারের কোনায় চাকতি শুধু ঘুরতেই থাকে, ঘুরতেই থাকে।

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪০

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, আমি সিরিয়াসলি একটা সাইন্স ফিকশন পড়ার জন্যই বসেছিলাম । পাগলা গবেষক খাস্তগীর আর তার বানর দুটি দেখে নড়েচরেই বসেছিলাম, কি জানি কি গবেষণা করে । শেষে হাসতে হাসতে আমি শ্যাষ.. :| B-)


পুরো গল্পটাই খুব মজার হয়েছে । গল্পের আইডিয়া সত্যিই অভিনব ।

গল্পে ৩য় প্লাস ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হাসির গল্প লেখা নাকি সবচেয়ে কঠিন, এই কঠিন কাজটিই করতে চেয়েছিলাম ভয়ে ভয়ে। আমাদের আজ হাসির বড় দরকার। আপনার মন্তব্য পড়ে বুকে কিছুটা পানি ফিরে এসেছে।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক, সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। শুভেচ্ছা।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১২

টুম্পা মনি বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~
অনেক ভালো লাগল!

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাপরে! একেবারে হেসে হেসে গড়াগড়ি!!
অনেক ধন্যবাদ টুম্পা মনি। হাসাতে পেরে নিজেরও ভাল লাগছে।
শুভেচ্ছা রইল।

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দারুন ,৫ম ভালোলাগা।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনাদের ভাল লাগা লেখার অনুপ্রেরনা যোগায়। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৪৮

মুনসী১৬১২ বলেছেন: চমৎকার হয়েছে.. বিশেষ করে উপমাগুলো যুৎসই স্থানে বসেছে

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মুনসী ভাই। একটু হাসানোর ব্যার্থ প্রয়াস আর কি। অনেক ভাল থাকবে, শুভেচ্ছা রইল।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৩৭

কয়েস সামী বলেছেন: মজার!

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। এই আর কি, হালকা হাসানোর চেষ্টা করলাম। মজা পেয়েছেন শুনে মনে হলো চেষ্টাটা একেবারে ব্যার্থ হয়ে যায় নি। অনেক শুভকামনা রইল।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দারুণ মজা পেলাম ভাই।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: শুনে ভাল লাগল যে দারুন মজা পেয়েছেন। মজার জন্য ও হাসির জন্যেই লেখা, আমাদের আজ হাসির বড় প্রয়োজন; কষ্টটা স্বার্থক।

অনেক ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন আর হাসিতে থাকুন। শুভকামনা রইল।

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

হাহাহাহা! হাসতেই আছি......
আমি ভাবছিলাম সিরিয়াস সাইফাই হবে। :)
এক্সপেরিমেন্ট খানা সিরাম ছিল :P
গল্পের আইডিয়া চরম লাগল। আগের লেখাগুলো পড়তে হবে! এই সিরিজটাকে হ্যাটস অফ। :)

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাজিম ভাই। অনেক পুরানো প্রায় ৩/৪ বছর আগের লেখা সিরিজ, এত বছর গ্যাপের পর নতুন করে শুরু করতে একটু দ্বিধা ছিল, আপনাদের কমেন্ট পেয়ে উৎসাহ পাচ্ছি আবার। তবে আইডিয়াটা ২/৩ বছর ধরেই মাথায় ছিল, কিন্তু লিখতে পারছিলাম না, নানান কারনে।

আসলে অনেকগুলো আইডিয়াই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, কোনটা আগে লিখব আর কোনটা পরে সেটা ঠিক করে উঠতে পারছিনা। পরের সাই-ফাইটা সিরিয়াস টাইপের হবে মনে হয়।

টুপি সানন্দের গ্রহণ করা হইল।

১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: দারুন। চমৎকার রম্য।
অনেকগুলো প্লাস। যদিও লাইকবাটন কাজ করছেনা।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়েছে, ভাল লেগেছে, একটু হেসেছে, চমৎকার উৎসাহপ্রদ কমেন্ট করেছেন, আর কি চাই! লাইক আনলাইক দিয়ে কি হবে? অনেক ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, হাসিতে থাকুন প্রিয় লেখক।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এত ফাইন একটা লিখা , অথচ তেমন কমেন্ট নাই , মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল ।

আপনার এই লিখা পড়ে আমি ঠিক করলাম আমি আপনার সব লিখা পড়ব এবং এখন হতে আপনি অনুসারিত ।

আরেকটা কারণে মন খারাপ লাগছে । এত ভাল একটা গল্পে প্লাস দিতে পারছি না , সামুর একটা না একটা ঝামেলা থাকেই ।

হাল্কা চালে কি গুঢ কথাই না আপনি বলে ফেলেছেন ।
দুনিয়াজুড়ে যে এত অরাজকতা তার মুলেই হল ঘৃণা আধিক্য আর ভালবাসার না থাকা। - আপনার শক্তিটা বুঝতে পারলাম ।

ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি বাঁদরী দুটো পরম আবেগে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে গালে গাল ঘষছে আর এজন আরেক জনকে কলা ছিলিয়ে ছিলিয়ে খাওয়াচ্ছে, নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসল আমার বুকচিড়ে

আসলেই - কবে হবে এমন ?
ভাষার নাটুকে ব্যবহার , শব্দচয়ন , গল্পের আঙ্গিক বিন্যাস চোখে পড়ার মত ।

বউকে আহ্লাদ করে মাতঙ্গ ডাকি, ভাগ্যিস সে বাংলায় কাচা না হলে এই মাতঙ্গের পায়ের নিচেই চিড়েচ্যাপ্টা হওয়া ছিল অবধারিত।
- হাহাহা , মাথা এত খেলান কিভাবে ?

ভাল থাকবেন ভাই , আবার আসছি ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কমেন্ট কিংবা প্লাস মাইনাস নিয়ে মাথা ঘামাই না, আপনারা পড়েন, আনন্দ পান, একটু হাসেন হালকা ভ্রুও কুঁচকান, আমিও মনের আনন্দে লিখে যাই, এভাবেই চলছে আর কি। আপনার উচ্ছোসিত প্রশংসা দেখে লজ্জায় গালটা একটু লালই হয়ে গেল। ধরনী দ্বিধা হও।
আপনি লেখার মেসেজটা ঠিক মতই ধরতে পেরেছেন, ভাল লাগল।
আর, বউ এর ব্যাপারে কথা না বলি, গল্পটা লেখার পর থেকে বহুত টেনশনে, যদি বউ ব্লগ পড়ে না কিন্তু শুভাকাঙ্খির তো আর অভাব নেই ;)
গল্পের ভাষাগত ও বাক্যে কিছু দূর্বলতা এখনো রয়ে গেছে, কিন্তু আলসেমির আর নেটের গতির কারনে ঠিক করতে পারছি না।

আপনার কমেন্ট পেয়ে খুব ভাল লাগল। শুভেচ্ছা ও শুভকামান রইল।

১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লেগেছে পড়তে। মনে পড়ে গেলো জাফর ইকবালের একটা বই পড়েছিলাম ' বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার ' মজার একটা বই। খাস্তগীরের কথা পড়তে পড়তে মনে পড়ে গেলো।

দুইনেত্রীর জন্য লাভিং গ্যাস হলে মন্দ হতো না।

খাস্তগীরের নতুন আইডিয়া সমৃদ্ধ লেখার অপেক্ষায় থাকলাম, গা ঢাকা দেয়া শেষ হোক তার।

শুভকামনা আপনার জন্য।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বিজ্ঞানী সফদর আলী সেই রকম বিজ্ঞানী, তবে গল্পের, আর আমাদের খাস্তগীর একেবারে বাস্তবের নায়ক, লেখকের স্কুল জীবনের বন্ধু ;)

লাভিং গ্যাসের আসলেই বড় বেশি প্রয়োজন আজ, ঠিকই বলেছেন।

দেখি, আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বের হয়েই আমার সাথে যোগাযোগ করবে, দেখি তারপর নতুন কি আপদ নিয়ে আসে।

আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, সবচেয়ে বড় কথা হাসিতে থাকুন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দিয়ে গিয়ে ৩ বার কারেন্ট চলে গেল, সামু ২ বার বলল আমি নাকি লগ ইন করা নাই। :(

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: পড়লাম দেবদূত ভাই। দারুণ মজার পোস্ট। কিছু কিছু জায়গায় খুব হেসেছিঃ বিশেষ করে জনৈক নিরাপত্তা কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড কল্পনা করে আর এই সংলাপে “কৈ আমার মাতঙ্গ সোনা, চা আর কতদূর?”


লিখতে থাকুন সাথেই আছি :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় মহামহোপাধ্যায় (বাপরে ! কি নাম একটা! দাঁতের উপর মহা ঝাপটা গেছে উচ্চারন করতে)

হুমম, নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কর্মকান্ড বেশিভাগ সময় হাস্যকরই হয়। স্পেশাল ট্রেনিং থাকে ত ;)

আর মাতঙ্গ সোনার নজরে এই পোষ্ট পড়লে আমার কি হবে ভেবেই আমি ................ :(( :((

ভাল থাকুন সবসময়, এই কামনা। শুভেচ্ছা।

১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১০

বোকামন বলেছেন:





+ জমজমাট মজার গল্প, সুক্ষ রসবোধ, সংলাপের দারুণ আবহ !
+ ভালো লাগলো .... হাসলুম খুব :-) হা হাহ :-)

গল্পটি শেষের দিকে এসে অথাৎ “পড়া শুরু করলাম-শেষ করলাম” এই অংশটি পুরো গল্পের তুলনায় বেশ হালকা হয়ে গিয়েছে। সুক্ষতা হারিয়েছে বলে বোকামন মনে করছে। এখন বোকামন তো মোটেই খুব একটা ভালো পাঠক নয় তাই ঐ অংশটি নিয়ে আর না ভাবলেও চলবে। ইচ্ছে করেই হয়তো (একটু বেশি হাসাতেই) করেছেন। হা হাহ :-)

আপনার গল্পের বই বের হয়েছে কয়টি ?

ভালো থাকুন শ্রদ্ধেয় ভাইজান।।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: প্রিয় বোকামন, আপনার প্রাণবন্ত হাসিটা এত দূর থেকেও অনুভবন করতে পারলাম। লেখাটা এতেই স্বার্থক আমিও হাপ ছেড়ে বাচলাম।

গুণী পাঠক, শেষের দিকে এসে আপনার পর্যবেক্ষণ যথার্থ। আপনার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে এটা ধরা পড়বে এটাই স্বাভাবিক ছিল। অনেক খুশি হয়েছি চমৎকার ভাবে গল্পের দূর্বলতাটুকু ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমার বিশেষ উপকার হয়েছে, পরের লেখায় অবশ্যই অবশ্যই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকব।

শ্রদ্ধেয় লেখক, কি যে বলেন না! আপনি আসলেই অনেক বিনয়ী, না হলে আমাকে কি আর বই বের করার মত লেখক বলে নাকি নেউ, তবে সুপ্ত একটা ইচ্ছা আছে মনের মধ্যে /:) , যেদিন মান সম্মত লেখা লিখতে পারব সেদিনই না হয় সেই সুপ্ত ইচ্ছাটাকে জাগিয়ে তুলব নে। আপাতত ব্লগই ভরসা। :)

আপনার উপস্থিতি সব সময় আনন্দদায়ক। শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +++++++

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সেলিম আনোয়ার ভাই। ভাল লাগল আপনার প্রশংসা পেয়ে। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

১৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

রাশেদ অনি বলেছেন: দুনিয়াজুড়ে যে এত অরাজকতা তার মুলেই হল ঘৃণা আধিক্য আর ভালবাসার না থাকা- কথাটা অসাধারণ। ভাল লেগেছে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাল লাগলেই লেখাটা স্বার্থক। শুভেচ্ছা রইল

১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৯

লাস্ট সামুরাই বলেছেন: দেবদূত ভাই সুন্দর লিখেছেন। আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসটা দিতে পারেন? অথবা এইখানে [email protected] এ কষ্ট করে একটা মেইল দেন, ধন্যবাদ :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, লাস্ট সামুরাই। ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
মেইল দিয়েছি।

২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রিয় শান্তির দেবদূত, আপনার রম্য সাইফাই পড়লাম। সাইফাই আমি খুব কম পড়েছি। আর এমন রম্য সাইফাই আজই প্রথম। তাই কাহিনীর চমৎকারিত্বে মুগ্ধ হলাম। আইডিয়াটা অসাধারণ লাগল।

গল্পটা পড়তে গিয়ে আমার কিছু উপলব্ধি হয়েছে, ভাবছি আপনার সাথে শেয়ার করা উচিত।

আমার মনেহয়েছে আপনি অনেক ব্যস্ত মানুষ।

লেখার এবং সেটা আবার নিজে পড়ে দেখার যথেষ্ট সময় আপনার নেই। ফলে আপনাকে তাড়াহুড়া করে লিখতে হয়। আমি পুরো লেখাটায় তাড়াহুড়ার গন্ধ পেয়েছি।

এই গল্পটার ভাষাভঙ্গি সহজ, কিন্তু সাবলীল বা লীলায়িত কিংবা ভাললাগার অনুভূতি জাগিয়ে তোলে, তেমন নয় বলে মনে হয়েছে।


আবার খেয়াল করেন, আপনার গল্পটা কিন্তু অনেক ভাল লেগেছে। আমি বলতে চেয়েছি ভাষাভঙ্গির কথা। আমি বিশেষজ্ঞ নই তাই উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে পারব না। তবে পাঠক হিসাবে আমার একটা অনুভূতি আছে। আমার পড়তে গিয়ে বারবার মনে হয়েছে প্রকাশভঙ্গিটা কেমন জড়ানো। কোথায় যেন কৃত্রিমতার ছাপ।

অসাধারণ আইডিয়ার একটি গল্প কিন্তু প্রকাশভঙ্গির জন্য আমি এটাকে অসাধারণ বলতে পারছি না। তবে নিঃসন্দেহে দারুণ বলতে পারছি।

শুভেচ্ছা।

ও হ্যাঁ আপনার হাত থেকে যে ভাল ভাল গল্প বেরোবে তাতে আমার বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় ড্রিম। আপনার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে গল্পের দূর্বলতাগুলো ঠিক ঠিক ধরা পড়েছে।

আপনি যথার্থই বলেছেন আমি ব্যাস্ততার মধ্যে থাকি, তবে এটা কোন অযুহাত হতে পারে না। প্রতিটি লেখা একজন লেখকের সন্তানতুল্য, তাই সেটার যথার্থ যত্ন নেওয়া জরুরি। আপনার চমৎকার গঠনমূলক কমেন্ট আমাকে পরের গল্পে আরও যত্নশীল করবে আশা করি।

ভাষাভঙ্গির ব্যাপারে আপনি যা বলেছে একেবারে, "বুলস আই"। চমৎকার পর্যবেক্ষণ। বেশি কিছু না, দুই তিনবার আবার পড়ে যদি হালকা পাতলা মডিফার করতাম তাহলে কিন্তু আর এমন মনে হত না। কিন্তু ঐ যে সময়!! আসলে একটা গল্প লেখা হলে কখন ব্লগে পোষ্ট করব সেটা নিয়ে খুব অস্থিরতায় ভুগি, আর চেক করতে ইচ্ছা করে না। পরের লেখাগুলোতে আরও যত্ন নিতে হবে।

সবশেষে আবারও অনেক ধন্যবাদ, আপনার চমৎকার সমালোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে আমার অনেক উপকার হল। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য।

২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫২

মাগুর বলেছেন: অনেক মজা পেলাম। চমৎকার লিখেছেন :)

কিন্তু প্লাস বাটনটা কাজ করছে না তাই এখানেই দিলাম +++++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আরে! প্লাস দিয়া কি হবে, ফেসবুকের লাইক হলে না হয় কিছু হইত, স্যালিব্রেটি টেলিব্রেটি হইতে পারতাম ;) ;)

পড়ে আনন্দ পেয়েছেন এই ত চাই।
শুভেচ্ছা রইল।

২২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
মারাত্মক মজা পাইসি, জোস !

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখক। মজা পেয়েছেন শুনে ভাল লাগল।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: অনবদ্য। অনেকদিন পর খাস্তগীর সাহেবের সাথে মোলাকাত হলো। মজার মানুষ! :)

সি ই এইচের ট্রেনিং ক্লাস ছিলো। ক্লাস ফাকি দিয়ে পড়লাম এটা আর ক্লোরোপ্লাস্টিক মেসেজ। B:-/

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আসলেই মজার মানুষ, মাঝে মাঝে আমারে একটু বেশি জ্বালায় আর কী, এমনিতে খাস্তগীর ছেলে ভাল। :) ইদানিং একটু গা ঢাকা দিয়ে আছে এই যা, হা হা হা।

খুব খারাপ কথা, ট্রেনিং ক্লাস ফাকি দিয়ে ব্লগে গল্প পড়া!! :) :)

ভাল থাক প্রিয় ডাচম্যান।

২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ক্লাসে বসে বসেই পড়েছি। ট্রেইনার টের পায়নি। সামনে কম্পু ছিলো, ক্লাসটাও বোরিং ছিলো =p~

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হ, এখন সব দোষ ঐ ট্রেইনারের ! ;) ;)

২৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৪

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: হে হে হেহে হে হেহে হেহে হেহে ( চার খানা দন্ত বিকশিত করে হাস্য, মজা পেলে সাধারণত আমার চারটি দাঁত প্রদর্শিত হয়! )

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনার প্রাণ খোলা হাসি একেবারে হৃদয় ছুঁয়ে গেল। এত দূর থেকেও যেন অনুভব করতে পারলাম হাসিত সেই প্রতিধ্বনি।

ভাল থাকুন প্রিয় পাঠক ও গুণী লেখক। আর এভাবেই হাসিতে হাসিতে জীবন কাটুক। অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

২৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

আম্মানসুরা বলেছেন: হা হা হা, বেশ মজার গল্প তো!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: মজা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই লেখা, আপনার নির্মল হাসি দেখে মনে হচ্ছে সেই লক্ষ্য কিছুটা হলেও স্বার্থক হয়েছে। শুভকামনা রইল।

২৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

নক্ষত্রচারী বলেছেন: পড়তে পড়তে সফদর আলীর 'জংবাহাদুরের' কথা মনে পড়ল ;)

বরাবরের মতই রম্য, ও সুখপাঠ্য হয়েছে । খাস্তগীর সিরিজটা চালিয়ে যাবেন প্লীজ!
খাস্তগীর সাহেবের পরবর্তী এক্সিপেরিমেন্ট কি? ক্লু পেলে ভালো হতো (কৌতূহল দমিয়ে রাখতে পারলাম না!) ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: সফদর আলীর 'জংবাহাদুরের' সেই সেই রকম ছিল। বস পাবলিক। :)

পড়ে আনন্দ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগল। লেখাটা স্বার্থক হয়েছে।
সিরিজ চলবে :) । আর পরবর্তী এক্সপেরিমেন্ট না হয় আগামী ২/৩ দিন পরে স্বচোক্ষে দেখে যাইয়েন। আপাতত বলতে পানি উনি বাচ্চাদের পাঠাশালা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ;)

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নক্ষত্রচারী। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

২৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৯

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: নেশা ধরে যাচ্ছে! :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা , কি যে বলেন! এগুলো তো হালকা মেজাজে লেখা রম্য :) আপনাদের ভাল লাগে বলেই তো লেখার সাহস করতে পারি।

ভাল থাকুন, সামনের দিনগুলো আনন্দের কাটুক। শুভেচ্ছা রইল।

২৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সচলের চরম উদাসে "এসো নিজে করি" সিরিজের পর আপনার এই সিরিজটা এত আয়োজন এন্ড মজা করে পড়লাম!

সিরিজ চলুক ...............।

সাথে আছি

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওয়াও! সত্যি বলছি খুব খুব ভাল লাগল আপনার কমেন্টটি পড়ে। কেউ একজন এত আনন্দ সহকারে আমার লেখা পড়ছে এটা ভাবাটা আমার জন্য বেশ আনন্দের।

অনেক ভাল থাকুন প্রিয় মাসুম ভাই, শুভকামনা রইল।

৩০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

অনিক্স বলেছেন: hese goragori jawar sothik emoticon ta ki hobe likhte parsi na :( ym er ta dilam =))

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা, কোন সমস্যা নেই। আপনার হাসিতে হাসিতে গড়াগড়ির ইমোটিকন না দিতে পারার কষ্টটা অনুভব করতে পারলাম। সেই সাথে কল্পনা করে নিলাম, আপনি গড়াগড়ি করে হাসতে আছেন, হা হা হা।

আপনার জন্য অনেক শুভকামনা। ভাল থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.