নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

::::::::::::অতি সাধারন একজন...

আমি মনে প্রাণে একজন মুসলিম। ঘৃণা করি ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকদের এবং ধর্ম ব্যবসায়ী ছাগু তথা উগ্রবাদীদের। ক্যঁচাল পছন্দ করিনা ।।

যুবায়ের

যখন যা মাথায় আসে লিখে ফেলি।

যুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৌষ মেলা কিংবা পৌষের গ্রামীন উৎসব…..গ্রামীন বাঙালীদের এক আদি সংস্কৃতি।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯





বাঙালী জাতী বরই উৎসবপ্রিয় একটা জাতী….

নানা উৎসবের রঙে রাঙিয়ে নেয় তাদের আপন ভূবন। কিছুদিন আগেই চলে গেল অগ্রাহয়ন মাস।

নবান্নের নতুন ধান উঠেছে প্রতিটা কৃষকের গোলায়। এখন চলছে পৌষ মাস….

পৌষের হাড়কাপানো এই শীতে বাড়িতে পিঠা পুলির উৎসবতো চলছেই এরমধ্য যুক্ত হয়েছে গ্রামে-গন্ঞ্জে

তাফসিরুল কুরআন মাহফিল আর হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫৮ থেকে ৬৩ প্রহরব্যপী কির্তন।



তাফসির মাহফিল এবং কির্তন যেটাই হোক সাথে থাকছে ছোট-খাটো একটি মেলা।



কদমা (চিনির তৈরী)



এই মেলাটাই কিন্তু বাঙালীর প্রাণের অদম্য ইচ্ছার প্রতিফলন।

শিশুরা বাবা-কাকা অথবা মামার হাত ধরে মেলায় আসছে কিনছে বাদাম, চানাচুর সহ ডিমের পাপড়ের মত খাদ্যদ্রব্য

আর বাড়ি ফেরার পথে কিনে নিয়ে যাচ্ছে চিনির তৈরী বাতাসা, সাঝ, খুরমা, গজা, খই সহ কদমার মতো

খাবার যা তারা মুড়ির সাথে মিশিয়ে সকালের নাস্তা হিসেবে খায়। এটিই কিন্তু আমাদের গ্রামীন ঐতিহ্য।



বাতাসা (চিনির তৈরী)



এইসব মেলায় আরেকটি জিনিস অবশ্যই থাকে আর তাহলো রঙিন বেলুন।

শিশুরা বেলুন হাতে হাসিমাখা মুখে বাড়ি ফেরে বাবা-কাকা অথবা মামার হাত ধরে আর তাদের আনন্দে আন্দোলিত হয় বাবা, মা, চাচা, চাচীর এবং নানা, নানী, মামা, মামী সহ খালার মুখ।

এমন দৃশ্য আসলেই বাংলার প্রতিটা গ্রামীন বাঙালীর বাড়িতে আসে যা পৌষ মাস এলে….





কাচা মিষ্টি (রসবিহীন মিঠাই)





সাজ (চিনির তৈরী মিঠাই)





খই মিঠাই (চিনির তৈরী)





গজা/কানমুচরী (গুড়ের তৈরী মিঠাই)





খুরমা



প্রতিটা সকালে স্নিগ্ধ রোদে বসে পিঠা পূলি খেয়ে অলস সময়টা কাটায়…

বাড়ির গৃহিণীদের মহা উৎসাহে বিভিন্ন রান্নাবান্নার ধুম পড়ে যায়।

নব বিবাহীত দম্পতিরা এসময় খেজুর গুড়ের রসে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে

শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন। শ্যলিকারা দুষ্টুমি করে কুসুলি পিঠার মধ্য কাচা মরিচ দিয়ে তৈরী করা পিঠা দুলাভাইকে দিয়ে ঠকানোর কসরত করে।

দুলাভাই যদি টের না পেয়ে ঝাল পিঠা দু-একটি খেয়ে পানির জন্য হা-হুতাস করে তখন শালা, শ্যলিকাগন হেসে কুটি কুটি হয়।



পৌষের পিঠা (শীতের পিঠা) ছবিটি গুগল থেকে ধার করা।





পৌষ মেলা (পুশুরা)

পৌষ মাস এলে আজো গ্রামে গন্ঞ্জে ষাঢ়ের লড়াই অনেক জমকালোভাবে

পালিত হয়ে আসছে। তাছাড়া অনেকস্হানে মোরগ লড়াই প্রচলিত আছে।

ষাঢ়ের লড়াইয়ে একটি খোলা মাঠে গ্রামবাসি একত্রিত হয়। মাঠের চারপাশে

নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে লোকজন দাড়িয়ে থাকেন ষাঢ়ের লড়াই উপভোগ করতে। একসময় মাইকে ধ্বনিত হয় অমুকের ষাঢ়ের সাথে অমুকের ষাঢ়ের লড়াই হবে এখন….মুর্হুমুহু করতালিতে চারদিক প্রকম্পিত হতে থাকে।

এসময় ষাঢ়ের মালিকপক্ষের লোক ষাঢ়ের শিংয়ে লাল কাপড় বেধে দেয়।

ষাঢ় লাল কাপড় দেখে রাগে ফোঁসফোস করতে করতে অপর ষাঢ়ের উপর খিপ্তভাবে ঝাপিয়ে পড়ে।অবশেষে বিজয়ী ষাঢ়ের মালিক নিজেকে গর্বিত মনে করেন এবং অনেক সময় খুশি হয়ে আস্ত একটি গরু জবাই করে পুরো গ্রামেবাসীকে দাওয়াত করে খাওয়ান।





শুধু মিষ্টিজাতীয় খাবারের ছবি দেখে যারা হতাশ তাদের জন্য এইসব আচার...



এমন উৎসব বুঝি বাঙালী জাতীরই আছে যা আমাদের গ্রাম-বাংলার

একটি পুরাতন সংস্কৃতি হিসেবে আজো বেঁচে আছে। এরকম উৎসব দেখে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে হয়…..

একজন বাঙালী হওয়ার গর্ব……একজন বাংলাদেশী হওয়ার গর্ব…



উৎসর্গ-ব্লগার আরজুপনি

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০০

যুবায়ের বলেছেন: নেট স্পিড স্লো!!...
ছবি আপলোড চলছে...

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩০

যুবায়ের বলেছেন: ফটো আপলোড কমপ্লিট.....
নেটের স্পিডের জন্য আরো দুইটি ছবি বাদ দিলাম।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ মজার পোস্ট
খাবার এর গন্ধ মুখ রোচক সংবাদ
দেখে এল জীবে জল
শীতের উৎসব খেতে লাগে স্বাদ

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

যুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু।
শীতের দিনে পিঠা ছাড়া কি আর বাঙালীর উৎসব জমে??...
জীবে জল আসবেই এমন ফুডুক দেক্লে :P

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৪

শায়মা বলেছেন: মজার পিঠাপুলি!!!


পিঠামেলায় যেতে হবে!:)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

যুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা আপু।
পিঠা মেলায় চলে আসুন।
নিমন্ত্রণ রইলো...

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: ভাই, মেলা কি এখন চলতেসে? দাওয়াত দিলেন না :(

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫১

যুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ তামিম ইবনে আমান।

জ্বি ভাই মেলা এখনো চলছে কিছু কিছু স্হানে....
দেখতে চাইলে চলে আসেন ভাই।

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৫

আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট!!...
এইসব গ্রাম বাংলার সাজ,গজা,বাতাসার ছবি পেলেন কিভাবে....
এসবতো দেখিনা অনেক বছর ধরে।

চমৎকার লিখেছেন বিশেষ করে গ্রামীন ঐতিহ্য নিয়ে....
প্লাস++

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৩

যুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ আমড়া কাঠের ঢেকি ভাই।

আসলে আমিও অনেকদিন ধরে গ্রামে যাইনা....কিছুদিন আগে একটি কাজে গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম....ফেরার পথেই দেখি মেলা বসেছে...সাথে সাথে সিএনজি থেকে নেমে মেলা প্রঙনে গেলাম....মোবাইল দিয়ে ছবিগুলি তুললাম আর ফেরার সময় এইসব মিষ্টিজাতীয় খাবার কিনলাম কেজি তিনেক বাসার জন্য।
অনেক ভালোলাগলো মেলা প্রাঙনে সময় কাটিয়ে।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১১

যুবায়ের বলেছেন: ঘুম পাচ্ছে খুব....
উঠছি আজকের মত...
আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ...

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

যুবায়ের বলেছেন: মাশাল্লাহ.....
এই লেখাটিও র্নিবাচিত পাতায়!!...
১৮ তম নির্বাচিত লেখা।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: আমাদের গ্রামীন ঐতিহ্য নিয়ে দারুণ পোস্ট । পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে ।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই মেলাগুলো আমার ভীষণ প্রিয়, প্রতি বছর আমি এই মেলাগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকি।

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। গুড পোস্ট।

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০

সোজা কথা বলেছেন: সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকি "সংক্রান্তি"র জন্য।আহা ! কি সাংঘাতিক মজার পিঠাপুলির আয়োজন।আপনার লেখা সেদিনটার কথাই মনে করিয়ে দিল।

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৮

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট ভালো লাগলো :)

১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

আরজু পনি বলেছেন:

ব্যস্ততায় ইদানিং মেলায় একটু কমই যাওয়া হচ্ছে... পোস্ট দেখে নস্টালজিক হয়ে গেলাম ।


শিল্পকলা একাডেমি থেকে তোলা পৌষ মেলার পিঠা উৎসবের কিছু ছবি

উৎসর্গে নিজের নাম দেখে লজ্জাই পেয়ে গেলাম :#>

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.