![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বছরের ১২টি মাসের মধ্যে সম্মানিত মাস ৪টি। এর মধ্যে রজব মাসকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা আল্লাহর মাস হিসেবেও জানে অনেকে। হাদীসে এসেছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বছরে ১২টি মাস। এরমধ্যে ৪টি মাস সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক; আর তা হচ্ছে- জিলক্বদ, জিলহজ ও মহররম। আর চতুর্থ মাসটি হল- রজব, যা জমাদিউল উখরা ও শাবান মাসের মর্ধবর্তী মাস।’ (বুখারী)
হযরত সালমান ফারসি (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রজব ও শাবান মাস হলো রমজান প্রস্তুতির মাস। রজব ও শাবান মাসের নেক আমল ও পাপ বর্জনের মাধ্যমে রমদানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তওবা ও ইস্তিগফার করতে হবে। মোহমুক্তি ও পাপ পরিহার করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘রজব হলো আল্লাহর মাস, শাবান হলো আমার (নবীজির) মাস; রামাদান হলো আমার উম্মতের মাস।’ (তিরমিজি)। ‘যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদত দ্বারা) খেত চাষ দিল না এবং শাবান মাসে (ইবাদতের মাধ্যমে) খেত আগাছামুক্ত করল না; সে রামাদান মাসে (ইবাদতের) ফসল তুলতে পারবে না।’ (বায়হাকি)। হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) কে রমজান মাস ব্যতীত অন্য কোনো মাসে পূর্ণ রোযা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে এতো বেশি রোযা রাখতে দেখিনি। (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী)। উম্মে সালমা (রাঃ) বলেন, নবী করিম (সাঃ) রামাদান মাস ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা পালন করতেন শাবান মাসে, অতঃপর রজব মাসে। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেন, ‘যখন রজব মাস আসত, তা আমরা নবীজি (সাঃ)–এর আমলের আধিক্য দেখে বুঝতে পারতাম।’ কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়, নবীজি (সাঃ) রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন; রামাদান মাসে ৩০টি রোজা রাখতেন। (দারিমি)। অন্য হাদীসে হযরত উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি একদিন রাসূল (সাঃ)-এর খেদমতে আরজ করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি আপনাকে শাবান মাস ব্যতীত অন্য কোনো মাসে এতো অধিক পরিমাণে রোযা রাখতে দেখিনি। রাসূল (সাঃ) বললেন, এটা ওই মাস যে মাস সম্পর্কে অধিকাংশ লোকই গাফেল থাকে। এটা রজব ও রমযান মাসের মধ্যবর্তী মাস। এটা এমন মাস, যে মাসে মানুষের আমলসমূহ আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা হয়। আমার আকাক্ষা যে, আমার আমল আল্লাহর দরবারে এ অবস্থায় পেশ হোক যে, আমি রোযাদার। (নাসায়ী, শুআবুল ঈমান)।
পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তার জানিয়ে দেয় রজব ও শাবান মাস। এ কারণেই রমজানের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব ও শাবান জুড়ে ইবাদত ও রোজা রেখে প্রস্তুতি নিতেন।
বিশ্বনবী রজব মাস জুড়ে যে দোয়াটি বেশি পড়তেন।
আল্লাহ তা’আলার দরবারে যে কোনো সময় দোয়া করা যায়। তবে কিছু মাস, কিছু দিন, কিছু রাত, কিছু মুহূর্ত এবং কিছু সময় আছে সুনির্ধারিত; যখন আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করে থাকেন। সে রাতগুলোর মধ্যে একটি হলো রজব মাসের প্রথম রাত। এ রজব মাস জুড়েই আল্লাহর নবি বেশি বেশি বরকত এবং রমজান পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধির দোয়া করতেন। ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজব ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগ না রমাদান’। অর্থ, ‘হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রামাদান মাস আমাদের নসিব করুন।’ (বুখারী ও মুসলিম)।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিৎ রজব ও শাবান মাসের মর্যাদা ও ফজিলত এবং আমলের প্রতি বিশেষ নজর রাখা। রমাদানের পরিপূর্ণ ইবাদাতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আর বর্ণিত দোয়াটি বেশি বেশি পড়া।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ফজিলত শব্দটা শুনলেই আমার শরীর জ্বলে।