নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের খেলাঘরে পাশাঘর পাশে রেখে। ভাঙ্গা টেবিলে বসেছি খাতা কলম নিয়েকিছু লিখব বলে।গল্প বা কবিতার ছলে।

আবদুল্লাহ আফফান

খুব সাধারণ একজন, ভালবাসি ঘুরতে আর পড়তে। মানুষ হতে চাই।

আবদুল্লাহ আফফান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রসিক রাজ তারাপদ রায়

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৯

রম্য রচনা সাহিত্যের অন্যতম অংশ। রম্য রচনায় পাঠকের মন ছুতে পেরেছে খুব কম সাহিত্যিক। কিছু লেখককে পাঠক মনে রাখবে বহু যুগ। তেমনই একজন তারাপদ রায়। তার রচনা, ছোট গল্প, উপন্যাস রম্যরসে টইটম্বুর। সৃষ্টি করেছেন- রসরাজ সাহিত্যিক শিবলাল অধিকারী, বজ্রনীল, কৃষ্ণা, সঞ্জয় চৌধুরী, সর্দার শের সিংহ’এর মতো অনেক চরিত্র। কবি হিসেবেও খ্যাতি কম ছিল না তার। ছিলেন প্রাবন্ধিক।

রসিক রাজ ও কবি তারাপদ রায় ১৯৩৬ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানের বিন্দুবাসিনী হাই ইংলিশ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় কলেজে পড়তে আসেন। মৌলানা আজাদ কলেজ থেকে পড়াশোনা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে স্নাতক উপাধি লাভ করেন। সে সময়েই কলকাতার কৃত্তিবাস পত্রিকাগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ কবি হিসাবে পরিচিতির সাথে অজস্র গদ্য রচনা করেছেন।
বাল্যকাল থেকেই কবিতা রচনা করে গেছেন তিনি। তার প্রথম কবিতার বই 'তোমার প্রতিমা' প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে। তার প্রকাশিত কবিতা সহস্রাধিক। কবিতার পাশাপাশি লিখতেন রম্যরচনা। তাছাড়াও লিখেছেন অজস্র সঙ্গে গল্প, ছোট উপন্যাস ও শিশু সাহিত্য। তার 'ডোডো-তাতাই' বিখ্যাত শিশু চরিত্র। বাংলা সাহিত্যে সার্থক রম্য লেখকদের মধ্যে পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি নক্ষত্র রায় এবং 'গ্রন্থকীট ছদ্মনামেও লিখতেন। শতাধিক গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। সম্পাদনা করেছেন দুটি লিটল ম্যাগাজিন- 'পূর্ব মেঘ' ও 'কয়েকজন'।
১৯৯৫ সলে শিরোমণি পুরস্কার ও কথা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারাপদ রায়।
উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ: ক খ গ ঘ, কাণ্ডজ্ঞান, বিদ্যাবুদ্ধি, জ্ঞানগম্যি, বুদ্ধিশুদ্ধি, শোধবোধ, জলভাত, এবং গঙ্গারাম, পটললাল, র্বাণী এবং, বলা বাহুল্য, বালিশ, কী খবর, ধারদেনা, ঘুষ, রস ও রমণী, শেষমেষ, সরসী,
জলাঞ্জলি, সন্দেহজনক, বাঁচাবার, স্ত্রী রত্ন, মেলামেশা, মারাত্মক, ভদ্রলোক, বানরেরা মানুষ হচ্ছে, ডোডো তাতাই পালাকাহিনী, ছাড়াবাড়ী পোড়াবাড়ী, টমটমপুরের গল্প, দুই মাতালের গল্প ও অন্যান্য, ভাগাভাগি, সর্বনাশ, রম্যরচনা ৩৬৫।
কবিতার বই: তোমার প্রতিমা (১৯৬০), ছিলাম ভালবাসার নীল পতাকাতে স্বাধীন (১৯৬৭), কোথায় যাচ্ছেন তারাপদবাবু (১৯৭০), নীল দিগন্তে এখন ম্যাজিক (১৯৭৪), পাতা ও পাখিদের আলোচনা (১৯৭৫), ভালোবাসার কবিতা (১৯৭৭), দারিদ্র্যরেখা (১৯৮৬), দুর্ভিক্ষের কবিতা, জলের মত কবিতা (১৯৯২), দিন আপনি দিন খাই (১৯৯৪), টিউবশিশুর বাবা (১৯৯৫), ভালো আছো গরীব মানুষ (২০০১), কবি ও পরশিনী (২০০২)
সূত্র: উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩০

রিফাত হোসেন বলেছেন: ছোটকালে প্রচুর বই উপহার পেতাম। বর্তমান সময়ে খুব কম মানুষেরই বইয়ের প্রতি আগ্রহ আছে। ইউটিউব দুনিয়াকে একটু ঘুরিয়ে দিয়েছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

আবদুল্লাহ আফফান বলেছেন: তখন বই পেলে রাগ হতো। এখন বই পাই না বলে রাগ হয়। সময়ের সাথে কত কিছু বদলে যায়।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জানলাম তারাপদ রায় সম্পর্কে। ওনার বর্তমান অবস্থা কি?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

আবদুল্লাহ আফফান বলেছেন: ২০০৭ সালের ২৫ আগস্ট তিনি মারা যান।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে বাঙ্গলা সাহিত্যের সুবিখ্যাত সাহিত্যিক তারাপদ রায় সন্মন্ধে সল্প পরিসরে বেশ অনেকখানি তথ্য দেবার জন্য।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৯

আবদুল্লাহ আফফান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.