নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধৈর্যধারণ করা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩


কোন বিপদ-আপদ বা মুছীবতে পতিত হলে প্রত্যেকের উচিত হবে ধৈর্যধারণ করা। এই গুণে গুণান্বিত ছিলেন সকল নবী-রাসূল। মুমিনদেরকে নবী-রাসূলগণের গুণে গুণান্বিত হতে হবে।
পার্থিব জীবনের সকল রোগ-শোক, দুঃখ-যাতনা, বিপদাপদ, ফল-ফসলের ক্ষতি, সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। এতে ধৈর্যধারণ করতে হবে। ধৈর্যশীল ব্যক্তিদের মহান আল্লাহ মহা পুরস্কার দিবেন। মানব জাতি আল্লাহর আনুগত্যের ক্ষেত্রে ধৈর্য অবলম্বন করবে। মানুষকে সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে ইহকাল ও পরকালে সাফল্য লাভ করতে পারবে। আর আল্লাহর ফায়ছালা মেনে নিয়ে ধৈর্যধারণ করতে হবে। নবী-রাসূলগণের জীবনীর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, তাঁরা কতই না বিপদ ও কষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন। এর পরেও তাঁরা ধৈর্যধারণ করেছেন। আর বড় বিপদেই রয়েছে বড় পুরস্কার।
ধৈর্যধারণ করার ব্যাপারে কুরআনের ভাষ্য
১.হে মুমিনগণ! ধৈর্য অবলম্বন কর, দৃঢ়তা প্রদর্শন কর, নিজেদের প্রতিরক্ষা কল্পে পারস্পরিক বন্ধন মযবূত কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (ইমরান-৩ আয়াত : ২০০)।
২.আর নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা এবং ধন ও প্রাণ এবং ফল-শস্যের অভাবের কোন একটি দ্বারা পরীক্ষা করব এবং ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ প্রদান কর। (বাক্বারা-২ আয়াত : ১৫৫)।
৩.ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার অগনিত দেওয়া হয়ে থাকে’ (যুমার ৩৯ আয়াত : ১০)।
৪.আর যে ব্যক্তি (অত্যাচারিত হওয়ার পরও) ধৈর্যধারণ করে ও ক্ষমা করে দেয়, তা অবশ্যই দৃঢ়চিত্ততার কাজ। (শূরা-৪২ আয়াত : ৪৩)।
৫.তোমার পরিবারবর্গকে ছালাতের আদেশ দাও এবং তাতে নিজেও অবিচল থাক। (ত্ব-হা-২০ আয়াত : ১৩২)।
৬.অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের জন্য ধৈর্যধারণ কর’ (দাহর-৭৬ আয়াত : ২৪)।
৭.অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর যেমন ধৈর্যধারণ করেছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাসূলগণ এবং তাদের জন্যে (শাস্তি প্রার্থনায়) তাড়াহুড়া করো না। (আহক্বাফ ৪৬আয়াত : ৩৫)।
ধৈর্যধারণ করার ব্যাপারে হাদীসের ভাষ্য
১.আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনাহু বর্ণনা করেন, একদা আনছারদের কিছু সংখ্যক লোক নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সাহায্য চাইল। তাদের যে যা চাইল, তিনি তাই দিলেন। এমনকি তাঁর কাছে যা কিছু ছিল নিঃশেষ হয়ে গেল। যখন তাঁর দু’হাতে দান করার পর সবকিছু শেষ হয়ে গেল তখন তিনি বললেন, আমার কাছে যা কিছু থাকে, তা থেকে আমি কিছুই সঞ্চয় করি না। অবশ্যই যে নিজেকে চাওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়, আল্লাহ তাকে তা থেকে বাঁচিয়ে রাখেন। আর যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করে, তিনি তাকে ধৈর্যশীলই রাখেন। যে ব্যক্তি অমুখাপেক্ষী হতে চায়, আল্লাহ তাকে অভাবমুক্ত রাখেন। ধৈর্যের চেয়ে বেশী প্রশস্ত ও কল্যাণকর কিছু কখনো তোমাদেরকে দান করা হবে না’।
২.রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তির কাজ-কর্ম অবলোকন করলে খুব আশ্চর্য লাগে। কেননা তার সমস্ত কাজ তার জন্য কল্যাণকর। আর এটি হয়ে থাকে শুধু মুমিনদের জন্য, অন্যের জন্য নয়। যখন সে কল্যাণকর কিছু লাভ করে তখন সে (আল্লাহর) শুকরিয়া আদায় করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যখন কোন বিপদে পতিত হয় তখন সে ধৈর্যধারণ করে। সেটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়’।
৩ রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,‘অবশ্যই (বান্দার) বড় বিপদে বড় প্রতিদান রয়েছে। আর আল্লাহ কোন সম্প্রদায়কে ভালবাসলে তাকে পরীক্ষা করেন (বিভিন্ন প্রকার অসুখ-বিসুখ, বিপদ-আপদ দিয়ে)। যদি সে তাতে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে তার জন্য সন্তোষ। অপরপক্ষে সে যদি তাতে অসন্তুষ্ট হয়, তাহলে তার জন্য অসন্তোষ’।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.