নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মৌলবাদী মুসলিম।

জাহিদ নীল

রক্তে আমার সাগর দোলার ছন্দ চাইঅশুভর সাথে আপোষহীন আমি দ্বন্দ চাই

জাহিদ নীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেসওয়াক করার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

 রাসূলুল্লাহ বলেন, যদি আমি আমার উম্মতের উপরে ভার মনে না করতাম তাহলে প্রত্যেক অযুর সাথে তাদেরকে আমি মেসওয়াক করার হুকুম দিতাম।
[মালেক, আহমাদ, নাসায়ী, তা’লীকে বোখারী, বুলুগুল মারাম- পৃষ্?া ৪]

 রাসূলুল্লাহ বলেন, পবিত্রতা হল ৪ রকম- (১) গোফ ছাটা (২) নাভীর নীচের চুল কামানো (৩) নখ কাটা (৪) মেসওয়াক করা [মুসনাদে বাযযার, তাবারানী]।
তোমাদের কেউ যখন রাতে নামাযে দাঁড়াবে তখন সে যেন মেসওয়াক করে। কারণ, যখন সে নামাযে দাঁড়ায় তখন এক ফেরেস্তা এসে তার মুখে মুখ †রখে †দয়। অতঃপর তার মুখ দিয়ে যডা কিচু †বর হয় তা ঐ ফেরেস্তার মুখে পড়ে যায় [আবু নোআইম, তালখীসুল হাবীর, ২৪ পৃঃ]। তিনি বলেন, অযু অর্ধেক ঈমান এবং মেসওয়াক অর্ধেক অযু [ইবনে আবী শায়বা, কানায, ৯ম খন্ড, ১৭৫ পৃঃ]

 রাসূলুল্লাহ বলেন, যেই নামাযের পূর্বে মেসওয়াক করা হয় তার সাওয়াব ঐ নামাযের †চয়ে ৭০ গুন †বশী- †যই নামাযের পূর্বে †মসওয়াক করা হয় না [বায়হাকী]। নবীজি আরো বলেন- আমার কাছে জিব্রাইল যখনই এসেছেন তখনই তিনি আমাকে মেসওয়াক করার হুকুম দিয়েছেন, ফলে আমি ভয় পেলাম যে, আমি আমার মুখের সামনের দিকটা ছিলে না ফেলি [মুসনাদে আহমাদ, †মশকাত পৃঃ ৪৫]।

রাসূলুল্লাহ বলেন, তোমাদের উচিত মেসওয়াক করা। কারণ ইহা মুখ পবিত্রকারী, রবের সন্তুষ্টি বিধানকারী, ফেরেস্তার দের আনন্দদানকারী, নেকী বাড়ায় এবং ইহা সুন্ততের মধ্যে গণ্য। ইহা দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়, পিত্ত সরায়, মাড়ী শক্ত করে, কফ্ দূর করে, মুখ সুগন্ধ করে এবং পাকস্থলী সুস্থ রাখে [কামেল ইবনে আদী ও বায়হাকীর †শাআবুল ঈমান]।

তাই রাসূলুল্লাহ মেসওয়াক না করে ঘুমাতেন না [ইবনে আসাকের]। এবং ঘুমাবার সময়ও মাথার গোড়ায় দাঁতন রাখতেন। অতঃপর জেগে উ?লে দাঁতন করতেম [আহমাদ, হাকেম]। তিনি রাত ও দিনে যখনই ঘুম †থকে জাগতেন তখনই মেসওয়াক করতেন [আবু দাউদ, ইবনে আবী শায়বা, কানয, ৭ম খন্ড ৬৯ পৃষ্?া, তালখীসুল হাবীর, ২৩ পৃঃ]। যখন তিনি বাড়ীতে ঢুকতেন তখন দাঁতন শুরু করতেন [ইবনে হিব্বান, তালখীস, ২৫ পৃঃ]

একদা হযরত আয়েশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ কে জিজ্ঞেস করেন, যার দাঁত নেই সেও কি মেসওয়াক করবে? তিনি বললেন, হাঁ। তাহলে সে কিভাবে করবে? তিনি বললেন, সে তার আঙ্গুল নিজ মুখে ভলে দেবে-অর্থাৎ আঙ্গুল দিয়ে মাড়ীতে ঘষবে (তাবারানী আওসাত)। হাদীসটি যয়ীফ।

 হযরত উসমান (রাঃ) যখন অযু করতেন তখন আঙ্গুল দিয়ে দাঁতন করতেন [আবু ওবায়েদের কিতাবুত্তুহুর,তালখীসুল হাবীর,২৫পৃঃ


মেসওয়াককি দিয়ে এবং কিভাবে

 মেসওয়াক ৩ রকম গাছের দ্বারা করবে- আরাক বা পিলু, তা না হলে আনাম বা যায়তুন কিংবা বুতম বা নিম জাতীয় গাছ [আবু নোআইমের কিতাবুস সওয়াক]। উত্তম দাঁতন হল যায়তুনের যা বরকতময় গাছের মধ্যে গন্য। ইহা মুখকে সুগন্ধ করে ও পিত্ত দূর করে। ইহা আমার মেসওয়াক এবং আমার আগের নবীদের মেসওয়াক [তাবরনী আওসাত]। ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহর দাঁতনের জন্য আরাক ডাল খুঁজে আনতাম [†মাসনাদে আবু ইয়ালা তালখীসুল হাবীর, ২৬ পৃঃ ও কানয, ৯ম খন্ড, ১৯৪ পৃঃ]।

 নবীজি রয়হান ফুলগাছের ডাল দ্বারা মেসওয়াক করতে নিষেধ করেছেন। এটা কুষ্?রোগের কারণ হতে পারে [তালখীস, ২৬ পৃঃ]। কোনো মেসওয়াক যদি না পাওয়া যায় তাহলে মেসওয়াকের জায়গায় আঙ্গুলই ঘষতে হবে [কিতাবুস সওয়াক আবী নোআইম, কানয, ৯ম খন্ড, ১৮৮ পৃঃ]।

 হানাফী ফকীহরা বলেন, দাঁতনটা †যন কড়ে আঙ্গুলের মত †মাটা হয় এবং লম্বা এক বিঘত হয় [শামী, ১ম খন্ড, ১০৬ পৃঃ]

 রাসূলুল্লাহর অযুর পানি দিয়ে (ভিজিয়ে) দাঁতন করতেন [মুসনাদে আবুইয়ালা, কানয,৭ম খন্ড, ২৫ পৃঃ]। তারপর তিনি আড়াআড়ি দাঁত ঘষতেন, খাড়াখাড়ি নয়, কিন্তু জিবটা খাড়াখাড়ি ঘষতেন [আবু নোআইম আহমাদ, তালখীস, ২৩ পৃঃ]। তারপর তিনি †সটাকে ধুয়ে কানে কলম রাখার মত কানের ওপর রাখতেন [তাবারানী, তালখীস, ২৫ পৃঃ]

< সুতরাং আসুন আমরা রাসূলুল্লাহর এই গুরুত্ববহ ও মর্যাদাপূর্ন সুন্নাহ্টি আমল করার চেষ্টা করি >

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৩

মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ নীল, অনেক উপকারী পোষ্ট।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৫

হাবীব কাইউম বলেছেন: ভালো লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.