নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এত স্বপ্ন, এত আয়োজন শুধু মাত্র মাথার উপরে থাকা নীল আকাশটাই দেখে। আমি নাহয় আকাশ হয়েই থাকি?

আবির চৌধূরী

এত স্বপ্ন, এত আয়োজন শুধু মাত্র মাথার উপরে থাকা নীল আকাশটাই দেখে। আমি নাহয় আকাশ হয়েই থাকি?

আবির চৌধূরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা যা শুনি তারাবিহ্’তে-২

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩০

একটা সময়ে ইহুদীরা তাওরাত ও অন্যান্য ঐশি গ্রন্থ থেকে যাদুবিদ্যা সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করত এ ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞেসকরলে বলত, হযরত সোলায়মান (আ.) যাদুর উৎস। কিন্তু পবিত্র কোরআন হযরত সোলায়মান (আ.) সম্পর্কে ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে৷ বাকারার ১০৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ইহুদীরা যদি প্রকৃত বিশ্বাসী হতো ও এ ধরনের ভুল ধারণা থেকে মুক্ত থাকত তাহলে তাদের জন্যই কল্যাণকর হতো৷ কারণ শুধু ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন করা যথেষ্ট নয়; খোদাভীরুতা ও আত্মসচেতনতাও জরুরী৷
তাই আল্লাহ স্পষ্টত বলছেন; “যদি তারা ঈমান আনত এবং খোদাভীরু হতো, তবে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পেত। যদি তারা জানত।’
১০৭ এর দিকে তাকালে আমরা দেখবো, আল্লাহ বলছেন; ‘একমাত্র আল্লাহর জন্যেই আসমান ও জমিনের আধিপত্য। আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই।’
তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে; যারা আল্লাহর নিরঙ্কুশ সার্বভৌমত্বের বিষয়ে উদাসীন। এবং তাদের সকল যুক্তিকে সেখানেই রহিত করা হয়েছে।
শত্রুরা যখন মুসলমানদের ঈমান দুর্বলকরার চেষ্টা চালায় তখন আল্লাহ মুসলমানদের ঈমান শক্তিশালী করার জন্য তাদেরকে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দেন৷ একইসাথে যাকাতের মাধ্যমে অন্যান্য মুসলমান বিশেষ করে দুঃস্থদের সাথে সম্পর্ক জোরদারের আহবান জানান। পবিত্র কোরআনে সাধারণত নামাজের নির্দেশের পাশাপাশি যাকাতের কথাও বলা হয়েছে৷ এর কারণ সম্ভবত এটাই যে, মানুষের সেবা করা ছাড়া আল্লাহর এবাদত যথেষ্ট নয়। তাই ১১০ এ আল্লাহ বলছেন; তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্যে আগে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন।”
আয়াত ১১৫ নং এ বলা হয়েছে; “পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই জন্য, অতএব তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও সে দিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বব্যাপী, মহাজ্ঞানী’’ এর পেছনে ছোট্ট একটা ইতিহাস আছে। আল্লাহর নির্দেশে মুসলমানরা যখন বায়তুল মোকাদ্দাসের পরিবর্তে মক্কাকে তাদের কেবলা হিসেবে নির্ধারণ করে, তখন ইহুদীরা কিছু প্রশ্ন তোলে। যেমন তারা এ প্রশ্ন তোলে যে, যদি আগের কেবলাই সঠিক ছিল, তাহলে কেন তা পরিবর্তন করা হলো? আর যদি আগের কেবলা সঠিক না হয়, তাহলে আগের ইবাদত কি সঠিক হবে? এই সন্দেহের উত্তরে এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর কোন নির্দিষ্ট স্থান বা এলাকা নেই ৷ পূর্ব ও পশ্চিম সব দিকেই আল্লাহ আছেন। অর্থাৎ যেদিকেই মুখ ফেরানো হোক না কেন আল্লাহ সেদিকেই আছেন।
কেবলা পরিবর্তনের পর মুসলমানদের ওপর ইহুদীদের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। অনেক মুসলমান বায়তুল মোকাদ্দাসকেই কেবলা রাখতে চেয়েছিল যাতে মদীনার ইহুদীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে জীবন-যাপন করা যায়। কিন্তু তারা এটা বুঝতে পারেনি যে, ইহুদীরা কেবলা পরিবর্তনের ঘটনাকে মুসলমানদের বিরোধিতা করার জন্য অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করেছে। ইহুদীরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণে তো প্রস্তুত ছিলই না বরং তারা চাইতো মুসলমানরা যেন ইসলাম ধর্ম ছেড়ে দিয়ে ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করে।
এ ব্যাপারে আল্লাহ ১২০ নং বলছেন- “ইহুদী ও খ্রিস্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্ম অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। জ্ঞান প্রাপ্তির পর যদি আপনি তাদের আকাঙ্ক্ষার অনুসরণ করেন,তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার কোন সাহায্যকারী বা অভিভাবক থাকবে না।”
১২৬ নং আয়াতে বলছেন- “স্মরণ কর যখন ইব্রাহীম বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! একে নিরাপদ শহরে পরিণত কর আর এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করবে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ফলের দ্বারা রিযিক দাও৷ আল্লাহপাক ইব্রাহীমের প্রার্থনার জবাবে বললেন, কাফেরদেরকেও আমি কিছু কালের জন্য জীবনোপভোগের সুযোগ দেব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করবো এবং তা কত নিকৃষ্ট পরিণাম!”
হযরত ইব্রাহীম (আ.) কাবাঘর প্রতিষ্ঠার পর সেটি এবাদতের জন্য প্রস্তুত করলেন এবং একইসঙ্গে মক্কাশরীফের অধিবাসীদের জন্যে আল্লাহর কাছে দু’টি জিনিসের আবেদন জানালেন। একটি নিরাপত্তা ও শান্তি আর অপরটি হলো জীবন ধারণের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা। যদিও ইব্রাহীম (আ.) কেবল মুমিনদের জন্য দোয়া করেছেন, কিন্তু তারপরও আল্লাহপাক জবাবে স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, তিনি বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী নির্বিশেষে সবার জন্যে বস্তুগত রিজিক দান করবেন। তিনি কাফেরদেরকে তাদের অবিশ্বাসের জন্য দুনিয়ার ধন-সম্পদ বা ঐশ্বর্য থেকে বঞ্চিত করেন না। যদিও তারা তাদের কাজের জন্য পরকালে দোজখে প্রবেশ করবে।

(এই পর্বে বাকারার ১০১-১৩০ আয়াত পর্যন্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। উপরোক্ত লেখায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত এর ছোট্ট কিছু ব্যাখ্যা আছে যেখানে আল্লাহ আমাদের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। বিভিন্ন ইসলামিক সাইট; কুরআন এবং বই থেকে ব্যাখ্যাগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। লিখাটি ১০ পর্বের। যতটুকু পারি পুরো পর্ব শেষ করার চেষ্টা করব।)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইহুদীরা 'যাদু' খুঁজছিল তোরাহ'তে? ওরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় আবিস্কার করেছেন, উহারা আপনার মতো তাবিজে বিশ্বাস করে না; আপনি কি বাবার হোটেলের ভাত খাচ্ছেন এখনো? মাথায় কিছু তো নিশ্চয় নেই।

২| ১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৪৯

নতুন বলেছেন: ইহুদীরা কিন্তু দুনিয়াতে খুবই সফল....

আপনার কি মনে হয় তারা আজগুবী কাহিনি শুনে অলৌকিক ক্ষমতার পেছনে দৌড়েছে????

অন্ধবিশ্বাস এখনো ইসলামে অনেক আছে....

ইহুদীরা বিজ্ঞানে গবেষনা শুরু করেছে অনেক আগে তাই তারা এখন বিশ্বে এগিয়ে.... তারা সোলাইমান আ: এর জাদু খুজতে ব্যস্ত ছিলো না। থাকলে তারা এখন এতো এগিয়ে যেতো না।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার চিন্তাশক্তি খুবই সীমিত

৪| ১৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। জানলাম। চুপ থাকলাম।

৫| ১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: উপরের মন্তব্যগুলো প্রত্যাখান করুন।এদের মাঝে সমস্যা আছে।

আপনার এই লিখা দাওয়াহ এর কাজের অন্তর্ভুক্ত।এই কাজ অবিরত রাখুন।মানুষের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। আপনাকে অনেক যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করবে কিন্তু ঘুরে ফিরে তাঁদের এসব যুক্তি সত্যের কাছে পরাভূত হয়ে যায়।

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.