![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) হাদীস :
আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা থেকে বর্ণিত। তিনি মিম্বারের উপর উঠে বলেছেন : আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসালাম-কে বলতে শুনেছি, যাবতীয় কাজের ফলাফল নিযতের উপর নির্ভশীল। প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যা সে নিয়ত করেছে। কাজেই যার হিজরত দুনিয়ার কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য কিংবা কোন রমনীকে বিবাহ করার নিয়তে হয়েছে, তা হিজরত সে উদ্দেশ্যেই হয়েছে। (বুখারী)
২) হাসীস :
হযরত আবু হুরায়রা (রা হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসালাম বলেছেন : আল্লাহ তা‘য়ালা তোমাদের সৌন্দর্য ও সম্পদের দিকে লক্ষ্য করেন না, বরং তোমাদের অন্তর ও কাজের দিকে লক্ষ্য করেন। ( মুসলিম)
৩) হাদীস :
আল্লামা ইমাম খাত্তাবী (রা বলেছেন : সকল কাজের পরিশুদ্দতা ও তার ফলাফল লাভ নিয়ত অনুযায়ী হয়। কেননা নিয়তই মানুষের কাজের দিক নির্ণয় করে। (বোখারী)
নিয়তের হাদীসটি সহীহ আল বুখারী শরীফের সর্বপ্রথম হাদীস। উক্ত হাদীস দিয়ে বুখারী শরীফের লিখা শুরু কর হয়। নবী করীম (সা খুব সংক্ষেপে অল্প শব্দে এবং ব্যাপক অর্থ ও ভাববোধক যত মূল্যবান বানীই বলেছেন আলোচ্য হাদীসটি তার অন্যতম।
সকল প্রকার কাজ কর্মের ভাল ও মন্দ এবং গ্রহণযোগ্য ও গ্রহণঅযোগ্য হওয়া একমাত্র নিয়্যতের উপর একান্তভাবে নির্ভরশীল এই কথা সুষ্পষ্ট করে বলাই এ হাদীসের মূল লক্ষ্য। অর্থাৎ যে কাজ সৎ নিয়্যতে ও সৎ উদ্দেশ্যে করা হবে তা সৎ কাজরূপে গণ্য হবে এবং আল্লাহর দরবারে তা একমাত্র মূল্য ও সম্মান লাভ করতে সমর্থ হবে। কিন্তু কোন ভাল কাজও যদি খারাপ উদ্দেশ্যে দুষ্ট নিয়্যতে করা হয়, তবে তা কখনও ভাল কাজরূপে গণ্য হবে না ও আল্লাহর নিকট তা গৃহীতও হবে না। বাহ্যদৃষ্টিতে হা যত ভাল ও সৎ কাজ বলে মনে করা হোক না কেন।
©somewhere in net ltd.