![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধুত্বকে ভালবাসি। নতুন দের সাথে পরিচয়কে ইনজয় করি। আর বাস্তবভিত্তিক লেখা পড়ি ও লিখি। পসন্দের ব্যক্তিত্বের মধ্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ইসলামিক ল’প্রেকটিস করতে খুব পসন্দ করি। সমাজের যেকোন বিষয়ে ইসলামিক ল’ এর আলোকে সমাধান দিয়ে থাকি। একটি ইসলামিক ল’ ডিপার্ট মেন্টে কর্মরত।
নিজে জানুন
অন্যকে জানিয়ে দিন
বিবাহ নিছক সামাজিক কোন প্রথা নয়। বিবাহ ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। প্রিয় নবীর আদর্শ। অতএব বিবাহের আগে নিয়ত সহীহ করে নিন। এতে পুরো দাম্পত্য জীবন ইবাদতে পরিণত হবে।
বৈবাহিক বন্ধন একটি পবিত্র বন্ধনের নাম। পার্থিব-অপার্থিব বহু কল্যাণ এতে নিহিত। তাই স্বামী-স্ত্রী উভয়ে মিলে এ বন্ধন অটুট রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। বিচ্ছেদের পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় এ ব্যাপারে প্রত্যেকে সজাগ-সচেতন থাকুন।
স্বামী -স্ত্রী একে অপরের দোষ নয়; বরং গুণের দিকে বেশি নজর দিন। মানুষের গুণ দেখার এই গুণটি অর্জনের মধ্যে রয়েছে শান্তি ও সফলতা।
নিজের সঙ্গীকে একশতে একশ পাওয়ার আগে নিজের ব্যাপারে ভাবুন,আপনি একশতে একশ কি না।
তালাক আল্লাহর নিকট অত্যন্ত ঘৃণিত ও অপসন্দনীয় কাজ। তাই কেবল অতীব প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তালাক প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে। যখন-তখন তালাক প্রয়োগ অন্যায়।
স্ত্রীর কোন আচরণ বরদাশত না হলে প্রথমেই তালাক নয়। বরং দাম্পত্য সমস্যা সমাধানের কুরআনে বর্ণিত চারটি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। তথা,১,উপদেশ প্রদান,.২।অভিমান করে সাময়ীক বিছানা ত্যাগ।,৩।হালকা অনুশাসন,৪, উভয় পরিবারকে নিয়ে আপোষ বৈঠক।
তালাক রাগ প্রশমনের জন্য নয়। রাগ প্রশমিত করার জন্য তালাক উচ্চারণ মারাত্মক অন্যায়। এর থেকে বিরত থাকুন।
বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিলে অনতিবিলম্বে একজন বিজ্ঞ মুফতী সাহেবের শরণাপন্ন হোন। তাঁর থেকে জেনে নিন, তালাক প্রদানের সর্বোত্তম পন্থা কী। তালাক প্রদানের আগেই মুফতী সাহেবের শরণাপন্ন হোন। এতে আপনার সংসার ভেঙ্গে যাওয়া থেকে বেঁচে যাবে।
তালাক দেয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে কেবল এক তালাক দিয়েই ক্ষান্ত হোন। এক তালাকের বেশি নয়।
বিয়ের আগেই তালাকের ভয়াবহ পরিণতি সম্বন্ধে জেনে নিন। যদি জানা না থাকে তবে এক্ষুণি জেনে নিন।
হিল্লা বিয়ে বলতে ইসলামে কিছু নেই। প্রচলিত হিল্লা বিয়ে একটি কুসংস্কার ও মূর্খতা। এর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। হিল্লা বিয়ে নাজায়েয। শরীয়ত পরিপন্থি।
এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাকই কার্যকর হয়, এক তালাক নয়।
তালাক প্রদানের সাথে-সাথে তালাক কার্যকর হয়ে যায়। ৯০দিন অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়।
পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ,১৯৬১” এর তালাক বিষয়ক ধারাটি শরিয়ত পরিপন্থি।
তিন তালাকের পরও একত্রে ঘর সংসার করা ব্যভিচারের শামিল।
বিগত দাম্পত্য জীবনে কখনো তালাকের ঘটনা ঘটে থাকলে অতিসত্বর কোন বিজ্ঞ মুফতীর শরণাপন্ন হোন। জেনে রাখুন, তিন তালাকের পরেও ঘর-সংসার করার অর্থ হলো নিজেই নিজের জন্য জাহান্নামের গর্ত খোঁড়া।
আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করুন, রাগের অবস্থায়, অহেতুক -অকারণে তালাক উচ্চারণ করবো না।
নিজের জন্য না হোক, অন্তত নিষ্পাপ সন্তানদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তালাক উচ্চারণ থেকে নিজেকে সংযত রাখুন। নিজে বাঁচুন, অন্যকেও বাঁচান।
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
আবু আমাতুল্লাহ বলেছেন: ভাই নতুন, প্রহার শব্দটা ইচ্চাকরেই এড়িয়েছি। কারণ, শব্দটি থেকে যে চিত্র আমাদের সামনে আসে তা হল, এক কথায় -মারপিট। এটি মোটেও আয়াতে উদ্দেশ্য নয়। আয়াতে উদ্দেশ্যে হল, অন্তরে মহব্বত রেখে স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য, স্ত্রীর প্রতি চূড়ান্ত রূপে অসুন্তষ্টি প্রকাশ করার জন্য মৃদ শাসন। যেমন মেসওয়াক দ্বারা মৃদ একটা গুতো দেয়া। এখানে শাসন দ্বারা শারীরিক কষ্ট প্রদান উদ্দেশ্য নয়। এজন্য কাতাদাহ, হাসান বসরী প্রমুখ সালফে সালেহীন স্পষ্টভাবে বলেছেন,এ আয়াতে উদ্দেশ্য হল, হালকা শাসন,যাতে শরীরে কোন দাগ, ক্ষত চিহ্ন পড়বেনা। ব্যাথা হবে না। শরীরে কোন প্রভাব প্রতিক্রিয়া হবেনা। (আহকামুল কুরআনা,জাসসাস:২/১৮৯)
এবার ‘প্রহার ’শব্দটি নিয়ে চিন্তা করুন। তাতে কি ওসব জিনিষ পাওয়া যায়। প্রহার এর উদ্দেশ্যই হল,শারীরিক কষ্ট প্রদান,এতে ব্যাথাও হতে পারে, ক্ষতও হতে পারে যদিও তা হালকা হয়,। হালকা হলে ক্ষতও হালকা হতে পারে। এসব কারণে শব্দটি এড়িয়ে গেছি। এখানে এটিও মনে রাখতে হবে,যে এ ধাপটি প্রয়োগ করা অনুত্তম। এটি কেবল একটি অপশন হিসাবে রাখা হয়েছে যা কখনো কারো জন্যা কাজে লাগতে পারে। নবীজী স্পষ্ট বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারা প্রহার করে তারা ভাল লোক নয়। (সুনানে আবু দাউদ,হাদীস:২১৩৯)
সর্বোপরি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আর আপনার প্রশ্নের ভিত্তিতে একটি পোষ্ট করবো ইনশাআল্লাহ।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
নতুন বলেছেন: আয়াতে উদ্দেশ্যে হল, অন্তরে মহব্বত রেখে স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য, স্ত্রীর প্রতি চূড়ান্ত রূপে অসুন্তষ্টি প্রকাশ করার জন্য মৃদ শাসন। যেমন মেসওয়াক দ্বারা মৃদ একটা গুতো দেয়া।
যখন স্ত্রীকে আলাদা বিছানায় থাকতে হয়... তখন অন্তরে মোহাব্বত সেই পযায়ে থাকেনা যে ভয় দেখানোর জন্য মেসওয়াক দ্বারা মৃদ একটা গুতো দেয়া হয়???
এখানে মৃদু প্রহারের কথাই বলা হয়েছে...
হিল্লা বিয়ে বলতে ইসলামে কিছু নেই। প্রচলিত হিল্লা বিয়ে একটি কুসংস্কার ও মূর্খতা। এর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। হিল্লা বিয়ে নাজায়েয। শরীয়ত পরিপন্থি।
এটা খুবই বাজে একটা বিশ্বাস এখনো আমাদের দেশে অনেক মুরুব্বিরাই মানে... এই কুসংস্কারের থেকে বের হওয়া দরকার...
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫০
নতুন বলেছেন: ৩।হালকা অনুশাসন, == (হালকা প্রহার হবে শব্দটা.. )
আর নারী যদি তালাক দিতে চায় তবে কি পারবে?