নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিদিন অনবরত চেষ্টা করছি একজন মানুষ হয়ে উঠার।

শিপন মোল্লা

আমি কারো মতন নয়ই, একান্তই আমার মতো। বন্ধু-বান্দব আর পারিবারিক সব সম্পখের ক্ষেএে ভীষণ আন্তরিক। হাসি-খুশি আর দলবল নিয়ে ২৪ ঘন্টাই আড্ডায় থাকতে ভালবাসি। ভালোবাসি সাদা গোলাপ আর প্রিয়তমাকে। আমি এক আল্লাহ্‌র ইবাদত করি আর হজরত মুঃ সাঃ কে অনুসরন করি। সৃজনশীল বিষয়ে আগ্রহ করি। রাজনীতি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে বা আছে। জিয়াকে মডেল করে সমাজের ভাল পরিবর্তনের চেষ্টায় আছি। বর্তমান পরিবেশে দেশে কিছু করার মুরোদ রাখিনা তাই পরবাসী আছি। দেশ ও দেশে বসবাস করা প্রিয় মানুষদের জন্য অনবরত হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। নিজের অনুভূতি,অস্তিত্ব আর ভালোলাগা গুলো পরে থাকে প্রিয় জয়পাড়ায় যেখানে আমার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে। দুঃখ একটাই জীবনে কোথাও শ্রেস্ট হতে পারিনি। আমি লিখতে পারিনা,আর লিখা লিখি করার জন্যও আমি ব্লগে আসিনি। আমি পড়তে এসেছি। নিজেকে একজন ভাল পাঠক বলে দাবি করি।

শিপন মোল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগষ্ট উপলক্ষে আমার না বলা কিছু কথা

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

আগষ্ট মাস আসলেই আমার বুকের ভিতর কেমন যেন একটু মুছোড় দিয়ে উঠে ! হার্ডবিড বেড়ে যায় আনন্দে ! মুজিবের অপশাসন দেখিনি বটে কিন্তু ইতিহাসের পাতা থেকে যা জেনেছি, তা খুবই নির্মম কারনে তখন সারাদেশের মানুষ একটি বাকশালের পতন হওয়ায় হাফ ছেড়ে রক্ষা পেয়েছিল ।তৎকালীন সময়ে মুজিবের অপশাসনে অতিষ্ট হয়ে উঠার কারনে মুজিবের পতন হলে সারাদেশে আনন্দে বন্যা বয়ে গিয়েছিল ।

এ মাসটি এলে মনে পড়ে তৎকালীন সময়ে দেশবাসীর করুন অবস্থার কথা ।আমার মনের দর্পন দিয়ে সেই দুষগুলো দেখে স্বাধীনতা পূর্ব নেতা মুজিব কে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর মুজিবকে কোন অবস্থাতেই আমি একজন নেতার আসনে বসাতে পারিনা।



মুজিব যা বলতেন, তা তিনি নিজেও কখনও বিশ্বাস করতেন না । তিনি বলতেন, জনগণের স্বাধীনতার কথা । অথচ যুদ্ধের পর স্বাধীনতার সুফল বলতে জনগন কিছুই পায়নি । তবে পেয়েছে, তার পরিবারসহ তার দলের নেতাকর্মীরা । সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো রাষ্ট্র হিসেবে বালাদেশ স্বাধীনতার স্বীকৃতি পাওয়ার পর পরই আজবীন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে যান ।

সংবিধানের বির্তকিত চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিব ক্ষমতা পাকাপোক্তের আয়োজন করেছিলেন ।এ বিষয়ে বিস্তারীত আলোকপাত করার আগে একটু পিছনে ফিরে যেতে যাই ।নয়তো লেখাটা অসমাপ্ত থেকে যাবে এবং নিজেকে অপরাধী মনে হবে।

তৃতীয় সারির নেতা থেকে শেখ মুজিব শীর্ষ নেতা হওয়ার পিছনে পুরো অবদান যে মহান ব্যক্তিটির, তার নাম স্বরন করছি কৃতজ্ঞ চিত্তে এবং শ্রদ্ধাভরে । মাওলা ভাসানী হুজুরের দয়াই মুজিব এই দেশের শীর্ষ নেতা হতে পেরেছিলেন । অবশ্য এ কথাটা মুজিব জীবদ্দশায় স্বীকার করতেন । কিন্তু এক সময় ক্ষমতার মুহে তিনি ভুলে গিয়ে ভাসানী হুজুরকেই গৃহবন্দী করেছিলেন।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মুজিবকে জেল থেকেও ছাড়িয়ে এনেছিলেন হুজুর ভাসানী । জেলে থাকাবস্থায় একদিন পল্টনে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে হুজুর সমাবেশের ডাক দেন ।হুজুরের ওই সমাবেশে দলমত নির্বিশেষে সকল দল এবং সকল ধর্মের অনুসারীরা উপস্থিত হয়েছিলেন । হুজুর মঞ্চে থাকাবস্থায় পাকিস্তান আর্মিরা সমাবেশ ঘিরে ফেলে এবং লোকজনের ওপর প্রচুর লাঠিচার্জ করেছিল ।লাঠিচার্জে একদিকে লোকজন অলিগলিতে ঢুকছে আবার অন্যদিকে সভাস্থলে লোকজন ভরে যাচ্ছিল ।হুজুর হঠাৎ করে মঞ্চ থেকে নেমে পলন্ট মোড়ের দিকে যাওয়া শুরু করলেন আর তার পিছন দিয়ে ছুটছে লাখ লাখ জনতা । আর্মিরা হুজুরকে গ্রেফতার করতে এগিয়ে যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলে রাজপথেই নামাজে দাঁড়িয়ে পড়লেন । সাথে সাথে হিন্দু,মুসলামান,খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ কেউ আর বাদ রইলেন না । সবাই হুজুরের পিছনে নামাজে দাঁড়ালেন ।হুজুরের নামাজ এক ঘন্টারও ওপরে।

আর্মিরা তখন হুজুরকে মারাত্মকভাবে ভয পাচ্ছিল এবং সরকারের সাথে যোগাযোগ করে অবশেষে তারা চলে গেলে হুজুর নামজ শেষ করেন।হুজুর পাঁয়ে হেঁটে জিপিও মোড় পর্যন্ত গিয়েই স্লোগান তুললেন জ্বালিয়ে দাও….পুড়িয়ে দাও । স্লোগান তোলার সঙ্গে সঙ্গে লাখ লাখ জনতা মিন্টো রোড এলাকায় মন্ত্রী এবং বিচারপতিদের বাসা-বাড়িতে হামলা চালিয়ে সব জ্বালিয়ে ছারখার করে দিয়েছিল এবং আগরতলা মামলার ফাইলপত্র সব পুড়িয়ে ফেলেছিল । আর তখন বিচারপতি মন্ত্রীরাসহ তাদের পরিবারের লোকজন পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে কোনো মতে রক্ষা পেয়েছিলেন ।

এই ঘটনার দুই দিন পরেই পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয়েছিল মুজিবকে মুক্তি দিতে।স্বাধীনের পরও মুজিব মানুষের সামনে হুজুকে পাঁ ছুঁয়ে সালাম করলেও তার কর্মকান্ডের সমালোচনা করার জন্য হুজুরকে খুব বেশি পছন্দ করতেন না । স্বাধীনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে আওয়ামী লীগাররা রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে শুরু করে মানুষের বাসা বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছিল । এ ক্ষেত্রে মুজিবেই একটি উদাহরন ।তিনি নিজেই বলেছিলেন, সাড়ে সাত কোটি জনতার সাড়ে সাত কোটি কম্বল এনেছি । কিন্তু আমার কম্বলটা কোথায় ? দেশ স্বাধীন করে পাওয়া যায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি ।



শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল নিজেই কমলাপুর ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশে গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল । এসব খবর তখন জাসদের গণকণ্ঠসহ সবগুলো পত্রিকাতে ফালাও করে ছাপিয়েছিল । অন্য একটি প্রসঙ্গে শেষ মুজিব বলেছিলেন, আমি বাঙ্গালী জাতিকে হাতে মারব না, ভাতে মারব । অবশ্য তার কথা রেখেছিলেন । চার আনার লবনের দাম হয়েছিল ৪০টাকা, ২০ পয়সা কেজি মরিচের দাম হয়েছিল ১২-১৫ । এক ছটাক শুকনা মরিচের দাম হয়ে ২০-২৫ টাকা । এরকম ভাবে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছিল হুড় হুড় করে ।যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের লাখ লাখ মানুষের প্রাণ অকালে ঝড়েছে খাবারের অভাবে।

তখন মুজিব বাহিনীর তান্ডবেও হাজার হাজার মানুষের প্রাণ ঝড়েছে । মা-বোনের ইজ্জতের উপর আঘাত করেছিল ছাত্র-যুব লীগের কুত্তারা । অন্যদিকে আওয়ামী লীগাররা আনন্দ ফুর্তিতে সারা রাত মদ আর নারী মেতে উঠত । তার ওপর রক্ষী বাহিনী দিয়ে মানুষ নিধন ।একাত্তরে বাঙালীদের ওপর পাকিস্তানীদের বর্বরতা ও নৃশংসতার কাহিনী শুনলে গা শিউরে ওঠে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন দেশের মর্যাদা লাভের পরও বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতন অব্যাহত থাকে।



বাহাত্তর থেকে পচাত্তর এ কয়েক বছরে ২৫ হাজার বিরোধী বামপন্থী রাজনীতিক, পরাজিত বিহারী, রাজাকার ও শান্তি কমিটি, ইসলামপন্থী এমনকি মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দুদেরকেও পাকিস্তানীদের মতোই পাশবিক কায়দায় হত্যা করে রক্ষী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের খবর ব্যাপকভাবে জাতির সামনে আসেনি।গণমাধ্যমের স্বল্পতা এবং সরকারের প্রভাবে ।

স্বাধীনতা যুদ্ধকালে মতপার্থক্যজনিত বিরোধের ফল হিসেবেই আওয়ামী লীগ বিরোধী মুক্তিযোদ্ধা ও বামপন্থীরা স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক হত্যার শিকারে পরিণত হয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, এসব হত্যাকাণ্ডে রাষ্ট্রশক্তি এবং আওয়ামী লীগের দলীয় শক্তি ব্যবহার করা হয়। আহমদ মুসা তার ইতিহাসের কাঠগড়ায় আওয়ামী লীগ বইয়ে লিখেছেন, “আওয়ামী লীগ শাসনামলে যেসব প্রকাশ্য ও গোপন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সরকার ও তার নীতির বিরোধিতা করেছে, সেসব দলের মতে, সে আমলে ২৫ হাজার ভিন্ন মতাবলম্বীকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।



এ হতভাগাদের হত্যা করা হয়েছে চরম নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার মধ্য দিয়ে- যে নৃশংসতা অনেক ক্ষেত্রে পাকিস্তানী সৈন্যদেরও ছাড়িয়ে গেছে। খুন, সন্ত্রাস, নির্যাতন, হয়রানি, নারী ধর্ষণ, লুণ্ঠন কোনো কিছুই বাদ রাখা হয়নি।” বামপন্থীদের ওপর হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মাওলানা ভাসানীর হক কথা লিখেছিল, “একটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা বিশেষ প্রোগ্রামে এ দেশে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের হিসেব হলো, বাংলাদেশে সোয়া লক্ষ বামপন্থী কর্মীকে হত্যা করতে হবে। তা না হলে শোষণের হাতিয়ার মজবুত করা যাবে না।” (২৬ মে-১৯৭২ : সাপ্তাহিক হক কথা)



স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞে শেখ মুজিবের ভূমিকার এক ভয়ঙ্কর তথ্য জানা যায় মাসুদুল হক রচিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এবং সিআইএ' গ্রন্থে । ঐ গ্রন্থের ১০৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,‘১৯৭২ সালে একদিকে তিনি (মুজিব) সকল মুক্তিযোদ্ধাকে অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেন, অপরদিকে আব্দুর রাজ্জাক ও সিরাজুল আলম খানকে অস্ত্র জমা দিতে বারণ করলেন।



শেখ মুজিবের ওই নিষেধ সম্পর্কে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সিরাজুল আলম খান আর আমাকে ডেকেই বঙ্গবন্ধু (শেখ মুজিব) বলেছিলেন, সব অস্ত্র জমা দিও না। যেগুলো রাখার দরকার সেগুলো রেখে দাও । কারণ, সমাজ বিপ্লব করতে হবে । প্রতি বিপ্লবীদের উৎখাত করতে হবে, সমাজতন্ত্রের দিকে এগুতে হবে। এটা আমাদের পরিষ্কারভাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন। সুতরাং মুজিব আমলে এসব হত্যাকাণ্ড যে পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় মদদে হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।



ঢাকা জেলার মনোহরদী থানার পাটুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মকর্তার দলীয় কর্মীদের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত শত্রুতা সাধনের উদ্দেশ্যে জনৈক মুক্তিযোদ্ধাকে জীবন্ত কবর দিয়েছে। এই অপরাধে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করিয়া নারায়ণগঞ্জ থানায় চালান দিলে জনৈক এমসিএ হস্তক্ষেপ করিয়া এই নরঘাতকটিকে মুক্ত করিয়াছেন।(২ জুন-১৯৭২ : সাপ্তাহিক হক কথা )



রক্ষীবাহিনী গত জানুয়ারীতে এক ময়মনসিংহ জেলাতেই অন্তত এক হাজার ৫শ' কিশোরকে হত্যা করেছে। এদের অনেকেই সিরাজ সিকদারের পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি (ইবিসিপি)-এর সদস্য ছিল। অন্যদের মার্কসবাদী ও লেনিনবাদী দলের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। এমনকি অনেক বাঙ্গালী যুবক যারা রাজনীতিতে ততটা সক্রিয় ছিল না, তারাও এই সন্ত্রাসের অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন । বস্তুত বাংলাদেশে বীভৎসতা ও নিষ্ঠুরতার অভাব নেই।”(ইতিহাসের কাঠগড়ায় আওয়ামী লীগ : আহমেদ মুসা, পৃষ্ঠা-১৩৬)

মুজিববাদীদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো সন্ত্রাসের রাজনীতি, প্রকাশ্য হত্যা, গুপ্ত হত্যা, গুন্ডামি এগুলো ছিল খুবই সাধারণ ব্যাপার। রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পগুলো ছিল হত্যাযজ্ঞের আখড়া। যশোরের কালীগঞ্জ থেকে রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্প উঠে গেলে সেখানে গণকবর আবিষ্কৃত হয়-যেখানে ৬০টি কঙ্কাল পাওয়া যায়।

টঙ্গী থানার সামনে মেশিনগান স্থাপন করে শ্রমিক কলোনীর উপর নির্বিচারে গুলী চালানো হলো। শতাধিক নিহত হলেন। হাজার হাজার শ্রমিক বিশ মাইল হেঁটে ঢাকায় চলে আসতে বাধ্য হল এবং তারা তিনদিন তিনরাত পল্টন ময়দানের উন্মুক্ত আকাশের নিচে অবস্থান করতে বাধ্য হল।' (বাম রাজনীতি : সংকট ও সমস্যা' -হায়দার আকবার খান রনো)



বাকশাল এর পূর্ণ নাম বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ।১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী উত্থাপন করেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে প্রচলিত সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা বাতিল করে বাকশাল ব্যবস্থা চালু করা হয়। সংসদে উত্থাপনের মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে এই বিল সংসদে পাশ হয়।



বাকশাল ব্যবস্থা ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা। বাকশাল ব্যবস্থায় দলের চেয়ারম্যানই সর্বক্ষমতার অধিকারী। দলের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ছিল নিন্মরূপ: এক. কার্যনির্বাহী কমিটি দুই. কেন্দ্রীয় কমিটি তিন. কাউন্সিল চেয়ারম্যানের পরেই সবচেয়ে ক্ষমতা সম্পন্ন হচ্ছে, একজন সাধারণ সম্পাদক সহ ১৫ জন সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি। চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদক সহ ১৫ জনকেই মনোনীত করবেন। ( বাকশাল গঠনতন্ত্রের দশম ধারার ২ উপধারা)।কেন্দ্রীয় কমিটির এক তৃতীয়াংশ চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত হবেন ( দ্বাদশ ধারার ৪ (ঙ) উপধারা)। কোন সংগঠন, সংস্থা বা কমিটির কোন সদস্য পদ শুন্য হলে, তদস্থলে চেয়ারম্যান নতুন সদস্য নিয়োগ করবেন (চতুর্বিংশ ধারা ২ উপধারা)। দলীয় কাউন্সিলে চেয়ারম্যান ৫০ জন পর্যন্ত মনোনয়ন করতে পারবেন (দ্বাদশ ধারার ১ (চ) উপধারা)। কাউন্সিলে প্রতিনিধি প্রেরণের ব্যাপারে বিভিন্ন জেলা ও অঙ্গ সংগঠনের কোটা চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কার্যনির্বাহী কমিটি ঠিক করবে (দ্বাদশ ধারার ১ (গ) উপধারা)। তাছাড়া বিভিন্ন সরকারী বা আধাসরকারি দফতর বা প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেশন, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা এবং সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীসমূহের প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যাপারে দলের চেয়ারম্যানের ইচ্ছাই প্রধান (দশম ধারার ১০ উপধারা ও ষোড়শ ধারার ২ (খ) উপধারা)।

চেয়ারম্যান ইচ্ছা করলে গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিবর্ধন করতে পারবেন এবং একমাত্র চেয়ারম্যানই গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা দান করতে পারবেন (দ্বাবিংশতি ধারার ১ ও ২ উপধারা)। বাকশাল ব্যবস্থার অধীনে কোন অদলীয় শ্রেণী ও পেশাভিত্তিক সংগঠন এবং গণসংঠন করার কোন অধিকার ছিল না। ট্রেড ইউনিয়ন মাত্রই তাকে বাকশালের অঙ্গদল শ্রমিক লীগের অন্তরর্ভুক্ত হতে হবে। এই ব্যবস্থায় জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় কৃষক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ, জাতীয় যুবলীগ এবং জাতীয় ছাত্রলীগ বাদে কোন শ্রমিক, কৃষক, মহিলা, যুব ও ছাত্র সংগঠন থাকতে পারবে না। আর উপরোক্ত সংগঠনগুলি হচ্ছে বাকশালেরই অঙ্গ সংগঠন (অষ্টাদশ ধারা)। (সূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া)



সংবিধানের বহুল বিতর্কিত চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমান ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার আয়োজন করেছিলেন। একই সঙ্গে এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে কয়েকটি বিশেষ অনুচ্ছেদ যুক্ত করে আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।



এজন্য মূল সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগের পর ‘ষষ্ঠ-ক’ নামে পৃথক একটি ভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সংবিধানে বিশেষ বিধান অন্তর্ভুক্ত করে নিজেকে নির্বাচন ছাড়াই রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন তিনি। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকার হরণের পাশাপাশি ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতাও হরণ করা হয়। জনগণের সব ধরনের মৌলিক অধিকারও হরণ করা হয় সংবিধানের ওই সংশোধনীর মাধ্যমে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের বিদ্যমান কয়েকটি অনুচ্ছেদে সংশোধনী এনে ও নতুন অনুচ্ছেদযুক্ত সুপ্রিমকোর্টের স্বাধীনতাকেও হরণ করা হয়।



১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানে এই বিধানগুলো সংযোজিত হয়। এর আগে জাতীয় সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে শেখ মুজিব একদলীয় বাকশালের বিধানসংবলিত সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিল পাস করে নেন। এ ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর মাত্র আট মাসের মাথায় একই বছরের ২০ আগস্ট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা খন্দকার মোশতাক আহমেদ সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা বিলুপ্তসহ সংবিধানের অন্যান্য বিধান মুলতবি ঘোষণা করেন।



পরে জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ‘দ্বিতীয় প্রোকলামেশন (পঞ্চম সংশোধনী) আদেশ, ১৯৭৮ (১৯৭৮ সালের দ্বিতীয় প্রোকলামেশনের ৪নং আদেশ)-এর দ্বিতীয় সিডিউলের ক্ষমতা বলে সংবিধানের ‘ষষ্ঠ-ক ভাগ—জাতীয় দল’ বিলুপ্ত করা হয়। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগসহ নিষিদ্ধঘোষিত বামপন্থী ও ডানপন্থী নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল আবার রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পায়।



একমাত্র রাজনৈতিক দল : চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ১১৭ অনুচ্ছেদের পর ১১৭ক নামে পৃথক একটি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই অনুচ্ছেদের দফা ১-এ বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এই সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহের কোন একটা পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে অনুরূপ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি, আদেশ দ্বারা, নির্দেশ দিতে পারিবেন যে, রাষ্ট্রে শুধু একটা রাজনৈতিক দল (অতঃপর জাতীয় দল নামে অভিহিত) থাকিবে।’ দফা ২-এ বলা হয়েছে যে, ‘যখন (১) দফার অধীন কোন আদেশ প্রণীত হয়, তখন রাষ্ট্রের সকল রাজনৈতিক দল ভাঙ্গিয়া যাইবে এবং রাষ্ট্রপতি জাতীয় দল গঠন করবার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।’ দফা ৩-এ বলা হয়েছে, ‘জাতীয় দলের নামকরণ, কর্মসূচি, সদস্যভুক্তি, সংগঠন, শৃঙ্খলা, অর্থসংস্থান এবং কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্পর্কিত সকল বিষয় রাষ্ট্রপতির আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হাইবে।’



একই অনুচ্ছেদের দফা ৪-এ বলা হয়েছে, ‘(৩) দফার অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত আদেশ-সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি জাতীয় দলের সদস্য হইবার যোগ্য হইবেন।’ বিরোধী দলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত : চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে স্থাপিত ১১৭ক অনুচ্ছেদের দফা ৫-এ বলা হয়েছে, ‘এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও যখন জাতীয় দল গঠিত হয়, তখন কোন ব্যক্তি (ক) যদি তিনি, যে তারিখে জাতীয় দল গঠিত হয়, সেই তারিখে, সংসদ-সদস্য থাকেন, তাহা হইলে তিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় দলের সদস্য না হইলে সংসদ-সদস্য থাকিবেন না এবং সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে।’



একই দফার উপ-অনুচ্ছেদ খ-এ বলা হয়েছে, ‘যদি তিনি জাতীয় দলের দ্বারা রাষ্ট্রপতি বা সংসদ-সদস্য নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত না হন, তাহা হইলে অনুরূপ নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি বা সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না।’ উপ-অনুচ্ছেদ গ-এ বলা হয়েছে, ‘জাতীয় দল ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল গঠন করিবার বা অনুরূপ দলের সদস্য হইবার কিংবা অন্যভাবে অনরূপ দলের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করিবার অধিকারপ্রাপ্ত হইবেন না।’ সংবিধানের এ বিধানের ক্ষমতাবলে শেখ মুজিবুর রহমান ভিন্ন মতের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করেন।



রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হওয়ায় বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ও মহাজোটের অন্যতম শরিক জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাসদ গণবাহিনী নামে একটি সশস্ত্র গোপন রাজনৈতিক সংগঠনের জন্ম নেয়। শেখ মুজিবকে হত্যার মাধ্যমে উত্খাত ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই জাসদ গণবাহিনীর মুল লক্ষ্য ছিল বলে তাদের ওই সময়ের প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।



একই সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বর্তমান কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপও বিলুপ্ত হয়। ওই সময় তিনি শেখ মুজিবের গায়ের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানিয়ে তার (মুজিবের) গায়ের হাড় দিয়ে তা বাজাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন।



সংবিধানের ওই বিধান অনুযায়ী পরবর্তীকালে একদলীয় বাকশাল গঠন করা হয় এবং এই সংগঠনের সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে যুক্ত হতে বাধ্য করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, মূলত ওই সময়ই সরকারি কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িত হতে বাধ্য করা হয়। নির্বাচন ছাড়াই শেখ মুজিব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি : চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ‘রাষ্ট্রপতি-সংক্রান্ত বিশেষ বিধান’ নামে একটি বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়।



এ বিশেষ বিধানে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, (ক) এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি- পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকিবেন না এবং রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইবে; (খ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হইবেন এবং রাষ্ট্রপতির কার্যভার গ্রহণ করিবেন এবং উক্ত প্রবর্তন হইতে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি-পদে বহাল থাকিবেন, যেন তিনি এই আইনের দ্বারা সংশোধিত সংবিধানের অধীন রাষ্ট্রপতি-পদে নির্বাচিত হইয়াছেন।’



আজীবন রাষ্ট্রপতি : চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে প্রতিস্থাপিত ৫১নং অনুচ্ছেদের দফা ১-এ বলা হয়েছে, এই সংবিধানের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে পাঁচ বত্সরের মেয়াদে তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। তবে শর্ত থাকে, রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁহার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৬

তারছেড়া লিমন বলেছেন: অনেক দিন পর ....................ভাই কেমন আছেন???

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪১

শিপন মোল্লা বলেছেন: -আলহামদুল্লাহ । আপনি কেমন আছেন ?

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

বাংলার হাসান বলেছেন: নিঃসন্দেহে লেখাটা অনেক তথ্য বহুল। শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য লেখার প্রথম পেরায় ব্যক্তি আক্রমন করে লেখার ওজন কমিয়ে দিয়েছেন।

এবং এটাও সত্য মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার যে গোপন কর্যক্রম ১৯৬২ সালে শুরু হয় তা কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখেই শুরু করা হয়, যদি এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না, আগরতলা মামলা থেকে বের হওয়ার আগে। আরেকটা বিষয় তা হলো আগরতলা মামলা কিন্তু ষড়যন্ত্র মামলা ছিল না।

বঙ্গবন্ধু নেতা হিসেবে ছিলেন অতুলনীয়, আর ইতিহাসে দেখা যায় শাসক হিসেবে তিনি ততটা ছিলেন না। এটাও দ্রুব সত্য।

মানুষ যেমন ভুলের উদ্ধে নয় তেমনি বঙ্গবন্ধুও ভুলের উদ্ধে ছিলেন না। আর তার মাসূল তাকে জীবন দিয়ে পরিশোধ করতে হয়েছে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৫

শিপন মোল্লা বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। আমি যা বিশ্বাস করি তাই তো বলবো তাই না। আমি তো বলছিই ভাই স্বাধীনতা পূর্ব নেতা মুজিব কে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর মুজিবকে কোন অবস্থাতেই আমি একজন নেতার আসনে বসাতে পারিনা।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: তথ্যবহুল ভাল লেখা....।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১০

শিপন মোল্লা বলেছেন: প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়নি শ্রাবণধারা। আসলে সামুতে আজ কাল আগের মতো আসা হয় না। ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৩

সরকার৮৪ বলেছেন:
সত্যের মৃত্যু নাই.......

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১০

শিপন মোল্লা বলেছেন: চরম সত্য কথা বলছেন ভাই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.