![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃষ্টির শহর সিলেটে বৃষ্টিহীন কোন এক দুপুরে জন্ম হয় আমার।জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম আবিদুল ইসলাম হলেও ভালোবাসার মানুষরা আদর করে ডাকেন রিমন ।কি আর করা!তাই লেখা লেখি করি আবিদুল ইসলাম রিমন নামে ।বর্তমানে বিবিএ নিয়ে পড়ছি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি তে ।পাশাপাশি নিয়মিত রম্য গল্প এবং আইডিয়া লিখি দৈনিক কালের কন্ঠের ফান ম্যাগাজিন \'ঘোড়ার ডিম\' এ ।যদিও রম্য লেখার চেয়ে সিরিয়াস লেখাটা লিখতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। \n\nইচ্ছে আছে পৃথিবীতে এক হাঁজার বছর বেঁচে থাকার ।তবে সেটা মৃত্যুর আগে নয়,কর্মের মাধ্যমে মৃত্যুর পরে ।স্বপ্ন দেখি পড়া লেখার পাঠ চুকিয়ে লেখা-লেখিটা কে পেশা হিশেবে নেয়ার ।যদিও আমার কাছের মানুষরা বলে, সেটা করলে আমাকে নাকী না খেয়ে মরতে হবে ।দেখেন অবস্থা!
বান্ধবী ইভা প্রায় দশ-পনেরো দিন ধরে আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে ফেলছিলো ।আমি কিছু জিজ্ঞাস করলে বলতো; আমি আপনাকে চিনিনা!
আচানক ব্যাপার !আমাকে চিনেনা !
আমি বলি; ইভু !
সে বলে; আপনি আমাকে ইভু বলেন কেন?
বিরাট বড় ঘটনা ।নিশ্চয় ইভাকে আমি কিছু বলছি । সেজন্য সে আমার উপর রেগে আছে ।রেগে গেলে মেয়েরা এমন করে ।আগে জানতাম না, এখন জানি ।ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছু জানতে হবে ।জানার কোন শেষ নেই ।কিন্তু ইভা আমার উপর... কেন রেগে আছে সেটা ধরতে পারিনা! আমি আবার ইভাকে মেসেজ করি; ইভু !
সে আবার বলে; আজব !আপনি আমাকে ইভু বলেন কেন? আমাকে শুধু আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড ইভু বলে ডাকে ।
এবার ইভার কথায় আমি সত্যি সত্যি লজ্জা পেয়ে গেলাম ।লজ্জায় আমার মুখ লাল হলো ।সেই লাল এক পর্যায়ে রক্তের লালের সাথে মিশে গেলো । লজ্জার লাল+রক্তের লাল= কঠিন রাগ ।অর্থাৎ এক পর্যায়ে এই দুই লাল মিলে আমার কঠিন রাগ হলো ।আমি রাগান্নিত হলাম ।তাই ঠিক করলাম; যত দিন আমার রাগ কমবে না, ততো দিন ইভার সাথে কোন কথা বলবো না।এর পর সেকেন্ড যায়, মিনিট যায়,ঘন্টা যায় এমন কী দিন যায়; ইভার সাথে আমি কোন কথা বলিনা ।সেও বলেনা ।একদিন রাতে only me করে স্ট্যাটাস শেয়ার করলাম;মেয়েরা এত্ত নিষ্ঠুর ক্যারে?
অবশ্য তখনো আমি জানতাম না ইভা আমাকে 'সারপ্রাইজ' দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ।
তো এভাবেই যাচ্ছিলো দিন কিন্তু হঠাৎ একদিন চ্যাটে মেসেজ করলো আমার আরেক বান্ধবী, জুঁই । সুন্দর চোখের জন্য যে ক্যাম্পাসে বিখ্যাত ।যাই হোক, সে আমাকে মেসেজ করলো; দোস্ত, তোর সাথে দেখা করতে চাই!
জুঁইর মেসেজ দেখে আমার হার্ট বিট বেড়ে গেলো ।সুন্দরী মেয়েদের চাহনী কিংবা চ্যাটের নকে আমার হার্ট বিট বেড়ে যায় ।আবেগে নয়,জড়তায় ।আমি বললাম; কেন?
সে বললো; দরকার আছে!
-কিসের দরকার?
-চ্যাটে বলা যাবে না !
-একটু বল!
-তোর সেকশনের একটা ছেলে আমাকে ফলো করে ।
-তুই কী তার প্রেমে পড়ে গেছিস?
-দূর না ।সে আমাকে ডিস্টাব করে ।
কী আর করা ।আমি গেলাম তার সাথে দেখা করতে ।অবশ্য তখনো আমি জানতাম না; ইভার সাথে জোট বেধে জুঁই ও আমাকে 'সারপ্রাইজ দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত'।অবশ্য তখনো আমি জানতাম না; বেগম জিয়া আর বেগম এরশাদেরও জোট বাঁধা সম্ভব!
তো জুঁইর সাথে দেখা হওয়ার পর সে আমাকে নিয়ে গেলো রেস্টুরেন্টে ।সেখানে যেয়ে আমি অবাক ।অনেকটা টিনের চালের কাকের মতো !
একটা টেবিল ।সেখানে রাখা একটা কেক ।জুঁই বসতে বললো; আমি বসলাম ।হঠাৎ চেয়ে দেখি হাসি হাসি মুখ করে ইভা আসছে । আমি টের পেলাম ইভার উপর থেকে আমার রাগ চলে গেছে ।কেন? বুঝলাম না!অবশ্য একটা জিনিস ঠিক বুঝলাম; ইভা,জুঁই, আর কেক; এই তিনটা, একটা ষড়যন্ত্রের(!) অংশ ।যে ষড়যন্ত্রের কবলে পড়লে মানুষ ধন্য হয় ।যে ষড়যন্ত্রের কবল সবার ভাগ্যে জুটে না ।ইভা,জুঁই দুজনই আমাকে জন্মদিনের উইশ করলো ।আমি অভিভূত হলাম ।এর পর তারা আমার সামনে বসলো ।আমি কেক কাটলাম ।তার পর গল্প হলো, আড্ডা হলো, খাওয়া হলো ।এবং সেই সাথে মুগ্ধও হলাম ।রুপবতী দুই টা মেয়ে আমার সামনে বসা দেখে নয়, তাদের আন্তরিকতায় ।যাই হোক, তোমরা দুই জন কেই বলি; আমাকে আমার লাইফের সবচে সুন্দর এবং স্বরণীয় দিন উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিয়ে তোদের বড় করতে চাইনা ।তবে এই টুকু বলি; পরম করুণা ময় যেনো তোদের খুব ভালো একেক টা স্বামী দেন ।যারা সব সময় তোদের কথা শুনে ।এমনকি তারা যেনো না- থাক
(এই মাসের ৫ তারিখ আমার জন্মদিন ছিল।এই লেখাটি সেদিন লিখছিলাম)
©somewhere in net ltd.