![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃষ্টির শহর সিলেটে বৃষ্টিহীন কোন এক দুপুরে জন্ম হয় আমার।জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম আবিদুল ইসলাম হলেও ভালোবাসার মানুষরা আদর করে ডাকেন রিমন ।কি আর করা!তাই লেখা লেখি করি আবিদুল ইসলাম রিমন নামে ।বর্তমানে বিবিএ নিয়ে পড়ছি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি তে ।পাশাপাশি নিয়মিত রম্য গল্প এবং আইডিয়া লিখি দৈনিক কালের কন্ঠের ফান ম্যাগাজিন \'ঘোড়ার ডিম\' এ ।যদিও রম্য লেখার চেয়ে সিরিয়াস লেখাটা লিখতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। \n\nইচ্ছে আছে পৃথিবীতে এক হাঁজার বছর বেঁচে থাকার ।তবে সেটা মৃত্যুর আগে নয়,কর্মের মাধ্যমে মৃত্যুর পরে ।স্বপ্ন দেখি পড়া লেখার পাঠ চুকিয়ে লেখা-লেখিটা কে পেশা হিশেবে নেয়ার ।যদিও আমার কাছের মানুষরা বলে, সেটা করলে আমাকে নাকী না খেয়ে মরতে হবে ।দেখেন অবস্থা!
-গত কাল রাতে তোমার মন খারাপ ছিল।সেজন্য রাতে আমি ঘুমুতে পারিনি।
-কি করছিলেন তখন?
-চেষ্টা করছিলাম একটা কবিতা লিখতে।কারন আমার বিশ্বাস ছিল,কবিতা পড়লে নিশ্চয় তোমার মন ভালো হয়ে যাবে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি কবিতা লিখতে পারিনি।কারন আমি জানি,কবিতা লিখার অসাধারন প্রতিভা নিয়ে আমার জন্ম হয়নি।
-তার মানে আপনি ব্যর্থ কবি!
-ব্যর্থ কবি নয়,ব্যর্থ অকবি বলতে পারো।কারন আমি যে এখনো কবি হয়ে উঠতে পারিনি।
-ঠিক আছে বুঝলাম!কিন্তু একটা জিনিস ঠিক মাথায় ঢুকলো না!আমার যে মন খারাপ সেটা আপনাকে কে বললো?আজব।
-জানিনা!
-আর কি জানেন না আপনি,শুনি?
-এই যে তোমার সৌন্দর্যের কথাই ধরা যাক।আমার দেখা পৃথিবীর অদ্ভুত সুন্দরী মেয়ে তুমি।আমার কেন যেন মনে হয়,প্রতিটি সৌন্দর্যের একটা শেষ আছে।কিন্তু তোমার বেলায় হয়েছে তার উল্টো।বলা যায় তোমার সৌন্দর্যের কোন শেষ নেই!যত দেখি ততো প্রেমে পড়ি! কিন্তু সেটা কেন হয়?জানিনা!
-গতকাল রাতে থেকে এখন অব্দি আমার মনটা খুব খারাপ ছিল।কিন্তু সেটা কাউকে বলিনি।আপনি কিভাবে বুঝলেন জানিনা!তবে একটা কথা সত্য;আপনার কথা শুনে এখন আমার মন ভালো হয়ে গেছে!
-তাই!
-খুশি হওয়ার কিছু নাই।আপনার কথা ভালো লেগেছে সত্য!তাই বলে আমি পটে যাইনি।আমাকে পটানো অনেক টাফ।আমি খুব সিরিয়াস মেয়ে!
-তোমাকে পটানোর জন্য তো আমি কথা গুলো বলিনি!
-তাহলে কেন বলছেন,শুনি?
-পটানোর জন্য বলেন নাই তাহলে কেন বলছেন, শুনি?
- যেটা সত্য সেটা বলছি!তবে তোমাকে আমি কখনো পটানোর চেষ্টা করবো না!যদিও তোমাকে আমি প্রচণ্ড ভালবাসি।
-আমাকে ভালোবাসেন অতচ পটানোর চেষ্টা করছেন না!এটা বিশ্বাস যোগ্য?
-অবশ্যই বিশ্বাস যোগ্য!
-কথাটা ব্যাখা করবেন ?কৌতূহল বশত জানতে চাচ্ছি।অন্য কিছু ভাইবেন না আবার!
-ধরো,তোমাকে পটানোর জন্য বললাম,তোমার শূন্য দৃষ্টির তাকানোটা অসম্ভব রকমের সুন্দর।এতো অপূর্ব,এত মায়াভরা একটা চোখের প্রেমে আমি পড়েছি,ব্যাপারটা ভাবতেই বুকের মধ্যে কেমন কেমন করে।আচ্ছ,সেই কেমন কেমনটা কি ভালবাসা।যদি তাই হয়,তাহলে আমি তোমাকে খুব ভালবাসি।
-তারপর!
-তোমার মমতা ভরা চোখে,চোখ রাখার অধিকার কাকে দিবে জানিনা!তবে একটা কথা জেনে রাখো মেয়ে,আমার মতো এতো ভালোবাসা নিয়ে তোমার দিকে কেউ কখনো তাকাবেনা!
-তারপর!
-তারপর ধরো তুমি আমার কথা শুনে পটে গেলে।এরপর দুজন চুটিয়ে প্রেম করলাম।যথারীতি একসময় বিয়ে।এরপর আমাদের সংসার শুরু হলো।আমি সংসার চালানোর জন্য অফিসে আর বাড়ীতে দৌড়া দৌড়ি করি।তুমি বাড়ীতে সারাক্ষণ একা একা থাকো।কাজের ব্যাস্ততায় আমি তোমাকে ঠিক মতো সময় দিতে পারিনা।একসময় বাড়িতে একা থাকতে থাকতে তুমি আবিস্কার করবে,আমি তোমাকে ভালবাসিনা।বিয়ের আগে তোমার সাথে যেভাবে কথা বলতাম,সেভাবে বলিনা।তারপর এক সময় এ নিয়ে দুজন খুব ঝগড়া করলাম।
-তারপর !
-তুমি রেগে গিয়ে আমাকে তালাক দিয়ে দিবে।বুঝবার চেষ্টা করবানা আমাকে।
-ও মাই গড!আজব লোক তো আপনি!দুই দিন মাত্র কথা হল,তার মধ্যে প্রেম,বিয়ে,সংসার সব কিছু আমাকে দিয়ে করিয়ে শেষ পর্যন্ত আমাকেই দিয়েই আবার তালাক দেওয়ালেন?
-আমার ব্যাখ্যাটা তো শেষ হয়নি!শেষ করতে দাও।
-আর ব্যাখা করতে হবে হবে না।যা করছেন মাশাল্লাহ!ছেলে মেয়ের কথা বলেন নাই,সেটা অনেক!
-ছেলে মেয়ের কথা বললে খুশি হতা!
-খুশি হতাম মানে?পণ্ডিত কোথাকার !
-আমি পণ্ডিত?
-পণ্ডিত নয় তো কি?আপনার সাথে যেদিন প্রথম দেখা হয়,সেদিন দেখলাম আপনি চুপচাপ বসে আছেন।চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। আমরা সবাই কত্ত মজা করছি আর আপনি চুপচাপ বসে আছেন। ভাব এমন,আমি মহা পণ্ডিত!
-তুমি সেদিন আমাকে দেখছিলা লুকিয়ে লুকিয়ে?ওয়াও।
-আপনা কে লুকিয়ে দেখতে যাবো কোন দুঃখে!আমার হটাত আপনার দিকে চোখ পড়ছিল তাই দেখছি!তাও মাত্র একবার দেখছি!
-এখন বার বার দেখতে ইচ্ছে করে!রাইট?
-আপনাকে বারবার দেখতে ইচ্ছে হবে কেন?
-কারন,তুমি আমাকে ভালোবাসো!
-একদম ভালবাসিনা আপনাকে!
-সেটা তো আমি চাই!
-কেন চান?
-আমার মনে হয়,তোমার ভালোবাসা অনেক বিশাল একটা ব্যাপার !সেটা পাওয়ার যোগ্যতা সবার নেই।কারো কারো থাকে!আর এই কারোর মধ্যে আমি নেই,আমি জানি!অবশ্য এ নিয়ে আমার কোন দুঃখবোধ নেই।বরং সুখ বোধ আছে। আর সেই সুখবোধটা আমি তখন অনুভুব করি; যখন মনে হয় আমি তোমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসি।
-আমাকে আপনি প্রচণ্ড ভালবাসেন!আপনি চান না আমি আপনাকে ভালোবাসি! দুটি কথা বিশ্বাস করলাম,কিন্তু একটা জিনিস ঠিক বুঝলাম না;আপনি আমাকে ভালবাসার কথা বলছেন কেন?যেহতু আপনি আমার ভালোবাসা চাননা!আর মানুষ তো ভালবাসার কথা বলে পাওয়ার জন্য,না কি?
-আমি মানুষটা খানিক মুখচোরা স্বভাবের!কখনো কাউকে ভালোবাসার কথা বলা তো দুরের কথা,কারো সাথে ঠিক মতো কথা বলতে পারিনা।এটা আমার অহংবোধ নয়,জড়তা।কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম;তোমাকে ভালোবাসার পর থেকে আমার কেন যেনো মনে হল,তোমার সাথে কথা বলে তোমাকে বলা উচিত,আমি তোমাকে ভালোবাসি।কারন,তোমার জানা জুরুরি;পৃথিবীর একটা ছেলে তোমাকে খুব ভালোবাসে!তার ধারনা,তার চেয়ে বেশী তোমাকে কেউ ভালবাসেনা!আর বিশ্বাস করো মেয়ে,তোমাকে ভালোবাসি ভালোবাসার জন্য,পাবার জন্য না।
-মিঃ পণ্ডিত,আপনার ধারনা ভুল!আপনার চাইতে ও আমাকে একজন বেশী ভালোবাসে!
-তুমি ভালোবাসার প্রতিমা!তোমাকে সবাই ভালবাসবে!কিন্তু আমার চাইতে বেশী কেউ ভালবাসতে পারবে না!প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করে দেখতে পারো!
-ধরো,পরীক্ষা করলাম।এবং সেই পরীক্ষায় তুমি ফার্স্ট মার্কস পেলে।কি করবে তখন?আমাকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা করবে !
-মোটেই না!অবশ্য সেই ভালোবাসার পরীক্ষা্র রেজাল্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে,তোমাকে আরো বেশী ভালবাসবো!
-আমাকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা করবেন না কেন,শুনি?
-তুমাকে আমি খুব ভালোবাসি।এতোটা ভালোবাসি যে,আমার ধারনা;তুমাকে কাছে পেলে খুশিতে আমি মরে যাবো।আমি মরতে চাইনা,বাচতে চাই।বেচে থেকে তোমাকে প্রচণ্ড ভালবাসতে চাই।
-তার মানে তুমি আমার জন্য বাঁচতে চাও?
-এতদিন আপনি করে বলছ!আজ হঠাত তুমি করে বললা!ব্যাপার কি?পটে গেছো?
-এই যে মিঃপণ্ডিত,আপনে একটু বেশী বুঝেন!আমি তোমাকে পছন্দ করিনা।সো পটে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা!
-পছন্দ করো না, তাহলে কথা বল কেন?
-সেরেফ ভদ্রতার জন্য!
-তুমি কি সবার সাথে কথা বল,ভদ্রবতী হওয়ার জন্য!
-এভাবে বলছেন কেন!আমি সবার সাথে কথা বলি না!আর ভদ্রতা ব্যাপারটা আমি ঐ ভাবে মিন করিনাই!
-তুমি আমাকে মাত্র দুদিন দেখছ!এরপরও আমার সাথে এতো কথা বললে!হোয়াই?
-তুমি আমাকে প্রশ্ন করবানা প্লিজ!
-আবার তুমি?
-একশো বার তুমি বলবো!তুমি তুমি তুমি!এনি প্রবলেম?
-তুমি কেন, জামাই বললেও আমার কোন প্রবলেম নেই!কারন,আমার আইনে নারীর কোন দণ্ডের ব্যাবস্তা নাই!
-ফাজিল,হাতের কাছে পেলে মার দিতাম নিশ্চিত!
-কোন অধিকারে মারবা?(চলবে)
( এই স্ট্যাটাসে লেখা সংলাপ গুলো লেখকের নিছক কল্পনা মাত্র।বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই(কছম)।তবে কেউ যদি মিল খুঁজে পান তাহলে লেখক মাইন্ড করবেন।কারণ লেখক এই টাইপের কথা কাউকে বলতেই পারেন না।যাই হোক,লেখক ঠিক করেছেন;এখন থেকে প্রতি শুক্রবার এই টাইপের লুতপুত সংলাপ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবেন।অবশ্য যদি আপনারা চান তাহলে তিনি প্রতিদিন আপনাদের জন্য এই সিরিজ লিখতে পারবেন।সেক্ষেত্রে আপনাদের শুভ দৃস্টি প্রয়োজন।ভালো থাকেন)
০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
আবিদুল ইসলাম রিমন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
আমিজমিদার বলেছেন: লুতুপুতু লেখা দেইখা মনে হইল, অনেকদিন ধইরা ইটিস পিটিস করা হয় না। কৈরা আসি