নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বান্দাহর প্রতি আল্লাহর নির্দেশ তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ করোনাঃ

১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩৫

মৃত্যু নিশ্চিত তাতে কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহ কুরআনের সূরা আল ইমরানের ১৮৫ আয়াতে বলেন- “প্রত্যেক নফসকে, প্রত্যেক মানুষকে তথা জিন-ইনসানসহ সমস্ত মাখলুকাতকে মৃত্যুবরণ করতে হবে।” (আল ইমরান : ১৮৫) অথচ অধিকাংশ মানুষ তা থেকে গাফেল। একজন মুসলিমের করণীয় হল, মৃত্যুর কথা বেশী বেশী স্মরন করা এবং তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা। অনুরুপ ভাবে দুনিয়াতে থাকতে সময় ফুরিয়ে যাওয়ার পূর্বেই আখেরাতের পাথেয় সঞ্চয় করা। জীবনের সময়টুকুই একজন মানুষের ইহকালীন মূলধন। যদি তা আখেরাতের কল্যাণের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয় তবেই ব্যবসা সফল হবে। আর যদি তা বিনষ্ট করা হয় গুনাহ ও পাপাচারে এবং এ অবস্থায় আল্লাহর সাথে বান্দার সাক্ষাত হয় তাহলে সে হবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই বুদ্ধিমান সেই, যে নিজের হিসাব নেয়, আল্লাহ তার কাছ থেকে হিসাব নেওয়ার আগে এবং গুনাহ ও পাপাচার থেকে দূরে থাকে তা তাকে ধ্বংসের পথে নেওয়ার আগেই।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, ‘ঈমানদার ব্যক্তি গুনাহকে এমন মনে করে, যেন সে কোনো পাহাড়ের নিচে বসে আছে। আর যে কোনো মুহূর্তে পাহাড়টি তার উপর ধ্বসে পড়তে পারে।’ (সহীহ বুখারী : ১১/৮৯)
وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ مِلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ مِنْ قَبْلُ وَفِي هَذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ فَنِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ
১. ওয়া জ্বাহিদূ ফিল্লাহি হাক্বক্বা জ্বিহা দিহি হুওয়াজ্বতাবাকুম্ ওয়ামাজ্বা‘আলা আলাইকুম্ ফিদ্দীনি মিন্ হারাজ্ব; মিল্লাতা আবীকুম্ ইব্রাহীম্; হুওয়া ছাম্মাকুমুল্ মুসলিমীনা মিন্ ক্বাবলু ওয়াফী হাযা লিয়াকূনার রাসূলু শাহীদান্ ‘আলাইকুম্ ওয়াতাকূনূ শুহাদায়া ‘আলান্ নাসি ফাআক্বীমুছ্ ছলাতা ওয়া আতুয্ যাকাতা ওয়া’তাছিমূ বিল্লাহহি; হুওয়া মাওলাকুম্ ফানি’মাল্ মাওলা ওয়ানি’মাননাছীর।
অর্থ : আল্লাহর পথে জেহাদ কর যেমন জেহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে নিজের কাজের জন্য বাছাই করে নিয়েছেন। আর দীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা চাপিয়ে দেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমএর মিল্লাতের উপর প্রতিষ্ঠিত হও। আল্লাহ পূর্বেও তোমাদের নাম "মুসলিম" রেখে ছিলেন, আর এই (কুরআনেও তোমাদের এই নাম), যেন রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হয়, আর তোমরা সাক্ষী হও সমস্ত লোকের জন্য। অতএব নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মাওলা-মুনীব। তিনি বড়ই উত্তম মাওলা, বড়ই উত্তম সাহায্যকারী। (হজ্জ : ৭৮)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ
২. ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানুত্তাকুল্লাহা হাক্কাতুক্কাতিহি ওয়ালা তামুতুন্না ইল্লা ওয়ানতুম মুসলিমুন। অর্থ : হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ করো না। (ইমরান - ১০২)
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
৩. ওয়ামান আহসানু ক্কাওলাম মিম্মান দাআ’ইলাল্লাহি ওয়ামিলাচ্ছালিহাও ওয়ক্কালা ইন্নানি মিনাল মুসলিমিনা।
অর্থ : সেই ব্যক্তির কথার চেয়ে আর কার কথা উত্তম হবে যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, সৎ কাজ করলো এবং ঘোষণা করলো আমি মুসলমান। (হামিম আসসেজদা : ৩৩)
إِنَّ اللّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلاَ تَمُوتُنَّ إَلاَّ وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ
৪. ইন্নালা হাসত্বফা লাকুমুদ্দিনা ফালা তামুতুন্না ইল্লা ওয়ানতুম মুসলিমমুন।
অর্থ : হে আমার সন্তানগন। নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের জন্য এ দ্বীনকে মনোনীত (পঁছন্দ) করেছেন। সুতরাং তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যু বরণ করো না । (বাকারা : ১৩২)
৫. লা শারিকালাহু অবিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা আউয়ালু মুসলিমুন।
অর্থ : অর্থাৎ তার কোন শরীক নেই। আমাকে এরই হুকুম দেওয়া হয়েছে। আর সবচেয়ে পয়লা আমি আত্মসমর্পণকারী অর্থাৎ মুসলিম।
১. উপরোক্ত আয়াতগুলোতে মুসলমান না হয়ে মরতে নিষেধ করেছেন অথচ এই হুকুমের দিকে দৃষ্টি দেয়ারমত সময় আমাদের নাই। কয়জনই এই হুকুমের প্রতি দৃষ্টি দিচ্ছি তা ভেবে দেখা দরকার। উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ্র তাকওয়া অর্জনের হক্ক আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাকওয়ার ঐ স্তর অর্জন কর, যা তাকওয়ার হক। কিন্তু তাকওয়ার হক বা যথার্থ তাকওয়া কি? আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ, রবী, কাতাদাহ ও হাসান রাহিমাহুমুল্লাহ বলেন, তাকওয়ার হক হল, প্রত্যেক কাজে আল্লাহ্র আনুগত্য করা, আনুগত্যের বিপরীতে কোন কাজ না করা, আল্লাহকে সর্বদা স্মরণে রাখা- কখনো বিস্মৃত না হওয়া এবং সর্বদা তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা- অকৃতজ্ঞ না হওয়া। (ইবন কাসীর)
২. এতে বুঝা যায় যে, পূর্ণ ইসলামই প্রকৃতপক্ষে তাকওয়া। অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণ আনুগত্য করা এবং তাঁর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার নামই হচ্ছে তাকওয়া অবলম্বন। আয়াতের শেষে মুসলিম না হয়ে যেন কারও মৃত্যু না হয় সেটার উপর জোর দেয়া হয়েছে। দুনিয়াতে ঈমানদারের অবস্থান হবে আশা-নিরাশার মধ্যে। সে একদিকে আল্লাহ্র রহমতের কথা স্মরণ করে নাজাতের আশা করবে, অপরদিকে আল্লাহ্র শাস্তির কথা স্মরণ করে জাহান্নামে যাওয়ার ভয় করবে। কিন্তু মৃত্যুর সময় তাকে আল্লাহ সম্পর্কে সুধারণা নিয়েই মরতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ যেন আল্লাহ সম্পর্কে সু ধারণা না নিয়ে মারা না যায়”। (মুসলিম : ২৮৭৭) অর্থাৎ মৃত্যুর সময় তার আশা থাকবে যে, নিশ্চয় আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন।
পরিপূর্ন মুসলামান হওয়ার জন্য প্রয়োজন ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করা। আর এর জন্য আল্লাহ কি বলেছেন দেখুন- হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শক্র। (বাকারা : ২০৮)
উক্ত আয়াতের মধ্যে প্রত্যেক ঈমানদার ব্যক্তিকে ঈমান আনার পর ইসলামের বিধান তথা কুরআন-সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমে ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় শুধু মুমিন তথা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী ব্যক্তিকে প্রকৃত মুসলমান বলা যাবে না।
আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ (মনোনীত) করলাম।’ (মায়দা : ৩)
প্রকৃত মুসলমানের দৃষ্টান্ত একটি দেয়াল ঘড়ির ন্যায়। যার সেকেন্ডের কাঁটা, মিনিটের কাঁটা এবং ঘণ্টার কাঁটা আছে। ব্যাটারিতে আছে পূর্ণ চার্জ। ঈমান গ্রহণ করার পর ঘণ্টার কাঁটার মত ফরয, মিনিটের কাঁটার মত ওয়াজিব এবং সেকেন্ডের কাঁটার মত সুন্নতের অনুসরণ করতে হবে। জীবনের কোনো অসস্থাতেই ফরয-ওয়াজিব বাদ দেয়া যাবে না। যেমন ঘণ্টা কিংবা মিনিটের কাঁটা যদি কিছু সময়ের জন্য থেমে যায় তাহলে ঘড়ি যেমন সঠিক সময় নির্ণয় করতে পারবে না, ঠিক তেমনি ফরয বা ওয়াজিব যদি ছুটে যায় তাহলে ঈমানও ব্যক্তিকে পূর্ণ ঈমানদার বানাতে পারবে না। ঘড়ির ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে যেমন পুনরায় সচল করার জন্য নতুন ব্যাটারি লাগাতে হয়, তদ্রƒপ শয়তানের ধোকায় পড়ে মানুষের মনের অবস্থার পরিবর্তন হয়। সে জন্য নিয়মিত কুরআন, হাদীস, ফিকাহ (মাসলা মাশায়েল) ও ইসলামী সাহিত্য পড়ে এবং মাঝে মধ্যে তাফসিরে মাহফিলে, দারসে হাদীসের মজলিসে অথবা ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে মনের ব্যাটারিতে চার্জ দিয়ে ঈমান তাজা করতে হয়। তাহলেই প্রকৃত মুসলমান হওয়া যাবে, আখেরাতের প্রস্তুতি নেয়া যাবে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জন করে হাজির হওয়া যাবে আল্লাহর দরবারে।
মুসলিম শব্দের অর্থ আত্মসমর্পণকারী। যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে মহান প্রতিপালক হিসেবে গ্রহন করবে, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবেনা এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নির্দেশিত পথে নিজের জীবন চালাবে, হালাল কে হালাল বলে মানবে এবং হারামকে হারাম হিসেবে বয়কট করবে, সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, রোজা রাখবে, নিসাবের অধিকারী হলে যাকাত আদায় করবে এবং হজ্জে গমন করবে। এইসব গুনাবলীর অধিকারী হলে তাকে মুসলিম বলা হয়।

ইসলাম শব্দের অর্থ আত্মসমর্পণ করা। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গভাবে কুরআন-হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনার জন্য আত্মা তথা মনকে সমর্পণ করা।
১. আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন, ইন্নাদদ্বিনা ইনদাল্লাহিল ইসলাম (ইমরান : ১৯)
অর্থ : ‘আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলাম।’ অর্থাৎ আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম মানেই ইসলাম। অন্য কোনো ধর্মের মাধ্যমে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি অসম্ভব। ইসলামের উপমা হলো একটি তাঁবুর ন্যায়। তাবু যেমন তার ভেতরের মানুষকে রোদের সময় রোদ, শীতের সময় ঠান্ডা, প্রচন্ড বাতাসের সময় ধুলা-বালি থেকে রক্ষা করে, তদ্ররুপ ইসলাম মানুষকে পরকালীন আযাব থেকে রক্ষা করে।
২. আল্লাহ তাআলা কোরআন মজিদের শুরুতেই মুমিনের এই বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন, ‘আলিফ লাম মীম এটি সেই কিতাব, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি হিদায়াত, এমন ভীতি অবলম্বনকারীদের জন্য, যারা অদৃশ্য জিনিসগুলো বিশ্বাস রাখে এবং সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যা কিছু দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর সন্তোষজনক কাজে) ব্যয় করে। আর যারা ঈমান রাখে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতেও এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতেও এবং তারা পরকালে পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখে।’ (বাকারাহ : ১-৫)
৩. মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘রাসূল তার নিকট তার রবের পক্ষ থেকে নাজিলকৃত বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছে, আর মুমিনগণও। প্রত্যেকে ঈমান এনেছে আল্লাহর ওপর, তাঁর ফেরেশতাকুল, কিতাবসমূহ ও তাঁর রাসূলগণের ওপর, আমরা তাঁর রাসূলগণের কারো মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল।’ (বাকারাহ : ২৮৫)
৪. কোরআনে কারিমের ইরশাদ ‘তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনে, অতঃপর সন্দেহ পোষণ করে না।’ (হুজুরাত : ১৫)
১. জিবরাঈল (আঃ)-এর প্রশ্নের উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘ঈমান হলো আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, কিতাবসমূহ, রাসূলগণ, আখিরাত ও ভালো-মন্দ তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।’ (বুখারী : ৫০; মুসলিম : ১)
মৌলিক যেসব বিষয়ে ঈমান রাখা অপরিহার্যঃ
হাদীসেও ঈমান সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনায় ৭টি বষয়ের উপর ঈমান আনার জন্য বলা হয়েছে-আমানতুবিল্লাহি ওয়ামালাইকাতিহি, ওয়াকুতুবিহি, ওয়ারাসূলিহি, ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল কাদরি খাইরিহি, ওয়াশাররিহি মিলাল্লাহি তা’য়ালা ওয়াল বাছি বা’দালমাউতি। অর্থাৎ আমি নিম্ম বিষয়সমূহের প্রতি ঈমান আনলাম-
১. আল্লাহর প্রতি ঈমান।
২. ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান।
৩. আল্লাহর নাজিলকৃত সব কিতাবের প্রতি ঈমান।
৪. আল্লাহর প্রেরিত সব নবী-রাসুলের প্রতি ঈমান।
৫. আখিরাতের প্রতি ঈমান।
৬. তাকদিরের প্রতি ঈমান।
৭। মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত হওয়ার প্রতি ঈমান।

ইসলামের দৃষ্টিতে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে যারা কুরআন-সুন্নাহর পরিপূর্ণ অনুসরণ করে তারাই প্রকৃত মুসলমান। আল্লাহ নিজেই আমাদেরকে সতরর্ক করেছেন, রাসূলের মাধ্যমে সতর্ক করেছেন। সুতরাং আমদের প্রত্যেক মুসলমানের উচিত নিজের কৃত গোনাহের কারণে তাওবা করা, কান্নাকটি করা এবং পূর্ণ ঈমানের উপর অবিচল থাকা। আল্লাহ তা'আলা আমাদের পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তৌফিক দান করুন। (আমীন)



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

এভো বলেছেন:

২| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:২৬

আহলান বলেছেন: খুবই সুন্দর পোষ্ট। বস্তুত সবার ভাগ্যে হেদায়েত আছে কি না সেটাও একটি বিবেচ্য সবাই। যদিও আল্লাহ তায়লা সব বিষয়ের উপরে পরিপূর্ন রূপে ক্ষমতাবান। তিনিই ভালো জানেন পরকালে কার অবস্থান কোথায় হবে ..... আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন!

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মানুষ মাত্রই মরনশীল এটাও জানতে হবে আল্লাহর কাছ থেকে।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিরোনামটা আরো ভালো হওয়া দরকার

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাই চাঞ্চ মুসলমান হলেই পার পাওয়া যাবেনা।
মুসলমান হতে হলে কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা
মেনে জীবন যাপন করে আখেরাতের সম্বল অর্জন করতে
হবে। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে বুড়ো বয়সে হিন্দুরা নুনু কেটে মুসলমান হবে?

৭| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:২০

অগ্নিবেশ বলেছেন: কি দরকার বুড়ো বয়সে নুনু কাটাকাটি করার?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.