![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারাদিন অফিসে কাজ কাজ আর কাজ।কাজের ফাকে ফাকে somewhereinblog
চিকিৎসক শেজাদী হত্যার বিচার চেয়েছে তার পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে শেজাদী আপসার পরিবার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অনুরোধ জানিয়েছেন।
পরিবারের অভিযোগ, ১৩ মে শেজাদীকে তাঁর সেনাসদস্য স্বামী মো. শফিকুল ইসলাম লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া শেজাদীর ভাই চিকিৎসক জাভেদ হোসেনের ভাষ্য, সেনাবাহিনী তাঁদের সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু হত্যা মামলার অপর তিন আসামি মো. শফিকুল ইসলামের ভাই মফিজউদ্দিন, বন্ধু আবুল বাসেত ও ইমদাদুল হক তালুকদার সোহেলকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে শেজাদীর সহপাঠীরা ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হিসেবে ফাঁসি দাবি করেছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা না হলে তাঁরা আন্দোলনে যাবেন বলে জানান।
জাভেদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনার দিন শেজাদীর চিৎকারে প্রতিবেশী শামীমা আহম্মদ (স্বামী মেজর মনোজ) গিয়ে শফিকুল ইসলামের হাত থেকে আমার বোনকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন।’
পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে, বিয়ের চার বছরের মাথায় শফিকুল ইসলামের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা তাঁরা প্রথম জানতে পারেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনলে লাইবেরিয়ায় শান্তি মিশন থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে মৌখিক প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আবার লাইবেরিয়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। দেশে ফিরে আসার পর থেকে শেজাদীর ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন শুরু করে শফিক। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল টিকতে না পেরে শেজাদী ফিরে যান নিজ পরিবারে। ৭ মে শফিক ও তাঁর ভাই মফিজউদ্দিনের অনুরোধে আবার কুমিল্লার সেনানিবাসে ফিরে যান শেজাদী।
শেজাদীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা শফিকের পরিবারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাননি। এমনকি শফিকের ভাই ও মা বিভিন্ন সময় শেজাদীর ওপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন। এ ছাড়া মফিজউদ্দিন, শফিকের বন্ধু আবুল বাসেত ও ইমদাদুল হক তালুকদার সোহেল বিভিন্ন সময় শেজাদীকে মারধরে শফিককে প্ররোচনা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও শফিকুল ইসলামের পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া সম্ভব যায়নি।
সূত্র
©somewhere in net ltd.