![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ,পৌর নির্বাচন,বিডিআরে বিদ্রোহসহ সরকারের নানা সমালোচনা করেছেন। এর ভিতরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যা বলেছেন তা মোটামুটি এরকম,
১)আওয়ামী লীগই যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি, তারা আজ বড় মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম দিয়ে নিজের ঘরে যুদ্ধাপরাধীদেও পালছে। তাদের আত্মীয়স্বজনদের অনেকে রাজাকার।তাদের আওয়ামী লীগ খুঁজে পাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি।
২) সরিষাবাড়ীর রাজাকার মাওলানা নূরুল ইসলামকে জাতীয় পতাকা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
৩) বলা হয়, এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কত শহীদ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে, এটা নিয়েও বিতর্ক আছে।
কিন্তু অবাক করার ব্যাপার, সিলেক্টিভ চেতনাবাজরা ১ ও ২ নং পয়েন্ট নিয়ে কোনো কথা বলে না। যত আপত্তি ৩ নং পয়েন্ট নিয়ে। তার মানে হলো ,১ ও ২ নং পয়েন্ট আড়াল করার জন্যই খালেদা জিয়াকে শ্লীল-অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করছে।
যদি তারা সত্যিকারের চেতনায় বিশ্বাসী হন তাহলে তাদের উচিত ,
১)আওয়ামী লীগের যারা রাজাকারদের সাথে আত্নীয়তা করেছে(বেয়াই লীগ নামে পরিচিত) ,তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা ।
২) সরিষাবাড়ীর রাজাকার মাওলানা নূরুল ইসলামকে ৯৬তে মন্ত্রী বানানোর জন্য আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য করা ।
আর যদি না পারে তাহলে শুধু শুধু একমাত্র খালেদা জিয়ার সমালোচনা করা উদ্দেশ্য প্রনোদিতই মনে হবে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: এটাই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এর জন্য সব সরকারই দায়ী।
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটাও দেখতে পারেন । তবে তিন নম্বর পয়েন্টে তার বক্তব্য খুব চেনা সুরের। একমাত্র ফাকিস্তানপন্থী, রাজাকারের নাতি-পুতিরাই এ নিয়ে জল ঘোলা করে। কম তো আর মানুষ দেখলাম না অনলাইনে, অফলাইনে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: তিন বন্ধু মিলে দূর্গম পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের সাথে পাঁচ ঘন্টা লড়াই করে হাইজ্যাক হওয়া শিশু উদ্ধার করে নিয়ে আসলো। এক বন্ধু সন্ত্রাসীদের সাথে লড়াইয়ে মৃত্যুবরণ করলো, এক বন্ধু আহত হলো।
উদ্ধার করার পর, বাচ্চার পিতা-মাতা বললো, ৩০ জন মিলে উদ্ধার করেছে, ১০ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে।
এতে সন্ত্রাসীদের নির্মমতা এবং ক্ষয়ক্ষতি বড় করে দেখানো গেলেও যে তিন বন্ধু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছে, তাদের ক্রেডিট কে ডিসক্রেডিট হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যে ক্রেডিট ৩ ভাগ ভাগ হবার কথা ছিল, সেটা ৩০ ভাগ হলো। একজন শহীদের যে সম্মান পাবার কথা ছিল, সেটাকে ১০ ভাগ করা হলো।
এমনিভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ভুয়া শহীদের সংখ্যা, ভুয়া বীরঙ্গনার, ভুয়া রাজাকার পাকিস্তানিদের বর্বরতা বড় করে দেখালেও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ও বীরঙ্গনাদের সম্মানকে ডিসক্রেডিট করেছে।
ভুয়া সংখ্যাগুলি যারা চেতনার ব্যবসা করে, ঘৃণার ব্যবসা করে তাদের পুঁজি হতে পারে, কিন্তু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের জন্য অবমাননাকর।
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, বীরঙ্গনা, রাজাকার এইসব যুদ্ধপরবর্তীতে সঠিকভাবে জরিপ এবং বিচার হলে দেশ আজ দুই ভাগ হতোনা। আবার ৪ দশক পরে এই ইস্যু নিয়ে দেশ দুইভাগ হবে, চেতনার ব্যবসা চাঙ্গা হবে, এটা হয়তো অনেকে বুঝতে পারে নাই বলেই এটাকে সিরিয়াসলি নেয় নাই।
যেহেতু বর্তমানে এসব নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে, অবৈধ সরকার নিজেদের টিকে থাকার হাতিয়ার বানিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি বলে রাজনৈতিক বিরোধী দলকে নির্মূল করা হচ্ছে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সার্টিফিকেট দিয়ে নিজ দলের সন্ত্রাসীদের চাকুরী দিচ্ছে, তখন নতুন করে সঠিক পরিসংখ্যান যাচাই বাছাই করার প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।।
৪ দশক কোন প্রশ্ন তোলা হয় নাই, এখন কেন তোলা হচ্ছে, এটা হচ্ছে কট খাওয়ার যুক্তি। মুক্তিযুদ্ধ কোন ধর্ম নয় যে, পরিসখ্যান নিয়ে শুদ্ধতার কথা বলা যাবে না! বরং সঠিক পরিসংখ্যান মুক্তিযুদ্ধের সম্মান বাড়াবে।
হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে, যারা সবকিছুতে বিজ্ঞান খুঁজে, তথ্য উপাত্ত এবং যুক্তি খোঁজে অন্যদের অন্ধবিশ্বাসী, পশ্চাৎপদ বলে তিরস্কার করে, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসাতে নিজেরা একই আচরণ করে। নিজেদের ব্যবসার খাতিরে এদের দ্বিচারিতা দেখে বনের পশুও লজ্জ্বা পাবে।
En Kabir এর ফেসবুক থেকে।
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
ভোরের শিশির । বলেছেন: সহমত
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: চেতনা আসলে একটা ব্যবসা বানাইছে।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭
হাসান নাঈম বলেছেন: চেতনা এমনই ভয়ংকর নেশা যা সব চেতনাই নাশ করে দেয়।
এ'দের মিথ্যাচারের জবাব তৈরী হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাষকের ওয়েব সাইটে ৩৬৭ জন শহীদের তালিকা আছে। পুরো দুই বছরের তদন্ত শেষে তারা এই তালিকা তৈরী করেছে। এ'থেকে ধারনা করা যেতে পারে সারা দেশে মোট শহীদের সংখ্যা কত হতে পারে।
অন্য জেলাগুলি একটু উদ্যোগ নিলেই সকল শহীদের নাম পরিচয়সহ তালিকা পাওয়া যাবে। মহান শহীদদের একটা কাল্পনিক সংখ্যায় আবদ্ধ রেখে চেতনার ব্যাবসা আর বেশিদিন চলবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যারা এই মিথ্যাচার করেছে দীর্ঘ ৪৪ বছর তাদের কোন বিচার হবে কী না। আদালতে বিচার না হলেও মানুষ ঠিকই এদের মিথ্যাবাদী হিসেবে চিনবে।
শহীদের তালিকা
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: চোখ আছে,দেখবে না,কান আছে শুনবে না।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
নতুন বলেছেন: কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যারা এই মিথ্যাচার করেছে দীর্ঘ ৪৪ বছর তাদের কোন বিচার হবে কী না। আদালতে বিচার না হলেও মানুষ ঠিকই এদের মিথ্যাবাদী হিসেবে চিনবে।
৩ মিলিওন শহীদ হয়েছিলো এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বলেছিলেন... তার বিচারদাবী কবেন...তাকে মিথ্যাবাদী প্রচার করুন...
সবাই জানে ৩০লক্ষ প্রতীকি সংখ্যা...এটা গুনে গুনে বের করা কোন সংখ্যা না...
তাই এটা নিয়ে যারা রাজনিতি করে তাদের ভাল লাগে যদি প্রমান করা যায় যে বঙ্গবন্ধু মিথ্যা বলেছিলেন...শহীদের সংখ্যা কম.. মুক্তিয্রদ্ধারা লুটতরাজ করেছিলেন.,,,
এটা কাদের ভাল লাগবে??? পরাজিত পাকিদের...
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: আপনার মন্তব্য বুঝলাম না। খালেদা জিয়া কি কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যারা এই মিথ্যাচার করেছে দীর্ঘ ৪৪ বছর তাদের কোন বিচার হবে কী না। আদালতে বিচার না হলেও মানুষ ঠিকই এদের মিথ্যাবাদী হিসেবে চিনবে। বলেছেন?বললে কোন প্রসংগে বলেছেন।? পারলে লিঙ্ক দিয়েন।
৩০ লাখ শহীদ তো সবাই বলে,আমিও বলেছি। তার মানে যারা ৩০ লাখের কথা বলেছে,তাদের বিচার হবে?
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
এই আমি সেই আমি বলেছেন: চেতনা আসলেই খুব খারাপ । এটাকে সহ্য করা খুবই কস্টের । মনের মধ্যে আবার নিভে যাওয়া আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
৭৫ সালে কি সুন্দর চেতনাকে কবরে পাঠানো হল । তারপর জেনারেল সাহেব পাক সাফ সুতরোদের নিয়ে কত কসরত করে ওয়াতান পরাশত করলেন । কিন্তু মাঝে মাঝেই চেতনা লাফ দিয়ে উঠে ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১০
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: আসলেই মাঝে মাঝেই চেতনা লাফ দিয়ে উঠে।
তবে,
রাজাকারের সাথে বেয়াই পাতালে চেতনা ঘুমিয়ে থাকে,
রাজাকারকে মন্ত্রী বানলে চেতনা ঘুমিয়ে থাকে,
রাজাকারদের সাথে প্রকাশ্যে বা রুদ্ধদার বৈঠক করলে চেতনা ঘুমিয়ে থাকে,
বিজয়ের মাসে পাকি ক্রিকেটাররা বাংলদেশে খেললে চেতনা ঘুমিয়ে থাকে,
আবার পাকিস্তান ক্রিকেট লীগে দেশী প্লেয়াররা খেললে চেতনা ঘুমিয়ে থাকে,
সৌদি জোটে বাংলাদেশের সৈন্য পাকি সৈন্যদের সাথে কাধে কাধ লাগিয়ে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিলে খেললে চেতনা ঘুমিয়ে থাকে,
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত নোংরামী প্রায় অর্ধশত বছর ধরে প্যানপানানি দুনিয়ার কোন দেশে হয় না!
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: একদম সত্যি কথা।দুনিয়া এগিয়ে গিয়েছে ৪৪ বছর, আর আমরা আটকে আছি সেই একাত্তরেই। যেন রেকর্ড্রের পিন আটকে গেছে।আবার এই কথা বললেই,ছাগু,জামাতী,রাজাকার উপাধি দেয়।
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮
চলতি নিয়ম বলেছেন: ছাগলেরা যদি ৩০ লাখ কে মানতে না চায় তাইলে তাগো সঠিক ডাটা দেয় না কেন? ব্যাপার না কয়দিন পরে হয়তো বলবে যে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত শহীদ মাত্র চার জন, কামরু, কাদের, মুজা আর সাকা
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: ৩০ লাখ নিয়ে ফাইট করার ইচ্ছা নাই।তবে চেতনা দেখাতে হলে, য,
১)আওয়ামী লীগের যারা রাজাকারদের সাথে আত্নীয়তা করেছে(বেয়াই লীগ নামে পরিচিত) ,তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করুন।
২) সরিষাবাড়ীর রাজাকার মাওলানা নূরুল ইসলামকে ৯৬তে মন্ত্রী বানানোর জন্য আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য করুন ।
তবে ৩০ লাখ কিভাবে আসলো,একটু জেনে আসুন,
বিজ্ঞানে গবেষণার শুরু হয় প্রশ্নের মাধ্যমে? প্রকৃত বিজ্ঞানমনষ্ক এবং প্রগতিশীলরাও সব সময় প্রশ্ন করাকে উৎসাহিত করেন। এমন কী ধর্মীয় স্কলাররাও তাদের ধর্ম বিষয়ে অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন করাকে স্বাগত জানান এবং ধর্মগ্রন্থ ও সহায়ক অন্যান্য গ্রন্থ থেকে রেফারেন্স দিয়ে সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন। কেবলমাত্র অর্ধশিক্ষিত ধর্মান্ধরাই প্রশ্নকারীকে উল্টো দোষারোপ করে বলে, "প্রশ্ন করলেন কেন?"। বাঙালী বিজ্ঞানমনষ্কদের অবস্থান এদের চেয়েও আরেক ধাপ নীচে। এরা বলে, "প্রশ্ন করা যাবে না", প্রশ্ন না করেই বিশ্বাস করতে হবে; যেন শেখ মুজিব ঘোষিত ৩০লক্ষ সংখ্যাটা কোন ঈশ্বর প্রদত্ত বানী!
মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশে ফিরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রথম টেলিভিশন ভাষণে বলেছিলেন, "দশ লক্ষাধিক মানুষের আত্মাহুতির মাঝ দিয়ে আমরা পশুশক্তির হাত থেকে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বিধৌত বাংলাদেশকে স্বাধীন করে ঢাকার বুকে সোনালী রক্তিমবলয় খচিত পতাকা উত্তোলন করেছি"। (দৈনিক বাংলা, ৪ জানুয়ারী ১৯৭২)
তাজউদ্দিন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট পরিমান ধারণা রাখতেন, কাজেই তার বলা এই সংখ্যাটিও যথেষ্ট গুরুত্বের দাবী রাখে।
তাহলে ৩০ লক্ষ সংখ্যাটার উদ্ভব কোথায়?
২০১১ সালের ২৩ মে, বিবিসির বাংলা বিভাগের উপ-প্রধান সিরাজুর রহমান ব্রিটিশ পত্রিকা দ্যা গার্ডিয়ানে একটি চিঠি পাঠান। তিনি ইয়ান জ্যাকের লেখা একটি প্রবন্ধ যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মৃতের সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিলো, তার উপর নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন। জনাব রহমান একটি ইতিহাস তুলে ধরেন সেখানে। তিনি লেখেন, “১৯৭২ সালের জানুয়ারীর ৮ তারিখে, আমিই ছিলাম প্রথম বাংলাদেশী যিনি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা করি। তাঁকে হিথ্রো থেকে লন্ডনের ক্ল্যারিজেসে আনা হয় এবং আমি প্রায় সাথে সাথে সেখানে পৌঁছাই তিনি যখন আমার কাছ থেকে জানতে পারেন যে তার অবর্তমানেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে এবং তাঁকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়েছে, তখন তিনি বিষ্মিত হন। দৃশ্যত তিনি লন্ডনে এসেছিলেন এই ধারণা নিয়ে যে তিনি পূর্ব-পাকিস্তানিদের যেই স্বায়ত্বশাসনের জন্যে লড়াই করছিলেন পাকিস্তানিরা তা মেনে নিয়েছে।
সেইদিন আমি এবং অন্যরা তাঁকে যুদ্ধের একটি বিবরণ দেই। আমি তাঁকে জানিয়েছিলাম যে এখন পর্যন্ত যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির কোন সঠিক হিসাব জানা যায়নি, তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে আমাদের অনুমান, কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ মারা গিয়েছেন। আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম যখন তিনি ডেভিড ফ্রস্টকে বললেন ত্রিশ লক্ষ মানুষকে পাকিস্তানিরা হত্যা করেছে। আমি জানি না কি কারণে তিনি এই সংখ্যাটি বলেছিলেন, হয়তো তিনি মিলিয়ন শব্দটির ভুল অনুবাদ করেছিলেন কিংবা তাঁর অস্থিরচিত্ত এর জন্যে দায়ী হয়ে থাকতে পারে। তবে আজও অনেক বাংলাদেশী বিশ্বাস করেন সংখ্যাটি আসলেই অতিরঞ্জিত।” (http://goo.gl/AP3k5z)
১৯৭২ সালের জানুয়ারী নাগাদই তাহলে তিনটি সংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল! ১০ লাখের বেশি, কমপক্ষে তিন লাখ এবং সুনির্দিষ্টভাবে ৩০ লাখ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ঠিক কতজন মানুষ শহীদ হয়েছেন তা নিরূপনের জন্য ১৯৭২ সালের ২৯শে জানুয়ারী শেখ মুজিবুর রহমান ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি তৈরী করে দিয়েছিলেন। এর সদস্যরা ছিলেন-
১/ জনাব আব্দুর রহিম, ডিআইজি পুলিশ (সভাপতি)
২/ প্রফেসর খোরশেদ আলম, গণপরিষদ সদস্য, কুমিল্লা (সদস্য)
৩/ জনাব মাহমুদ হোসেন খান, গণপরিষদ সদস্য, বগুড়া (সদস্য)
৪/ জনাব আব্দুল হাফিয, গণপরিষদ সদস্য, যশোর (সদস্য)
৫/ জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ, ন্যাপ (সদস্য)
৬/ জনাব জালাল উদ্দিন মিয়া, পুলিশের প্রাক্তন এসপি (সদস্য)
৭/ জনাব মুহাম্মদ আলী, উপ-সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় (সদস্য)
৮/ জনাব টি হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সদস্য)
৯/ জনাব মহিউদ্দিন, পরিচালক, শিক্ষা বিভাগ (সদস্য)
১০/ জনাব মুবারক হোসেন, উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য বিভাগ (সদস্য)
১১/ উইং কমান্ডার কে এম ইসলাম, বিমান বাহিনী (সদস্য)
১২/ জনাব এম এ হাই, উপ-সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (সদস্য সচিব)
২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর ডেভিড বার্গম্যানের সমর্থনে লরেন্স লিপশুলজের লেখা প্রবন্ধ (http://goo.gl/vJxfIS) থেকে জানা যায় এই কমিটির একজন সদস্যের সাথে তার খুব ভাল আন্তরিকতা ছিল এবং সেই সদস্য তাকে জানিয়েছিলেন, কমিটির মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কর্মী নিয়োগ করে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করেই অনুসন্ধানমূলক জরিপ চালানো হয়েছিলো।
গ্রামে গ্রামে গিয়ে পরিবারগুলোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যুদ্ধের সময়ে সেই গ্রামগুলোতে ঠিক কতজন মানুষ, কিভাবে মারা গিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে তারা পুরো দেশের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দাঁড় করাচ্ছিলেন। তাঁরা আরও জানার চেষ্টা করছিলেন কতজন মানুষ শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার পথে কিংবা শরণার্থী শিবিরে পৌঁছানোর পর মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু আকষ্মিকভাবে ১৯৭৪ সালে এই কমিটির কাজ স্থগিত ঘোষণা করে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
লিপশুলজের বক্তব্য অনুযায়ী তাকে তথ্যদাতা সেই সদস্য জানিয়েছিলেন, তাদের হিসাব অনুসারে মুক্তিযুদ্ধে নিহত মানুষের মোট সংখ্যা কম/বেশি ২,৫০,০০০। লিপশুলজ ধরে নিয়েছেন এই সংখ্যা শরণার্থী শিবির কিংবা উন্মত্ত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কবল থেকে পালানোর সময় মৃত্যুবরণকারীদের বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়েছিলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা বিভিন্ন দেশে বাড়ী বাড়ী গিয়ে স্বাস্থ্য জরিপ করার সময় যুদ্ধে নিহতদের জরিপ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নও জুড়ে দিয়েছিল। সেই উপাত্তের ভিত্তিতে বৃটিশ মেডিকেল জার্নাল ২০০৮ সালে একটি গবেষনা নিবন্ধ প্রকাশ করে (http://www.bmj.com/content/336/7659/1482)। সেই নিবন্ধে তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করে ২,৬৯,০০০। এই গবেষণা নিবন্ধের রেফারেন্স দিয়ে একই বছর ভারতের পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ায় একটি সংবাদও প্রকাশিত হয় (http://goo.gl/hSYYRr)।
১৯৯১ সালে ড. এম এ হাসানের নেতৃত্বে গঠিত ‘ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ নামে একটি সংগঠন সুনির্দিষ্ট গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রায় ১৭ বছর যাবৎ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে দেশে শহীদের সংখ্যা নিরূপনের চেষ্টা করে। তাদের সংগঠনটি পুরো বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েছে, গ্রামে গ্রামে গিয়েছে।
সেই ড. হাসানের মতেও ৩০ লক্ষ একটি অতিরঞ্জিত সংখ্যা এবং সঠিক সংখ্যাটি সম্ভবত ১২ লক্ষের কাছাকাছি হবে। তিনি বলেছেন, “আমরা ৯৪৮টি বধ্যভূমি বা গণকবরের সন্ধান পেয়েছি। আমাদের গবেষণা অনুসারে প্রতিটি গণকবরের বিপরীতে আরও চারটি গণকবর রয়েছে যার উপর পরবর্তীকালে স্থাপনা নির্মিত হয়েছে কিংবা যার হদিস পাওয়া যায় না। এই হিসেবে মোট গণকবরের সংখ্যা ৫০০০ বলে ধরে নেয়া যায়”।
ড. হাসান অনুমান করেন, যদি প্রতিটি কবরে ১০০টি করে লাশ থাকে তবে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫,০০,০০০। অবশ্য, ডঃ হাসানের মতে এই অনুমান মোট মৃতের সংখ্যার ৩০ শতাংশের মত, কারণ তিনি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাক্ষাৎকার থেকে অনুমান করেছেন যে মোট নিহতের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষকে গণকবরে সমাহিত করা হয়েছিলো আর বাকীদের দেহ নদী-নালায় বা উন্মুক্ত স্থানে ফেলে দেয়ায় তা পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে।
এভাবে ডঃ হাসান, যিনি সম্ভবত এই বিষয়ে দীর্ঘসময় গবেষণাকারী একমাত্র বাংলাদেশী, অনুমান করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ১২ লক্ষের মত হবে। এই সংখ্যাটি ১৯৭২ সালে প্রকাশিত কল্যান চৌধুরীর লেখা 'জেনোসাইড ইন বাংলাদেশ' বইতে উল্লেখিত ১২,৪৭,০০০ এর প্রায় কাছাকাছি।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সঠিক তালিকা ও শহীদদের পরিচয় কেন জানা প্রয়োজন?
যাদের রক্তে মুক্ত স্বদেশ, তাদের পরিচয় জানার অধিকার এই দেশের ভবিষ্যত নাগরিকদের রয়েছে। সেই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ক্ষতিপুরণ আদায় করে দেবার প্রয়োজন রয়েছে, প্রয়োজন রয়েছে তাদের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধায় অগ্রাধিকার দেবার। সেই কারণেই তাদের তালিকাটি আমাদের জানা থাকা দরকার।
আমরা কেবলমাত্র শহীদ হিসেবে এলিট ১৮জন মানুষের ছবি দেখি। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ালেখা করা এলিট পরিবারের রুমি'র শহীদ হবার গল্পগাঁথা পড়ি। বাস্তবে শহীদদের অধিকাংশই ছিল গরিব নিম্মবিত্ত, বীর গেরিলাদের বেশিরভাগই ছিল নাদের গুণ্ডার মত পিছিয়ে পরা জনগোষ্টীর। তাদের পক্ষে লেখার কেউ নেই, তাদের পক্ষে বলার কেউ নেই, তাই তাদের ইতিহাস ধীরে ধীরে মুছে গিয়ে কেবল একটি সংখ্যা ৩০লাখ এ সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে সরকারী সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কার। ২০১০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধে কতজন শহীদ হয়েছেন তা গননা করার কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই। প্রশ্ন হচ্ছে- কেন এই পরিকল্পনা নেই, এরাই তো নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার দাবী করে!
এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় ১৯৯৩ সালের ১৫ জুন জাতীয় সংসদে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা থেকে। সেই আলোচনায় বিএনপির তৎকালীন মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল আকবর শেখ মুজিব ঘোষিত ৩০ লক্ষ সংখ্যাটি নিয়ে প্রশ্ন তুললে তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সামাদ আজাদ বলেছিলেন- জিয়াউর রহমানসহ কেউ এ সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করেননি; আমাদের নেতা শেখ মুজিব যেহেতু সংখ্যাটি বলেছেন, ধরে নিতে হবে এটিই সঠিক।
উপরের আলোচনায় অনেকগুলো সংখ্যা অনেকে বলেছেন। সংখ্যার তারতম্য রয়েছে, সংখ্যা নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। কিন্তু সেই বিতর্ক অবসানে সঠিক তালিকা নিরূপন করাও যাবে না। এতগুলো সংখ্যা নিয়ে যে বিভ্রান্তি সেটার কথাও বলা যাবে না। কারণ যে সংখ্যাটি যুদ্ধে অনুপস্থিত শেখ মুজিব বলেছিলেন সেটিকেই সঠিক বলে আদালত ঘোষণা করেছে। এখন এই সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন এখতিয়ার কারও নেই। যিনি এই সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন তিনি অবশ্যই ‘জাতির শত্রু’, ‘দেশের শত্রু’ এবং ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শত্রু’ বলে বিবেচিত হবেন!
১৮৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইণ্ডিয়ানা রাজ্যের জেনারেল এসেম্বলিতে পাই (&pi এর মান ৩.২ নির্ধারণ করে একটি আইন পাশ করা হয়েছিল, যাতে করে গনিতের ছাত্রদের সুবিধা হয়! পরবর্তীতে অবশ্য এই পাগলাটে আইন টেকেনি। গনিতের ফলাফল অংক কষেই নির্নয় করতে হবে সংসদের আইন দিয়ে নয়। আর শহীদের তালিকা গুনেই বেড় করতে হবে একজনের ঘোষনা করা একটি সংখ্যাকে আদালতের রায় দিয়ে প্রতিষ্ঠা করে নয়।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদরা নিছক কোন সংখ্যা নয়, কোন ক্রিকেটের স্কোর না যে বাড়িয়ে বললেই তাদের সম্মান বৃদ্ধি পাবে। বরং এখনো উদ্যোগ নিয়ে শহীদদের তালিকা তৈরী করাটাই তাদের প্রতি সম্মান জানানোর সর্বোত্তম উপায়।
বিতর্কিত সংখ্যাকে 'বিতর্কিত' বললে শহীদদের অবমাননা করা হয়না, বরং শহীদদের তালিকা না তৈরী করে সংখ্যাটাকে বিতর্কিত করে রাখলেই শহীদদের অসম্মান করা হয়। যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া এই সংখ্যার বিতর্ককে 'বিতর্কিত' বলেছেন, তাই আশা করবো তিনি এই ঘোষণাও দেবেন যে পরবর্তীতে কখনো তার সরকার ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা তৈরীর জন্য তিনি এবং তার দল পদক্ষেপ নেবেন।
Akm Wahiduzzaman এর ফেইসবুক থেকে।
৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: চেতনার অর্থ হলো "চেইত না" তারপরেও চেতনা নিয়ে সবাই চেতাচেতি করে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: হা হা হা,আপনার কথায় ভালোই মজা পেলাম।
১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ঢাকাবাসী বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত নোংরামী প্রায় অর্ধশত বছর ধরে প্যানপানানি দুনিয়ার কোন দেশে হয় না!
সহমত!
মুক্তিযুদ্ধ এখন চেতনার চাইতে বেশী হল ব্যবসা-ধান্ধা!
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: এমন ধান্দা যে,বিদেশী সন্মাননায় ক্রেষ্টও চুরি হালাল হয়ে যায়।
১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ এখন ধান্ধাবাজির হট প্রোডাক্টে রূপ নিয়েছে ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ এখন ধান্ধাবাজির হট প্রোডাক্টে রূপ নিয়েছে ।
এই হট প্রোডাক্ট এতই হট যে, সকল অপকর্ম ধুয়ে ফেলে চেতনা দিয়ে।
১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
খোলা মনের কথা বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন: চেতনার অর্থ হলো "চেইত না" তারপরেও চেতনা নিয়ে সবাই চেতাচেতি করে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: চেতাচেতি কইরা অনেকে আবার গালাগালিও করে। গালাগালিও চেতনার একটা বহিঃপ্রকাশ।
১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখন ইসলামপন্থী রাজনীতি ধ্বংসের একমাত্র হাতিয়ার। তাই সেটিকে যত নোংরাভাবেই ব্যবহার করা হোক না কেন, কাজে ঠিকই লাগছে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
আমি আবুলের বাপ বলেছেন:
১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২
মেহেদী হাসান নাইস বলেছেন: : প্রামানিক বলেছেন: চেতনার অর্থ হলো "চেইত না" তারপরেও চেতনা নিয়ে সবাই চেতাচেতি করে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: চেতনায় চেতলে যদি দারুন লাভ হয়,তাহলে চেতলেই ভাল।
১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
গেদু চাচা বলেছেন: খালেদা জিয়া ফোবিয়া এটা চেতনা জীবিদের একটা মারাত্মক রোগ। এই রোগের প্রতিষেধক তাদের তীর্থভূমি ভারতেও নেই। উল্লেখ্য এখানে চেতনা জীবি বলতে যারা হৃদয়য়ে বাংলাদেশের চেতনা ধারণ করা তেদের বুঝানো হচ্ছেনা। এখানে চেতনাজীবি হল তারা যারা চেতনা বেচে খায়। এখানে চেতনাজীবি হল তারা যাদের চেতনা দন্ড তখন খাড়ায় না যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতের অবদান বলে শহীদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়। এখানে চেতনাজীবি হল তারা যারা মহান মুক্তিযুদ্ধ কে ইন্দো-পাক যুদ্ধ বলার ভারতীয় নষ্টামী কে কুঁই কুঁই করে মেনে নেয়।
যাই হোক এখানে আপনিও কিছুটা ভুল করেছেন। ৩ নম্বর পয়েন্টের পরেও কথা আছে। আপনি সেটা তুলে ধরলে ভাল হত। আপনি জানেন খালেদা জিয়ার নামে কূৎসা রটানোর জন্য খালেদা ফোবিয়া আক্রান্ত রোগীরা সবসময় মুখিয়ে থাকে। খালেদা জিয়া কোন একটা কথা বল্লে হল, ব্যাস ইনিয়ে বিনিয়ে শুরু করে কুৎসা রটানো। আমি সিউর যারা আজ দুইদিন অনলাইনে কাইন্দা কাইট্ট্যা অস্থীর তারা একবারো শুনে দেখেনি খালেদা জিয়া কি বলছে।
যাই হোক ৩ নম্বর পয়েন্টে খালেদা জিয়া কোথাও বলেন নি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৩ লাখ ৩০ লাখ নয়। তনি বলেছেন এটা নিয়ে বিতর্ক আছে সেটা মীমামাংসা করা দরকার। তো খালেদা জিয়া ভূল কোথায় করলেন? মুক্তিযুদ্ধের শহীদ নিয়ে কি বিতর্ক নাই? এই বিতর্ক কি আজকের?
দেখি নীচের রেফারেন্স গুলো কি বলে? নীচের রেফারেন্সগুলো সঠিক কে বেঠিক সেটা ডিপেন্ড করবোনা। রেফারেন্সগুলো এই জন্য দেওয়া যে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক পুরোনো।
'পঁচিশ বছর আগে "মিলিয়ন" এবং "বিলিয়ন" শব্দ দুটি বিদেশে বহুল প্রচলিত থাকলেও আমাদের দেশে ঐ ইংরেজি শব্দ দুটির ব্যবহার তখন খুবই সীমিত ছিল বিধায় একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার ধারণা ছিল যে, "এক মিলিয়ন"-এর অর্থ হচ্ছে "এক লাখ"। আসলে "এক মিলিয়ন"-এর অর্থ যে "দশ লাখ" তা তখন জানতাম না। একাত্তরে আমি যখন বিভিন্ন প্রেস কনফারেন্সে "থ্রী মিলিয়ন" শহীদ হওয়ার কথা বলেছিলাম তখন আসলে "তিন লাখ" শহীদ হওয়ার কথাই বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার অজান্তেই ৩০ লাখ শহীদ হওয়ার কথা বলেছিলাম। যার ফলে শ্রোতারা আমার বক্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছিলেন। মিলিয়ন শব্দের সঠিক অর্থ না জেনে ভুল বলায় আসলে আমাদের উপকারই* হয়েছিল।" ............................................. মুহাম্মদ নূরুল কাদির (এডভোকেট, সুপ্রীম কোর্ট। সাবেক ভ্রাম্যমাণ কূটনৈতিক প্রতিনিধি। মুজিবনগর সরকার।) / দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা ॥ [ মুক্ত প্রকাশনী - মার্চ, ১৯৯৭ । পৃ: ৩৪৫-৩৪৬]
Ian Jack (21 May) mentions the controversy about death figures in Bangladesh's liberation war. On 8 January 1972 I was the first Bangladeshi to meet independence leader Sheikh Mujibur Rahman after his release from Pakistan. He was brought from Heathrow to Claridge's by the Indian high commissioner Apa Bhai Panth, and I arrived there almost immediately.
Mujib was puzzled to be addressed as "your excellency" by Mr Panth. He was surprised, almost shocked, when I explained to him that Bangladesh had been liberated and he was elected president in his absence. Apparently he arrived in London under the impression that East Pakistanis had been granted the full regional autonomy for which he had been campaigning. During the day I and others gave him the full picture of the war. I explained that no accurate figure of the casualties was available but our estimate, based on information from various sources, was that up to "three lakh" (300,000) died in the conflict.
To my surprise and horror he told David Frost later that "three millions of my people" were killed by the Pakistanis. Whether he mistranslated "lakh" as "million" or his confused state of mind was responsible I don't know, but many Bangladeshis still believe a figure of three million is unrealistic and incredible.
Serajur Rahman
Retired deputy head, BBC Bengali Service
Click here
Bose's case-by-case arithmetic leads her in the end to estimate that between 50,000 and 100,000 people died in 1971. One lakh, in other words, at most. One cannot say that she absolutely proves this, but her evidence points in that direction, and, in any case vastly away from the figure of 3 million still proclaimed in Bangladesh and India.
Dead Reckoning- By Sarmila bose ( review)
যে বিতর্ক আছে সে বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন কেন খালেদা জিয়া তুলতে পারবেন না?
আজব হিসাব নিকাশ।
দেশে মোট জনসংখ্য, নারী, পুরুষ, হাঁস মুরগী, স্কুল, কলেজ, হাঁট বাজার সব কিছুর শুমারী আছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শুমারী থাকবেনা কেন? এন কবির ভাইয়ের কথায় ফিরে যাই। এরা সব কিছুতে বিজ্ঞান খুঁজে, গনিত খুঁজে, প্রমাণ খুঁজে। কিন্তু নিজেদের ব্যবসার স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গেম খেলে।
এদেশে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে এবং শহীদ নিয়ে দলিল পত্রের অবশ্যই প্রয়োজন। দেশটা বাংলাদেশ বলে এটা আরো বেশী প্রয়োজন। কারণ এদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনীতি হয়। মুক্তি যুদ্ধ একটা দল টাদের প্যাটেন্ট ভাবে। তাদের দেওয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ৭১-এর পরে জন্ম নিয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়। এদেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা টার্ম তৈরি হয়েছে। সচিব থেকে মন্ত্রী থেকে কেরানী সব জায়গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে বসে আছে অনেকে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম বেঁচে সরকারী জমি দখল করে নিচ্ছে ভুমি দস্যুরা।
চেতনা জীবিরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা টার্ম শুনে লজ্জিত হন না।
চেতনাজীবিরা রাজাকার নুরুল ইসলামের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেখে লজ্জিত হয়না
মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনের বীর সেনানী জিয়াউর রহমান কে যখন মহান সংসদে দাঁড়িয়ে রাজাকার বলা হয় তখন চেতনাজীবিরা অপমানিত হয়না।
যখন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল ইব্রাহীম কে বঙ্গভবন থেকে বের করে দেওয়া হয় তখন চেতনাজীবিরা অপমানিত হয়না। তারা শুধু অপমাণিত হয় আওয়ামিলীগের ল্যান্জা ধরে টান দিলে। ওদের চেতনা দলকানা। দলকানা চেতনাজীবিদের আবেগের মূল্য কারো কাছেই নাই।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: পুরাই ফাটাইয়া দিছেন। সহমত আপনার সাথে অনেক ব্যপারেই।
১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
ফিলিংস বলেছেন: In 1981, UN's declaration of Universal Human Rights writes; "Among the genocides of human history, the highest number of people killed in lower span of time is in Bangladesh in 1971. An average of 6000 (six thousand) to 12 000 (twelve thousand) people were killed every single day..........This is the highest daily average in the history of genocide's." The occupation army of Pakistan committed this holy act for an approximate period of 260 days (from the night of 25 March,1971 to their surrender on the 16th. December, 1971). Using UN's figures multiply them with 260 days. What figures do we get? Please take a calculator and check this one out.
(1) Lower limit of Bangalee killed = 6 000 x 260 = 1 560 000 (1.56 million) Higher limit of Bangalee killed = 12 000 x 260 = 3 120 000 (3.12 million) We can take an average value of 2 340 000 (2.34 million)
(2) In 1971 there were around 75 million people in Bangladesh. The average size of a Bangalee family was around 5 (five) at that time. Divide 75 million by 5 which gives 15 million families in Bangladesh in 1971. Number killed per family = 0.16 (2.34 million divided by 15 million) Number of families affected with at least one family member killed = 6.4 (15 million divided by 2.34 million).
This is 42.7% (6.4 multiplied by 100 and divided by 15) of families. For simplicity, let us use a round figure of 40%. This means that 40% of Bangalee families were affected with the loss of at least one family member. Of course, there were thousands of families where the loss of family members was more than one. In many cases, the entire family excepting a lone survivor was wiped out. If these facts are taken in to consideration then the average percentage affected (40%) will change.
(3) Numbers killed by each Pakistani soldier = 26 persons (2.34 million divided by 90 000 soldiers) in 260 days. I have excluded the Razakars who joined the Pakistani soldiers later. An approximate number of Razakars will be around 50,000 to 60,000 or may be more. No one knows the real data). Do your own calculations if you want to include the Razakars.
(4) Numbers killed by each Pakistani soldier per day is 0.1 person. (26 divided by 260).
That is, one Pakistani soldier killed at least one Bangalee in every ten days. Is that an impossible job? Are these numbers unbelievable? The 3 million people killed by the Pakistani soldiers is not at all impossible.
১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
ফিলিংস বলেছেন: Click This Link
১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১
ফিলিংস বলেছেন:
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: শহীদের সংখা নিয়ে অনেকেই লিখেছেন।উপরের মন্তব্যগুলো দেখুন।তবে আমার পোষ্টের উদ্দেশ্য কিন্তু ৩০ লাখ নিয়ে বিতর্ক করা না।
আমার উদ্দেশ্য,যদি তারা সত্যিকারের চেতনায় বিশ্বাসী হন তাহলে তাদের উচিত ,
১)আওয়ামী লীগের যারা রাজাকারদের সাথে আত্নীয়তা করেছে(বেয়াই লীগ নামে পরিচিত) ,তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা ।
২) সরিষাবাড়ীর রাজাকার মাওলানা নূরুল ইসলামকে ৯৬তে মন্ত্রী বানানোর জন্য আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য করা ।
১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার পরিবারে কেউ মারা যায় নাই;
কিন্তু ডক্টর দিগেন্ত চন্দ্রের পরিবারের আটজন মারা গিয়েছিলেন।
আপনার গ্রামে কেউ মারা যায় নাই;
কিন্তু চুক নগরে এক ঘন্টার ১৫,০০০ মানুষকে মারা হয়েছিলো।
আপনার শহরে কোন বধ্যভূমি নাই;
কিন্তু এক চট্রগ্রাম শহরে ১১৬টা চিহ্নিত বধ্যভূমি আছে।
সেই চট্রগ্রামের ১১৬ টা বধ্যভূমির একটা বধ্যভূমি নাম পাহাড়তলি বধ্যভূমি যার কেবল একটা গর্ত থেকে ১ হাজার ১০০ টা মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিলো, আর সেই একটা বধ্যভূমিতে এরকম প্রায় একশটি গর্ত ছিলো।
WCFC-র হিসাব অনুসারে-
সারাদেশে এখন পর্যন্ত বধ্যভূমি আবিস্কার হয়েছে ৯৪২টা।
কথা পরিস্কার;
সব সময় ভালো মানুষী দেখাই
কিন্তু আমার সাথে গণহত্যা নিয়ে পাঙ্গা নিতে আসলে স্ট্রেট ভরে দিবো...
তিরিশ লক্ষ শহিদের প্রমাণ আমরা রক্তে নিয়ে ঘুরি;
এটা হাওয়ায় হাওয়ায় চেতনার কথা না, হাতে হাতে প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছি... মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যার যে ঘাটতি হয়েছিলো, সেটা এখনো আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি নাই...
আজ ৪৪ বছর পরেও...
UN এর পপুলেশান গ্রোথ রেটে মানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একটু দেখেনঃ
১৯৫০-১৯৫৫ সালে ১৪.৬,
১৯৫৫-১৯৬০ সালে ১৫.৩,
১৯৬০-১৯৬৫ সালে ১৫.৩,
১৯৬৫-১৯৭০ সালে ১৫.৭,'
১৯৭০-১৯৭৫ সালে ৫.৩ *,
১৯৭৫-১৯৮০ সালে ১৪.২,
১৯৮০-১৯৮৫ সালে ১৪.৫,
১৯৮৫-১৯৯০ সালে ১৪.১
১৯৬৫-১৯৭০ সালে গ্রোথ-রেট ১৫ এর উপরে থাকা একটা দেশের পপুলেশান গ্রোথ রেট হঠাৎ ১৯৭০-১৯৭৫ সালে ৫.৩ হয়ে গেলো!!
আরেকটু লক্ষ্য করলে দেখবেন ১৯৬৫ সালে আমাদের পপুলেশান গ্রোথ রেট যে ১৫.৭% ছিলো সেটা আমরা এখনো অর্জন করতে পারি নাই। অর্থাৎ এই যে তিরিশ লক্ষ শহিদ বেঁচে থাকলে তাদের যে বংশধরদের জন্ম হতো সেটা তিন প্রজন্ম পর হতো প্রায় এক কোটি এবং এই এক কোটি মানুষের ঘাটতি আমাদের পপুলেশান ডাটায় স্পষ্ট।
যদি আসলেই হিসেবটা করেন, তাহলে দেখবেন স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় ৭০১-৭০৬= ৬৫ লক্ষ মানুষের হিসাব মিলছে না...
এবং সেই হিসাব আর কখনোই মেলেনি...
৭১ থেকে ৭৫ সালের ভেতরে আমাদের দেশ বেশ বড় বড় কয়েকটি দুর্যোগের ভেতর দিয়ে গিয়েছে...
১) সত্তরের ঘূর্ণিঝড়
২) চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ
৩) যুদ্ধের পর ভারতে থেকে যাওয়া শরণার্থী
৪) রাজনৈতিক হত্যাকান্ড
এবং
৫) মুক্তিযুদ্ধ
আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি ১ থেকে ৪ পর্যন্ত ঘটনাগুলোতে যে কোন উন্মুক্ত সোর্স থেকে সর্বোচ্চ দাবীকৃত হতাহতের সংখ্যা দিয়ে হিসেব করুণ তাহলেই বের হয়ে আসবে মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা সম্পর্কে এই থিওরি মতে সর্বনিম্ন সংখ্যাটি। আমার বাক্তিগত হিসেবে সংখ্যাটা কম করে ৩২ লক্ষ ৫০ হাজার (বইতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি)...
আমাদের প্রজন্মের মত নিমোখারাম জাতি সম্ভবত একটাও নাই। এত যখন সন্দেহ; যাও না দেখ না পৃথিবীর অন্যসব গণহত্যার খতিয়ান। এত যে শহিদের লিস্টি দাবী কর, দেখাও না এমন একটা যুদ্ধ যেখানে শহিদের লিস্ট করা হইসে...? এটা যুদ্ধ, কোন সার্কাস না। পৃথিবীর কোন যুদ্ধে কখনো শহিদের নামিয় তালিকা তৈরি করা যায় না।
কম্বোডিয়ার খেমারুজরা ২৬০ দিনে তাদের দেশের ২১% মানুষ মারসিল,
রুয়ান্ডা ১০০ দিনে মোট জনসংখ্যার ২০% মারলো,
চিনের নানকিং মাসাকারে এক মাসে ৩ লাখ মারলো,
আর্মেনিয়ায় জনসংখ্যা ৪৩ লাখ এর ভিত্রেই ১৫ লাখ মাইরা ফেললো...
নাইজেরিয়ার ৩৫,০০০ সৈনিক মিল্লা ৩০ লাখ মারসিলো
আর সাড়ে সাত কোটি জনগণের দেশে আর ৯২,০০০ পাকি সৈনিক আর দুই লাখ প্রশিক্ষিত রাজাকার নিয়া ৩০ লাখ ফিগার, মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪% মানুষের মৃত্যু তোমার এত অসম্ভব মনে হয় কেন?
মোদ্দা কথা একটাই, আমাদের এখনকার জনসংখ্যাই প্রমাণ করে-
১৯৭১ সালে শহিদের সংখ্যা তিরিশ লাখের বেশি...
বেশি... বেশি... বেশি...
কম না...
কখনোই না...
-- লিখেছে সহযোদ্ধা আরিফ রহমান ... আফসোস, এইভাবে চোখের সামনে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবার পরেও কিছু মানুষরুপী শুয়োর তিরিশ লাখ শহীদ নিয়ে তেনা পেচায়... পেচাতে পেচাতে তেনার মহাপ্রাচীর বানায়... কেননা নিজের জন্ম ইতিহাস নিয়ে সন্দেহ প্রকাশকারী দূষিত পাকিস্তানী বীর্যে পয়দা মারখোর শুয়োরেরা অনাদিঅনন্তকাল অগুনতি বাস্টার্ডই জন্ম দিয়ে যায় কেবল.. স্রেফ উপরে একটা লেবেল সাটিয়ে... পাকিস্তানী বাস্টার্ডঃ বাই ব্লাড...
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: দাদার চেতনা এমনভাবে লাফ মারলো যে, শেষে গালাগালিও করলেন। কিন্তু দাদা আওয়ামী লীগের যারা রাজাকারদের সাথে যখন আত্নীয়তা করে, সরিষাবাড়ীর রাজাকার মাওলানা নূরুল ইসলামকে ৯৬তে মন্ত্রী বানায়,মুক্তিযুদ্ধের সন্মাননার নামে ক্রেষ্টের স্বর্ন চুরি করে, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করে, তখন এভাবে কি কখনো গালি দিয়েছেন? তখন আপনাদের এরকম মারদাংগা চেতনা কই থাকে?
কাল্পনিক_ভালোবাসার একটা কমেন্ট উল্লেখ করি,
আমি মনে করি, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা যতই হোক না কেন, সেটা ৩ জন হোক আর ৩ কোটি হোক, তাতে পাকিস্তানী বা রাজাকাদের প্রতি ঘৃনা কমে যাবে না। তবে মুক্তিযুদ্ধের মত জাতির একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য করার আগে দায়িত্বশীল যে কারোই প্রয়োজন সঠিক কারন বা ব্যাখ্যা জনগনের সামনে তুলে ধরা।
আমরা যারা এই দেশের সাধারন নাগরিক আছি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তাদের আবেগ সৎ এবং আপোষহীন। ফলে আমরা চাই না, আমাদের সৎ আবেগের এই স্থানটি যে কারো ব্যবসার পুঁজি হোক।
আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার এই পোস্টে যারা সঠিক জানেন, তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। তারা যে অযাচিত, অশালীন ভাষা প্রয়োগ বাদ দিয়ে সমালোচনায় অংশগ্রহন করে বা প্রতিবাদ করে।
আশা করি এরপর এরকম গালাগালি করে নিজের পরিচয় এভাবে সবার সামনে প্রকাশ করে দেবেন না।
২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
মানবী বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৩০ লক্ষ তবে খালেদা জিয়ার শহীদ সংখ্যা সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে শুধু মাত্র ভন্ড চেতনাবাজ আওয়ামিলীগের ক্রীতদাসেরা লম্ফঝম্প করে জল ঘোলা করবে, সত্যিকারের মুক্তি যোদ্ধাদের কাছে সংখ্যার চেয়ে ঘৃন্য রাজাকারে পূণর্বাসন আর মন্ত্রীত্বের তথ্যগুলো বেশি পীড়াদায়ক।
রাজাকার যে দলেরই হোক বর্জনীয়, দেশ প্রেম বর্জিত দল প্রেমে অন্ধ লীগ কর্মী আর ছারপোকাদের কাছে বিরোধী দলের রাজাকারের গাড়ীতে পতাকা উঠলে পীড়াদায়ক আর নিজ দলে হলে সেই ঘৃন্য রাজাকারও তাদের পরম পূজনীয় প্রভু।
ঘৃনা এসব ভন্ড চেতনাবাজদের প্রতি।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: ঘৃনা এসব ভন্ড চেতনাবাজদের প্রতি।
ধন্যবাদ আপু,আপনার মন্তব্যের জন্য।
২১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: (কা-ভা ভাইয়ের বক্তব্য অামিও সমর্থন করি । অামি অাওয়ামীলীগ করিনা, নিজেকে নিরপেক্ষই দাবি করি । মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কেউ উপহাস করলে সত্যিই খারাপ লাগে । ম্যাডামের বক্তব্য উপহাসমূলক । যারা তার পক্ষে সাফাই গাইছেন, তাদের বক্তব্যও উপহাসুলভ । কয়েক স্থানে অযাচিত মন্তব্য এসে যাওয়ায় দুঃখিত )
যারা নিজেদের ভুল বুঝে মানুষের জন্য কাজ করছে; আর যারা '৭১ এর হত্যাকান্ড 'সঠিক' বলছে, তারা সমান নয়।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: অনেএএএক ধন্যবাদ আপনার দুঃখ প্রকাশ করার জন্য।ধরে নিলাম আপনার কথা মত ম্যাডামের বক্তব্য উপহাসমূলক(যদিও এমন নয়),কিন্তু এরকম হাজার ম্যাডামও যদি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উপহাস করে , মুক্তিযুদ্ধের বিন্দু মাত্র কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। আর '৭১ এর চরম বর্বর হত্যাকান্ড 'সঠিক' বলেছে,এরকম লোক বাংলাদেশে আছে,আমি অন্ততঃ বিশ্বাস করি না ।কিন্তু বর্তমানে এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করে এরকম লোক অনেক আছে,তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন ।এটাই এখন সময়ের দাবী।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২
কারাবন্দি বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের ৪৪ বছর পার হয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ কিংবা রাজাকার - কোনটারই সরকারি কোন তালিকা নেই !!