![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃষ্টির শহর সিলেটে বৃষ্টিহীন কোন এক দুপুরে জন্ম হয় আমার।জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম আবিদুল ইসলাম হলেও ভালোবাসার মানুষরা আদর করে ডাকেন রিমন ।কি আর করা!তাই লেখা লেখি করি আবিদুল ইসলাম রিমন নামে ।বর্তমানে বিবিএ নিয়ে পড়ছি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি তে ।পাশাপাশি নিয়মিত রম্য গল্প এবং আইডিয়া লিখি দৈনিক কালের কন্ঠের ফান ম্যাগাজিন \'ঘোড়ার ডিম\' এ ।যদিও রম্য লেখার চেয়ে সিরিয়াস লেখাটা লিখতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। \n\nইচ্ছে আছে পৃথিবীতে এক হাঁজার বছর বেঁচে থাকার ।তবে সেটা মৃত্যুর আগে নয়,কর্মের মাধ্যমে মৃত্যুর পরে ।স্বপ্ন দেখি পড়া লেখার পাঠ চুকিয়ে লেখা-লেখিটা কে পেশা হিশেবে নেয়ার ।যদিও আমার কাছের মানুষরা বলে, সেটা করলে আমাকে নাকী না খেয়ে মরতে হবে ।দেখেন অবস্থা!
লাইফে অনেক সময় অনেক ভাবে অর্থ উপার্জন করলেও লেখালিখি করে এই প্রথম অর্থ উপার্জনের চেক হাতে পেলাম ।এবং এটা সম্ভব হয়েছে মেহেদী ভাই এবং আসাদ ভাইয়ের আন্তরিকতায় । বিশেষ করে আসাদ ভাই শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের পকেটের টাকা খরচ করে আমার চেক গুলা কুরিয়ার মাধ্যমে পাঠিয়েছেন ।আর তা না হলে তো চেক গুলা অধরাই থেকে যেতো।অবশ্য সেজন্য তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ ।
যাইহোক, এখন বলি চেক গুলা দিয়ে কি করলাম ।অবশ্য প্রথমেই বলে নেই, আমি কালের কন্ঠ থেকে সর্ব মোট চারটি চেক পেয়েছি ।যার মধ্যে দুটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই ।অবশ্য মেয়াদ থাকলেও চেক গুলা আমি ভাঙাতাম না ।নিজের কাছে সৃত্মী হিসেবে রেখে দিতাম ।অনেকে হয়তো বলতে পারেন নিজের কাছে রেখে দেওয়ার মানে কি? হুঁ, তাদের জন্য ফোন থেকে পাওয়া আসাদ ভাইয়ের একটা উক্তি.. :v
"প্রথম চেক গুলা নিজের কাছে রেখে দিন ।ভাঙাবেন না ।অনেক দিন পর একসময় হয়তো আপনার নাতি নাতনিদের চেক গুলা দেখিয়ে বলতে পারবেন, এই দেখো! তোমাদের দাদা একসময় কালের কন্ঠে লিখে আয় করতো ।"
হা হা হা ।বাকি রইলো আরো দুইটা চেক ।এর মধ্যে একটা মোটা অংকের চেক ব্যাংকে যেয়ে চেয়েছিলাম ভাঙাতে ।কিন্তু পারিনি ।কারণ,ব্যাংক কর্ম কর্তাদের ভাষ্য এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী আমার নাম, আবিদুল ইসলাম ।লেখকী নাম আবিদুল ইসলাম রিমন না ।সো চেক টা কোন উপায়ে ভাঙানো যাবে না ।
যাই হোক, চেক টা নিয়ে যখন রিকশা করে বাসায় আসছিলাম তখন পথে একটু পর চেক টার দিকে তাকিয়ে ছিলাম ।চেক টা ভাঙাতে পারিনি তাতে কি? লেখালিখি করে অর্থ উপার্জনের চেক
টা তো আমি প্রাণ ভরে দেখতে পারছি । এটাই বা কয় জনের ভাগ্যে জুটে! সত্যি কথা বলতে কি,লেখালিখি করে প্রথম অর্থ উপার্জনের চেক পাওয়ার অনুভূতি আসলেই ভাষায় প্রকাশ
করা সম্ভব না ।
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
মামুন রশিদ বলেছেন: অভিনন্দন । চেকগুলো থাকুক স্মৃতি হয়ে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০২
শামীম সুজায়েত বলেছেন: চেকের টাকা অহেতুক নষ্ট না করে, সেটির দুই পাশ কালর ফটোকপি শেষে লেমেনেটিং করে রেখে দেন। জিনিসটি সংরক্ষিত থাকবে এবং প্রমান হিসাবে সবাইকে ভবিষ্যতে দেখাতে পারবেন। এরপর আপনার কাছে থাকা "একাউন্ট পে" চেকগুলো আপনার যে ব্যাংকে একাউন্ট আছে, সেখানকার ক্লিয়ারিং সেকশনে জমা দিন। আপনার নামেই (আবিদুল ইসলাম) যদি সেখানে একাউন্ট থাকে এবং আপনার হাতে আসা চেকটিতে আবিদুল ইসলাম এর স্থলে "আবিদুল ইসলাম রিমন" হলে দোষের কিছু নেই। ব্যাংকার চাইলে এটি গ্রহন করতে পারেন। এটি কোন অপরাধ না বা অবৈধ কাজ না। আপনি ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সাথে আলাপ করতে পারতেন।
সহজ কথা হলো আপনার ব্যাংক কর্মকর্তা তো "করিমের" নামের স্থলে "রহিমের" নাম লেখা চেক গ্রহন করছেন না। তিনি আপনার নামে লেখা চেক গ্রহন করছেন। প্রয়োজনে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপিতে স্বাক্ষর দিয়ে চেকের সাথে জমা দিন।এটি তো সঠিক ওই চেকের মালিকানা নিয়ে আপনি ছাড়া আর কেউ দাবিদার নেই।
ব্যাংকে গিয়ে ডিপোজিট স্লিপে আপনার নাম একাইন্ট নম্বর লিখে চেকটি ক্লিয়ারিং সেকশনে জমা দিলে সেটি "রেগুলার ভেল্যু চেক" ( ৫ লাখ টাকার নিচের অংকের চেক/পে অর্ডার) হিসাবে পাশ হয়ে আসবে, যদি চেক প্রদানকারী একাউন্ট হোল্ডার/প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে টাকা থাকে। কালেরকন্ঠের ক্ষেত্রে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আপনার চেক পাশ হয়ে আসবে।
তবে মেয়াদ পার হয়ে যাওয়া চেকের ক্ষেত্রে আইনগত মূল্য নেই। সেটি কাছে থাকা না থাকা একই বিষয়। এই চেকগুলোকে বলা হয় " আউট অব ডেট।" ব্যাংক এই চেক গ্রহন করবেনা।
আপনার এবং চেক প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট যদি একই ব্যাংকে হয়ে থাকে, তাহলে সেখানে ক্লিয়ারিং এর কিছু লাগছেনা, আপনার নিজের একাউন্টে জমা দিলে সেটি তখনই পাশ হয়ে যাবে।
চেকে যদি ক্রস চিন্হ না থাকে অর্থাৎ "একাউন্ট পে" না হয়, তাহলে সেখানে রিমন কেনো, "রিমন সুজায়েত" লেখা থাকলেও কোন সমস্যা নেই। ওটিকে বলা হয় ক্যাশ চেক।
জানিনা আপনার চেকগুলো কত টাকার। অল্প টাকা হলে না হয় চুপ থাকলেন। দৌড়ঝাপ করে সময় নষ্ট না হয় করলেন না। কিন্তু
টাকার পরিমান বেশি হলে আমি বলবো ভুল হচ্ছে। স্রেফ ফটোকপি যেখানে শতভাগ প্রমান দিতে পারে, সেখানে বোকার মত কাজ করছেন। প্রয়োজন মনে করলে ফাস্টক্লাস গেজেটেড অফিসারকে দিয়ে ফটোকপি টা সত্যায়িত করে রাখলেন! কিন্তু উপার্জিত টাকা কেনো আপনি ভোগ করবেন, না?
তবে আপনি অঢেল টাকার মালিক বা পরিবারের সন্তান হলে ভিন্ন কথা! নিজে খরচ করতে না চাইলে আমাদের বলেন। আমরা যারা আপনার এই পোস্ট পড়ছি, তাদের কিছু না কিছু গিফট করে দিলেন!!!!!!!!
লেখালেখি করে পাওয়া চেকের প্রমান রাখতে চান-
চেকগুলো হাতে নিয়ে জুম করে ছবি তুলুন,
" শেলফি" লিখে ছেড়ে দিন ফেসবুকে,
ভিডিও করে রাখুন,
ইউটিউবে আপলোড দিন,
ওয়েবে ফাইল শেয়ার ছাড়ুন।
জানিনা অনধিকার চর্চা করে ফেললাম কিনা। ভাল থাকবেন।