নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি বাংলাদেশ...

আবু জুবায়ের মোঃ মিরাতিল্লাহ

লেখালিখি করার চেষ্টা করি।হয় কিনা জানিনা।

আবু জুবায়ের মোঃ মিরাতিল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন করো।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২১

বাংলাদেশ আজ পরাধীন । ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ সাময়িক স্বাধীনতা পেয়েছিলো। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন কেবল মাত্র কত জন মারা গেছে সেই হিসাবে মুল্যায়ন করলে সঠিক হবে না। একটি জাতি যেখানে মৃত প্রায় সেখানে সংখ্যাটা আম্র কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধটা অনেক আকাংখিত যুদ্ধ ছিলো। এদেশের মানুষ তথাকথিত স্বাধীকার আন্দোলনের আফিম ঘোর থেকে বের হয়ে এসে যুদ্ধ করেছে । স্বায়ত্ব শাসনের দাবী যাদের ছিলো সর্বচ্চ দাবী তাদের হাত ধরে এদেশের স্বাধীনতা আসে নাই। পাকিস্তানের শাসন থেকেও খারাপ শাসন দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে। শেখ মুজিবের কাছে হটাত পাওয়া ক্ষমতা অন্ধ করে দেয় । নিজেকে ভাবতে বসে আমি এদেশের একমাত্র মালিক। ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের উপর প্রতিশোধ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় মদদ দিয়েছে । কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে তাঁর নিজস্ব শক্তি তৈরি করবে সেই স্বাধীনতার মদদ তাঁরা দেয় নাই এবং এখন পর্যন্ত তাঁরা সেটাকে খর্ব করে রেখেছে।

১৯৭৫ সালের বাকশাল ছিলো ইন্দিরা ডক্ট্রিনের সংযোজন । অনেকেই জানে না যে ইন্দিরা কন্সটিটুইশন বলে সংবিধান সংশোধন করা হয় ভারতে ১৯৭৬ সালে ।প্রজাতন্ত্র’ রূপে ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া প্রস্তাবনায় ‘ঐক্য’-এর পরে ‘সংহতি’ শব্দটিও যুক্ত হয়।
নির্দেশমূলক নীতির আলোচ্য বিষয়ে সংখ্যা বাড়ানো হয়। বেশ কয়েকটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয় : শিশুদের সুস্থ ও স্বাধীনভাবে এবং মর্যাদার সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারার জন্য সমান সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা, সমান সুযোগের ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন, শিল্প পরিচালন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা, পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ এবং দেশের অরণ্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। এই সংশোধনীবলে উক্ত অংশগুলি সংযোজনের জন্য সংবিধানের ৩৯ নং ধারা সংশোধন করা হয় এবং মৌলিক অধিকারের উপর নির্দেশমূলক নীতির প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ( উইকি)।

এখানে বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে মিল খুজে পাওয়া যায় । অর্থ্যাত বাংলাদেশের সংবিধান আর ভারতের সংবিধান একই রকম হলে কনফেডারেশন করা সম্ভব কিংবা সহজেই খবরদারি করা সম্ভব।

বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসাবে নিজেদেরকে মাথা উচু করে দাড়াতে পারে নাই। ভারতের সরাসরি খবরদারি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শক্তির দেশীয় দালালদের কারনে এই সংকট ঘনিভূত হয়ে যাচ্ছে । এদেশে বিপ্লব হয়েছে তবে সেই বিপ্লব রাস্ট্রের ক্ষমতা আহরনকে কেন্দ্র করে। সাধারণ মানুষের বিপ্লব আমরা দেখতে পাই নি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন আজ কেতাবে সন্নিবেশিত আছে কিন্তু বাস্তবেসেটি মুখ থুবড়ে পড়েছে । স্বাধীন দেশের মানুষ সত্যবাদী হয়, নৈতিক আচরনে থাকে সমুন্নত, ব্যক্তিত্ব থাকে সুদৃঢ়, দেশপ্রেম থাকে বজ্র কঠিন আর সাংস্কৃতিক চর্চা থাকে এই মাটি থেকে উতপন্ন আবেগ দ্বারা সৃষ্ট।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমরা কোথায় একত্রিত হবো, আপনি কখন জয়েন করবেন? চারিদিকে লিলিপুট?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.