নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এত স্বপ্ন, এত আয়োজন শুধু মাত্র মাথার উপরে থাকা নীল আকাশটাই দেখে। আমি নাহয় আকাশ হয়েই থাকি?

আবির চৌধূরী

এত স্বপ্ন, এত আয়োজন শুধু মাত্র মাথার উপরে থাকা নীল আকাশটাই দেখে। আমি নাহয় আকাশ হয়েই থাকি?

আবির চৌধূরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহজলভ্য ইন্টারনেট, সামাজিক মাধ্যম এবং আমাদের মেরুদন্ডহীন শিক্ষা

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৫

শিক্ষার সবচেয়ে বড় দিকটা হচ্ছে, আপনি যত শিক্ষিত হবেন তত বিনয়ী হবেন। এখন একটা প্রশ্নটা আসতেই পারে মানুষ কতটুকু সভ্য/বিনয়ী সেটা কিভাবে মাপা যাবে? সে নানান পরিস্থিতিতে কতটুকু সহনশীল সেটা দেখেই সে কতটুকু সভ্য সেটা মাপা যাবে। এক জন শিক্ষিত ও ব-কলম মানুষের আচরণগত পার্থক্যের একটা বড় জায়গা দখল করে থাকে সহনশীলতা। সারা পৃথিবীর সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞানের পাশাপাশি ভদ্রতাও শেখানো হয়। এটা শিক্ষার একটা অঙ্গ। সুতরাং যে যত বেশি শিক্ষিত, সে তত বিনয়ী, ভদ্র ও সহনশীল হওয়াটাই উচিত। বাস্তবে সেটা হয়ও।

এর পরের বিষয়টিপ কথা বলতে গেলে বলতে হবে সোস্যাল মিডিয়া। আমাদের বাস্তবিক ভুমিকার সবচেয়ে বড় অংশ সামাজিক মাধ্যম। জরিপের অপেক্ষা ছাড়াই আপনি বলতে পারবেন সামাজিক মাধ্যম আপনাকে কিংবা আমাদের কতটা অসামাজিক বানিয়েছে। সাথে সাথে মগজের সাথে গোবরের সংমিশ্রন ঘটিয়েছে, বুঝতে পারিনা সামাজিক মাধ্যমে কি লিখব, কেন লিখব, কিভাবে লিখব! শিক্ষার সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা এখানে চাইলেই লাগাতে পারতাম, সেটাও হলনা।

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা লক্ষনীয় এখানে। গবেষকরাও বলছেন,একটা নির্দিষ্ট সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করা ক্ষতির কিছু না। তবে সেটা যেনো কোনোভাবেই সপ্তাহে মোট ২৫ ঘণ্টার বেশি না হয়। সহজলভ্য ইন্টারনেট হওয়ার কারনে শিক্ষিত একটা গ্রুপ যেমন গুজব, হুমকি কিংবা অন্যান্য আক্রমনে ব্যস্ত, ঠিক তেমনি উগ্রমেজাজি এটাকে ভিন্ন পরিসরে ব্যবহারে ব্যস্ত যেখানে সহনশীলতা নেই।

এখানে বিষয়টা যেমন শিক্ষার, ঠিক তেমনি বিষয়টা সহজলভ্যতার! পাশের হার যখন বেড়ে গেছে বেকার বেড়ে গেছে, বেকার যখন বেড়ে গেছে স্বভাবত শিক্ষার মান কমে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, মান যখন কমে যাবে একটা গ্রুপ হয়ে আসছে অন্যরকম। যাদেরকে আপনি কোন শ্রেণীতে ফেলতে পারবেননা। আপনি চাইলে এই সামাজিক মাধ্যম দিয়ে কয়েকটা শ্রেনীকে জাজ করতে পারবেন। তাদের ভিতর এরাই অন্যতম।

ইন্টারনেট সহজলভ্যতা এটা অনেক বেশি আনন্দের হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ভয়ের পরিমানই বেশি হচ্ছে। কারন ব-কলমি যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি শিক্ষিত ব-কলমি এই সামাজিক মাধ্যমে বাড়ছে। দুটোই হুমকির। সামাজিক মাধ্যম, সহজলভ্য ইন্টারনেট আমাদের একটা গ্রুপকে শিক্ষিত মেরুদন্ডহীনই তৈরী করছে।

আপনি চাইলে এই সহজলভ্যতার দিনগুলোতে এদের ভীড় থেকে আলাদা হতে পারবেন, সেটার জন্য সঠিক রুচি দরকার।

( শুধু ভয়ের কথা বললাম, সহজলভ্য ইন্টারনেটের ভাল দিকগুলো আমরা সবাই জানি)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: শিক্ষার মান কমছে। আবারও হয়তো বলবে আপনারা পাশের দেখিয়েন না শিক্ষার হার দেখেন। অতঃপর দেখতে পাবো কিছু শিক্ষার্থীর মৃত দেহ!

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: গত ১৮ বছরে শিক্ষার মান অনেক কমেছে আমাদের দেশে।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

আরমান শুভ বলেছেন: ইন্টারনেট মানুষকে আত্তকেন্দ্রিক করে দিচ্ছে।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: শিক্ষার মান কমছে। বেকারত্ব বাড়ছে। সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিতদের সংখ্যাও বাড়ছে।

বেকার মানুষগুলোর বিচরণ স্থল ভার্চুয়াল জগত।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৩৯

ইয়োডা বলেছেন: যেসব নিয়ে লেখা দরকার সেসব লিখলেন । দেখা শেখা উচিত, আত্মজীবনী রচনা বাদ দিয়ে ভালো লেখার চেষ্টা করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.