নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবিদুল ইসলাম রিমন

¤ রাষ্ট্রের বেলায় নয়,প্রেমের বেলায় স্বৈরাচার হও। -অখ্যাত লেখক আবিদুল ইসলাম রিমন

আবিদুল ইসলাম রিমন

বৃষ্টির শহর সিলেটে বৃষ্টিহীন কোন এক দুপুরে জন্ম হয় আমার।জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম আবিদুল ইসলাম হলেও ভালোবাসার মানুষরা আদর করে ডাকেন রিমন ।কি আর করা!তাই লেখা লেখি করি আবিদুল ইসলাম রিমন নামে ।বর্তমানে বিবিএ নিয়ে পড়ছি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি তে ।পাশাপাশি নিয়মিত রম্য গল্প এবং আইডিয়া লিখি দৈনিক কালের কন্ঠের ফান ম্যাগাজিন \'ঘোড়ার ডিম\' এ ।যদিও রম্য লেখার চেয়ে সিরিয়াস লেখাটা লিখতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। \n\nইচ্ছে আছে পৃথিবীতে এক হাঁজার বছর বেঁচে থাকার ।তবে সেটা মৃত্যুর আগে নয়,কর্মের মাধ্যমে মৃত্যুর পরে ।স্বপ্ন দেখি পড়া লেখার পাঠ চুকিয়ে লেখা-লেখিটা কে পেশা হিশেবে নেয়ার ।যদিও আমার কাছের মানুষরা বলে, সেটা করলে আমাকে নাকী না খেয়ে মরতে হবে ।দেখেন অবস্থা!

আবিদুল ইসলাম রিমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা রাজপথে পিকেটিং !

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

আমি কোন দিন একাত্তরের হায়না পাকিস্তানি মিলিটারি দের বাস্তবে দেখিনি।দেখার কথাও না!কারণ আমার জন্ম হয়েছে ৯০ দশকে। ৯০ দশকের মানুষ ৭০ দশকের জিনিস দেখেনা।এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক বই পড়ে তাদের সম্পর্কে সু-স্পষ্ট ধারণা পেয়েছি ।যাই হোক কথা সেটা না।আসল কথায় আসি।



ঘটনা টা ঘটেছিলো দুদিন আগে।বুঝতেই পারছেন তখন অবরোধ ছিল।এদিকে আমার একটা জরুরী কাজের জন্য যেতে হবে মফস্বল শহর বিয়ানীবাজারে।না গেলে কাজটা হবেনা আবার বিশাল দৌড়ের উপর পড়ে যেতে হবে ।তাই কোন ভাবেই রিক্সটা নিতে চাই নি।সেজন্য অনেক টা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠলাম সিএনজি তে।উদ্দেশ্য বিয়ানীবাজার যাবো।এদিকে সিএনজিতে যাত্রী বলতে শুধু আমি।পাঁচ জন পূর্ণ হতে চার জন বাকী।পাঁচ জন যাত্রী পূর্ণ না হলে সাধারণতো সিএনজি'র পাইলটরা সিএনজি ড্রাইবিং সিটে বসেন না।পাঁচ জন পূর্ণ হলে তবেই বসেন।এটা তাদের অলিখিত নিয়ম।অবশ্য ড্রাইবারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এই নিয়ম বানচাল করা যায়।সেজন্য শর্ত হিসেবে আপনাকে খালি সিট গুলার টাকা দিতে হবে।তো সে যাই হোক,সিএনজি তে একা একা বসে কানে স্বভাব বিরুদ্ধ হেড ফোন গুঁজে ফেইসবু...কিং করছি আর অনাগত যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছি।ঠিক সেই সময় কানে এলো একটা শব্দ।"মিলিটারি আসছে"এই টাইপের কিছু একটা (এখন বুঝতে পারছি কানে হেড ফোন থাকার কারণে তখন "পিকেটার"শব্দ টা বিবর্তন হয়ে আমার কানে আসছে"মিলিটার কিংবা মিলিটারি" হয়ে )।তো শব্দটা শুনে সাথে সাথে সিএনজি থেকে নেমে যাই।এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি;আমজনতার এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি,পুলিশের গাড়ির হুইসেল, বুলেটের শব্দ...মানুষ জন দোকান পাট বন্ধ করছে,সিএনজি ওয়ালারা তাদের সিএনজি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে,আবার দেখলাম;আমার বয়েসি কয়েকটা ছেলে পুলিশ কে লক্ষ করে ইট এবং ককটেল ছুঁড়ছে । অবশ্য পুলিশও বসে নেই!তারা তাদের সাধ্য মতো পাল্টা আক্রমণ করছে।বলা যায় সব মিলিয়ে মুহূর্তটা তখন ছিল পুরো বিভীষিকাময়! আমি কল্পনা করিনাই জীবনে এই রকম একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতিতে পড়বো!





যাই হোক,এখন উপর ওয়ালাই জানেন সামনে এই টাইপের পরিস্থিতি আর কতোটা দেখতে হবে !!!!!!আমি কোন দিন একাত্তরের হায়না পাকিস্তানি মিলিটারি দের বাস্তবে দেখিনি।দেখার কথাও না!কারণ আমার জন্ম হয়েছে ৯০ দশকে। ৯০ দশকের মানুষ ৭০ দশকের জিনিস দেখেনা।এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক বই পড়ে তাদের সম্পর্কে সু-স্পষ্ট ধারণা পেয়েছি ।যাই হোক কথা সেটা না।আসল কথায় আসি।



ঘটনা টা ঘটেছিলো দুদিন আগে।বুঝতেই পারছেন তখন অবরোধ ছিল।এদিকে আমার একটা জরুরী কাজের জন্য যেতে হবে মফস্বল শহর বিয়ানীবাজারে।না গেলে কাজটা হবেনা আবার বিশাল দৌড়ের উপর পড়ে যেতে হবে ।তাই কোন ভাবেই রিক্সটা নিতে চাই নি।সেজন্য অনেক টা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠলাম সিএনজি তে।উদ্দেশ্য বিয়ানীবাজার যাবো।এদিকে সিএনজিতে যাত্রী বলতে শুধু আমি।পাঁচ জন পূর্ণ হতে চার জন বাকী।পাঁচ জন যাত্রী পূর্ণ না হলে সাধারণতো সিএনজি'র পাইলটরা সিএনজি ড্রাইবিং সিটে বসেন না।পাঁচ জন পূর্ণ হলে তবেই বসেন।এটা তাদের অলিখিত নিয়ম।অবশ্য ড্রাইবারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এই নিয়ম বানচাল করা যায়।সেজন্য শর্ত হিসেবে আপনাকে খালি সিট গুলার টাকা দিতে হবে।তো সে যাই হোক,সিএনজি তে একা একা বসে কানে স্বভাব বিরুদ্ধ হেড ফোন গুঁজে ফেইসবু...কিং করছি আর অনাগত যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছি।ঠিক সেই সময় কানে এলো একটা শব্দ।"মিলিটারি আসছে"এই টাইপের কিছু একটা (এখন বুঝতে পারছি কানে হেড ফোন থাকার কারণে তখন "পিকেটার"শব্দ টা বিবর্তন হয়ে আমার কানে আসছে"মিলিটার কিংবা মিলিটারি" হয়ে )।তো শব্দটা শুনে সাথে সাথে সিএনজি থেকে নেমে যাই।এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি;আমজনতার এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি,পুলিশের গাড়ির হুইসেল, বুলেটের শব্দ...মানুষ জন দোকান পাট বন্ধ করছে,সিএনজি ওয়ালারা তাদের সিএনজি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে,আবার দেখলাম;আমার বয়েসি কয়েকটা ছেলে পুলিশ কে লক্ষ করে ইট এবং ককটেল ছুঁড়ছে । অবশ্য পুলিশও বসে নেই!তারা তাদের সাধ্য মতো পাল্টা আক্রমণ করছে।বলা যায় সব মিলিয়ে মুহূর্তটা তখন ছিল পুরো বিভীষিকাময়! আমি কল্পনা করিনাই জীবনে এই রকম একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতিতে পড়বো!





যাই হোক,এখন উপর ওয়ালাই জানেন সামনে এই টাইপের পরিস্থিতি আর কতোটা দেখতে হবে !!!!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.