নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবিদুল ইসলাম রিমন

¤ রাষ্ট্রের বেলায় নয়,প্রেমের বেলায় স্বৈরাচার হও। -অখ্যাত লেখক আবিদুল ইসলাম রিমন

আবিদুল ইসলাম রিমন

বৃষ্টির শহর সিলেটে বৃষ্টিহীন কোন এক দুপুরে জন্ম হয় আমার।জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম আবিদুল ইসলাম হলেও ভালোবাসার মানুষরা আদর করে ডাকেন রিমন ।কি আর করা!তাই লেখা লেখি করি আবিদুল ইসলাম রিমন নামে ।বর্তমানে বিবিএ নিয়ে পড়ছি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি তে ।পাশাপাশি নিয়মিত রম্য গল্প এবং আইডিয়া লিখি দৈনিক কালের কন্ঠের ফান ম্যাগাজিন \'ঘোড়ার ডিম\' এ ।যদিও রম্য লেখার চেয়ে সিরিয়াস লেখাটা লিখতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। \n\nইচ্ছে আছে পৃথিবীতে এক হাঁজার বছর বেঁচে থাকার ।তবে সেটা মৃত্যুর আগে নয়,কর্মের মাধ্যমে মৃত্যুর পরে ।স্বপ্ন দেখি পড়া লেখার পাঠ চুকিয়ে লেখা-লেখিটা কে পেশা হিশেবে নেয়ার ।যদিও আমার কাছের মানুষরা বলে, সেটা করলে আমাকে নাকী না খেয়ে মরতে হবে ।দেখেন অবস্থা!

আবিদুল ইসলাম রিমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ- লেখা চুরি !

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫২

আগে আমার লেখা স্ট্যাটাস কপি হইতো আর এখন বলা কথা গুলা কপি পেস্ট হয়ে যায়।ব্যাপারটা যেমন মজার,ঠিক তেমন তিক্তও বটে।অবশ্যি প্রথম প্রথম আমার লেখা কেউ চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দিলে বেশ দুঃখ পেতাম।কালের বিবর্তনে এখন পাইনা।অভ্যেস হয়ে গেছে বলা যায়।অবশ্যি অভ্যাস না হয়েও উপায় নেই।কারণ,যখন একটা লেখা ফেইসবুকে পোষ্ট করি তখন সে লেখাটি অন্যের নামে যতোবার বিভিন্ন পেজে আর চুর দের টাইমলাইনে শেয়ার হতে দেখি,ঠিক ততবার যদি আমি দুঃখ পাই;তাহলে তো আমার কাছে ফেইসবুক ‘দুঃখিত বুক’ হয়ে যাবে মাইরি।আমি সাধারণত ফেইসবুকে মন ভালো করার জন্য আসি,দুঃখ পাবার জন্য না।

শুধু যে আমার নিজের লেখা চুরি হয়,ঠিক তা না।আমার পরিচিত অনেক বন্ধু আর লেখক বড় ভাইদের লেখা আমি অসংখ্য বার চুরি হতে দেখেছি।তাদের মধ্যে অন্যতম রম্য লেখক আসাদ ভাই,মিঠু ভাই আর Sumon​ ভাই সহ আরো অনেকেরই।আমার দারনা,তাদের লেখা যতো বার চুরি করে অন্য কেউ নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে তারা বোধয় ততোবার নিজেরাও ফেইসবুকে ঢুকেনি।অবশ্যি একদিন আমি কথা প্রসঙ্গে আসাদ ভাইকে বলছিলাম,ভাই,আপনার একটা লেখা একজন দেখলাম তার নিজের নামে চালিয়ে দিছে।আসাদ ভাই বিনয়ী মানুষ।তিনি খানিক্ষণ হেসে বললেন,লিংক দিয়েন,লাইক দিবো।

আপাতত দৃষ্টিতে আসাদ ভাই হয়তো কথাটা সহজ ভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন,কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।কারণ, সেই বাস্তবতায় আছে সুক্ষ একটা খোঁচা।যেটা একমাত্র লেখকরা অথবা যারা সৃষ্টিশীল মানুষ;তারা ধরতে পারে,কোন পাঠক না।

একজন মায়ের কাছে তার সন্তান যেমন,ঠিক তেমনি ছোট হোক বড় হোক একজন লেখকের কাছে তার লেখা তেমন।নিজের সন্তান কে অন্য কেউ তার নিজের দাবী করলে মা-বাবার যেমন কষ্ট লাগে;একজন লেখকের লেখা অন্য কোন চুর তার নিজের দাবী করলে লেখক দের ঠিক তেমনই লাগে।দুই পক্ষের কষ্ট সমান।আলাদা করার কোন উপায় নেই।
আচ্ছা,এবার নিজের প্রসঙ্গে আসি।ফেইসবুকে লেখা-লিখি শুরু করার পর এ যাবত আমার নিজের লেখা যতোবার চুরি করে কিংবা অনুমতি না নিয়ে নামে-বেনামে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল গুলোতে অথবা ফেইসুবকে বিভিন্ন পেজ বা চুর দের টাইমলাইনে দেখেছি তা হিশেব করে বলা যাবেনা।যারা ইন্টারেস্ট,তারা আমার নাম অথবা আমার লেখার অংশ বিশেষ লিখে গুগোলে সার্চ দিয়েন।তাহলে প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

এতোসব লেখার আসলে কোন মানে হয়না।কারণ কোন লেখকের কাছে এই ব্যাপার নতুন কিছু না।আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো,ছোট হোক বড় হোক,প্রায় সব লেখকের লেখাই চুরি হয়।হয়তো কারো দৃষ্টিতে সেই লেখা গুলা পরে কিংবা কারো অগোচরে থেকে যায়।অনেক লেখক হয়তো প্রতিবাদ করে আবার কেউ এড়িয়ে যায়!এটা যার যার ব্যক্তি গত ব্যাপার।কিন্তু একবারও কি আমরা ভাবী লেখকরা কেন প্রতিবাদ করে?

আমরা যারা লেখা-লিখির লাইনে আছি তাঁরা সাধারণত লেখা চুর দের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।অনেক সময় নিজেদের লেখা অন্যের নামে দেখলে ভাবি,ছেলেটা হয়তো লিখতে পারছেনা তাই আমার লেখা পোষ্ট করে দিছে।থাক।কিন্তু যখন সেই লেখা চুর নিজে বুক ফুলিয়ে বলে বেড়ায়,এটা আমার লেখা তখন যে সত্যিকার অর্থে লেখাটা লিখছে সে যতেষ্ট বিব্রত হয় এবং কষ্ট পায়।আর তখন সে প্রতিবাদ করে।উদাহরণ হিশেবে আজকে আমার নিজের জিবনে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা শেয়ার না করে পারছি নাহ।

গত বছর ফেব্রুয়ারী মাসে ঢাকায় যেয়ে একটা কমেডি শো-তে যোগ দিয়ে কয়েকটি জোকস বলছিলাম।তার মধ্যে একটা জোকস অনেকটাএরকম ছিল,

“কিছুদিন আগে আমার এক বান্ধবী জিঞ্জেস করলো,
আচ্ছা দোস্ত,তোমাকে যদি একদিনের জন্য অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট করা হয়,তাহলে তুমি কি করবে?উত্তরে আমি বলছিলাম, ঐ একদিনের জন্য আমি তোমাকে অ্যামেরিকার ফার্স্ট লেডি করে দিবো”

তো জোকসটা সেদিন বলে অনেক বাহবা পেয়েছিলাম।সেদিন থেকে আমি প্রায় জোকসটা বিভিন্ন শো-তে বলছি,ইভেন আমি সেদিন একটা গুরুত্বপুর্ণ ইভেন্টেও জোকসটা বলছিলাম।সেজন্য জোকসটা মোটামুটি পরিচিত হয়ে গেছে।মজার ব্যাপার হচ্ছে,আমার পরিচিত একটা ছেলেকে দেখলাম আজ বিভিন্ন গ্রুপে আমার এই জোকসটা তার নিজের নামে শেয়ার করছে।অবশ্যি সেজন্য আমার খারাপ লাগেনি।কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম,সে বুক ফুলিয়ে প্রচার করছে জোকসটা তার নিজের লেখা।অথচ ছেলেটার সামনেই আমি অনেকদিন জোকসটা বলছি শো-তে।তার পরও কৌতূহল বসত ছেলেটার কাছে জানতে চাইলাম,জোকসটা সে লিখছে কি না?লিখলে কয়দিন আগে লিখছে?সে বেশ বুক ফুলিয়ে বললো,জোকসটা তার নিজের লিখা এবং সে গত সপ্তাহে লিখছে।খারাপ ব্যাপার হচ্ছে,আমি বিনীত ভাবে তাকে ভুল সংশোধন করার কথা বললে,সে আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করে।যদিও জোকস টা যে তার নিজের লেখা,তার কোন প্রমাণ দিতে পারেনি।যদিও আমি প্রমাণ দিছি।এখন বুঝেন অবস্থা!কেমন লাগে?

প্রায় একবছর আগে আসাদ Asadullah​ ভাই আমাকে একটা গুরুত্বপূর্ন কথা বলেন।কথাটা হচ্ছে,আমি নাকি অনেক সুন্দর আইডিয়া ফেইসবুকে প্রকাশ করে ফেলি।যে গুলো একটু ঠিক টাক করলেই ম্যাগাজিনে ছাপা হইতো।এই আইডিয়া গুলো ম্যাগাজিন উপযোগি।ঠিক সেই রকম একটা কথা সাংবাদিক শাবুল ভাই ও একদিন বলছিলেন।আজব ব্যাপার হচ্ছে,আমি তাদের কথা আমলে নিয়ে আমার বেশ কয়েকটা স্যাটাস একটু ঠিক টাক করে ফান ম্যাগাজিনে পাঠাইছি,এবং সে গুলা প্রকাশ ও হয়েছে।যদিও আলসেমির কারণে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি।তাই টুক ঠাক আইডিয়া যা মাথায় আসে তাই ফেইসবুকে শেয়ার করি।তাছাড়া আমার উদ্দেশ্য তো একটাই,আমার লেখা পাঠকের কাছে যাবে।যাচ্ছে তো!হোক না সেটা ফেইসবুকের মাধ্যমে।

কিন্তু আজ ভালো ভাবেই টের পেয়েছি ;এই যুক্তি বখাট্য যুক্তি ছাড়া আর কিছু না।তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি,এখন থেকে আর মৌলিক কোন লিখা ফেইসবুকে পোষ্ট করবো না।শুধু মাত্র প্রকাশিত লিখা অথবা মাঝে মধ্যে নিজের ব্যক্তিগত কথাবার্তা পোষ্ট করবো।তাতে একটা কাজ হবে,কোন লেখাচুরের পিছনে সময় নষ্ট করতে হবেনা।প্রমাণ দিতে হবেনা যে,লেখাটি আমার।শুধু মাত্র যারা কনফিউশনে থাকবে তাদের বলবো,লেখাটার একটা লাইন গুগোলে সার্চ দিয়ে দেখরে!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

পদ্ম (কমল দাস) বলেছেন: :(

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৩

আবিদুল ইসলাম রিমন বলেছেন: :(

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২২

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: তাই নাকি?

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৪

আবিদুল ইসলাম রিমন বলেছেন: হুম তাই!

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনার লেখার টপিকটা গুরুত্ব পূর্ণ, সত্যিকারের প্রতিভাবানদের হাজারটা লেখা চুরি হলেও প্রতিভা তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিবে, যাই হোক শুভ কামনা রইলো, আপনার এই লেখাটায় বেশ কিছু বানানের ভূল দেখলাম একটু সংশোধন করে নিয়েন নয়তো আপনার প্রতিভার প্রতি মানুষের সন্দেহ জাগতে পারে।

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১১

আবিদুল ইসলাম রিমন বলেছেন: ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।একটা কথা,অভ্র দিয়ে লিখতে আমার যথেষ্ট সমস্যা হয়।একটা শব্দ লিখলে তার সিমিলার চলে আসে।খুব বেশী তাড়া থাকলে ব্যাপারটা চোখে পরে না।তবে চোখে পরলে চেষ্টা করি ভুল সংশোধন করে নিতে।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৫

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: @নৈশ শিকারী- ভুল বানান 'ভূল' লিখলে ভুল হয়।

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:২৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: @এরিক ফ্লেমিং ভাই সাহেব, আমি তেমন প্রতিভাবান কোনো লেখক না, ২/১টা ব্লগ পর্যন্তই আমার লেখার দৌড় শেষ, তার উপর আপনারা লিখেছেন কম্পিউটার এর বাংলা কিবোর্ড অথবা স্মার্ট ফোনের অভ্র দিয়ে, কিন্তু আমি http://www.banglatext.com দিয়ে লেখার কারণে ভুল লেখাটার ভূল সাজেস্টটাও আসে অটো কারেকশন অন করা থাকলে, তাই আমিও একটু কনফিউসড হয়ে গিয়েছিলুম, কিন্তু প্রতিভাবান লেখকের মূল পোস্টে (চুরদের,
দারণা,খুঁচা, শুরা, চুরদের, হিশেব, জিবনে, যতেষ্ট, গুরুত্ত পূর্ণ #আরো অনেক আছে#) এই ধরনের ভুল তার একটা লেখার মান নষ্ট করতে পারে আমার মনে হয় এই গঠন মূলক সমালোচনাটা লেখকের লেখায় উন্নতি আনবে, আমি এখানে লেখককে অপমান করার উদ্দেশ্যে মন্তব্য করি নাই।

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: @ নৈশ প্রহরী- অন্য ভাবে নিবেন না, অামিও স্বাভাবিক ভাবেই বলেছি।

ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় অামার এক সহপাঠী বাংলা স্যারের কাছে পিটানী খেয়েছিল এই 'ভুল' বানান টা 'ভূল' লেখার জন্য। সেই পিটানো দেখে অামি অার জীবনেও ভুল বানানটা ভুল করিনা। অার এই শব্দটা বেশি বেশি চোখে পড়ে।

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: সরি নৈশ শিকারী

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: That's not a problem bro, thanks. @এরিক ফ্লেমিং

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.