![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সফরের নামায :
কেউ যদি নিজ এলাকা থেকে আটচল্লিশ মাইল দূরে যাওয়ার এবং সেখানে পৌঁছে পনেরো দিনের কম থাকার নিয়ত করে তাহলে সে কসর পড়বে । নিজ এলাকা থেকে বের হওয়ার পর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত । কসর অর্থ হচ্ছে চার রাকাআত বিশিষ্ট নামায দুই রাকাআত পড়া । যথা জোহর আসর ও ইশা । দুই বা তিন রাকাআত বিশিষ্ট নামাযে কসর নেই। যেমন ফজর ও মাগরিবের নামায এবং বিতর নামায ।
সফরের নামায সম্পর্কে কতিপয় হাদীসে রাসূল :
১.ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। আল্লাহতায়ালা তোমাদের নবীর মাধ্যমে আবাসে চার রাকা’আত এবং প্রবাসে (সফরে) দুই রাকাত নামায ফরয করেছেন । (সহীহ মুসলিম)
২.আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহু সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মক্কা রওয়ানা করি। আমরা মক্কা থেকে মদিনা ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি চার রাকআতের নামায দুই রাকা’আত পড়েছেন । (সহীহ আল বোখারী ও সহীহ মুসলিম)
রাসূলুল্লাহু সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সকল সফরের নামায দুই রাকাত করে পড়েছেন। সুতরাং আমাদেরও শুধু উচিৎ নয় বরং আবশ্যিকভাবে সফরে চার রাকাআত নামায দুই রাকাআত করে পড়া ।
সফরে যাতায়াত অবস্থায় নামায পড়ার নিয়ম :
জমা বাইনাস সালাতাইন
জমা বাইনাস সালাতাইন শব্দের অর্থ হল, দুই নামায একত্রে আদায় করা । যেমন, জোহর ও আছর, কিংবা মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করা। এটা দুভাবে হতে পারে :
১.জমউত তাকদীম ও জমউত তাখীর। জমউত তাকদীম অর্থ হল-দ্বিতীয় নামাযকে এগিয়ে এনে প্রথম নামযের সময়ে আদায় করা। যেমন যোহর ও আসরের নামায যোহরের সময় একত্রে আদায় করা আর জমউত তাখীর অর্থ হল-প্রথম নামাযকে বিলম্বিত করে দ্বিতীয় নামাযের সময় আদায় করা। যথা মাগরিব ও এশার নামায এশার সময় একত্রে আদায় করা ।
২.দ্বিতীয় পদ্ধতিকে বলা হয় জময়ে জাহিরী । এর অর্থ হচ্ছে প্রথম নামায তার ওয়াক্তের শেষ অংশে আর দ্বিতীয় নামায পরের ওয়াক্তের প্রথম অংশে আদায় করা। এভাবে বাহ্যত দুই নামায একত্রে পড়া হলেও কোনো নামাযকেই তার ওয়াক্ত থেকে সরানো হয়নি এবং যথা যোহরের নামাযের সময় যদি বেলা ১.০০ টা থেকে বিকাল ৪.০০ টা পর্যন্ত হয় এবং আসরের সময় ৪.০০ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হয় তাহলে জময়ে জাহিরী এভাবে হতে পারে যে, যোহরের মানায পৌনে ৪.০০ টায় আদায় করা হল আর আসরের নামায ৪.০০টায় আদায় করা হল ।
©somewhere in net ltd.