নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি বাংলাদেশ...

আবু জুবায়ের মোঃ মিরাতিল্লাহ

লেখালিখি করার চেষ্টা করি।হয় কিনা জানিনা।

আবু জুবায়ের মোঃ মিরাতিল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত ও আওয়ামী লীগের ২০১৯- নির্বাচন পরিকল্পনা / আবু জুবায়ের

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

আওয়ামী লীগ ধরেই নিয়েছে তাঁরা আগামী নির্বাচনে একটি পরিপক্ব নাটক উপহার দিতে পারবে। আর এর জন্য অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে আছে যে ভারত সব কিছু করে দেবে এবং আর ক্ষমতা দীর্ঘ মেয়েদী করতে গত ৮ বছরের ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক , রাষ্ট্রিক, গণমাধ্যম ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো অথর্ব করে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ কয়েক-ভাবে তাদের ছক সাজিয়েছে নির্বাচন জিতে নিতে পারে কিংবা যেনতেন উপায়ে ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে পারে। গত ১৫ বছর ধরে দিল্লি যে ছক তৈরি করেছে তারই ধারাবাহিকতা বর্তমানে চলছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজেদের মনোনীত লোকজনকে নিয়োগ দিয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হলেও এটি এখন ভারতের অক্সিলারি ফোর্স হিসাবে কাজ করছে । আওয়ামী লীগের রাজনীতি বলতে ভারতের নীতি আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়াই একমাত্র কাজ। আপাত দৃষ্টিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল মনে হলেও সেটি কংগ্রেস বা বিজেপির বাংলাদেশ শাখা কমিটিতে পরিণত হয়েছে।
মোটামুটি দুইভাবে নির্বাচন নাটককে সাজানো হয়েছে –
১। বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশ নিলে এক ধরনের কৌশল
২। বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশ না নিলে এক ধরনের কৌশল
১। বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশ নিলে এক ধরনের কৌশল
• ভারতের আজ্ঞাবহ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রদান
• নির্বাচন কমিশন কখন কোন সময় কি কথা বলবে সেটি লিখিতভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া
• বিএনপি যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে সেই ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে বিএনপির রাজনীতির নেতিবাচক রিপোর্ট প্রকাশ যাতে করে মনে করে বিএনপির নির্বাচনে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখেই নির্বাচন বয়কট করেছে
• অন্তত দুইশ আসনে ভারতের র এর লোকজন দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ন্ত্রণ
• ভারত-পন্থী সুশীল সমাজ আর গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম করে বড় সমাবেশ ঘটানো কিংবা নতুন ইস্যু তৈরি করে জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে ডাইভার্ট করা
• সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ এর সাথে পাতানো গুলী বিনিময় নাটক মঞ্চায়ন হতে পারে , এতে করে জনগণ মনে করতে পারে আওয়ামী লীগ দেশপ্রেমী দলে পরিণত হয়েছে
• ভারতের সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃত্রিম সংকট তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করা
• শেখ হাসিনা হঠাত ধার্মিক মুসলমান হওয়ার মত ভারত বিরোধী কথাবার্তা বলতে থাকবে এবং বিএনপি যে ভারতের প্রতি আওয়ামী লিগের থেকেও বেশি আন্তরিক সে বিষয়ে নতুন নতুন গল্প ফাঁদতে থাকবে
• বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামী গোষ্ঠীর সাথে নানা পর্যায়ে কথা বার্তা বলবে মনে হবে শেখ হাসিনা হেফাজতে ইসলামীর নতুন আমীর
• চায়নার সাথে সম্পর্ক ভালো দেখা যেতে পারে । নির্বাচনের কয়েকদিন আগে চায়নার সাথে গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে একটা এমওইউ স্বাক্ষর করতে পারে । তবে এটা মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের সাথে অন্যকোন দেশের যেকোনো চুক্তির ড্রাফট অনুমোদন দিল্লি থেকে করিয়ে নিয়ে আস্তে হয়
• শোনা যাচ্ছে ২০০ কোটি টাকার মিডিয়া ফান্ড তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ । মিডিয়ার সাংবাদিক ও পুলিশের একটা টিমের সমন্বয়ে বিশেষ বাহিনী তৈরি করা হয়েছে । যেখানে বিএনপি প্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় টাকা ছড়াচ্ছে বলে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশ করবে । পুলিশের টিম বিভিন্ন প্রার্থীর গাড়ীতে নগদ টাকা উদ্ধার করবে । আর মুন্নীসাহার মত ভারতের সাংবাদিক-গন সরাসরি প্রচার করতে থাকবে টেলিভিশনে এইভাবে “ সীতাকুণ্ড আসনের বিএনপি প্রার্থীর গাড়ীতে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে । ধারনা করা হচ্ছে এটি এলাকার বিভিন্ন ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহৃত হত। পুলিশের একটা টিম এই টাকাসহ এই আসনের বিএনপির প্রার্থীকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় বিএনপি প্রার্থী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা তৈরি হয়েছে।“ এটা অন্তত ১০০ টাকা আসনে করবে।
• কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ , আগে থেকে ব্যালট বাক্স ভর্তি কিংবা ম্যানুপুলেটেড ফল প্রকাশ ব্যবস্থাপনা তো আছেই
• বিভিন্ন এলাকায় ভোটার রা যাতে কেন্দ্রে না আস্তে পারে সেজন্য পুলিশের সহায়তায় বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী মহড়া
• বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের গণ গ্রেফতার
• বিএনপির মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা ভারতের আর আওয়ামী লীগের দালালদের ঘোষণা “ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছ । তবে আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা আরেকটি আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবো।“ বেগম খালেদা জিয়ার সাথে কে কে দেখা করতে পারবে কেকে দেখা করতে পারবে না তা নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হবে । বিভিন্ন কমিটি তৈরি করবে তাদের খেয়াল খুশি মত যাতে করে আদর্শিক বিএনপির মধ্যে আরেক মতলবি বিএনপি তৈরি হয় । মূলধারা , সক্রিয় বিএনপি নেতা কর্মীদেরকে সরিয়ে নিষ্ক্রিয় , বিতর্কিত এবং ভারতের দালালদের আস্থা-ভাজনদেরকে নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দিয়ে দেওয়া

বিএনপিসহ বিভিন্ন-দল নির্বাচনে অংশ না নিলে ভারতের উপকার হয় বেশি আর আওয়ামী লিগের তো কথাই নেই। সমালোচনা আর আলোচনার মধ্য দিয়েও ৫ বছর পার। তবে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার কৌশল সরকার খুব ভালো ভাবে তৈরি করেছে । নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগ বলতে থাকবে “ বিএনপি দেশে গণতন্ত্র চায়না” বা “ বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে” বা “ বিএনপি নির্বাচনে আসলে হেরে যাবে এই এজন্য নির্বাচন বর্জন করেছে” বা “ জামাত নির্বাচনে অংশ নিয়ে পারেনি বলে বিএনপিও নির্বাচনে অংশ নেয়নি” ইত্যাদি ইত্যাদি।
মূল কথা হলো আগামী নির্বাচন কোনভাবেই সুষ্ঠু হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না । শুদ্ধ ভারতের পাশে দূষিত বাংলাদেশ ভারতের দূষণ ক্রিয়াতেই আক্রান্ত।


মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

ত্রিকোণমিতি বলেছেন: কবি নিরব :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.