![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অগ্রগামিতার সিঁড়ি
‘বিবর্তন’ শব্দটি অনেক সময় উন্নতি বা অগ্রগতি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সাধারণেরা অনেক সময় আলাপ-আলোচনায় নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক পরিবর্তন বোঝাতে ‘নৈতিক বিবর্তন’ শব্দ ব্যবহার করে থাকেন; যেমন নারী অধিকারের স্বীকৃতি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা। আধুনিক প্রযুক্তিকে যখন প্রাচীনকালের শিকারির অস্ত্রের সাথে তুলনা করা হয়, তখন বলা হয় ‘প্রযুক্তির বিবর্তন’। আসলে এক্ষেত্রে ‘বিবর্তন’ বলতে এমন কিছু বোঝানো হচ্ছে যা নির্দেশ করে তুলনামূলক উন্নত পর্যায়ে অগ্রগতি লাভ করা। এই অজৈবিক বিবর্তনের বহুল প্রচারে কারণে মানুষ জৈববিবর্তন সম্পর্কেও ভাবে, ‘নীচু থেকে উঁচু স্তরে গমনের কোন সিঁড়ি হিসেবে।’
বিবর্তনের সিঁড়ি ধারণার মূলে রয়েছে প্রাচীন গ্রিক এবং মধ্যযুগীয় ইউরোপের বিশ্ব-প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণায়। এই ধারণাকে অত্যন্ত স্পষ্টভাষায় প্রকাশ করে ‘গ্রেট চেইন’; যা পঞ্চদশ থেকে অষ্টাদশ শতকব্যাপী ইউরোপে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী মতবাদ হিসেবে পরিচিত ছিল। গ্রেট চেইন-এর মূল বিষয়গুলো এরকম : ঈশ্বর এবং তার সৃষ্টির একটি পদক্রম (hierarchy) রয়েছে, যার একেবারে নীচে রয়েছে সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বস্তু বা জীব আর একদম শীর্ষে রয়েছেন ঈশ্বর নিজে। নীচ থেকে উপরের ক্রমটি অনেকটা এভাবে সাজানো : শিলা, খলিজ, উদ্ভিদ, প্রাণী, মানুষ, দেবদূত, ঈশ্বর।
গ্রেট চেইন-এর এই ধারণাটি মোটেই বিবর্তনকে সামনে রেখে তৈরি করা হয়নি। ঐ সময় বদ্ধমূল বিশ্বাস ছিল ঈশ্বর বহু বছর আগে প্রত্যেক জীবকে একেবারে নিখুঁতরূপে আধুনিক গঠনে সৃষ্টি করেছেন। গ্রেট চেইনকে বর্ণনা করা যায় শ্রেণীবিন্যাসের একটি পদ্ধতি হিসেবে এবং ডারউইনিয় বিপ্লবের আগেই এটি জনসমর্থন হারাতে থাকে। পরবর্তীতে ডারউইনের তত্ত্ব ও এর পরিমার্জিত রূপ গ্রেট চেইনের সকল শাখা-প্রশাখা ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলে।
আধুনিক জীববিজ্ঞানে বিবর্তন প্রকৃতির ঊর্ধ্বমুখী উদ্দেশ্যের পানে কোনো অগ্রগামিতাকে নির্দেশ করে না।৫ জিনের পরিব্যক্তি (mutation) সম্পূর্ণ দৈবচয়নের (random) ভিত্তিতে হয়ে থাকে।
গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের ডারউইনের ফিঙ্গে (Finch) পাখির ডিএনএ নিয়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় (Petren et al. 1999) অত্যন্ত চমৎকারভাবে জানা গেছে, ‘কেন অগ্রগামিতা বা উন্নতির ধারণা বিবর্তনের সাথে মেলে না।’ গবেষণার ফলাফল হতে দেখা যায়, প্রথম যে ফিঙ্গে পাখিগুলো, ওয়ার্বলার ফিঙ্গে (Certhidea olivacea) এই দ্বীপপুঞ্জে আসে, যাদের তীক্ষè ঠোঁট তাদেরকে ভাল পতঙ্গভূক বানিয়েছে। ওয়ার্বলার ফিঙ্গে থেকে পরে কিছু সংখ্যক ফিঙ্গে পাখি বিবর্তিত হয়েছে, যাদের মধ্যে একটি হল Geospiza ভূমি ফিঙ্গে, তাদের বড় ও প্রশস্ত ঠোঁট বীজ ভাঙার উপযুক্ত; আরেকটি Camarhynchus গেছো ফিঙ্গে পাখি, তাদের ভোঁতা ঠোঁট গাছ-গাছড়া খাওয়ার জন্য খুব ভালভাবেই অভিযোজিত হয়েছে।
যদিও এই বীজ খেকো, গাছ খেকো ফিঙ্গে পাখিগুলো পতঙ্গভূক ফিঙ্গে পাখিগুলো থেকেই বিবর্তিত হয়েছে কিন্তু কোন বিবর্তনের সিঁড়ি অনুসারে পূর্বসূরিরা উত্তরসূরি অপেক্ষা উন্নত বা উচ্চশ্রেণীর নয়। গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে ফিঙ্গে পাখিদের বিবর্তন প্রাথমিকভাবে খাদ্যসংস্থানের উপর ভিত্তি করে তাড়িত হয়েছে; যেমন ভূমির ফিঙ্গে পাখিরা বীজ, গাছের ফিঙ্গে পাখিরা গাছের বাকল এবং ওয়ার্বলার ফিঙ্গে পাখিরা পতঙ্গের উপর নির্ভরশীল। যদি গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে কোন কারণে বীজের সংকট দেখা দিত, তবে কল্পনা করা যায় বীজভূক ফিঙ্গে পাখিরা এই দ্বীপপুঞ্জ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেত। অন্যদিকে ‘বেশ পুরনো প্রজাতি’ পতঙ্গভূক ফিঙ্গে পাখিরা আরো ভালোভাবে টিকে থাকত। অর্থাৎ গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের ফিঙ্গে পাখির বিবর্তনের আলোকে বলা যায়, ‘উঁচু’-‘নীচু’ ধারণাটি জৈববিবর্তনের সাথে মোটেই সম্পর্কিত নয়। পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বা অভিযোজন-ই প্রধান। প্রজাতি কিভাবে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেবে, সেটা আগে থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়; যদি পরিবেশের কোন কারণে তীব্র পরিবর্তন ঘটে তবে যে অভিযোজন ক্ষমতা প্রজাতির টিকে থাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারত, সে অভিযোজন ক্ষমতা তখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।
যদিও জীববিজ্ঞানীরা জৈববিবর্তনের ক্ষেত্রে ‘গ্রেট চেইন’ বা এই ধরনের অগ্রগামিতার সিঁড়ি’র ধারণাকে জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন, তবে এই ধরনের ধারণা এখনো জনসংস্কৃতিতে ব্যাপক পরিসরে বিদ্যমান। একটি নির্ভুল সাদৃশ্যপূর্ণ ধারণা একটি ঝোপের মত হতে পারে, যা বিভিন্ন দিকে তার ডালপালা-শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে রয়েছে। বিবর্তনকে যদি এভাবে চিন্তা করা যায়, তবে উন্নতির ধারণার দ্বারা আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যাবে; কারণ একটি ঝোপের শাখা-প্রশাখা বিভিন্ন দিকে তিন মাত্রাতেই বৃদ্ধি পেতে পারে, এবং নতুন শাখা পুরনো শাখার কাছের গুঁড়ি হতে অধিক দূরবর্তী কোন গুঁড়ি সৃষ্টি হতে পারে। একটি সদ্য নতুন গজানো শাখা পুরাতন কোনো শাখা হতে বেরিয়ে এসেছে, যেমন প্রজাতিগুলো আরেকটি প্রাচীন প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়েছে, এর অর্থ এই নয় যে তা কোনো অগ্রগতি বা উন্নতি নির্দেশ করে। প্রকৃতিতে টিকে থাকতে হলে প্রজাতিকে তার নিজের পরিবেশের সাথেই প্রয়োজনীয় অভিযোজন করে নিতে হবেই।
মিসিং লিঙ্ক
১৯৯৯ সালের ২২ এপ্রিল আমেরিকার ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় একটি রিপোর্ট বেরিয়েছিল, “ফসিলগুলো হতে পারে মানুষের হারানো সূত্র।” ইথিয়োপিয়াতে আবিষ্কৃত ফসিল সম্পর্কে পত্রিকাটির ভাষ্য হচ্ছে : “...এটা হতে পারে মানুষের ঠিক আগের পূর্বপুরুষ।” আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ রবার্ট ব্রুম (Robert Broom) দক্ষিণ আফ্রিকার গুহা থেকে তাঁর আবিষ্কৃত ‘এপ-ম্যান’দের ফসিল নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন, ÔFinding the Missing linkÕ (১৯৫০)। ঐ ১৯৫০ সাল থেকে পরবর্তীতে ‘মিসিং লিঙ্ক’ (হারানো সূত্র) নিয়মিত আবিষ্কার হচ্ছে। কিভাবে এই ‘হারানো সূত্র’ বারবার আবিষ্কৃত হচ্ছে?
এই সমস্যাটি একটি ভুল ‘রূপক’ শব্দের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা যখন ‘মিসিং লিঙ্ক’ শব্দটি বলি, তখন আমরা একটা রূপকার্থক শিকলের সাথে জড়িত হয়ে পড়ি : ‘যে শিকল অনেক পেছনের সময় পর্যন্ত বি¯তৃত। প্রত্যেকটি লিঙ্ক একেকটি প্রজাতিকে নির্দেশ করে; একেকটি জীবনের বৈচিত্রের সাথে সম্পর্কিত। প্রতিটি লিঙ্ক আরো দুটি লিঙ্কের সাথে সংযুক্ত; একটা ইঙ্গিত করে অতীতের, আরেকটি ভবিষ্যতের। একটি লিঙ্ক ভাঙার মাধ্যমে এই শিকলের অংশগুলোকে আলাদা করা যায়, মধ্যবর্তী সম্পর্কও ভেঙে দেওয়া যায়। আবার হারিয়ে যাওয়া লিঙ্ক খুঁজে পেলে পুনরায় সেই শিকল জুড়ে দেওয়া যায়।-এই আকর্ষণীয় রূপকটির পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, এটা বহু আকাক্সিক্ষত অধরা ‘মিসিং লিঙ্ক’ সন্ধানের নাটক চালু রাখতে সহায়তা করে।
কিন্তু এই রূপক শব্দটি যতটা আকর্ষণীয়, ঠিক ততটাই বিভ্রান্তিকর। জীববিজ্ঞানের টাইপোলজিক্যাল (typological) যুগ থেকে প্রচলিত ছিল- প্রতিটি প্রজাতি জীবনের ‘গ্রেট চেইন’-এর সাথে সংযুক্ত এবং প্রজাতিরা সবাই অপরিবর্তিত।’ জন রে (১৬২৭-১৭০৫) এবং ক্যারোলাস লিনিয়াস (১৭০৭-১৭৯৭) উভয়েই জীববিজ্ঞানে শ্রেণীবিন্যাসকরণের স্থপতি (তাঁদের কেউই বিবর্তনবাদী ছিলেন না), জীবিত প্রজাতিগুলোকে একটি ধারায় বর্ণনা করার চিন্তা করতেন। এটি এমন একটি ধারা, ঈশ্বর যা স্থাপন করে দিয়েছেন। (জন রে মনে করতেন, হুল ফুটানো পোকার ‘ঈশ্বর প্রদত্ত’ কাজ হল পাপীদের আঘাত করা)। কিন্তু একটি শিকলের সংযোগগুলো যেখানে ধারাবাহিকতাহীন, অপরিবর্তনীয়, এবং সহজেই সংজ্ঞায়িত করা যায়, সেখানে জীবের গ্র“পকে এভাবে সহজেই সংজ্ঞায়িত করা যায় না।৬ সাধারণভাবে আমরা ‘প্রজাতি’ বলতে বুঝি, নিজেদের মধ্যে বংশবিস্তার করতে পারে এমন গ্রুপ, যা অন্য গ্রুপের সাথে বংশবিস্তার করে না বা করতে পারে না। কিন্তু প্রজাতি স্থির নয় (সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়), আর এটাও নিশ্চিত করা কঠিন যে, কোথায় একটি প্রজাতির শেষ হবে এবং অন্য প্রজাতির উদ্ভব ঘটবে। এই কারণে অনেক আধুনিক জীববিজ্ঞানীরা একটি ‘পরম্পরাগত রূপক’কে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে থাকেন, যেখানে ক্রম হতে একটি প্রাণীর রূপভেদ (shade) উদীয়মান অন্য প্রাণীর উদ্ভবের আলো হয়ে দেখা দেয়।৭ জীবন এভাবে কোন সংযোগের পর সংযোগের মাধ্যমে সজ্জিত নয় বরং ক্রমান্বয়ে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এই শিকল (মিসিং লিঙ্ক) যতটুকু শুনতে ‘রূপকার্থ’; বাস্তবিক (অর্থগতভাবে) এটি অনেক অনেক বেশি দূরে।
অর্থাৎ ‘রূপকার্থে শিকল’ পুরোপুরি ভুল। আজকে আমরা জীববিজ্ঞান সম্পর্কে যা জানি, এই শব্দগুচ্ছ তার কোনটিই প্রকাশ করে না। বরং চারশত বছর আগে জীববিজ্ঞান সম্পর্কে যা জানা গিয়েছিল, তাই তুলে ধরে। তারপরও রূপকথাটির বর্তমানে টিকে থাকার কারণ হল এর সুবিধা; সহজেই বোঝায়, প্রজাতি হচ্ছে (জীবের মধ্যে) ‘অসংলগ্ন কতিপয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কোন শ্রেণীমাত্র’, দুটি প্রজাতির মধ্যেকার পর্যায় নয়। স্কুলে থাকতে আমরা উদ্ভিদ ও প্রাণীর সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলো পাঠ করেছি। সমস্যা এখানে নয়, সমস্যা তখন, বিবর্তনের প্রধান শাখাটি প্রায় প্রকাশ করতে পারে না যে, কোন সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলো সময়ের সাথে পরিবর্তিত হবে।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রবন্ধ, কিংবা রবার্ট ব্রুমের বই, উভয় জায়গাতেই Australopithecenes -এর আবিষ্কার সম্পর্কে বলা হয়েছে; ওরা আফ্রিকান হোমিনিড৮ আজ থেকে প্রায় ত্রিশ লক্ষ বছর আগে বাস করত। তারা বর্তমানের আধুনিক মানুষদের মত সোজা হয়ে হাঁটতে পারত, কিন্তু তাদের শিম্পাঞ্জি-সদৃশ বড় দাঁত ছিল এবং (শিম্পাঞ্জি-সদৃশ) ছোট মস্তিষ্ক। অস্ট্রেলোপিথেসিনরা শিম্পাঞ্জিদের ঢিবির উইপোকা খাওয়ার জন্য তৈরি ভোঁতা প্রান্তবিশিষ্ট সরু লাঠির তুলনায় জটিল অনুন্নত পাথরের হাতিয়ার তৈরি করতে পারত কিন্তু তা Homo গণ (Genus) অন্তর্ভুক্ত আমাদের পূর্বপুরুষদের তৈরি হাতিয়ারের তুলনায় সাদামাটাই ছিল। শরীরসংস্থানবিদ্যা আর আচরণের ভিত্তিতে দেখলে অস্ট্রেলোপিথেসিনদের ‘অর্ধ-মানব’ বলা যায়। এও মনে করা হয়, হয়তো অস্ট্রেলোপিথেসিনদের কিছু ভিন্ন জাতি থেকে Homo জিনাসের প্রথম দিককার পূর্বপুরুষ উদ্ভূত। ব্রুম সঠিক ছিলেন এবং ওয়াশিংটন পোস্টও; একটি ‘মিসিং লিঙ্ক’ সত্যিই খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। নাম হচ্ছে Australopithecus । এই Homo গণের মতোই Australopithecus গণের অনেকগুলো প্রজাতি ছিল; এবং ঐড়সড় জিনাসের আগের ক্রম হিসেবে আলাদা করে Australopithecus জিনাসের ধারাবাহিকতাহীন কোন রেখা অঙ্কন করা সম্ভব নয়। আর ‘হারানো সূত্র’ (Missing link) গরংংরহম ষরহশ) শব্দের ব্যবহারের বদলে বরং বলা উচিত আমরা কিছু ‘ক্রম’ (grade) বা ‘রূপভেদ’ (shade) খুঁজে পেয়েছি।৯
আমরা আমাদের শব্দ ব্যবহারকে পরিবর্তন করে ‘রূপক’-এর ভুল প্রয়োগ থামাতে পারি। ক্লাসরুমের ভিতর, পাঠ্যবইয়ে, ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলোচনায়, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আমাদের বলা শুরু করা উচিতআমরা ‘একটি হারানো সূত্র’ খুঁজছি, ‘হারানো সূত্রটি’ নয়। আরো ভালো হয় যে, আমরা ‘মিসিং লিঙ্ক’ (হারানো সূত্র) শব্দগুচ্ছটির স্থলে অন্য কোন নিখুঁত শব্দ ব্যবহার শুরু করি।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫৯
পাপারাজ্জি বলেছেন: এই লেখাটী আগে যুক্তি পত্রিকার ৩য় সংখ্যায় এবং মুক্তমনা ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম পর্বে সেটা উল্লেখও করেছিলাম।
রেফারেন্স সবগুলো একত্রে ৩য় পর্বে দিয়ে দিব। +++ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫০
পাপারাজ্জি বলেছেন: আগামী পর্বে সমাপ্য