![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মুসলিম যে আত্মসমর্পন করে আল্লাহর কাছে, হোক সেটা তার ইচ্ছার পক্ষে বা বিপক্ষে।
(পীর অলি পুজারী সকল মুসলমান নামধারীদের ধর্মব্যবসায়ীদের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম,
সকলের উপর আল্লাহর শান্তি রহমত বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি বর্ষিত হোক সেই ব্যক্তির উপর যে হেদায়েতের অনুসরণ করে কাফেরদের মধ্য থেকে, মুশরিকদের মধ্যথেকে, মুনাফিকদের মধ্যথেকে এবং নাস্তিকদের মধ্যথেকে।
আল্লাহ বলেছেন,
সূরা আল ইমরান-৬৪> এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক
১। আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না।
অর্থ্যাৎ আল্লাহর আইনকানুন মানাও যেমন আল্লাহর ইবাদত তেমনি আল্লাহর কোরআনের আইন উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও মানব রচিত আইন মানা মানুষের ইবাদত। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
২। তার সাথে কোন কিছু শরীক করি না।
অর্থ্যাৎ তার আদেশ সবার উপরে। তার আদেশের বা কোন আইন কানুন বিধিবিধান এর সাথে মানবরচিত আইন কানুন বা বিধি বিধানকে শরীক করিনা।
৩। আমাদের মধ্যে কাউকে আল্লাহ ছাড়া রব (আদেশদাতা বিধানদাতা ইলাহ হিসাবে) মানি না।
যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলে দাও, তোমরা স্বাক্ষী থাক আমরা মুসলিম (আত্মসমর্পণকারী আল্লাহর কাছে হোক সেটা নিজের ইচ্ছার পক্ষে হোক বা বিপক্ষে)।
সূরা বাকারাহ-১৩২> তোমরা মুসলিম না হইয়া মৃতু্বরণ করো না।
=============================================
অনেক মানুষ মনে করে অলি আউলিয়া, পীরগণ মৃতু্ বরণ করে না।
সূরা আল ইমরান-১৮৫> প্রত্যেক প্রাণীই মৃতু্র স্বাদ ভোগ করবে।
---------------------------------------------------------------------------------
অনেকে বলে অলি আউলিয়া গণ
মরার পরেও মানুষের কথা শুনে যখন মানুষ কবরের সামনে গিয়ে তাদের পুজা করে বা তাদের কাছে কিছু চায়।
আল্লাহ বলেন-
সূরা নমল-৮০> হে নবী আপনি মৃতুদের কথা শোনাতে সক্ষম নন।
একই কথা সূরা রুম এর ৫২ নং আয়াতেও বলা হইছে।
---------------------------------------------------------------------------------
অনেকে বলেন অলি আউলিয়াগণ মৃতু্র পর কথা না শুনলেও কবরে শোয়ানোর পর এবং মাজার বানানো পর কথা শুনেন।
আল্লাহ বলেন-
সূরা ফাতির -২২> হে নবী আপনি "কবরে" শোয়া ব্যক্তিকে শুনাতে সক্ষম নন।
---------------------------------------------------------------------------------
অনেকে বলে কবরবাসী অলি আউলিয়া সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে।
কবরবাসী সম্পর্কে আল্লাহ বলেন-
সূরা নাহল-২১ > তারা মৃত, প্রাণহীন। কবে পুনরুত্থিত হবে জানে না।
---------------------------------------------------------------------------------
এই আকিদাহ বা বিশ্বাসগুলো আসে ফাজায়েলে আমল এবং কিছু রাস্তার পাশের গল্পের বই থেকে যেগুলোর সাথে কোরআন ও সহীহ হাদিসের কোন সম্পর্ক নেই।
---------------------------------------------------------------------------------
মানুষের মধ্যে একটা ভূল আক্বিদাহ আছে অলি আউলিয়ার ব্যাপারে। এই ভূল আক্বিদাহর মূলে আছে অজ্ঞতা, বাপ দাদাদের অনুসরণ এবং অন্ধ বিশ্বাস বা তাকলীদ।
অলি এক বচন বহুবচন আউলিয়া।
আউলিয়া মানে পরামর্শদাতা, রক্ষাকারী, সাহায্যকারী, দিকনির্দেশনাদানকারী ইত্যাদি।
---------------------------------------------------------------------------------
=> সূরা আরাফ এর ৩ নং আয়াতে বলা হইছে
اتَّبِعُواْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلاَ تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِ أَوْلِيَاء قَلِيلاً مَّا تَذَكَّرُونَ (3
তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে অন্য আউলিয়াদের অনুসরণ করো না। "
তাফসির অনুযায়ী এখানে বহুবচন আউলিয়া মানে কোরআন হাদিস বাদ দিয়ে পরামর্শ দানকারী ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে।
---------------------------------------------------------------------------------
=> সূরা হামিম আস সিজদা এর ৩১ নং আয়াতে ফেরেশতারা বলে "নাহনু আউলিয়া উকুম ফিল ফায়াতিদ দুনিয়া" অর্থ্যাৎ আমরাই (ফেরেশতারাই) তোমাদের আউলিয়া দুনিয়াতে এবং আখিরাতে।
এখানে আউলিয়া মানে সাহায্যকারী।
---------------------------------------------------------------------------------
=> সূরা আরাফ এর ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে
তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে আউলিয়া বানিয়ে নিয়েছে।
এখানে আউলিয়া মানে বন্ধু।
---------------------------------------------------------------------------------
=> সূরা আনকাবুত এর ৪১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন
"যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্য কে আউলিয়ারূপে গ্রহণ করে তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সা"
এখানে আউলিয়া মানে সাহায্যকারী।
---------------------------------------------------------------------------------
সূরা বাকারা-২৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন
যারা ঈমান এনেছে তাদের অলি (অভিভাবক) আল্লাহ। তিনি তাদেরকে বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফুরী করে তাদের আউলিয়া (অভিভাবক) তাগুত (আল্লাহর বিদ্রোহী হোক সেটা আদেশের মাধ্যমে বা আইন কানুন এর মাধ্যমে)। সে তাদের কে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়।
এখানে আউলিয়া মানে অভিভাবক।
---------------------------------------------------------------------------------
=> সূরা নিসা-৭৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "তোমাদের কি হলো তোমরা আল্লাহর জন্য যুদ্ধ করছ না দুর্বল সেই পুরুষ নারী ও শিশুদের পক্ষে যারা বলে হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর, জালিম জাতি থেকে আমাদের রক্ষা কর। আমাদের নিকট তুমি তোমার অলি পাঠাও।
এখানে কি বাবে রহমতের পেট মোটা কোন পীর, বুজুর্গের কথা বলা হচ্ছে নাকি একে-৪৭ ধারী সেই যুদ্ধার কথা বলা হচ্ছে। এখানে অলি আউলিয়া বলতে বলা হচ্ছে মুজাহিদদের কথা। কোন পেট মোটা পীর এর কথা না। না শাহজালাল না শাহপরান। মানুষ যখন সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে তখন বলে বাঁচাও বাঁচাও মানে যদিও সে বাঁচতে চায় তবুও সে চায় কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে রক্ষা করুক।
অর্থ্যাৎ আউলিয়া মানে যারা জিহাদ করে তারা।
=========================================
সর্বশেষ আল্লাহর ওয়ালি বা অলি হতে হলে যা লাগে তা হল
সূরা ইউনুস-৬২-৬৩> মনে রেখো যারা আল্লাহর অলি, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তিত হবে। (অলি তারাই) যারা ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে রয়েছে। তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে।
সূতরাং আল্লাহর অলী হতে হলে জাস্ট ঈমান আনতে হবে এবং আল্লাহকে ভয় করতে হবে। যেই আল্লাহর উপর ঈমান আনবে এবং আল্লাহ কে ভয় করবে মূলত তারাই আল্লাহর অলী।
এছাড়াও আরো অনেক কিছু আছে।
Allah know the best.
২৮ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৫২
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ।
২| ২৮ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৫৭
বোরহান উদদীন বলেছেন:
ভাই অলি আওলিয়াদের সম্বন্দে আর ও ভাল ভাবে জানতে এই মাসিক পত্রিকাটা পড়িবেন আশাকরি।
মাসিক চন্দ্রপাড়া
৩| ২৮ শে মে, ২০১১ রাত ৯:০১
বোরহান উদদীন বলেছেন:
আমার এই পোস্ট টা দেখবেন আশাকরি।
উপযুক্ত পীরের লক্ষণ
২৮ শে মে, ২০১১ রাত ১০:২৫
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আপনেরে চিনা চিনা মনে হইতেছিল। এখন মনে পড়ছে। আপনি এক পীরের মুরিদ হইছিলেন তার কাছে গিয়া এবং আমাকেও রিকুয়েস্ট করছিলেন তার কাছে যাইতে এবং বলছেন, গেলে নাকি সব পানির মতো পরিস্কার হইয়া যাইবো। আর যেই দুইটা লিংক দিছেন একটাও কাজ করে না।
আর শুনেন পীর শব্দের অর্থ হইল জ্ঞানী। যেকোন জ্ঞানী হবে পারে। যেমন আপনি যদি গাড়ী ভালো মতো ঠিক করতে পারেন তো আপনি গাড়ীর পীর। পীর কোন আরবী শব্দ না। যে কোন জ্ঞানী ব্যক্তিকে পীর বলা হয়। তবে কিছু লোক এই পীর শব্দটাকে ধার্মিকতা হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তাদের কথা যদি ধরে নেওয়াও হয় তারপরও উত্তর দাড়ায় পীর মানে হলো সেই জ্ঞানী ব্যক্তি যিনি তার ছাত্রদেরকে কোরআন ও সুন্নাহ শিক্ষা দেন। কোরআন ও সহীহ হাদিস শিখান।
কিন্তু আমরা বাস্তবিক যেটা দেখতে পাই সেটা হলো তাকলীদ বা অন্ধ অনুসরক যেটা রাসুল সাঃ ছাড়া অন্য কাউকে করা আর শিরক করা সেইম।
হুম পীরদের পক্ষে দলিল হিসেবে সূফী মতবাদের কিছু ব্যক্তির লেখা বইকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। অমুক গ্রন্তের তমুক পৃষ্টায়, অমুক গ্রন্থের তমুক পৃষ্ঠায় এ কথা বলা আছে। অলী আউলিয়ার ব্যাপারে অসংখ্য বইও বাজারে বিক্রি হইতেছে। কথায় আছে "পীর আকাশে উড়ে না মুরিদ রা উড়ায়"।
আমরা একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বা পীরকে ততক্ষণই মানবো যতক্ষণ তারা কোরআন ও হাদিসের বাহিরে যাবে না। আর তাকলীদ বা অন্ধ অনুকরণ করা যাবে না। পীর ভক্ত মাজার ভক্তদের সামনে যদি কোরআনের আয়াত উপস্থিত করা হয় তাহলে তারা "পীর অলি আউলিয়ার কথা ও কার্যকলাপ দ্বারা কোরআন বিচার করে। কিন্তু কোরআন দিয়েই পীর অলি আউলিয়া বিচার করা উচিত ছিল।
কয়েক বছর আগে আমি রাবেয়া বসরী রহঃ এর একটা বই পড়ছিলাম। দুই চোখে পানি ধরে রাখতে পারি নাই সেই বই পড়ার পড়। অনেক আল্লাহ ওয়ালা হইয়া গেছিলাম। তারপর কোরআন অধ্যয়ন করলাম। আল্লাহর কোরআন ও সহীহ হাদিস শিখলাম। কিছুদিন আগে সেই বইটা আবার পড়লাম। দেখি প্রতি পাতাতে পাতাতে আল্লাহ বিরোধী কার্যকলাপ। যেই ব্যাপারটা বেশী দুলায়িত করছিল সেই ব্যপারটা দেখি তত আল্লাহ বিরোধী। শিরক এ ভরপুর। অথচ যাদের কোরআনের জ্ঞান নাই। তাদের কাছে সেটা মহামূল্যবান বই এমনকি কোরআন থেকেও।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন। আমীন।
৪| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ২:৫৬
২৯ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:২৩
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: মূলহীন বাণীগুলো হলোঃ-
1- যত অল্পে তুষ্ট থাকবে, ততই মানসিক স্বাধীনতা ভোগ করতে সক্কম হবে।
2- ক্রোধ মনুষত্বের আলোক শিখা নিরবাপিত করে দেয়।
3- আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে না রাখাটাই প্রকৃত কর্মী পুরুষের পরিচায়ক।
4- আদবই তাছাউফের মুল বস্তু মানে পুঙ্খানুপুখরুপে কোরআন ও হাদিসের রীতি-নীতি অনুসরণ করাই প্রকৃত দরবেশী।
5- এই তিনটিকে পবিত্র রাখুন-শরীর, পোশাক ও আত্মা।
6- টেস্ট করে দেখ অনেক মানুষই বিষধর জন্তুর চেয়ে কম হিংস্র নয়।
7- হামেশা জেকের ব্যতীত আল্লাহ্র নৈকট্য কেউ লাভ করতে পারেনা।
8- মুখ যদি ঠিক হয়ে যায় তবে আত্মা ও সংশোধন হয়ে যায়।
9- ক্রোদের সর্বোত্তম চিকিতস্যা হচ্ছে নিরবতা।
10- তিনটি বস্তুই প্রকৃত সম্পদ। বিদ্যা,ভদ্রতা এবং এবাদত।
11- মানুষের সঙে কথা কম বলে সৃষ্টিকর্তার সঙে বেশি কথা বলার চেষ্টা
কর।
12- মহব্বতের সহিত মুর্শিদের চেহারা মুবারক দর্শনে পাপ মোচন হয়।
13- এমন এবাদত কর যা দ্বারা আত্মিক সাধ আনুভব করতে পার। দুনিয়ার
জীবনে যে এবাদতে স্বাদ নাই আখেরাতে তা দ্বারা কতটুকু ফায়দা হবে।
14- সব কিছুরই স্বাভাবিক পরিবর্তন আছে। কিন্তু সভাবের কোন পরিবর্তন
হয় না।
15- বুদ্ধিমানের সংসারি জীবন বোকার দরবেশীর চেয়ে উত্তম।
16- আত্মাশুদ্ধ করা প্রত্যেক নরনারীর জন্য আদর্শ ফরজ।
17- এলমে তাসাউফ দ্বারা আমাদের আত্মার উন্নতি ও অবনতি বিষয়ে
জানা যায়।
18- আল্লাহ তায়ালাকে মহব্বত কর কেন না তিনি তোমাদিগকে
ভালবাসেন।
19- ঝগড়া চরমে পৌছার আগেই থেমে যাও।
20- দুষ্ট লোককে তার দুষ্টামিই গ্রাস করবে। আপন পাপ রশিতেই সে বাঁধা
পড়বে।
21- যাকে ঘৃণা করবে তাকে ভয় ও করবে।
22- অন্যকে সম্মান করতে শিখ। এর দ্বারা সকলের সাথেই বন্দুত্তের বন্ধন
সুদৃঢ় হবে।
23- যে ব্যক্তি পাপের মত পুন্যকেও গোপন রাখে সেই খাটি লক।
24- মুরিদের পক্কে পীরের উপস্থিতি অনুপস্থিতি উভয় অবস্থা একই প্রকার খেদমত হওয়া উচিত।
25- গীবত করা আর মরা ভাইয়ের গোস্ত খাওয়া একই কথা।
26- কারো নাম যশ শুনেই বিভ্রান্ত হইও না।
27- সর্বদা জেকের করলে শয়তান দূরে থাকে এবং কবর আজাব হয় না ও
জাহান্নাম হইতে নাজাত পাওয়া যাইব।
28- উপবাস আল্লাহ্ তায়ালার স্বভাব। আল্লাহ্ তায়ালার প্রিয় প্রেমিকগণ
এই উপবাস দ্বারা ইবাদত সাধনার শক্তি লাভ করেন।
29- মুরিদের কাছে সবছেয়ে কঠিন কাজ হল বিপরীত মনভাপন্ন লোকের
সঙে উঠা বসা করা।
30- এমন ইবাদত কর যা দ্বারা আত্মিক স্বাদ অনুভব করতে পার। দুনিয়ার
জীবনে যে ইবাদতে স্বাদ নাই আখেরাতে তা দ্বারা কতটুকু ফায়দা হবে।
31- খেদমতে দেহের জ্যোতি এবং বিশ্বাসে প্রানের জ্যোতি বাড়ে।
32- যে নামাজ মানুষকে পাপের কাজ থেকে বিরত রাখেনা, সে নামাজ
নামাজ নামাজ-ই নহে।
33- দিলের কাকুতি মিনুতি ও ভয়ের সহিত সকাল বিকাল মাঝামাঝি শব্দে
তোমার প্রতিপালকের জেকের কর; গাফেলগনের সামিল হই ও না।
34- হে মোমিনগন আল্লাহ্কে ভয় কর। ছাদেকীনের সঙ্গ লাভ কর।
35- যাহারা তাহার প্রভুকে সন্তুষ্ট করার জন্য সকাল বিকাল ডাকিয়া থাকে
তোমাদের আত্মাকে তাহাদের সঙে রাখ।
36- আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, বড়ত্ব গর্ভ ও অহমিকা আমারই, আর ক্ষমতা
আমার গোপনীয় ব্যাপার।
37- আজিজী ব্যতীত মহব্বত পয়দা হয়না।
38- নিচ্ছয় জানিও আল্লাহর নিকট কার্জের ফলাফল মানুষের নিয়তানুসারে
হয়ে থাকে।
39- আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের জন্য উছিলা অন্বেষণ কর, এবং তাহার রাস্তায়
পরিশ্রম কর, তা হলে মুক্তি লাভ করবে।
40- নামাজ কায়েম করুন।
41- আল্লাহ্ তায়ালা বলেন যে আমার জিকির হতে বিমুখ থাকবে তার
জীবন বিড়ম্বনাময় এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উঠাব।
42- প্রত্যেক নিঃশ্বাস খেয়াল কালবের ভিতর ডুবিয়া রাখ আর না হালকা
হওয়ার ভয় আছে।
43- তরিকত শিক্ষা বা মোরাকাবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহকে লাভ
করা।
44- নির্জনতাকে পছন্দ করা এবং গোপনে ইবাদত করা, এই দুইটি কাজ
খাটি আবেদের লক্ষণ।
45-সের উপর ছবর করতে সক্ষম ব্যক্তিই মানব জাতির মধ্যে সবছেয়ে
অধিক অগ্রগামি।
46- যে ব্যক্তি জীবনে একবারও নিজের অন্তরে খোদাকে হাজির পেয়েছে,
সেই ব্যক্তিই প্রকৃত সুখী।
47- এক মুহর ত কোন কামেল অলীর সংসর্গে থাকা একশত বছর বেরিয়া
বন্দিগী হতে উত্তম।
48- বিপদে তীরের লক্ষ্যস্থল হয়ে উঃ শব্দ না করাই প্রকৃত ছবর।
49- যে ব্যক্তি লোভ ত্যাগ করে অল্পে তুষ্টি অবলম্বন করে সে ইজ্জত এবং
মনুষ্যত্ব লাভ করে।
50- এশকের ব্যথায় ব্যাথিত ব্যক্তির ঔষধ মাশুকের দীদার ছাড়া আর কিছু
নাই।
আপনার উপরের প্রতিটা বক্তব্যকে "ভীরু ভাই এবং আমি নিজেও কোরআন দিয়ে ভূল প্রমাণ করছি। আপনার অবগতির জন্য আবারো দিচ্ছি।
-----------------------------------------------------------------
Abdullah Arif Muslim বলেছেন:
36- আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, বড়ত্ব গর্ভ ও অহমিকা আমারই, আর ক্ষমতা আমার গোপনীয় ব্যাপার।
=> আল্লাহর ব্যাপারে এমন দলিলবিহীন লেখা বা যেই কথা আল্লাহ কোরআনে বলেন নাই সেই
কথা "আল্লাহ বলেন" বলে চালিয়ে দেওয়া মানে হলো আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ। কোরআনের রেফারেন্স ছাড়া এমন ভাবে কথা বলা উচিত না।
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا أَوْ كَذَّبَ بِالْحَقِّ لَمَّا جَاءهُ أَلَيْسَ فِي جَهَنَّمَ مَثْوًى لِّلْكَافِرِينَ 68
সূরা আনকাবুত-৬৮> যে আল্লাহ্ সম্পর্কে "মিথ্যা কথা বানায়" অথবা তার কাছে সত্য আসার পর তাকে অস্বীকার করে, তার থেকে অধিক জালিম আর কে? এরুপ কাফেরদের বাসস্থান কি জাহান্নাম নয়?
--------------------------------------------------------------------------
10- তিনটি বস্তুই প্রকৃত সম্পদ। বিদ্যা,ভদ্রতা এবং এবাদত।
=> এমন ভাবে নির্দিষ্ট করে "তিনটি" বলা এটা শুধু মাত্র আল্লাহ এবং তার রাসুলই বলবেন। কোন ব্যক্তির পক্ষে এমন ভাবে ৩ বা ৪ ফিক্সড করা নিষেধ।
হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেছেন, পৃথিবী সম্পদে পরিপূর্ণ। তন্মধ্যে সর্বোত্তম সম্পদ হচ্ছে উত্তম স্ত্রী।
এখন আপনার কথা যদি মেনে নেই তাহলে তো রাসুল সাঃ এর কথা অস্বীকার করতে হবে। আপনিই বলেন কাকে মানবো। আপনার কথা না রাসুল সাঃ এর হাদিস?
------------------------------------------------------------------------
38- নিচ্ছয় জানিও আল্লাহর নিকট কার্জের ফলাফল মানুষের নিয়তানুসারে
হয়ে থাকে।
=> হাদিসের বিকৃত ব্যাখ্যা।
বুখারীর হাদিস, ইন্নামাল আমালু বিননিয়াত। সকল কাজের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল।
আল্লাহর রাসুলের হাদিস বাদ দিয়ে মনগড়া মানুষের বাণীর কোন মূল্য নাই।
--------------------------------------------------------------------------
47- এক মুহর ত কোন কামেল অলীর সংসর্গে থাকা একশত বছর বেরিয়া
বন্দিগী হতে উত্তম।
=> এ কথার কি কোন রেফারেন্স আছে। এটা কি কোন হাদিস বা কোরআনে উল্লেখ আছে। আলেম বা অলী নামকরণ করে এক ব্যক্তিকে এভাবে মর্যাদা দেওয়া নিষেধ। মর্যাদা দেন আল্লাহ যাকে খুশি তাকে। আর "একশত বছর" এমন ডাইরেক্ট নির্দিষ্ট করে কথা কোরআন বা হাদিসের রেফারেন্স ছাড়া কোন মুসলিম বলতে পারে না।
-----------------------------------------------------------------
ভীরু বলেছেন: 7- হামেশা জেকের ব্যতীত আল্লাহ্র নৈকট্য কেউ লাভ করতে পারেনা।
মন্তব্য : হাদিসে এসেছে নফল ইবাদাতের মাধ্যমে বান্দারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। (বুখারী) আপনার মূর্শিদের এ কথার অর্থ কি ?
8- মুখ যদি ঠিক হয়ে যায় তবে আত্মা ও সংশোধন হয়ে যায়।
মন্তব্য : হাদিসে এসেছে অন্তর ঠিক হলে সব ঠিক হয়, আর আপনার মূর্শিদ হাদিসের বিপরীত এ কথা বলার অর্থ কি ? মুখের অনুগত অন্তর, না অন্তরের অনুগত মুখ ? হাদিস কিন্তু বলে মুখ অন্তরের অনুগত ! আপনার মুর্শিদ কি হাদিসের বিপরীত বলার জন্য মূর্শিদ হয়েছেন ? তার ইমান, ইলম ও মস্তিষ্ক সুস্থতার খবর নিন।
9- ক্রোদের সর্বোত্তম চিকিতস্যা হচ্ছে নিরবতা।
মন্তব্য : এখানেও হাদিসের বিপরীত বলেছেন।
11- মানুষের সঙে কথা কম বলে সৃষ্টিকর্তার সঙে বেশি কথা বলার চেষ্টা
কর।
মন্তব্য : আল্লাহর সাথে কথা বলার অর্থ কি ? আল্লাহর সাথে এখন কি মানুষের কথা বলা সম্ভব ? যদি এর উদ্দেশ্য কুরআন তিলাওয়াত হয়, তাহলে সেটা বলতে সমস্যা কি ছিল ?
12- মহব্বতের সহিত মুর্শিদের চেহারা মুবারক দর্শনে পাপ মোচন হয়।
মন্তব্য : তার মানে আপনার মূর্শিদের চেহারা মহব্বতের সহিত দেখতে হবে, তাহলে পাপ মোচন হবে। অথচ তার কথা দ্বারা স্পষ্ট হচ্ছে সে একটা ভণ্ড ও মূর্খ বিদআতী, যাকে সম্মান করার অর্থ ইসলামকে ধ্বংস করা।
14- সব কিছুরই স্বাভাবিক পরিবর্তন আছে। কিন্তু সভাবের কোন পরিবর্তন
হয় না।
মন্তব্য : মানুষের স্বভাবের পরিবর্তন হয় না ? স্বভাবের পরিবর্তন ব্যতীত কাফের মূসলমান হয় কিভাবে ? বদকার নেককার হয় কিভাবে ? খারাপ ভাল হয় কিভা্বে ?
ভীরু বলেছেন: 16- আত্মাশুদ্ধ করা প্রত্যেক নরনারীর জন্য আদর্শ ফরজ।
মন্তব্য : আপনার মূর্শিদের আত্মশুদ্ধি প্রথম দরকার। ইসলাম না জেনে নিজের প্রলাপকে ইসলাম হিসেবে প্রচার করছে, ইমানহারা হয়ে তার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
17- এলমে তাসাউফ দ্বারা আমাদের আত্মার উন্নতি ও অবনতি বিষয়ে
জানা যায়।
মন্তব্য : হিন্দু-যুগীরা আরো ভাল বলতে পারবে। ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মার উন্নতী আল্লাহই ভাল জানেন।
22- অন্যকে সম্মান করতে শিখ। এর দ্বারা সকলের সাথেই বন্দুত্তের বন্ধন
সুদৃঢ় হবে।
মন্তব্য : বিতআতীকে সম্মান করা হারাম।
24- মুরিদের পক্কে পীরের উপস্থিতি অনুপস্থিতি উভয় অবস্থা একই প্রকার খেদমত হওয়া উচিত।
মন্তব্য : এ ধরণের আদব আল্লাহর সাথে প্রযোজ্য, মানুষের সাথে নয়।
26- কারো নাম যশ শুনেই বিভ্রান্ত হইও না।
মন্তব্য : আপনার মূর্শিদের প্যাচাল শোনে তো আরো না।
ভীরু বলেছেন: 28- উপবাস আল্লাহ্ তায়ালার স্বভাব। আল্লাহ্ তায়ালার প্রিয় প্রেমিকগণ
এই উপবাস দ্বারা ইবাদত সাধনার শক্তি লাভ করেন।
মন্তব্য : ভুল কথা, খাদ্যের দ্বারা আল্লাহর প্রেমিকগণ ইবাদাতের শক্তি লাভ করে।
30- এমন ইবাদত কর যা দ্বারা আত্মিক স্বাদ অনুভব করতে পার। দুনিয়ার
জীবনে যে ইবাদতে স্বাদ নাই আখেরাতে তা দ্বারা কতটুকু ফায়দা হবে।
মন্তব্য : আপনার মূর্শিদ অমূল্য বাণীর সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে একই কথা দু’বার বললেন। দেখুন : ১৩ ও ৩০ নাম্বার হুবহু এক।
34- হে মোমিনগন আল্লাহ্কে ভয় কর। ছাদেকীনের সঙ্গ লাভ কর।
মন্তব্য : এটা আল্লাহর বাণী, আপনার মুর্শিদের বাণী হল কিভাবে ?!
ভীরু বলেছেন: 39- আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের জন্য উছিলা অন্বেষণ কর, এবং তাহার রাস্তায়
পরিশ্রম কর, তা হলে মুক্তি লাভ করবে।
মন্তব্য : উছিলার অর্থ ইবাদাত, পীরধরা বা মুরিদ হওয়া নয়।
42- প্রত্যেক নিঃশ্বাস খেয়াল কালবের ভিতর ডুবিয়া রাখ আর না হালকা
হওয়ার ভয় আছে।
মন্তব্য : ইসলামে এসব মুজাহাদা নেই, এটা হিন্দু যুগিদের মুজাহাদা।
43- তরিকত শিক্ষা বা মোরাকাবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহকে লাভ
করা।
মন্তব্য : এসব বাজে কথা, ইসলাম বলে আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা করে আল্লাহর কুদরত সম্পর্কে জান এবং তার প্রতি ঈমান মজবুত কর।
44- নির্জনতাকে পছন্দ করা এবং গোপনে ইবাদত করা, এই দুইটি কাজ
খাটি আবেদের লক্ষণ।
মন্তব্য : রাসূল সা. নবুওয়ত লাভের আগে নির্জনতাকে পছন্দ করতেন, কিন্তু নবী হয়ে মানুষের সমাজকেই বেশী পছন্দ করতেন, নবী হয়ে তিনি কখনো নির্জনবাসে জাননি।
46- যে ব্যক্তি জীবনে একবারও নিজের অন্তরে খোদাকে হাজির পেয়েছে,
সেই ব্যক্তিই প্রকৃত সুখী।
মন্তব্য : অন্তরে আল্লাহ হাজির হন, এর প্রমাণ কি ? রাসূল সা. কি কখনো অন্তরে আল্লাহকে হাজির পেয়েছেন ?
47- এক মুহর ত কোন কামেল অলীর সংসর্গে থাকা একশত বছর বেরিয়া
বন্দিগী হতে উত্তম।
মন্তব্য : বাজে কথা।
48- বিপদে তীরের লক্ষ্যস্থল হয়ে উঃ শব্দ না করাই প্রকৃত ছবর।
মন্তব্য : রাসূল সা. তো উঃ শব্দ করেছেন, যখন তার ছেলে ইবরাহিম মারা যায়, এবং যখন উহুদের ময়দানে তার দান্দান মুবারক শহীদ হয়, তিনি কি প্রকৃত ছাবের ছিলেন না।
ভীরু বলেছেন: মুখ যদি ঠিক হয়ে যায় তবে আত্মা ও সংশোধন হয়ে যায়।
অথচ রাছুল (সাঃ) বলেছেন:
أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ
অর্থাৎ: শরীরের ভেতরে একটি মাংসের টুকরা আছে, তা ঠিক হলে পুরো শরীর ঠিক হয়, আর তা নষ্ট হলে পুরো শরীর নষ্ট হয়। জেনে রেখো তা হলো অন্তর। (বুখারী: কিতাবুল ঈমান।)
মুদ্দাকথা : আপনার এ মূর্শিদের জন্য কি কুরআন ও হাদিস যথেষ্ট নয় ? যদি হয় তাহলে এসব মিথ্যা ও বাজে উক্তি তৈরি করতে তাকে বলেছে ? কুরআনের বাণীকে নিজের বাণী, আবার হাদিসের বাণীর বিপরীত নিজের বাণী তৈরি করার কি দরকার হয়েছিল ?! ইসলাম জানুন এবং ইসলাম মেনে চলুন, এসব ভণ্ডদের খপ্পরে পরে নিজের আখেরাতে বরবাদ করবেন না।
----------------------------------------------------------------
এখন আপনিই বলেন আমরা কি আল্লাহর ও তার রাসুল কে মানবো নাকি আপনার পীর কে মানব। কার কথা মানা আমাদের জন্য ফরজ। আপনি যেটা করছেন সেটা হলো তাকলীদ মানে অন্ধ অনুকরণ। আপনি আপনার পীরকে গিয়ে দেখান যে তার কথাগুলো আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরোধী। দেখবেন সে আপনার উত্তর দেবে না। উল্টা মাইরও দিতে পারে। কারণ পীর রা মিথ্যা বলে না। মিথ্যা অটোমেটিক তাদের মুখ দিয়ে রচিত হয়। আপনার মানা উচিত কোরআন ও সুন্নাহ। যদি কোন ব্যক্তির কার্যকলাপ আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরোধী হয় তাহলে তাকে শুধরিয়ে দেওয়া উচিত। এখন আপনার উচিত আপনার পীরকে শুধরানো। যদি সে কোরআনের বিধানের দিকে ফিরে না আসে তাহলে তাকে বর্জন করা।
৫| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ৩:১৫
বোরহান উদদীন বলেছেন: কয়েক বছর আগে আমি রাবেয়া বসরী রহঃ এর একটা বই পড়ছিলাম। দুই চোখে পানি ধরে রাখতে পারি নাই সেই বই পড়ার পড়। অনেক আল্লাহ ওয়ালা হইয়া গেছিলাম। তারপর কোরআন অধ্যয়ন করলাম। আল্লাহর কোরআন ও সহীহ হাদিস শিখলাম। কিছুদিন আগে সেই বইটা আবার পড়লাম। দেখি প্রতি পাতাতে পাতাতে আল্লাহ বিরোধী কার্যকলাপ। যেই ব্যাপারটা বেশী দুলায়িত করছিল সেই ব্যপারটা দেখি তত আল্লাহ বিরোধী। শিরক এ ভরপুর। অথচ যাদের কোরআনের জ্ঞান নাই। তাদের কাছে সেটা মহামূল্যবান বই এমনকি কোরআন থেকেও।
আপনার এই কথাগুলা খুব ভাল লাগলো, কারন আপনার মত এমন ঘঠনা আমার জীবনে ও ঘঠে ছিল। আপনি দেখেন বর্তমানে মানুষ নামাজ পড়ে, নামাজে শান্তি পায় না নামাজি নামাজ পড়ে গুষ খায় নামাজি নামাজ পড়ে সুদ খায়। নামাজি নামাজ পড়ে চুরি করে। আল্লাহ্ বলছেন নামাজ নামাজি কে পাপের পথ থেকে দূরে রাখিব কিন্তু, বর্তমানে নামাজিদের এই অবস্থা কেন বলতে পারেন। কারন তারা আসল নামজ পড়তে পারেনা, নামাজে দাড়াইলে নামাজি কে শয়তান ধোঁকা দেয় বেশী, বেশীর ভাগ নামাজি নামজে দাঁড়াইয়া দুনিয়া দারি গরু ছাগল বউ বাচ্চা কে মনে করে। আর যত দিন পর্যন্ত এই দুনিদারি বউ বাচ্চাকে বাদ দিয়া নামাজ পড়তে না পারবো। ঐ নামাজ নামাজি কে পাপের পথ থেকে ফিরাইয়া আনতে পারবোনা। ঐ নামাজে কোন ফল ও সে পাবে না। নামাজ পড়লে যে আল্লাহ্ ৫ টি পুরুষকার দিবেন বলছেন তাও সে পাবে না। বিস্তারিত বললাম না দেখেন লিঙ্ক গুলা কাজ হয় কিনা হইলে, অনেক প্রশ্নের উত্তর মাসিক পত্রিকা টা তে পাবেন।
২৯ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:৩৮
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: নামাজ হলো দ্বিতীয় স্তম্ভ। প্রথমে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" কালেমা। আমাদের প্রথমটা ঠিক নাই বলেই পরের গুলোতে কাজ করছে না। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মানে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই।
এখন আপনি তো পীরের মুরিদ তো বলেন ইলাহ মানে কি? দুটো উত্তরই দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন আপনারা। আর তা হলো মাবুদ ও উপাস্য।
সূরা জাছিয়া-৪৫:২৩> এই আয়াতে বলা হইছে ইলাহ মানে বিধানদাতা/আদেশদাতা/সংবিধানদাতা যিনি একমাত্র আল্লাহ। আজ আমরা এক আল্লাহকে বিধানদাতা হিসেবে মানতে নারাজ। কোরআন কে সংবিধানকে মানতে নারাজ।
মানবরচিত সংবিধান হলো শিরক। মানবরচিত সংবিধান মানলে সেটা হবে কোরআন সংবিধান বাদ দিয়ে মানবরচিত সংবিধানকে নিজের জন্য বিধিবদ্ধ করে নেওয়া।
কোনদিন কি আপনার পীর মানবরচিত সংবিধান না মানতে বা শিরক না করতে আপনার আদেশ করেছে? আপনিই বলুন? হয়তো শিরক করতে মানা করছে কিন্তু মানবরচিত সংবিধান মানতে মানা করে নাই। আর যে শিরক করে তার জান্নাত হারাম (সূরা মায়িদাহ-৭২)।
আপনি অন্ধ অনুকরণ করছেন আপনার পীরের যেটা করেছিল ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা তাদের আলেমদের। এজন্যই আল্লাহ সূরা তাওবাহ-৩১ নং আয়াতে বলছেন, ইহুদী ও খ্রিষ্টান আলেমকে তার জাতি "রবের আসনে" বসিয়েছে। কারণ তারা তাওরাত ইঞ্জিল বাদ দিয়ে তাদের আলেমদের অন্ধ অনুকরণ করতো।
পীর ফারসী শব্দের অর্থ হলো জ্ঞানী যিনি কোরআন ও হাদিস ভালো জানেন। যিনি কোরআন ও হাদিস শিক্ষা দেন। তো আপনার পীর কি আপনাকে কোরআন হাদিসের দারস করিয়েছে কখনো। তারা যেটা করে তা হলো তাদের আনুগত্য করতে উৎসাহিত করে তাদের নিজেদের ফায়দা লুটার জন্য।
আর তারা যে নজরানা স্বরূপ মানুষের থেকে আল্লাহর নাম বলে টাকা আত্মসাৎ করে সেটাও কোরআনে আছে।
সূরা তাওবাহ-৩৪> (পীর, আলেম, ফকির) তারা আত্মসাৎ করে মানুষের সম্পদ অন্যায় ভাবে এবং তারা জমা করে স্বর্ণ রূপা। তা খরচ করে না আল্লাহর পথে (জিহাদে)। তাদের সুসংবাদ দাও মর্মন্তুদ শাস্তির।
আমার কোন প্রশ্ন নাই যে মাসিক পত্রিকাতে পাব। কারণ যেকোন প্রশ্ন বা উত্তর আমি কোরআন ও সহীহ হাদিস দিয়ে যাচাই করি। যদি সেটা মিলে যায় মানি না মিললে মানি না। যেমন ধরেন আপনি যে অ---মূল্য বাণী দিলেন তার পুরোটাই """"বাতিল"""। এখানে বেশীর ভাগই আল্লাহর ও তার রাসুলের বাণীগুলোর বিকৃত উত্থাপন এবং অধিকাংশ মনগড়া।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত ও সত্য বুঝার এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকার তৌফিক দান করুন।
৬| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ২:১৯
ছোটমির্জা বলেছেন:
পড়ে পড়তে হবে।
ওরা বলে - আমি নাকি গালি দিয়েছি
৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০১
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: শুধু প্যাচাল, তোর আরেক মুরিদ ভাই আইছে নাম মহসিন আহমেদ।
ওয় কয় নবী নাকি চূড়ান্ত মাকামে গেছেন। আরে বেটা উনি যদি চুড়ান্ত মাকামে যানই তাহলে কেন নামাজ ত্যাগ করলেন না। আসল কথা হইলো, এই চূড়ান্ত মাকাম শব্দটা তগো পীররা বাহির করছে। আর তগো মতো বেক্কেল গুলারে চুড়ান্ত মাকামের নাম কইরা নামাজ থেকে বিরত রাখে। তরা কোরআন মানস না, কস কাগজের কোরআন। তরা কস, চুড়ান্ত মাকামে যাওয়ার পর নামাজ পড়তে চাইলে বা ইবাদাত করতে চাইলে কাফের হইয়া যায়।
আসলে এই পর্যায়ে কোন নবী বা নবীর সাহাবারা গেছে সেইটা ক?
সকল নবী এবং সাহাবারা নামাজ পড়ছেন। আর তরা আইসছ যে, চূড়ান্ত মাকামে গেলে নামাজ রোজা লাগে না। তরা তগো পীরের পা চাটা, পাসা চাটা বন্ধ কইরা সত্যের পথে আয়। কোরআন ও সহীহ হাদিস মান। পীরের পাসায় লাত্থি মার যারা তগো ইলাহ রূপে তগো লাইগা নামাজ হারাম কইরা দিছে।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৪
শিপু ভাই বলেছেন: ভাই, ৭ নং মন্তব্যের জবাবে নোংরা গালি দেয়াটা ঠিক হয় নাই। ওটা মুছে দিন প্লিজ। এখানে কোরানের আয়াত আছে। ভাল ভাল কথা হচ্ছে। সেখানে এই গালিটা পুরা পোস্টটা নস্ট করার জন্য যঠেস্ট।
একটা কথা শুনি- "অলিগন মরে না"।- এটার মানে কি।
আমিও পীর ফকির বিশ্বাস করি না। ওদের ৯৯%ই ভন্ড।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৪৬
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: শিপু ভাই @ মুছে দিছি। ব্লগার "শুধু প্যাচাল" কে কেন গালি দিছি সেটা জানেন? সে কাদেরীয়া দরবার শরীফের মুরিদ। তাদের আক্বিদা হলোঃ-
=> কাগজের কোরআন মানা যাবে না।
=> আগে মানুষ হতে হবে, তারপর মুসলিম।
=> আধ্যাতিকতার চূড়ান্ত মাকামে গেলে নামাজ রোজা লাগে না।
=> যে ইবাদাতের চেষ্টা করে সে কাফের হয়ে যায়।
সে সবগুলো ইসলামীক শিক্ষণীয় পোষ্টে গিয়ে নাস্তিকের মতো আচরণ করে। নাস্তিক তো বলে যে সে আল্লাহকে বিশ্বাস করে না। কিন্তু শূধু প্যাচাল আল্লাহতে বিশ্বাস করে। কোরআন মানে তবে গ্রন্থ কোরআন না। ভিন্ন কোরআন। তারা অন্তরকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে। তার সবচেয়ে বাজে দিকটা হলো যেকোন ইসলামীক পোষ্টে গিয়ে অনর্থক কথা বার্তা বলে পোষ্টে শিক্ষাকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া। যাই হোক। আগেই মুছতাম ভূলে গেছিলাম। ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
============================================
দ্বিতীয়তঃ- অলিগন মরে না। এটা ব্যক্তিপুজারীদের একটা ভ্রান্ত মতবাদ। কারণ সবাইকেই মরতে হবে।
সূরা আল ইমরান-১৮৫> প্রত্যেক প্রাণীই মৃতু্র স্বাদ ভোগ করবে। (মানুষও প্রাণীর অন্তর্ভূক্ত)
সূরা ফাতির-৩৫:২২> সমান না জীবিত ও মৃত।
সূরা যুমার-৩০> (হে নবী) তোমারও মৃতু হবে, তাদেরও (কাফের) মৃতু হবে।
যদি কেউ বলে যে অলীরা মরে না, তবে উপরের তিনটা আয়াত বাতিল করতে হবে। উপরের আয়াত অনুযায়ী সবাইকেই মরতে হয়, এমনকি নবীজি সাঃকেও।
ধন্যবাদ।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২
কান্টি টুটুল বলেছেন:
বোরহান উদদীন বলেছেন: কয়েক বছর আগে আমি রাবেয়া বসরী রহঃ এর একটা বই পড়ছিলাম। দুই চোখে পানি ধরে রাখতে পারি নাই সেই বই পড়ার পড়। অনেক আল্লাহ ওয়ালা হইয়া গেছিলাম। তারপর কোরআন অধ্যয়ন করলাম। আল্লাহর কোরআন ও সহীহ হাদিস শিখলাম। কিছুদিন আগে সেই বইটা আবার পড়লাম। দেখি প্রতি পাতাতে পাতাতে আল্লাহ বিরোধী কার্যকলাপ। যেই ব্যাপারটা বেশী দুলায়িত করছিল সেই ব্যপারটা দেখি তত আল্লাহ বিরোধী। শিরক এ ভরপুর। অথচ যাদের কোরআনের জ্ঞান নাই। তাদের কাছে সেটা মহামূল্যবান বই এমনকি কোরআন থেকেও।
তাবলীগ ইজতেমার ফাজায়েলে আমাল বইয়ের ভক্তরা বোরহান উদদীন ভাইয়ের উপরের কথা গুলি মন দিয়ে পড়ে দেখবেন এই আশাকরি।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩০
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: টুটুল ভাই, উপরোক্ত আন্ডারলাইনকৃত বক্তব্যগুলো আমার করা। বোরহান সাহেব সেগুলো কপি করে তারপর মন্তব্য করছেন আন্ডারলাইন বাদ দিয়ে। এই মন্তব্যগুলো বোরহান সাহেবের ৩ নং কমেন্টের জবাবে বলেছিলাম। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৯
*প্রতিফলন* বলেছেন: সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ । প্রিয়তে নিলাম ।