![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুজুররা আপনাদের থেকে বিজ্ঞান চিন্তায় এগিয়ে
গত কয়েকদিন ধরে দেখছি, বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় মহিলা ফুটবল খেলার বিরোধীতা করছে ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ নামক একটি ইসলামী সংগঠন (http://bit.ly/2FQScun)। কিন্তু এই বিরোধীতার বিরুদ্ধে লেগেছে মিডিয়াসহ একটি বিশেষ শ্রেণী। তারা দাবি করছে, হুজুর শ্রেণী নাকি পশ্চাৎপদ ও আধুনিকতাবিরোধী। কিন্তু আমি দেখছি উল্টা, হুজুররা ঐ বিশেষ শ্রেণীর থেকে চিন্তা ভাবনায় অগ্রগামী ও বিজ্ঞান চিন্তায় অনেক এগিয়ে, যার কারণে তারা এই নারী ফুটবলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
যেমন ধরুন, মহিলা ফুটবল। পুরো বিজ্ঞানবিরোধী কার্যক্রম। মহিলাদের জন্য ফুটবল খেলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। একজন মহিলা যদি লাফালাফি-ঝাফাঝাপি করে, তবে তার ভেতরের নারী অর্গানগুলোর কি হবে, একবার চিন্তা করেছেন ? আর মাসের বিশেষ সময়গুলোতে যদি কোন নারী ফুটবল খেলে, লাফালাফি করে, ঝাপাঝাপি করে, তখন তার ইউটেরাস কি স্বাভাবিক থাকবে ? ফুটবল খেলায় অনেক সময় নারীদের তো মাতৃত্ব ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আবার ফুটবল খেলতে গিয়ে লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার প্রবনতা খুব বেশি। খেলার সময় ফুটবলারদের খুব দ্রুত দিক পরিবর্তন, অকস্মাৎ দাঁড়িয়ে পড়া বা খেলা শুরু করা, শূন্যে লাফ দেয়া, নিজ অক্ষের উপর ঘুরে যাওয়া- এসব করতে হয় প্রতিনিয়তই। এছাড়াও ক্রমাগত ট্যাকলের শিকার হয় ফুটবলাররা। মোটকথা একজন ফুটবলারের শরীরের যে কোনো জায়গার চেয়ে হাঁটুতে চাপ পড়ে অনেক গুণ বেশি। এতে প্রায়ই ফুটবলারদের লিগামেন্ট ছিড়ে যায়। উইকিপিডিয়া বলছে, একজন পুরুষ ফুটবলারদের তুলনায় এক নারী ফুটবলারের লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার প্রবণতা ৩ গুনেরও বেশি। (http://bit.ly/2tSUqI1, http://bit.ly/2FIhmzg)
সে দিক থেকে যারা কুড়িগ্রামে নারী ফুটবল খেলার বিরুদ্ধে বলছে, তারা অবশ্যই বিজ্ঞানমনষ্ক এবং নারীর ভালো চায়। অপরদিকে যারা নারী ফুটবলের কথা বলছে তারাই বরং বিজ্ঞানবিরোধী, নারীবিরোধী এবং পশ্চাৎপদ।
https://goo.gl/eJwynb
©somewhere in net ltd.