নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাইপারসনিকের মত করে সবাইকে ভালবাসি

হাইপারসনিক

তাদেরকে যে উত্‍কর্ষতায় ছাড়িয়ে গেছে তাঁকে তারা হিংসা করে,লোকেরা তাঁর সাথে শত্রুতা ও বিরোধিতা করে,ঠিক হিংসুটে রমণীদের মতো যারা হিংস-বিদ্বেষের কারণে সুন্দরী কুমারীর সম্বন্ধে বলে যে,সে হীন চরিত্রের।

হাইপারসনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দরজা বন্ধ করে ফেনের নিচে অনেক সময় বসে আছে রিহান

১০ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮

দরজা টা বন্ধ করে ফ্যানের নিচে অনেক সময়
ধরে বসে আছে রিহান ।সে আজ প্রচুর
ঘামছে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয়েছে ।
না ফ্যানের বাতাস এখন আর কোন কাজ
করছে না !!
ভিতরে আগুন লাগলে সেটা বাহির
থেকে বাতাস দিলে সেটা নিভে না ।
বরং সেটা আরো বড়ে ওঠে ।রিহানের ও তাই
হয়েছে ।তাকে আজ একটা কঠিন সিদ্ধান্ত
নিতেই হবে ।।
বুক পকেটে ছোট একটা চিঠি রয়েছে রিহানের
।সে জানে চিঠিটা তার স্ত্রী রুনু লিখেছে ।
আর এটাও জানে চিঠিতে কি লেখা আছে ।অনেক
ভয় করছে রিহানের চিঠিটা বের করে পড়তে !!
তবুও তার কোন উপায় নেই ।আজ যে কোন
একটা পথ বেছে নিছেই হবে ।এভাবে আর কোত
দিন !!!
চার ভাজের চিঠিটা বুক পকেট থেকে বের
করে চোখের সামনে মেলে ধরে এক সময়
রিহান !!
সকল দ্বিধা ভেঙ্গে চিঠিটা পড়তে শুরু করেঃ
রিহান ,তুমি চিঠিটা পেয়ে বুঝতে পেরেছো চিঠিটা কিসের
জন্য লেখেছি ।তোমার সাথে কুশল বিনিময়
করার জন্য লেখেনি ।তাই আসল
কথাটা বলে ফেলি ।
ঐ বৃদ্ধ লোকটা মানে তোমার
বাবা কি এখনো আমাদের বাসায়
আছে নাকি বৃদ্ধশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছে !
উনাকে আমার একদম সহ্য হয় না ।একমাত্র ঐ
বৃদ্ধ লোকটার জন্য আমার বাবার
বাড়ি চলে এসেছি !!
আমি চাইনা আমার বাড়িতে কোন বাড়তি মানুষ
থাক ।আর তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি হয়
আমি থাকবো না হয় তোমার বৃদ্ধ
বাবা থাকবে !!
,
এখন তুমি ঠিক করো ,তুমি কি করবে !!হয়
তোমার
বাবাকে বৃদ্ধশ্রমে পাঠাও আর
তা নাহলে আমাকে হারাতে তোমার জীবন
থেকে !!
আশা করি তোমার উত্তর টা পেয়ে যাব ।।
,
ইতি
রুনু
,
চিটিটা কয়েক বার পড়েছে রিহান । কি করবে এখন
সে ।।
,
ছোট বেলায় যখন রিহান কে নিয়ে রেল লাইন
ধরে স্কুলে নিয়ে যেত তার বাবা ।পথের
মধ্যে ব্রীজ টা দেখে হঠাত্
করে থমকে দাঁড়িয়ে যেত রিহান !! ,
চোখ দুটো বড় বড় করে স্লিপারের
মধ্যে দিয়ে ব্রীজের জলের
দিকে তাকিয়ে থাকত রিহান ।।
,
রিহানের মুখের দিকে তাকিয়ে ফিক
করে হাসি দিয়ে এক ঝাপটে রিহান কে কাধের
উপর নিয়ে বসিয়ে দিত !!
,
মাথার চুল গুলো আকড়ে ধরে চোখ দুটে বন্ধ
করে শক্ত হয়ে বসে থাকতো তার বাবার কাধের
উপর ।। ,
কখন যে ব্রীজ টা পার হয়ে অনেক টা পথ পার
হয়ে চলে যেত রিহান বুঝতেই পারতো না ।শুধু
চোখ দুটো খুলে পিছনের
দিকে তাকিয়ে থাকতো ।।
, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রিক্সায়
উঠে শক্ত করে রিহান কে ধরে রাখতো তার
বাবা ।যাতে রিক্সা থেকে পড়ে না যায় ।।
,
কথা গুলো ভাবতে ভাবতে দু চোখ থেকে কয়েক
ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে চিঠির উপর ।পূর্বের বন্ধ
দরজা টা খুলে দিয়ে রিহান !!
,
সূর্য্যটা এখনো ডুবে যায় নি ।তার
আলোটা ছড়িয়ে পড়েছে রিহানের চার
পাশে ।।
, চিঠিটার অপর পাশে দুই অক্ষরের
সম্নয়ে সৃষ্টি "বাবা" শব্দ টা লিখে বের
হয়ে আসে রিহান !!
বাবার হাত ধরে গাঁয়ের পথে পা বাড়ায়
যেখানে মানুষ তৈরীর করিগরেরা বাস করে ।
সেখানেই মাথা উচু করে বাবার
সাথে বাঁচে থাকতে চায় রিহান ।তবুও
বাবাকে সে হারাতে চায় না..............!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.