নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে ও শান্তির অন্বেষায় ...

জোবাইর

বিনয়ী মূর্খ অহংকারী বিদ্বান অপেক্ষা মহত্তর।

জোবাইর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পা হারানো এক অদম্য বাবা ও তার বিকলাঙ্গ সন্তানের পেছনের কাহিনী ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯



ওপরের ছবির পেছনের কাহিনী জানতে হলে ঐতিহাসিক ঘটনা 'আরব বসন্ত'-কে জানতে হবে। আজ থেকে ১১ বছর আগে আরব বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়া ঘটনাগুলো যারা জানে না বা ভুলে গেছেন তাদের সুবিধার্থে আরব বসন্তের ভূমিকা দিয়ে শুরু করলাম।

তিউনিসিয়ার ২৬ বছরের যুবক মোহাম্মদ বুআজিজি ছয় ভাইবোনের লেখাপড়া ও সংসারের হাল ধরতে ভ্যান গাড়ি করে ফল বিক্রি করতেন। একদিন রাস্তায় ফল বিক্রির কারণে এক পুলিশ তাকে হেনস্তা করেন। এমনকি তার গালে চড় মারেন, মুখে থু থু দেন। সেই পুলিশ তার ভ্যান গাড়িটিও ধাক্কা দিয়ে নর্দমায় ফেলে দেন। বুআজিজি সিটি অফিসে গিয়ে এই পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশ দেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকারের সময় চাইলে সেখানে তা নাকচ করে দেয়া হয়। এই অন্যায়-জুলুমের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে জীবনযুদ্ধে পরাজিত সৈনিক ফেরিওয়ালা মোহাম্মদ বুআজিজি সিটি অফিসের সামনে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহনন করেন। মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বাঁচার আর কোনো পথ খোলা ছিল না।

স্বেচ্ছায় জীবন বিসর্জন দিয়ে বুআজিজি তিউনিসিয়ার মন্দ অর্থনীতি, বেকারত্ব ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অতিষ্ঠ মানুষের কাছে যে নতুন বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন তা ছিল সংগ্রাম ও বিদ্রোহের বার্তা। তার মৃত্যুতে সারা তিউনিসিয়ায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, সেবা খাতের উন্নয়ন, বেকার সমস্যার সমাধান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, সরকার পরিবর্তন- এসব নিয়ে তিউনিসিয়ার নাগরিকদের অনেক দিনের ক্ষোভের শুকনো বারুদে যেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। তিউনিসিয়ার ২৩ বছরের স্বৈরাশাসক বেন আলীর পতন হয়, উন্মুক্ত হয় গণতান্ত্রিক নতুন সরকার গঠনের পথ। পতন হয় স্বৈরাচার, যিনি পশ্চিমা কয়েকটি দেশের সহায়তায় টিকে ছিলেন। তিউনিসিয়ায় শুরু হওয়া এই গণবিক্ষোভ আশেপাশের অনেক দেশে (মিশর, লিবিয়া, মরক্কো, সিরিয়া) ছড়িয়ে পড়েছিল এবং সেসব দেশের স্বৈরাশাসকদের মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। স্বৈরাশাসকদের বিরুদ্ধে এই জনবিদ্রোহ "আরব বসন্ত" নামে পরিচিত।



আরব বসন্তের ঢেউ দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে ইয়েমেন, সিরিয়া, লিবিয়া, মিসরসহ বিভিন্ন আরব দেশে। সিরিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয় ২০১১ সালের জানুয়ারিতে। ধীরে ধীরে তা গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের একগুঁয়েমিতে এ আন্দোলনই রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘাতে। রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্টেকে সমর্থন দেওয়ায় এবং বাশার আল-আসাদের বিরোধীরা বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত হওয়ায় সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী সংঘাত পরিনত হয় গৃহযুদ্ধে। এমনকি দেশটি হয়ে ওঠে দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী নানা পক্ষের রণক্ষেত্রে। সেই রণক্ষেত্রে ধ্বংশ ও নির্ম মৃত্যুর শিকার হলেন কয়েক লক্ষ নিরাপরাধ মানুষ, বাস্তচ্যুত হলেন আরো লক্ষ লক্ষ পরিবার।

সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধে নিহত হয়েছে আনুমানিক ছয় লাখ মানুষ। তাদের বড় অংশই বেসামরিক লোক। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হয়ে তুরস্ক, মিসর, ইরাক, জর্ডান, লেবাননসহ বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ৫৬ লাখ মানুষ। এর প্রায় ২৫ লাখই শিশু।

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার নাগরিক মুঞ্জির আল-নাজ্জাল। তিনি বোমা বিস্ফোরণে পা হারান। তারপর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তুরস্ক সীমান্তের একটি শরণার্থী ক্যাম্পে। লড়াই করছেন নিজের জীবনের সঙ্গে। তবে নিজের পা হারানো নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন মুঞ্জির। তার সব চিন্তা এখন পাঁচ বছরের ছেলে মুস্তাফার ভবিষ্যৎ নিয়ে। কারণ সিরিয়ায় যুদ্ধের সময় নির্গত স্নায়ু গ্যাসের কারণে জন্মগত রোগে হাত-পা ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছে মুস্তাফা।



উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির আঙিনায় এক পা ও ক্রাচের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছেন সিরীয় শরণার্থী মুনজির আল-নাজ্জাল (Munzir El Nezzel)। তিনি পাঁচ বছর বয়সী সন্তান মুস্তফাকে দুই হাতে আকাশে তুলে দোল খাওয়াচ্ছেন। তাঁর নেই এক পা। সন্তানের নেই দুই পা ও দুই হাত। কিন্তু তাতে কী! সব দুঃখ-বেদনাকে ভুলে হৃদয়নিংড়ানো ভালোবাসায় আত্মহারা বাবা ও সন্তান। এ যেন বাবা-ছেলের জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার প্রেরণা।

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুর্কি প্রদেশ হতেইয়ের রেহানলি এলাকা থেকে ‘হার্ডশিপ অব লাইফ’ (জীবনের দুর্ভোগ) নামের অন্তহীন যুদ্ধের (এনডলেস ওয়ার) ক্ষত বয়ে বেড়ানো বাবা-ছেলের হাসিমাখা ছবিটি তুলেছেন তুরস্কের আলোকচিত্রশিল্পী মেহমেত আসলান। ছবিটি ‘সিয়েনা ইন্টারন্যাশনাল ফটো অ্যাওয়ার্ডস (এসআইপিএ) ২০২১’ প্রতিযোগিতায় বছরের সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে। ছবিটি ইন্টানেটে ভাইরাল হলে মধ্যপ্রাচ্যসহ সারাবিশ্বে ছবিটি ব্যাপক আলোচিত হয়। জীবনে হার না মানা বাবা-সন্তানের ছবিটি দেখে অনেকেই কেঁদেছে।



আলোকচিত্রী মেহমেত ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, এই ছবির মাধ্যমে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। আমি তাদের জীবনযুদ্ধকে সবার সামনে তুলে ধরেছি। আশাকরি সবাই শরণার্থীদের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবে। সবাই শিশুটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। তিনি আরো বলেন, আমি সিরিয়া সীমান্তের কাছে দক্ষিণ তুরস্কে এই পরিবারের সঙ্গে দেখা করি। সেখানে একটি দোকানে তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন মুঞ্জির আল-নাজ্জাল। তারা আমার সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চান। তারা জানান, মুস্তাফার চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু, সেই চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল, যা তাদের জন্য বহন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া কৃত্রিম যন্ত্রও খুঁজে পাচ্ছি না। মুস্তাফার মা জয়নব বলেন, শুনেছি ছবিটি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করেছি মুস্তাফাকে আরও ভালো জীবন দেওয়ার। মানুষের সাহায্য পেতে চেষ্টা করেছি। কেই যদি আমাদের সহযোগিতা করে তাহলেই আমরা খুশি।

এই পুরষ্কারের অন্যতম বিচারক ফটোসাংবাদিক ব্রিটা জাচিনস্ক বলেন, আমি আমার জীবনে অনেক ছবি তুলেছি। অনেক দৃশ্য সামনে থেকে দেখেছি। কিন্তু এটি একটি ভিন্ন ছবি।এই ছবিটি আমাকে আলোড়িত করেছে। এখানে শুধু একটি পরিবার নয় যেন সব শরণার্থীদের কষ্টের ভয়াবহতা উঠে এসেছে বলেও জানান ব্রিটা জাচিনস্কব্রিটা জাচিনস্ক। এসআইপিএ ছবির জন্য ফটোগ্রাফারকে পুরস্কার ও কিছু মানবিক কথা বলেই দায়িত্ব শেষ করেনি। তারা এই পরিবারটিকে কিভাবে সাহায্য করা যায় তা ইতালির ক্রিস্টান মিশনারিজের সাথে যোগাযোগ করলেন। সিয়েনা ইন্টারন্যাশনাল ফটো অ্যাওয়ার্ডের আয়োজক এবং মিশনারিজের আপ্রান প্রচেষ্টার পর ইতালির ইমিগ্রেশন বোর্ড মুনজিরের পরিবারকে মানবিক কারণে ইতালিতে আসার ভিসা প্রদান করেন। সেইসাথে ইতালিতে আসার পর থাকার জন্য সিয়েনা নামে একটি ছোট শহরে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে আগে থেকেই সিরিয়ার কিছু পরিবার বসবাস করে যারা মুনজিরের পরিবারকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারবে।



ইতালির উদ্দেশ্যে তুরস্ক ত্যাগ করার সময় বিদায় জানাবার মতো মুনজিরের কেউ ছিল না। শুধু ফটোগ্রাফার আসলান বিমানবন্দরের সব আয়োজন শেষ করে শেবারের মতো বলেছিলেন, 'বন্ধু, এবার বিদায়!'। ফটো অ্যাওয়ার্ডের আয়োজক এবং মিশনারিজের লোকেরা রোম বিমানবন্দরে তাদেরকে উষ্ঞ অভিনন্দন জানিয়ে সাদরে গ্রহণ করলেন। নতুন দেশে নতুন জীবনের সাফল্য কামনা করলেন। সেইসাথে পরবর্তীতে মোস্তফার চিকিৎসার জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন। মুনজির স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করার সময় ইতালিতে আসতে পারায় ফটোগ্রাফার আসলান, ফটো অ্যাওয়ার্ডের আয়োজক এবং মিশনারিজের কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন। সেইসাথে সাংবাদিককে অনুরোধ করলেন, মুনজির-মোস্তফার ভাইরাল হওয়া ছবিটি দেখে বিশ্বের যে লক্ষ-কোটি মানুষ সহমর্মিতা দেখিয়েছেন তাদেরকে মুনজির পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ভালোবাসাটুকু জানিয়ে দেওয়ার জন্য।

মুনজিরদের সাথে শুধু একটি স্যুটকেস ছাড়া আর কিছু ছিল না। বিমানবন্দরের জনৈক নিরাপত্তা কর্মী স্যুটকেসটি ট্যাক্সিতে তুলে দেওয়ার সময় সামান্য হেসে মুনজিরকে জিজ্ঞাসা করলো, 'স্যুটকেসটি এতো হালকা কেন, এটা খালি নাকি?' তখন অশ্রুসিক্ত নয়ন তুলে মুনজির উত্তর দিলেন, 'তুরস্কের শরণার্থী শিবিরে আমার পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু ছিল না। তাই স্যুটকেসে করে তেমন কিছু আনতে পারিনি, শুধু এনেছি ভবিষ্যতের সুন্দর জীবনের একটি স্বপ্ন।'

পরবর্তীতে ফটোগ্রাফার আসলান মুনজির পরিবারের সাফল্য কামনা করে এই ছবিটি ইন্সটাগ্রামে প্রকাশ করেছিলেন।


[তথ্য ও ছবিসূত্র: আলজাজিরা, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউ আরব, দ্য গার্ডিয়ান, এএফপি ও কালের কন্ঠ]

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০২

শায়মা বলেছেন: ছেলেটা হাত পা না থেকেও এতই প্রানবন্ত কারণ সে বাবার প্রাণের ভালোবাসায় বেরে উঠেছে।

শুভকামনা তাদের জন্য।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:০৮

জোবাইর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
দুঃখ-বেদনা, অভাব-অনটন, রোগ-মৃত্যু সব কিছুকে ভুলিয়ে মানুষকে প্রানবন্ত করে তুলতে পারে একমাত্র আন্তরিক ভালোবাসা।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানবতা ও মানবিকতার জয় হোক!

মানবিকতার প্রশ্নে জাতি-ধর্ম-স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে প্রকৃত 'মানব' এর হৃদয় আন্দোলিত হবে, এটাই স্বাভাবিক। একে অপরের প্রতি মানুষের এই সহানুভূতি-সহযোগিতার নামই মানবিকতা। আপনার এ সুলিখিত পোস্টটি পড়ে মনটা সত্যিই খুব প্রফুল্ল হয়ে উঠলো। আপনার পোস্টের ঝকঝকে ছবিগুলো সব সময়ই অসাধারণ হয়ে থাকে। এখানেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, এমন একটি মানবিক বিষয়ে এই সচিত্র প্রতিবেদনটি ব্লগে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকুন, শুভকামনা!

চমৎকার এ পোস্টটিতে প্লাস + + রেখে গেলাম।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:২৯

জোবাইর বলেছেন: মানবতা ও মানবিকতার জয়গান গেয়ে আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


এই হতভাগ্য পরিবারের ঘটনাগুলো বিভিন্ন সময়ে আংশিকভাবে মিডিয়ায় এসেছে। আমি সবগুলো ঘটনাকে পটভূমিসহ আমার মতো করে সাজিয়ে পাঠকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি - যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক তান্ডবে ছিন্নভিন্ন একটি পরিবারের মানবতার হাত ধরে বেঁচে থাকা ও স্বপ্ন পূরণের কাহিনী

আপনার প্রতিও শুভকামনা রইলো, ভালো থাকুন।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবী টা আসলেই নিষ্ঠুর।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৮

জোবাইর বলেছেন: আমরা মানুষেরাই পৃথিবীকে নিষ্ঠুর বানিয়েছি! এই নিষ্ঠুরতা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে, এক দেশ আরেক দেশের বিপক্ষে করতে গিয়ে সারা পৃথিবীটাই নিষ্ঠুর হয়ে গেছে।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২০

সোবুজ বলেছেন: যুদ্ধ মানবতার শত্রু।আল্লাহ এই শিশুটির কি পরীক্ষা নিলেন?তার কোন কর্ম ফলে এই অবস্থা।তুমি বলেছিলে, তোমার পরিকল্পনা নিখুঁত,এই তার নমুনা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৫

জোবাইর বলেছেন: ধর্মের মূলভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। বিশ্বাসীদের কাছে ধর্মের স্থান যুক্তি, বিজ্ঞান ও বাস্তবতার ওপরে। মানবতার স্থান হওয়া উচিত ধর্ম, বর্ণ, জাতি, যুক্তি, বিজ্ঞান সবকিছুর ওপরে।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:২৮

জটিল ভাই বলেছেন:
এই যুদ্ধ আলোচনার অলক্ষ্যেই ঠাঁই পায় :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.