নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফজর, আছর ও এশার নামাজ জামায়াতে আদায় করার ফজিলতঃ

১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:০৬

নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। আমরা যদি আল্লাহর দিদার লাভ করতে চাই তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। । এই নামাজগুলো জামায়াতে পড়ার প্রতি বিশেষভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। জামায়াতে নামাজ আদায় করার তাগিদ দিয়ে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।’ (বাকারা : ৪৩) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘জামায়াতে নামাজের ফজিলত একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি।’ (সহীহ বুখারী)। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সারা জীবন জামায়াতের সঙ্গেই নামাজ আদায় করেছেন। এমনকি ইন্তেকালপূর্ব অসুস্থতার সময়ও জামায়াত ছাড়েননি। সাহাবায়ে কেরামের পুরো জীবনও সেভাবে অতিবাহিত হয়েছে। (সহীহ বুখারী : ৬২৪) নামাজের জামায়াতে শামিল হওয়ার ব্যাপারে এশা,ফজর ও আছর নামাজের জামায়াতের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “মুনাফিকদের উপর ফজর ও এশার নামাজ অপেক্ষা অধিক ভারী নামাজ আর নেই। যদি তারা এর ফজিলত ও গুরুত্ব জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও অবশ্যই (মসজিদে) উপস্থিত হত।” (বোখারী ও মুসলিম) হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, ‘একদা আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। পূর্ণিমার চাঁদের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে তিনি উপস্থিত সাহাবীদের বললেন, তোমরা আল্লাহকে এরূপ স্পষ্টভাবে কোনো রকম ভিড় ও কোলাহল ছাড়াই দেখতে পাবে, যেমন এই পূর্ণিমার চাঁদ দেখছ। কিন্তু এই নিয়ামত হাসিলের জন্য সূর্যোদয় ও অস্তের পূর্ববর্তী নামাজদ্বয়ের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’ (বুখারী)
হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, 'আমাদের মধ্যে কেউ যদি এশা ও ফজরের জামায়াতে উপস্থিত না হতো, তবে আমরা মনে মনে ভাবতাম, হয়তো সে মুনাফিক হয়ে গেছে। (বাযযার, তাবারানী, ইবনে খুযায়মা)
শাইখ উবায়দুল্লাহ বিন উমার কাওয়ারীরী (রহ.) বলেন, 'এশার নামাজ জামায়াতে পড়তে আমার কখনো ভুল হয়নি। এক রাতে আমার বাড়িতে এক মেহমান আসলেন। তার আপ্যায়নে ব্যস্ত থাকায় এশার জামায়াতে শামিল হতে পারলাম না। আমি বসরা নগরীর সব মসজিদে তালাশ করে দেখলাম, সবাই এশার নামাজ পড়ে মসজিদগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। যেহেতু হাদীসে আছে একাকী নামাজের চেয়ে জামায়াতের নামাজে ২৭ গুণ সওয়াব। তাই বাড়ি ফিরে আমি ২৭ বার এশার নামাজ পড়লাম। রাতে স্বপ্নে দেখলাম, আমি এক ঘোড়সওয়ার দলের সঙ্গে ঘোড়দৌড়ের প্রতিযোগিতা করছি এবং সবার পেছনে পড়ে যাচ্ছি। তাদের একজন বলল, তুমি আমাদের কখনোই ধরতে পারবে না। কেননা আমরা এশার নামাজ জামায়াতের সঙ্গে আদায় করেছি, আর তুমি একাকী আদায় করেছ। উপরোক্ত হাদীসসমূহের আলোকে জামায়াতে নামাজ আদায় করা বিশেষ করে ফরজ, আছর ও এশার নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়।
১. আল্লাহর জিম্মায় চলে যাওয়াঃ
হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। (মুসলিম : ৬৫৭)
২. জাহান্নাম থেকে মুক্তিঃ
হযরত ওমারা ইবনে রুওয়াইবা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, এমন ব্যক্তি কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সুর্যাস্তের পূর্বে নামাজ পড়বে অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ। (মুসলিম) হযরত আবু যুহাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি “যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে নামায পড়ে সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না”। অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামায। (সহীহ মুসলিম) বিখ্যাত তাবেয়ি আবু বকর বিন উমারাহ তাঁর পিতা রুআয়বাহ থেকে বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘এমন কোনো ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের আগের এবং সূর্যাস্তের আগের অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ আদায় করে।' (মুসলিম)
৩. জান্নাত প্রাপ্তির সংবাদঃ
হযরত আবু মুসা আশয়ারি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি শীতল সময়ে নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারী ও মুসলিম) অন্য হাদীসে ফজরের নামাজ আদায়কারীকে জান্নাতি মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
৪. কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নুরের সুসংবাদঃ
ফজরের নামায কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দিবে - ‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূর প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও।’ (আবু দাউদ) বিখ্যাত সাহাবী হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘রাতের অন্ধকারে মসজিদগুলোতে যাতায়াতকারীদের কিয়ামতের দিনের পরিপূর্ণ নুরের সুসংবাদ দাও।’ (ইবনে মাজাহ : ৭৮১)
৫. পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ ধ্বংস হওয়াঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যদি কোনো ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে যায়, তা হলে যেন তার পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেল। (বুখারী : ৫৫২)। আবু মালিহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমরা বুরাইদাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। দিনটি ছিল মেঘলা। তাই বুরাইদাহ (রাঃ) বলেন, শিগগির আসরের নামাজ আদায় করে নাও। কারণ নবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। (বুখারী : ৫৫৩) সহীহ আল বোখারীতে আছে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যার আসরের নামায ছুটে যায়, তার সমস্ত সৎ কাজ বৃথা হয়ে যায়। সহীহ আল বোখারীতে আছে অপর হাদীসে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ত্যাগ করে, আল্লাহ তার দায়িত্ব থেকে মুক্ত। হযরত আবু বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে আসরের নামায ত্যাগ করেছে তার আমল বিনষ্ট হয়ে গেছে। (সহীহ আল বোখারী) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদা হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর এক দেয়াল ঘেরা খেজুরের বাগানের দিকে গমন করেন। যখন ফিরে আসলেন তখন তিনি দেখলেন লোকেরা আছরের নামাযের জামায়াত পড়ে ফেলেছেন। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন-ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন, আমার আছরের নামাযের জামায়াত ছুটে গিয়েছে! আপনারা সাক্ষী থাকুন, ওমর জামায়াতে নামায হারিয়ে যে অন্যায় করেছে, তাঁর সেই অপরাধের কাফফারা স্বরূপ তাঁর খেজুরের বাগান মিসকিনদের জন্য সদকা করে দেয়া হল।
৬. কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাক্ষাৎঃ
হযরত জারির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, ‘একবার আমরা নবী করিম (সাঃ)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি রাতে (পূর্ণিমার) চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ওই চাঁদকে তোমরা যেমন দেখছ, ঠিক তেমনি অচিরেই তোমাদের প্রতিপালককে তোমরা দেখতে পাবে। তাঁকে দেখতে তোমরা কোনো ভিড়ের সম্মুখীন হবে না। কাজেই সূর্য উদয়ের ও অস্ত যাওয়ার আগের সালাত আদায় করতে পারলে তোমরা তা-ই ক’রবে।’ (কাহফ : ৩৯)
৭. অর্ধ ও পূর্ণরজনী ইবাদতের সওয়াবঃ
হযরত উসমান ইবনে আফ্‌ফান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি জামায়াতের সাথে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত কিয়াম (ইবাদত) করল। আর যে ফজরের নামাজ জামায়াতসহ আদায় করল, সে যেন সারা রাত নামাজ পড়ল।” তিরমিযির বর্ণনায় উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি এশার নামাজের জামায়াতে হাযির হবে, তার জন্য অর্ধ-রাত পর্যন্ত কিয়াম করার নেকি হবে। আর যে এশাসহ ফজরের নামাজ জামায়াতে পড়বে, তার জন্য সারা রাত ব্যাপী কিয়াম করার সমান নেকি হবে।” (মুসলিম : ৬৫৬, তিরমিযি : ২২১, আবু দাউদ : ৫৫৫, আহমদ : ৪১০, ৪৯৩, মুওয়াত্তা মালিক : ২৯৭)
৮. মুনাফিকের তালিকা থেকে মুক্তিঃ
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “মুনাফিকদের উপর ফজর ও এশার নামাজ অপেক্ষা অধিক ভারী নামাজ আর নেই। যদি তারা এর ফজিলত ও গুরুত্ব জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও অবশ্যই (মসজিদে) উপস্থিত হত।” (বোখারী ও মুসলিম)
৯. ফেরেশতাদের সাক্ষাৎঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ফেরেশতারা পালা বদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন; এক দল দিনে, এক দল রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্র হয়। অতঃপর তোমাদের মাঝে রাত যাপনকারী দলটি উঠে যায়। তখন তাদের প্রতিপালক তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে? অবশ্য তিনি নিজেই তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। উত্তরে তারা বলে, আমরা তাদের নামাজে রেখে এসেছি আর আমরা যখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম তখনও তারা নামাজ আদায়রত অবস্থায় ছিল। (বুখারি, হাদিস : ৫৫৫)।
আরও বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আরও বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যদি সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে আসরের নামাজের এক সিজদা পায়, তা হলে সে যেন নামাজ পূর্ণ করে নেয়। আর যদি সূর্য উদিত হওয়ার আগে ফজরের নামাজের এক সিজদা পায়, তা হলে সে যেন নামাজ পূর্ণ করে নেয়। (বুখারী : ৫৫৬)
১০. ফজর আদায়ে উত্তম দিনযাপনঃ
ফজর নামাজ আদায়ের জাগতিক উপকারের কথা আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এভাবে বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন শয়তান তার ঘাড়ের পশ্চাদংশে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিঁটে সে এ বলে চাপড়ায়, তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি শুয়ে থাকো। অতঃপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্ম’রণ করে একটি গিঁট খুলে যায়, অজু করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়, অতঃপর সালাত আদায় করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার প্রভাত হয় উত্ফুল্ল মনে ও অনাবিল চিত্তে। অন্যথায় সে সকালে ওঠে কলুষ কালিমা ও আলস্য নিয়ে। ’ (বুখারী : ১১৪২)
১১. ফজরের নামাজ দুনিয়ার সব কিছুর চেয়ে উত্তমঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার সব কিছুর চেয়ে উত্তম। ’ (মুসলিম : ১৫৭৩) হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ) যখন ফজরের নামাজ সমাপ্ত করতেন তখন ভালোভাবে সূর্যোদয় না হওয়া অবধি নামাজ পড়ার জায়গাতেই দুই পা গুটিয়ে বসে থাকতেন।’ (মুসলিম)।
১২.হজ্জের সওয়াবঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ কি তোমাদেরকে ইশার নামাজ জামাতে আদায়ের জন্য হজ্জের সমান এবং ফজরের নামাজ জামাতে আদায়ের জন্য ওমরাহ এর সমান সওয়াব বর্ণনা করেননি? (মুসলিম)
১৩. রিজিকে বরকত আসবেঃ
আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, সকাল বেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাঁধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বন্টন করা হয়।
১৪. ফজরের নামাজ দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরুঃ
ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু করলে, পুরো দিনের কার্যক্রমের একটা বরকতম সূচনা হবে। প্রিয়নবী (সাঃ) বলেছেন-‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্যে, তার সকাল বেলায় বরকত দান করুন।’ (তিরমিযী)
আল্লাহ আমাদের জামায়াতে নামাজ আদায়ের তওফিক দান করুন।








মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ আমাদের সকলকে ফজর, আছর ও এশা সহ
পাাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে পরার তৌফিক
দান করুন। আমিন

২| ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ফজিলত শব্দটাই আমার কাছে বিরক্ত লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.