![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুমিন ব্যক্তি সৎ আমলের মাধ্যমে পরকালে সুখময় জান্নাতের আশা করে। অনুরূপভাবে জাহান্নাম থকে পরিত্রাণ কামনা করে। এজন্য ইবাদত ও সৎ আমলের পাশাপাশি আল্লাহর উপর ভরসা ও তাঁর রহমতের আশা করতে হবে। বাড়ীতে নিষ্কর্মা বসে থেকে যেমন কেউ রূযী-রোযগারের আশা করতে পারে না, বরং তাকে কাজে যেতে হয়; কৃষি কাজের জন্য যেমন জমিতে যেতে হয়, তাতে বীজ বপন করার পর ফলের আশা করা যায়, তদ্রুপ কাজ-কর্ম সম্পাদন করে আল্লাহর উপর ভরসা করলে তবেই আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হবেন। প্রকৃত মুমিন যারা, তারাই আল্লাহর উপর ভরসা করে।
আল্লাহর ওপর যার আস্থা যত বেশি, তার সফলতার পরিপূর্ণতা তত বেশি। ইসলামে আল্লাহতায়ালার উপর তাওয়াক্কুল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাওয়াক্কুল একটি গুণ, একটি ইবাদত। তাই আল্লাহতায়ালা ব্যতীত অন্য কারো উপর তাওয়াক্কুল করা যায় না। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য তাওয়াক্কুল নিবেদন করা যাবে না। মৃত বা জীবিত কোনো ওলি-আল্লাহ, পীর-বুজুর্গ, নবী-রাসুলের ওপর ভরসা করা শিরক। আর শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম।
একজন ঈমানদার মানুষ ভাল ও কল্যাণকর বিষয় অর্জনের জন্য সকল ব্যাপারে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করবে, সার্বিক প্রচেষ্টা চালাবে আর ফলাফলের জন্য আল্লাহতায়ালার উপর ভরসা করবে, তাঁর প্রতি আস্থা ও দৃঢ় একিন রাখবে। বিশ্বাস রাখবে যে, আল্লাহ যা লিখে রেখেছেন ফলাফল তা-ই হবে। আর তাতেই রয়েছে কল্যাণ চূড়ান্ত বিচার ও শেষ পরিণামে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে যদি আমরা তা অনুধাবন না-ও করতে পারি। এটাই তাওয়াক্কুলের মূল কথা।
তাওয়াক্কুলের নীতি অবলম্বনকারী ব্যক্তি কখনো হতাশ হয় না। আশা ভঙ্গ হলে মুষড়ে পড়ে না। বিপদ-মুসীবত, যুদ্ধ-সংকটে ঘাবড়ে যায় না। যে কোনো দুর্বিপাক, দুর্যোগ, সঙ্কট, বিপদ-মুসীবতে আল্লাহতায়ালার উপর দৃঢ় আস্থা রাখে। ঘোর অন্ধকারে আশা করে উজ্জ্বল সুবহে সাদিকের। যত জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়নের ঝড়-তুফান আসুক, কোনো অবস্থাতেই সে আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করে না। তাই আল্লাহতায়ালার উপর তাওয়াক্কুল হল তাওহীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
উল্লেখ্য যে, আল কুরআনে তাওয়াক্কুল ৯ বার, বহুবচনে মুতাওয়াক্কিল ৪ বার, বিভিন্ন ক্রিয়াপদে ৩৩ বার এবং ওয়াকিল ২৪ বার ব্যবহৃত হয়েছে। (কুরআনের পরিভাষা : ড. মুস্তাফিজুর রহমান)
আল্লাহর উপর ভরসা করার ব্যাপারে কুরআনের ভাষ্য
১.তোমরা আল্লাহর উপরই নির্ভর কর যদি তোমরা মুমিন হও। (মায়েদা-৫ আয়াত : ২৩)
২.যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহই তার পথ (মুক্তির পথ) বের করে দেন, আর তাকে তার ধারণাতীত উৎস থেকে রিযিক দান করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট’ (তালাক ৬৫ আয়াত : ২-৩)
৩.নিশ্চয়ই মুমিনরা এরূপ যে, যখন (তাদের সামনে) আল্লাহকে স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তরসমূহ ভীত হয়ে পড়ে, আর যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তাদের ঈমান আরও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, আর তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা করে। যারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে এবং আমরা যা কিছু তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে খরচ করে। এরাই সত্যিকারের ঈমানদার, এদের জন্যেই রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকট উচ্চ মর্যাদা, আরও রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা’। (আনফাল-৮আয়াত : ২-৪)
৪.যাদেরকে লোকেরা বলেছিল, নিশ্চয়ই তোমাদের বিরুদ্ধে লোকজন সমবেত হয়েছে। অতএব তোমরা তাদেরকে ভয় কর; কিন্তু এতে তাদের বিশ্বাস আরো বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং তারা বলেছিল, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কতইনা উত্তম কর্মবিধায়ক। (ইমরান-৩ আয়াত : ১৭৩)।
৫.আর মুমিনগণ যখন সম্মিলিত বাহিনীকে দেখল তখন তারা বলল, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদের যে ওয়াদা দিয়েছেন এটি তো তাই। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্যই বলেছেন’। এতে তাদের ঈমান ও ইসলামই বৃদ্ধি পেল। (আহযাব-৩৩ আয়াত : ২২)
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখা টা পড়ে খুবই ভালো লাগলো, শিক্ষনীয় পোষ্ট।
অনেক কিছুই শিখতে পারলাম, ধন্যবাদ।।