![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতার সেবা বা সমাজ সবা একটি ইবাদত। অসুস্থ ব্যক্তির সেবা-যত্ন করা, তার খোঁজ-খবর নেওয়া ও সান্তনার বাণী শোনানো, ঔষধ-পথ্য দিয়ে সারিয়ে তোলা, দোয়া করা রাসূলুল্লাহ (সা -এর সুন্নত। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, দরিদ্র, নিঃস্ব, এতিম, নিরাশ্রয়, রোগী ও বিপদগ্রস্ত মানুষকে যথাযথ সেবা করা খুবই সওয়াবের কাজ। আর এতে অমনোযোগী হওয়া আল্লাহপাকের অসন্তুষ্টি ও গোনাহর কাজ। রাসূলুল্লাহ (সা
রোগীর সেবাযত্ন করাকে সর্বোৎকৃষ্ঠ নেক আমল ও ইবাদত ঘোষণা করেছেন। মানবজীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সমাজসেবা সীমাহীন গুরুত্বের দাবিদার। সাধারণত সমাজের অসুবিধাগ্রস্ত নিম্নশ্রেণীর মানুষের কল্যাণে গৃহীত সেবামূলক কার্যক্রমকে সমাজসেবা বলা হলেও আধুনিক ধারণামতে, সমাজসেবা হচ্ছে- সমাজে মানুষের নিরাপত্তা ও মঙ্গলার্থে গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রমের সমষ্টি। একজন অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সান্তনার বাণী শোনালে, খোঁজ-খবর নিলে, একটু সেবাযত্ন করলে তার দুশ্চিন্তা লাঘব হয়। সে অন্তরে অনুভব করবে প্রশান্তি। তাই মানবিক বিচারে রোগীর খোঁজ-খবর নেওয়া, সেবাযত্ন করা উচিত। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের কেউ অসুস্থ হলে তার খোঁজ-খবর নেওয়ার ব্যাপারে অবহেলা করা উচিত নয়।
মানবতার সেবা বা সমাজ সেবার জন্য সামাজিক সংগঠনগুলো সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুসঙ্গ। তাই প্রতিটি মানুষের জন্য সামাজিক সংগঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মহানবী মুহাম্মদ (সা নবুওয়াত পাওয়ার আগেই সমাজ সেবার জন্য তরুণদের নিয়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে সেবাসংঘ গঠন করেছিলেন। ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে কল্যাণ সংস্থার সেবাকর্ম দ্বারা নবী (সা
এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিলেন, লোকরা তাকে ‘আল আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল। নবুওয়াত পাওয়ার পরও তিনি সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আজমায়ীনদের নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করেছেন। নবীর সেবাধর্মী চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে, উম্মুল মুমিনিন হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রা
সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, ‘আল্লাহর কসম! আল্লাহ আপনাকে কখনোই অপমানিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করেন, অসহায়-দুর্বলের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সাহায্য করেন। মেহমানের সমাদর করেন এবং দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন।’ (সহীহ বোখারী)
সেবামূলক কার্যক্রমে মানুষকে সবচেয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ করে ইসলাম। ইসলাম মানুষকে সর্বোচ্চ মানবিকতা, পরহিতৈষণা, সহমর্মিতা ও মহানুভবতার শিক্ষা দিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে আল্লাহ তাঁর নবীকে প্রেরণ করেছেন দয়া ও সহমর্মিতার প্রতীক হিসেবে।
চীনা দার্শনিক কনফুশিয়াস তার একটি উক্তিতে বলেছেন : যে ব্যক্তি অন্যের কল্যাণের ইচ্ছা পোষণ করে সে প্রকৃত প্রক্ষে নিজের কল্যাণই নিশ্চিত করে।
এরিস্টটল বলেছিলেন : সংগঠন মানুষের নেতিবাচকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে সহযোগিতা করে, হতাশা ও দুঃখবোধ থেকে বেড়িয়ে আসতেও মানুষকে সাহায্য করে। চলার পথে একে অন্যকে সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরী করে। জীবনের প্রতি মুহূর্তকে উপভোগ করার পরিস্থিতি ও তৈরী করে দেয় সংগঠন।
ইংরেজীতে একটি কথা আছে কেউ যদি সেতুর বদলে প্রাচীর রচনা করে নি:সঙ্গ হলে অভিযোগ করার অধিকারটিও সে হারায়।
মহানবীর (সা অন্তঃকরণ ছিল সমবেদনা ও মানবতার সেবায় পরিপূর্ণ। চরম নির্যাতনের মুখেও তার ধৈর্য ও সহ্য ছিল সীমাহীন। তাকে যারা কষ্ট দিত, তাদের তিনি ঔদার্যের মাধ্যমে শিক্ষা দিতেন। যারা তাকে বঞ্চিত করত, তিনি তাদের অকাতরে দান করতেন। এমনই ছিল মহানবীর (সা
পবিত্র জীবনের সুন্দরতম নিদর্শন। এমনকি আমাদের মহানবী রাসূলে মকবুল (সা
মানুষের রোগ-ব্যাধি ও নানা বিপদ-আপদের সময় বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন।
পবিত্র কুরআন ও হাদীসে স্পষ্ট আকারেই মানুষের সেবা করা, মানুষকে সহযোগিতা করা ও সামাজিক সেবামূলক কাজ করার নির্দেশনা এসেছে।
১. সূরা আলে ইমরানের ১১০ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির পরিচয় এভাবে তুলে ধরেছেন, তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানুষের কল্যাণের জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।
২. সূরা নিসার ৩৬-৩৭ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে ও কোনো কিছুকে তার সঙ্গে শরিক করবে না এবং বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথি, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ দাম্ভিক ও অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না- যারা কৃপণতা করে, মানুষকে কৃপণতার নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের যা দিয়েছেন, তা গোপন করে।
৩. সূরা আল-আম্বিয়ার ১০৭ আয়াতে বলা হয়েছে : ‘আর আমি আপনাকে সৃষ্টিকুলের জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।’
৪. সূরা বাকারার ১৪৮ আয়াতে বলা হয়েছে ‘তোমরা কল্যাণমূলক কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অগ্রসর হও’।
১. হযরত আলী (রা বর্ণনা করেন, আমি রাসূল (সা
কে বলতে শোনেছি, যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, সত্তর হাজার ফেরেশতা বিকাল পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর বিকেলে রোগী দেখতে গেলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করে। (তিরমিজি)
২. হযরত আনাস (রা রেওয়ায়েত করেন, রাসূলুল্লাহ (সা
ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কোনো অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়- তাকে জাহান্নাম থেকে ৬০ বছরের পথ দূরে রাখা হবে। (আবু দাউদ)
৩. হযরত জাবের (রা থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা
বলেছেন, 'যে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে রওনা হলো, সে রহমতের সাগরে সাঁতার কাটতে থাকল, যতক্ষণ না সে তথায় গিয়ে বসে। যখন সে তথায় গিয়ে বসল, তখন সে রহমতের সাগরে ডুব দিল' (আহমদ)।
৪. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘বিধবা ও অসহায়কে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য।’ (বর্ণনাকারী বলেন,) আমার ধারণা তিনি আরও বলেন, ‘এবং সে ওই সালাত আদায়কারীর ন্যায় যার ক্লান্তি নেই এবং সে ওই সিয়াম পালনকারীর ন্যায় যার সিয়ামে বিরাম নেই।’ (বুখারী, মুসলিম)
৫. হাদীসে কুদসিতে বলা হয়েছে, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে দেখতে যাওনি। বান্দা বলবে, আপনি তো বিশ্বজাহানের প্রতিপালক- আমি আপনাকে কিভাবে দেখতে যেতে পারি? আল্লাহ বলবেন, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল। তুমি তাকে দেখতে গেলে সেখানে আমাকে পেতে...। (সহীহ মুসলিম)
৬. হয়রত আবু হুরায়রা (রা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা
ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগীকে সেবা করতে যায়, আকাশ থেকে একজন আহ্বানকারী তাকে লক্ষ করে বলেন, তুমি মুবারক হও এবং মুবারক হোক তোমার এই পদচারণা। তুমি জান্নাতে নিজ আবাস তৈরি করে নিলে। (ইবনে মাজাহ)
৭. রাসুল (সা বলেছেন, 'অসুস্থ ব্যক্তির শয্যাপাশে হাজির হও এবং তার দ্বারা দোয়া করাও। কারণ অসুস্থ ব্যক্তির দোয়া কবুল হয় এবং তার গোনাহ মাফ হয়ে যায়' (তবরানি)। পক্ষান্তরে কোনো রোগী অসন্তুষ্ট হয়ে বদদোয়া করলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। কারণ হাদীসে এসেছে, 'আল্লাহর দরবারে রোগীর দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার মতো কবুল হয়ে যায়।' (ইবনে মাজাহ)।
৯. হযরত আবু মূসা (রা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা
ইরশাদ করেছেন, তোমরা ক্ষুধার্তদের অন্ন দাও, রোগীদের সেবা করো এবং বন্দিদের মুক্তি দাও। (বোখারী)
১০. হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা
ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা রোগী দেখতে যাও এবং জানাজায় অংশগ্রহণ করো, কেননা তা তোমাদেরকে পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে। (মুসনাদে আহমদ)
১১. হযরত রাসূলুল্লাহ (সা বলেন, এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের ৫টি হক রয়েছে। তা হলো- ১. সালামের জবাব দেওয়া, ২. হাঁচির উত্তর দেওয়া, ৩. দাওয়াত কবুল করা, ৪. অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া ও ৫. জানাজায় অংশগ্রহণ করা। (সহীহ বোখারী)
১২. হযরত নূমান বিন বশীর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা এরশাদ করেছেন-মুমিনদের পারস্পারিক ভালবাসা, দয়া ও সহানুভূতি মানবদেহ সদৃশ। তার কোন অংশ রোগাক্রান্ত হলে সমগ্র দেহ নিদ্রাহীনতা ও জ্বরে দুর্বল হয়ে পড়ে। (বুখারী ও মুসলিম)
১৩. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়াতে ছাড় দেবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে তাকে ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।’ (মুসলিম, আবূ দাঊদ,তিরমিযী)
১৪. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘হে মুসলিম নারীগণ, এক প্রতিবেশি যেন তার অপর প্রতিবেশির পাঠানো দানকে তুচ্ছজ্ঞান না করে, যদিও তা ছাগলের পায়ের একটি ক্ষুর হয়।’ (বুখারী, মুসলিম)
১৫. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়াতে ছাড় দেবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে তাকে ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।’ (মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী)
১৬. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘হে মুসলিম নারীগণ, এক প্রতিবেশি যেন তার অপর প্রতিবেশির পাঠানো দানকে তুচ্ছজ্ঞান না করে, যদিও তা ছাগলের পায়ের একটি ক্ষুর হয়।’ (বুখারী ,মুসলিম)
১৭. ইসলামের অভ্যুদয়ের সময় মক্কার এক বৃদ্ধা প্রতিদিন হযরত রাসূলে করিমের (সা যাতায়াতের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিতেন। হযরত রাসূলে করিম (সা
বৃদ্ধার এ কূটকর্মের দরুন কাঁটার বিষ ভোগ করতেন। একদিন হয়রত মুহাম্মদ (সা
দেখলেন পথে কাঁটা নেই। এর পর তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন, সেই বৃদ্ধা রোগাক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। মহানবী (সা
বৃদ্ধার অসুখের কথা শুনে দ্রুত ছুটে গেলেন তার কাছে। বৃদ্ধাকে সেবা-শুশ্রূষা, ওষুধপথ্য, পানি দিয়ে তার অসুস্থতা সারিয়ে তোলেন। বৃদ্ধা মহানবীর (সা
মানবকল্যাণমূলক সেবাযত্ন দেখে তার অনুসারী হয়ে গেলেন।
১৮. আমরা হয়রত ওমর ফারুকের (রা কথাও কমবেশি জানি। তিনি ছিলেন বিশাল এক সাম্রাজ্যের খলিফা। তিনিও অত্যন্ত সহজ-সরলভাবে জীবন নির্বাহ করতেন। সাধারণ মানুষের প্রতি পরোপকারী, কল্যাণমুখী দৃষ্টি ছিল তার।
১৯. হযরত রাসূলে আকরাম (সা আরো ইরশাদ করেছেন, ‘তোমার ভ্রাতার প্রতি তোমার হাসিমুখে তাকানো একটি সদকা, কাউকে ভালো কাজ করার জন্য তোমার নির্দেশ দেওয়া একটি সদকা, কাউকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখাও তোমার একটি সদকা, পৃথিবীতে পথভ্রষ্ট ব্যক্তিকে সুপথ দেখানোও তোমার জন্য একটি সদকা, যে ব্যক্তি চোখে কম দেখে তাকে সাহায্য করাও তোমার জন্য একটি সদকা, যদি রাস্তা থেকে পাথর-কাঁটা ও হাড় সরিয়ে দাও তা-ও তোমার জন্য একটি সদকা, তোমার বালতির পানি দ্বারা তোমার ভাইয়ের বালতি ভরে দেয়াও একটি সদকা। ’ (সুনানে তিরমিজি)
মানুষের সেবার এ মহৎ ও সুন্দরতম গুণটি আমরা যদি পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বড়-ছোট, উঁচু-নিচু ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নিঃস্বার্থ হৃদয়ে করতে পারি, তবে সমাজ জীবনে ব্যাপক কল্যাণমুখী পরিবর্তন আসবে।
শুধু তাই নয়, এ সমাজসেবা হচ্ছে ইসলামি দাওয়াতের ভূমিকাস্বরূপ। হয়রত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমাজসেবার মাধ্যমে আরবের জনমানুষের হৃদয় ও মন জয় করেছিলেন- যা নবুয়তপ্রাপ্তির পর দাওয়াতি কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।
রাসূলুল্লাহ (সা এর আদর্শকে সামনে রেখে আমাদের সমাজসেবামূলক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। বান্দার হক তথা আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখী মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা এবং আর্তমানবতার সেবা, সামাজিক সমস্যা দূরীকরণ ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন। অসুস্থ মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালে আল্লাহ খুশি হন। আসুন আমরা অসুস্থ মানুষকে সেবা করি। অসহায়দের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। আমিন।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আজকাল মানুষ কোরআন হাদীসের কথা
শুনতে চায়না। উষ্ণা প্রকাশ করে।
এক একজন নিজেকে মহা পণ্ডিত
মনে করে। নবী রসুলদের নিয়ে
হাস্য তামশা করে। আল্লাহ সবাইকে
তার হেদায়েত নসীব করুন। আমিন
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: আগে বলুন, আপনি আপনার জীবনে কি কি মানবতা বা সমাজের জন্য করেছেন? না বলে করে দেখান।