নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি বাংলাদেশ...

আবু জুবায়ের মোঃ মিরাতিল্লাহ

লেখালিখি করার চেষ্টা করি।হয় কিনা জানিনা।

আবু জুবায়ের মোঃ মিরাতিল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়নে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান / আবু জুবায়ের

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬



জঙ্গিবাদ একটি সহজ সূত্র পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিজদের গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের জন্য । বিশ্বে বর্তমানে মৌলবাদ বলতেই ইসলামিক মৌলবাদকেই বুঝে থাকে। কাশ্মীরের মুসলমানরা যদি স্বাধীন দেশ চায় তাহলে তারা হয়ে যায় জঙ্গি, আরাকানের মুসলমানরা যদি তাদের দেশের থাকার অধিকার চায় তাঁরা হয়ে যায় জঙ্গি, সিরিয়াতে যদি গণতন্ত্রের কথা বলা হয় সে হয়ে যায় জঙ্গি, আফগানিস্তানে বেতন-ভুক্ত জঙ্গি রয়েছে যারা শিক্ষিত নয়, প্যালেস্টাইনরা যদি পারমানবিক বোমার প্রতিপক্ষে একটা সামান্য ঢিল ছোড়ে তাহলে তাদেরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেওয়া হয় । পশ্চিমা বিশ্ব পাইকারি অন্যায় করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। তাঁরা অন্যায় করছে আর বাদ বাকী বিশ্ব চেয়ে চেয়ে দেখছে । এসব কিছুর সুযোগ গ্রহণ করলো আওয়ামী লীগ ও ভারত। শান্তি প্রিয় , আধুনিক চিন্তায় দীক্ষিত এই জাতীর কপালে হটাত করে জুড়ে দেওয়া হলো জঙ্গিবাদের তকমা । কস্মিন কালেও বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিবাদ কি তা জানতো না । এদেশে কোন কালেও ধর্মীয় মৌলবাদ সেইভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। কোন কালেই না । কিন্তু আওয়ামী গত কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা ফর্মুলায় জঙ্গিবাদ তত্ত্ব এখানে প্রয়োগ করা শুরু করে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের মধ্যে বিভিন্ন ধর্ম মতের মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি, ধর্মী বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা , ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার , ধর্মীয় শিক্ষায় যারা শিক্ষিত তাদেরকে অপমান করা ।

ভারতের বাবরী মসজিদ ধ্বংসের সাথে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সমর্থন ছিলো বলে শোনা যায়। এছাড়া কাশ্মীর ইস্যুতে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কোন কথা বলে নি। এছাড়া এদেশের সংখ্যালঘুদের উপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন । পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ধর্মের মানুষদেরকে তাঁরা করেছে ভিটেমাটি ছাড়া । এমনকি আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিব পার্বত্য জেলায় থাকা বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠিত আত্ম পরিচয় মুঝে দিয়ে তিনি তাদেরকে জোড় করে বাঙ্গালী বানাতে চেয়েছিলেন । আওয়ামী লীগ ধাবাহিকভাবে দেশকে একটি অরাজক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছে আর আর কারণ হলো আই দলের প্রটি মানুষের কোন দুর্বলতা নেই। এরা জানে এদেশের শাসনে আস্তে গেলে দেশের মধ্যে জঙ্গিবাদ তৈরি করতে পারলেই পশ্চিমা বিশ্বের সহানুভূতি পাব । এখানে জঙ্গি আক্রমণের ফর্মুলা খুব মজার । এদেশের কোন জঙ্গি অন্য কাউকে ক্ষতি করে না নিজে নিজে মরে যায়। এমন আত্ম হত্যা প্রবণ জঙ্গি পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল ।

বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি জঙ্গি হামলার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের কোন না কোন আত্মীয় স্বজন আর সবচেয়ে ভয়ের কথা হলো। অনেক জঙ্গি বলে গ্রেফতারের পর তাদেরকেই জঙ্গি বলে মেরে ফেলা হয় । বাড়ী থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়ার দুই একদিন পর বাড়ীর লোকজন জানতে পারে তাদের সন্তান জঙ্গি হামলা করতে গিয়ে মারা গেছে। ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ৬৩টা জেলায় শুরু করে একযোগে জঙ্গি হামলা । সেই সময়টা কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায়। পুরো নাটক সাজানো আওয়ামী লীগের । অনেকে বলে থাকে যে ভারতের র এর সাথে সম্পূর্ণভাবে জ্বরিত ছিলো। দেশের মধ্যে জঙ্গী উৎপাদনের অনেক চেষ্টা করেও এরা সফল হতে পারিনি। ৯১ সাল থেকে ৯৫ সাল পর্যন্ত হাসিনা পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে আগাম বুঝিয়েছিলও যে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হতে যাচ্ছে । আর কারো কাছে সংবাদ না থাকলেও তাঁর কাছে ঠিকই ছিলো। কেননা সেই সব কিছুর মাস্টার প্ল্যানার। এর ফলে দেশের মানুষ সেখানের চাকুরী হারায়। অনেক দেশ বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন দিতে ভয় পাচ্ছিলো। অন্যদিকে দেশের গার্মেন্টস শিল্প মুখ থুবড়ে পড়তে থাকে ।

জঙ্গিবাদের ভুয়ো দর্শন ১৪০০ বছর ধরে পৃথিবী না দেখলেও এখন হটাত এর আগমন যেনো আওয়ামী লীগকেই সুবিধা এনে দিয়েছে । এখনো আমার মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের কথা। তিনি তো ট্রাম্প কার্ড দেখাতে চেয়েছিলেন । আর সেই ট্রাম্প কার্ড কি এই জঙ্গি বাদের ট্রাম্প কার্ড কিনা তা বিশ্লেষণ করা দরকার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.