![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ার এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্বতঃস্ফূর্ত একজন কর্মী । আামি বর্তমানে থাকি চট্টগ্রামে । পড়ি চট্টগ্রাম কলেজে ।
আমার কুড়িগ্রাম ।
আমার জেলা কুড়িগ্রাম ।
বাংলাদেশের উত্তরাষ্ণলে অবস্থিত ও ভারতের সাথে তিনটি রাজ্যের সীমান্তঘেষা এই কুড়িগ্রাম জেলাকে ভাওয়াইয়া গানের জেলা বলা হয় । বলা যায় ভাওয়াইয়া গানের জেলা হিসাবেই পরিচিত এই কুড়িগ্রাম জেলা ।
আগে কুড়িগ্রাম জেলাকে মঙ্গার জেলা বলা হলেও এখন সেই নাম ঘুচতে চলেছে । সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নেয়া উন্নয়নমূখী কর্মকান্ড হাতে নেওয়ায় সম্ভব হচ্ছে এই অশালিন নাম মুছতে । এ জেলার মানুষের জীবনযাপন খুবই সাদামাটা । দেশি বিদেশি শাষকের নিষ্ঠুর সিদ্ধান্তে এক সময় এ জেলার জনপদ সর্বশান্ত হতে যাচ্ছিল । কিন্তু না । কোন কিছুই দমাতে পারেনি উন্নয়নের ধারা । কুড়িগ্রামবাসি অক্লান্ত পরিশ্রম ও পাহাড় সমান মনোবল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে যুগের সাথে তালমিলিয়ে ।
এই জেলার উত্তরে অবস্থিত নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ি ও লালমনিরহাট উপজেলা ছিল কুচবিহার, এবং দক্ষিন অষ্ণলের উলিপুর, চিলমারী ও রৌমারী ছিল উয়ারীরাজ্যভূক্ত । বৃটিশ সরকার ২২ এপ্রিল ১৮৭৫সালে লালমনিরহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ি ও কুড়িগ্রাম সদর থানা নিয়ে গঠিত করে কুড়িগ্রাম মহকুমা।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যঃ কুড়িগ্রামের সংস্কৃতি বড় অংশ ধরে আছে প্রচলিত মেলা । বিভিন্ন মেলার মধ্যে অন্যতমঃ সিন্দুরমতির মেলা, মাদাইখালের মেলা, মাসানকুড়ার মেলা, গাজীর মেলা, দশহরার মেলা, চেংরার মেলা, সিদ্ধেশ্বরীর মেলা, কালীর মেলা, শিবের মেলা, ডাহার মেলা সহ আরও কত মেলা উদযাপন হয় এই জেলায় তার হিসেব নাই। এ জেলার নাট্যমন্দিরঃ কুড়িগ্রাম ন্যাশনাল থিয়েটার হল বীনাপানি নাট্যমন্দির, উলিপুর নাট্যমন্দির, ভিতরবন্দ নাট্যমন্দির, পাঙ্গা নাট্যমন্দির , এসবের নাম যশ অনেক। এরপরবর্তীকালে শিল্পকলা হল , পৌরসভা টাউন হল , প্রতীক নাগেশ্বরী – এগুলোও এখন কম যায়না । ২৩শে জানুয়ারী ১৯৮৪সালে কুড়িগ্রাম মহকুমা থেকে জেলায় উন্নিত করা হয় ।
জেলার আয়তনঃ ২২৫৫বর্গ কিলোমিটার ।
জনসংখ্যাঃ ১৬দশমিক ৫৭ (পুরুষঃ ৮দশমিক ৫০, মহিলাঃ ৮দশমিক ০৭)।
শিক্ষার হারঃ ৫৮% ।
উপজেলার সংখ্যা ৯টি(কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর)
থানার সংখ্যাঃ ১১টি ।
ইউনিয়নের সংখ্যাঃ ৭২টি
মৌজার সংখ্যাঃ ৬৩০১।
গ্রামের সংখ্যাঃ ১৫০৫ ।
মসজিদের সংখ্যাঃ ৪৩৩৪টি ।
বিলের সংখ্যাঃ ৩৫টি ।
ব্যাংকের সংখ্যাঃ ৮টি ।
টেলিফোন এক্সচেন্জঃ ৯টি ।
ডাকঘরঃ ৯৫টি ।
মহাবিদ্যালয়ঃ ২৪০টি ।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৫৬৩টি ।
বেসরকারি রেজিঃপ্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৫৪৫টি ।
মাদ্রাসাঃ ২০৭টি ।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১টি ।
সরকারী হাসপাতালঃ ১টি ।
বেসরকারী হাসপাতালঃ ২টি ।
চক্ষু হাসপাতালঃ ১টি ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্প্লেক্সঃ ৮টি ।
ইপিআই কাভারেজঃ ১০০% ।
স্যানিটেশন কাভারেজ ৯৬% ।
জুটমিলঃ ১টা(বর্তমানে বন্ধ) ।
অভ্যন্তরিন সড়কঃ
পাকাঃ ২৬০কিঃমিঃ
কাঁচাঃ ৪৫৩২ কিঃমিঃ।
HBB: ৬২ কিঃমিঃ ।
রেলপথঃ ৬৪ কিঃমিঃ ।
কুড়িগ্রাম থেকে প্রকাশিত পত্রিকার সংখ্যাঃ ১৭টি
দৈনিকঃ ৫টি(দৈনিক আজকের কুড়িগ্রাম, দৈনিক কুড়িগ্রাম খবর, দৈনিক চাওয়া পাওয়া, দৈনিক জাগো বাহে, দৈনিক বাংলার মানুষ)।
সাপ্তাহিক পত্রিকাঃ ১১টি(সাপ্তাহিক ধরলা, সাপ্তাহিক জুলফিকার, সাপ্তাহিক কুড়িগ্রাম বার্তা, সাপ্তাহিক গনকথা, সাপ্তাহিক কুড়িগ্রাম সংবাদ, সাপ্তাহিক তথ্যকথা, সাপ্তাহিক দুধকুমড়, সাপ্তাহিক কলমজমিন, সাপ্তাহিক বাহের দেশ, সাপ্তাহিক জনপ্রাণ)
পাক্ষিক পত্রিকাঃ ১টি (পাক্ষিক দ্বীপদেশ)
মাসিক পত্রিকাঃ ১টি (মাসিক বিভাস) ।
এইজেলার উপর দিয়ে ১৫টি নদ নদী বহমান । এর মধ্যে তিস্তা, ধরলা, ধরণী, দুধকুমার, ফুলকুমার, নীলকমল, গঙ্গাধর, শিয়ালদহ, বোয়ালমারী, হলহলিয়া, সোনাভরি, জিন্জিরাম, জালছড়া অন্যতম ।
এই জনপদের খেলাঃ হাডুডু, ছি-সাত্তা, চেঙ্গুপেন্টি, ডাংগুলি, গোল্লাছুট, কানামাছি, ছাগলদাড়ি, আটকোটা, ইডুনগাইন, গুড্ডি(ঘুড়ি) উড়ানো, নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, ইচিংবিচিং সহ আরো নাম না জানা খেলা প্রচলিত আছে এই জেলায়। এছাড়া ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, হ্যান্ডবল খেলাসহ সাতার প্রতিযোগিতা নিয়মিত ভাবে আয়োজন করা হয় ।
এই জেলায় জন্মগ্রহন করেন বীরপ্রতীক তারামন বিবি । বাংলাদেশের বীরপ্রতীক খেতাব প্রাপ্ত দুইজন নারী মুক্তিযোদ্ধার মধ্য একজন হলেন তারামন বিবি । ১৯৭১ এ তিনি সাহসীকতার সাথে ১১ নম্বর সেক্টরে কাজ করেন ।
বিশিষ্ট উপন্যাসিক গল্পকার নাট্যকার প্রবন্ধকার অনুবাদক গীতিকার সৈয়দ শামসুল হক ২৭শে ডিসেম্বর ১৯৩৫সালে এই জেলায় জন্মগ্রহন করেন ।
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
ভিটামিন সি বলেছেন: না কুড়িগ্রাম রংপুরের বাইরে না। কিন্তু রংপুর কুড়িগ্রামের ভিতরে না। আপনার লেখায় ভাওয়াইয়াকে কুড়িগ্রামের বলে প্রচার করেছেন। কোথাও রংপুরের নাম গন্ধও নেন নাই। আামার জেলা ময়মনসিংহ, বিভাগ ঢাকা। তাহলে কি আমি বলবো ময়মনসিংহের বাকরখানি বাংলাদেশের বিখ্যাত বা আমি কি বলব ময়মনসিংহ বাংলাদেশের রাজধানী? ময়মনসিংহ তো ঢাকা অঞ্চলের ভিতরে অবস্থিত। কি বলেন বলা যাবে? আপনাদের রৌমারী, রাজিবপুর উপজলো কোথায় আর রংপুর কোথায় ম্যাপে দেখেছেন?
০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
বলেছেন:
হাসালেন ভাই ।
আমি কিন্তু বলি নি যে রংপুর কুড়িগ্রামের ভেতরে ।
রংপুর হচ্ছে একটা অঞ্চল আর কুড়িগ্রাম হচ্ছে তার জেলা ।
আপনাকে জেলা আর অঞ্চলেরর পার্থক্য বুঝত হবে..
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ভিটামিন সি বলেছেন: বোঝতে পারছি আপনার দৌড়!!!! কতটুকু!!!!
৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আগামীর জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
ভিটামিন সি বলেছেন: দাদা ভাওয়াইয়া গান কুড়িগ্রামের না অংপুরের?? কুড়িগ্রাম উন্নতি করছে জেনে পুলকিত হলাম। আপনারাও স্ব-উদ্যোগে নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা কাজে লাগিয়ে প্রতিটি কর্মক্ষম মানুষকে উৎপাদনশীল (অর্থনৈতিক উৎপাদন, জনসংখ্যা উৎপাদন নয়) করে তুলুন। কুড়িগ্রাম এগিয়ে যাবে, দেশ এগিয়ে যাবে।