![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের সুপ্রীম কৌর্টের আপীল বিভাগের একজন বিচারপতি গতকাল দেশের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করে তাঁকে অভিসংশন তথা অপসারণের অনুরোধ জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পত্র লিখেছেন।(http://www.banglamail24.com/news/106534)
সংবাদ-মাধ্যমে প্রকাশিত সেই পত্রের চিত্রপাঠে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। আমার মর্মাহত হওয়ার কারণ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ নয়। আমার মর্মাহত হওয়ার কারণ হচ্ছে অভিযোগকারী বিচারপতির পত্রে প্রকাশিত তাঁর ভাষাজ্ঞানের দুর্ভাগ্যজনক দুর্বলতা।
আমি জানি, বিচারপতিদের সম্পর্কে মন্তব্যকালে অতীব সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আমি সেই সতর্কতা অবলম্বন করেই বলছি, অভিযোগকারী বিচারপতির বাংলাভাষা জ্ঞান অতি করুণ। তিনি তাঁর পত্রে যে-মৌলিক প্রকারের ভুল করেছেন, আমি একজন শিক্ষক ও বাংলাভাষার সেবক হিসেবে তাঁকে তা ধরিয়ে দেওয়া কর্তব্য জ্ঞান করছি।
অভিযোগকারী বিচারপতি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে জিঘাংসামূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন। একবার নয়, অন্ততঃ দু'বার। প্রথম অভিযোগ করেছেন ‘খ’ অনুচ্ছেদের ২০ নং লাইনে। তিনি লিখেছেনঃ
"উক্ত পত্রের প্রেক্ষিতে ৮/৯/২০১৫ইং তারিখে আমি মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করি যে, ইতিপূর্বে অবসরে যাওয়া কোন বিচারপতিকেই নথি ফেরত দেওয়ার জন্য কখনোই বলা হয়নি, প্রধান বিচারপতি হিসাবে আমার প্রতি তাহার আচরণ বৈষম্য ও জিঘাংসামূলক।"
অভিযোগকারী বিচারপতি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে জিঘাংসমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন দ্বিতীয়বার ‘ঘ’ অনুচ্ছেদের ৫ নং লাইনে। তিনি লিখেছেনঃ
“প্রধান বিচারপতি আমার প্রতি কিভাবে বৈষম্য ও জিঘাংসামূলক আচরণ করিতেছেন, তা এই নিয়ম ভঙ্গ থেকেই প্রতিয়মান হয়।“
আমার সন্দেহ, অভিযোগকারী বিচারপতি 'জিঘাংসা' শব্দের অর্থ জানেন না। তা জানলে, তিনি এ-শব্দ ব্যবহার করতেন না। আমি তাঁকে সবিনয়ে জানাইঃ ‘জিঘাংসা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে বধ বা হত্যার ইচ্ছা।
এবার তিনি ভাবুন, প্রধান বিচারপতি কি তাঁকে হত্যা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন? অবসরে যাওয়া বিচারপতি হিসেবে অভিযোগকারী বিচারপতির কাছ থেকে নথি ফেরত চাওয়া মানে কি তাঁকে হত্যা করার ইচ্ছা পোষণ করা নির্দেশ করে?
আমি নিশ্চিত যে, অভিযোগকারী বিচারপতি জীবনে বহু বিচারকার্য সম্পন্ন করেছেন এবং রায় দিয়েছেন। তিনি হয়তো অনেক হত্যা মামলার বিচার করেছেন। সেসব বিচারে প্রোসিকিউশন হয়তো ‘জিঘাংসা’কে একটা মৌটিভ হিসেবে তাঁর সামনে তুলে ধরে মামলার সুবিচার প্রার্থনা করেছেন।
কিন্তু অভিযোগকারী বিচারপতির চিঠি থেকে আমার বৈধ সন্দেহ হচ্ছে যে, তিনি ‘জিঘাংসা’ শব্দের অর্থ না বুঝেই হয়তো অনেক রায় দিয়ে থাকবেন। তিনি তাঁর অজ্ঞতার কারণে জীবনে কতো ‘জিঘাংসা’ মৌটিভকে বুঝতে অক্ষম হয়ে, কতো যে অবিচার করে থাকবেন, তার সম্ভাবনা ভাবতে গিয়েও আমি শিউরে উঠছি।
অভিযোগকারী বিচারপতির শব্দ প্রয়োগে সঠিকতা ও পরিমিতি বোধের অভাব আছে। তিনি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে “ভয়াবহভাবে বৈষম্যমূলক” আচরণের অভিযোগ করেছেন।
আমি বুঝতে পারছি না, প্রধান বিচারপতি যদি তাঁর নিম্নবর্তী একজন বিচারপতির কাছ থেকে নথি ফেরত চান এবং তা যদি বৈষম্যমূলকও হয়, তাতে তা “ভয়াবহ” হয় কীভাবে
কপি-পেষ্ট
প্রধান বিচারপতি কি তাঁকে হত্যা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন?
লেখক : মাসুদ রানা, শিক্ষক ও বিশ্লেষক, লন্ডন
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হুম
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
শামসুদ্দিন নাকি মামসুদ্দিন ডাকাত টাইপের ক্যাডার।