![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি জাতি তাদের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে থাকলে যে কত উন্নতি লাভ করতে পারে তা চায়নাতে এসে কিছুটা হলেও অনুমান করতে পেরেছি। গতকাল সন্ধায় আমাদের ভার্সিটিতে "International jewelry festival" উপলক্ষে আয়োজিত একটি "Cultural program" এ গিয়েছিলাম। সেখানে প্রাদেশিক ও ডিভিশন এর উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা অতিথি হিসাবে ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রদেরকে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য পুরস্কার দেয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্য করলাম কেউ কোন ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেনি। এমনকি thank you বা welcome ও নয়। এর অর্থ এই নয় যে তারা ইংরেজি পারে না। বরং তারা নিজেদের ভাষাকে সবক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়। অপর দিকে আমরা বাংলাদেশী আমাদের রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। আমরা তা ভুলে গিয়ে পশ্চিমা হিন্দি সিরিয়ালের বাস্তা পচা সংস্কৃতি চর্চায় প্রতিযোগিতা করি। আমরাই পৃথিবীতে একমাত্র জাতি, যারা ভাষার জন্য ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু আজ বাংলা ভাষার দুর্দিন যাচ্ছে। যে যত শিক্ষিত সে তত ইংরেজি বলাকে আধুনিক ভাবে। এভাবে চলতে থাকলে এক দিন বাংলা ভাষার অস্তিত্ব খুজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তাই নতুন করে আমাদেরকে ভাবতে হবে।
২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৪
সাহসী সত্য বালক বলেছেন: কেন ভাইয়া? কিছু কি ভুল বলেছি
২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ইংরেজি ভাষা বর্জন করার মাধ্যমে দেশপ্রেম প্রমান করার মতো বোকামি আর কিছু হতে পারে না | বাংলাদেশের গোটা অর্থনীতির ভিত্তিটাই দাঁড়িয়ে আছে বিদেশী মুদ্রা অর্জনের উপর এবং এর সিংহভাগ আসে রেমিটেন্স থেকে | প্রবাসে বাংলাদেশী ভাইরা কাজে কর্মে অনেক পরিশ্রমী হওয়া সত্বেও তাদের চেয়ে বেশি বেতনের কাজগুলো নিয়ে নেয় ভারতীয়রা | এর কারণ একটাই, ভারতীয়দের ইংরেজির দক্ষতা অনেক বেশি |
এখন চাইলেও বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত এই সকল প্রবাসী বাঙালিরা ভারতীয়দের মতো ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না | কিন্তু ভবিষ্যতের জনশক্তি রপ্তানির সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে অবশ্যই বর্তমান প্রজন্মকে ইংরেজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে খুব সিরিয়াস হতে হবে | বাংলাদেশের যেকোন পেশার সাথে জড়িতরাই বেশ দক্ষ | তাদের একটিমাত্র দুর্বলতা হচ্ছে ইংরেজিতে দক্ষতার অভাব | আজ যদি তারা এতে দক্ষ হতো, আমরা সারা বিশ্বে ভারতীয় এবং পাকিদের চাইতে বিভিন্ন পেশায় ডমিনেট করতাম |
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:০৮
কালীদাস বলেছেন: নিজের ভাষায় জ্ঞান/বিজ্ঞানের চর্চা করতে পারা নিঃসন্দেহে গৌরবের ব্যাপার। তবে আপনাকে নেটওয়র্কিং বজায় রাখতেই হবে যুগের সাথে আপটুডেট থাকার জন্য। ধরেন, আজকে সুইডেন লাং ক্যান্সারের কার্যকর একটা ওষুধ মার্কেটিং শুরু করল, আপনি কি সেটা না নিয়ে আপনার দেশের সায়েন্টিস্টরা কবে করে সেটার জন্য অপেক্ষা করে রোগী মারবেন? দুয়েকটা দেশের এরকম সিলি ইগোর বাড়াবাড়িটা হাস্যকর লাগে। সেকেন্ড, অন্যের সংষ্কৃতির বাজে দিক অবশ্যই পরিত্যাজ্য, তাই বলে সুনর্দিষ্ট কারণ ছাড়া অন্য ভাষার প্রতি ঘৃণা প্রশ্নসাপেক্ষ।
আমার সাথে এক চাইনিজ রিসার্চ এসিসট্যান্ট কাজ করছে গত তিন সপ্তাহ ধরে। সে আমাকে পরশু বেশ কিছু কারণ জানাল কেন সে আর চায়নায় ফিরতে চায় না। ক্যাপিটালিস্টদের আগ্রাসণ ঠেকানোর জন্য গুগল, ইউটিউব, হোয়াটসআপ, বিবিসি,.... সব ব্লকড। হাস্যকর। মাথা ব্যাথা ঠেকাতে মাথা কাটা। নিজের পলিসির বিন্দুমাত্র সমালোচনা মানতে পারে না যে পলিসি সেটা কতটা গ্রহণযোগ্য?
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টির সাথে সহমত হতে পারলাম না।
আমি আশাবাদী মানূষ।