![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন যা মাথায় আসে লিখে ফেলি।
আগের যুগের ‘নারী’ আর বর্তমান সময়ের নারীর মধ্য ফারাকটা বিস্তর।
আগের যুগের নারীরা সংসারী, সন্তান পালনে অধীক দ্বয়িত্বশীল, স্বামী সংসারের উন্নতির জন্য ছিলেন এক দৃষ্টান্ত। তাদের মন মানসিকতা ছিল অনেক উন্নত…সংসারের উন্নতির জন্য তারা অনেক কিছু ত্যগ করেছেন শুধু মাত্র স্বামী এবং সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে। তারা ছিলেন সন্ঞ্চয়ী-মিতব্যয়ী এবং সংসারে কারো রোগে শোকে সমব্যথী। আর স্বামীর প্রতি ছিল তাদের অগাধ বিশ্বাস যা বর্তমান নারীদেরে মধ্য খুব কমই দেখা যায়। আমার দৃষ্টিতে সহধর্মিনী শব্দখানা শুধুমাত্র এদের জন্যই প্রযোজ্য…
একটা উদাহরন দেয়া যাক।
১৯৯৬ তে আমার বাবা আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা বিল্ডিং নির্মাণ করেন যার সর্বসাকূল্য খরচ হয়েছিল ২৭ লাখ টাকা। এরপর একমাত্র বোনের বিবাহ এবং মা কে হজব্রত পালন করায়ে আমার বাবার অর্থনৈতিক অবস্হা কিছুটা নাজুক হয়েছিল। তখন আমার মা তার বাবার থেকে এক বছরের জন্য তিন লাখ টাকা হাওলাত করে বাবাকে দিয়েছিলেন। বাবা ব্যবসা করে বছর ঘুরার আগেই নানাকে টাকা তিনলাখ ফেরৎ দিয়েছিলেন। আরেকটি ঘটনা বলছি…
আমার মায়ের বেশ কিছু স্বর্ণের গহনা ছিল। বাবা একটি জমি কিনতে ইচ্ছুক ছিলেন বাহান্ন শতক জমি যার দাম ছিল দেড় লাখ টাকার মত।বাবার কাছে টাকা ছিল একলাখ ত্রিশ হাজারের মত। বাকী কম ছিল বিশ হাজার টাকা এবং রেজিষ্ট্রি খরচ। তখন আমার মা তার একটি গহনা বাবাকে দিয়েছিলেন যা বিক্রী করে জমিটা কেনার জন্য…
বাবা অবশ্য গহনা নিতে চাননি কিন্তু মায়ের পীড়া-পিড়ীতে গহনাটা বিক্রী করে জমিটা কিনেন। এবারও বছর ঘোরার আগেই মাকে গড়ে দিয়েছিলেন সম পরিমান স্বর্ণের গহনা।
কয়েকজন দম্পত্তির কিছু খোঁজ খবর নিয়ে বুঝলাম বর্তমান যুগে নারীরা স্যটেলাইটের কল্যাণে তাদের স্বামীকে আর আগের যুগের নারীদের মত অগাধ বিশ্বাস করেনা…সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে।
এরা জৌবিক চাহিদা পুরণ হলে নাক ডেকে ঘুমায়। ফর্মালিটির মত সংসারে দ্বায়িত্ব পালন করে। সন্তান সন্তদি প্রতিপালন করে তবে তাতে মমতার অভাববোধ আছে। এরা সকালে বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে অন্যান্য বাচ্চার মায়ের সাথে খোস গল্পে মশগুল থাকে। বাজারে কোন কোন ব্রান্ডের প্রসাধনী এসেছে…কোন দোকানে নতুন মডেলের শাড়ী থ্রিপিচ এসেছে কোন চ্যনেলে কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে এইসব বিষয়ে আলোচনা….কখনোবা স্বামীর থেকে কিভাবে টাকা খসানো যায় তার আলোচনা…কিভাবে স্বামীকে টাইট দিতে হয় সেইসব বুদ্ধি বাৎলানো।
বিকেল হলে স্বামী যখন কর্মস্হলে স্ত্রী তখন তার বান্ধবী নিয়ে কোন ক্যফেতে বসে গল্পে মশগুল অথবা কোন মার্কেটের ফ্লোরে ঘোরাফেরা করে কোন দোকানে কি কি কালেকশন এসেছে তা নিজ চোখে পরখ করে দেখতে ব্যস্ত….আর তার আদরের সন্তানটিকে রেখে এসেছে বুড়ি শ্বাশুড়ীর কাছে….
এরা স্বামীকে একটু পরামর্শতো দিবেইনা উল্টো কিভাবে বিভিন্ন দোহাই দিয়ে পয়সা নেয়ার ধান্ধা!!..
স্বামী যখন অসুস্হ হয়ে বিছানায় শুয়ে কাৎরাতে থাকে স্ত্রী তখন মননিবেশ করে ষ্টার জলসা, ষ্টার প্লাস,জি বাংলা,সনি আটের প্রোগ্রাম দেখায় ব্যস্ত!!.. স্বামী বেচারার জীবন শুধু গাধার মত খেটে পয়সা কামানো আর ঘরে ফিরে রুটিন মাফিক খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়া….অতঃপর সকাল হলে কর্মস্হলে যোগদান করা।
এই হচ্ছে বর্তমান সমাজের নর-নারীর দাম্পত্য জীবনের প্রতিদিনের ঘটনা….
বর্তমান সমাজের নারীদের অবস্হা দেখে এদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয়না…
এদের দাম্পত্যময় জীবনটা যেন খুব সিম্পল…নেই একে অপরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা…নেই কোন সমব্যথী হওয়ার মত মন। শুধু ফর্মাল জীবন…..বিয়ের পর কিছুদিন আবেগটা খুব বেশি থাকে তার পর আর এইসব থাকেনা। এদের ক্ষেত্রে সহধর্মিণী শব্দখানা বেখাপ্পা!! চরম বেখাপ্পা লাগে...এদের বলা যেতে পারে সজ্জাসঙ্গী+কাজেরবুয়া!!..বড়জোর ‘ত্রী’ পর্যন্ত বলা যেতে পারে…তবে সহধর্মিণী শব্দখানা এদের জন্য কোনভাবেই প্রযোজ্য নয়…অন্তত আমার দৃষ্টিতে….
এই লেখাটি পড়ে আবার আমায় নারী বিদ্বেষী ভাববেননা….আমি নারীকে সন্মান দিয়ে চলি।
আর এর পরও যদি কেও আমায় নারী বিদ্বেষী ভেবেই বসেন তাহলে করার কিছু নেই….হলামই না হয় কিছু লোকের দৃষ্ট্রিতে নারী বিদ্বেষী….কিন্তু আমি নারীবাদী সুশিল নই যারা নারীদের ভোগ্যপণ্য বানানোর কারিগর….
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হঠাৎ কি ব্যাপার ভাই ? নারীর পিছনে লাগলেন ? বউ বাচ্চা থাকলে হয়তো বুঝতে পারতাম আপনার উপলব্ধি তারপরেও সব পরিবারে পারিবারিক ভালবাসা এখনো শেষ হয়ে যায়নি । অনেক পরিবার আছে যারা হয়তো আমাদের সংস্কৃতিকে মেনে চলেন। আর একটা ব্যাপার প্রযুক্তির উন্নয়নকেও দেখতে হবে । প্রযুক্তির উন্নয়ন মানে সভ্যতার উন্নয়ন আর সভ্যতার উন্নয়ন মানুষের কর্মব্যস্ততা বৃদ্ধি পায় সেখানে নারীরা আগে ঘরে বাইরের যেতেন না এখন যান বা যেতে হয় । আর টিভির কথা বললেন-আগে তো এত টিভি চ্যানেলও ছিল না আর এত অনুষ্ঠানও ছিল না ! তাই হয়তো স্বামী ও স্ত্রীর ভালবাসাই ছিল একমাত্র বিনোদোন