![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাকাত ইসলামের অন্যতম একটি ফরয বিধান। কেউয যদি যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সে কাফের হিসাবে গন্য হবে। আর যদি কেউ ঠিক মত আদায় না করে তবে সে ফাসিক যার জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তির বিধান।
.
যাকাতকে যদি কেউ ভিক্ষার দান মনে করে তবে ভুল হবে বরং এটা ধনীদের কাছে গরীবের প্রাপ্য অধিকার।
এজন্য যার নিসাব পরিমান সম্পদ ৭.৫ ভরি স্বর্ন ৫২.৫ ভরি রূপা বা সমমূল্যের নিত্য প্রয়োজনোরিক্ত সম্পদের মালিক এবং তা একবছরের অতিক্রান্ত হলে যাকাত ফরয হবে। একজন নামাযী ব্যক্তি যেমন ওয়াক্ত হলে মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করে তেমনি যাকাত ফরয হলে গরীবের দোর গোড়ায় তা পৌছে দিতে হবে। গরীব তার পাওনা আদায়ে ধনীর নিকট আসবে না। যদি ধনী যথার্থ ভাবে তার দায়িত্ব সম্পাদন করে তার এজন্য রয়েছে পুরস্কার আর যদি অবহেলা করে তবে রয়েছে যন্ত্রনা দায়ক শাস্তি।
.
শুক্রবার আর ঈদের দিন আতর সুরমা লাগিয়ে জায়নামায নিয়ে নামাযী হওয়ার মতো যাকাতকে ও আমরা নির্বাচনী আর নিজের প্রতিপত্তি প্রচারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করছি। আমাদের দায়িত্ব ছিল যাকাতের টাকা পৌছে দেয়ার আর সেখা নে আমাদের বাড়িতে নিজের প্রাপ্য আদায়ে এসে পদতলে পিষ্ট হয়ে প্রান হারাচ্ছে পাওনাদার। এর কি জবাব দিবো আল্লাহর কাছে। পুজিবাদী অর্থ ব্যবস্হা ভেঙে গতিশীল অর্থনীতি করার লক্ষ্যে এবং সম্পদের সুষম বন্টনের জন্য আল্লাহ তায়ালা যে যাকাত ব্যবস্হা ফরয করেছেন আমরা তার উল্টা ব্যবহার করে মনে করছি আমাদের দায়িত্ব শেষ। আফসোস !
অপেক্ষা করো সেই দিনের জন্য যেদিন আল্লাহ সূক্ষ হিসাব গ্রহন করবেন....
©somewhere in net ltd.