![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইবাদত
ইবাদত শব্দটি আরবী। আব্দ শব্দ থেকে ইবাদত শব্দটি গঠন করা হয়েছে। আব্দ মানে দাস। দাসের কাজ হলো গোলামী বা দাসত্ব করা, আনুগত্য স্বীকার করা ইত্যাদি। শরীয়তের পরিভাষায়, প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যেসব কর্ম আল্লাহ পছন্দ করেন, সেগুলির সামগ্রিক সমষ্টিই হলো ইবাদত। অর্থাৎ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাঃ যা করতে বলেছেন ও যা নিষেধ করেছেন, সেসব করা না করাকেই ইবাদত বোঝায়। আবার এভাবেও বলা যায়, ইবাদত হচ্ছে শরিয়তের পন্থায় নিজেকে ও নিজের পরিবার-পরিজনকে পরিচালিত করার নামই ইবাদত। আল্লাহ গোলাম হিসেবে তাঁর হুকুম ও রাসূলের তরীকা মতো যা করা হয় সেসবই আল্লাহর দাসত্ব। শুধু নামায-রোযাই ইবাদত নয়। আল্লাহর হুকুম মতো করলে সব কাজই ইবাদত।
অবশ্য একটু পার্থক্য আছে। নামায-রোযা-হজ্জ-যাকাত হলো বুনিয়াদী ইবাদত। এসব ইবাদতের দ্বারা আল্লাহর দাসত্ব করার অভ্যাস করানো হয়; যাতে দুনিয়ার অন্য সব কাজ আল্লাহর পছন্দমতো করার যোগ্যতা সৃষ্টি হয়। ওই চারটি ইবাদত অন্য সব কাজকে ইবাদত বানিয়ে দেয়। যেমন উপরে লেখা হাদীসে জানা গেল, নামায ঘুমকেও ইবাদত বানিয়ে দিতে পারে। মুমিনের জীবনের দীনদারী ও দুনিয়াদারী আলাদা আলাদা নয়। গোটা জীবনই দীনদারী ও ইবাদত। মানুষের জীবন আল্লাহর দাসত্বের অধীন না হলে শয়তানের দাসত্বের অধীন হতে বাধ্য।
তাই যতসব কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ পছন্দ করেন, যেমনঃ- সালাত (নামায) ক্বায়িম করা, সিয়াম (রোযা) পালন করা, ক্বোরবানী, নয্র-মানত প্রদান করা, সাদাক্বাহ, যাকাত প্রদান করা, আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা (দু‘আ) করা, আল্লাহ্কে ডাকা, আল্লাহ্র প্রতি ভয় ও আশা পোষণ করা, আল্লাহ্র উপর ভরসা করা, আল্লাহ্র তাছবীহ্ (মহিমা), তাহ্মীদ (প্রশংসা), তাকবীর (মহত্ব), তাহ্লীল (আল্লাহ্র একত্ব) বর্ণনা করা, ক্বোরআনে কারীম তিলাওয়াত করা, ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্তে বর্ণিত ও নির্দেশিত দু‘আ ও যিকর-আযকার করা, রাছূলের প্রতি সালাত ও ছালাম পাঠ করা ইত্যাদি, এ সব প্রতিটি কাজ হলো একেকটি ‘ইবাদাত। রাছূলের অনুসৃত ও প্রদর্শিত পন্থানুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীনের উদ্দেশ্যে, তাঁরই (আল্লাহ্র) সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে, তাঁর (আল্লাহ্র) প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও সর্বোচ্চ ভালোবাসা নিয়ে, তাঁর প্রতি পূর্ণ বশ্যতা ও আনুগত্য প্রদর্শন পূর্বক তাঁর (আল্লাহ্র) মহত্বের সম্মুখে অবনত মস্তকে চূড়ান্ত বিনয়ের সাথে ছাওয়াবের (আল্লাহ্র নিকট উত্তম প্রতিদান লাভের) আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে উপরোক্ত যে কোন কর্ম সম্পাদন করাকে আল্লাহ্র ‘ইবাদাত বলা হয়।
নামাজ পড়া যেমন ইবাদত, তেমনি প্রতিবেশীর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়াও ইবাদত। হজ করা যেমন ইবাদত, তেমনি জুলুম, অত্যাচার ও বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করাও ইবাদত। জাকাত দেয়া যেমন ইবাদত, তেমনি দুর্বল মানুষকে আর্থিক ও মানবিক সাহায্য করাও ইবাদত। এসব ইবাদত একটি বাদে অন্যটি অসম্পন্ন।
সুতরাং, রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসৃত ও প্রদর্শিত পন্থা অনুযায়ী একমাত্র আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে গভীর আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে আল্লাহ্র পছন্দনীয় কোনো কর্ম সম্পাদন করাকে ইবাদত বলা হয়।
ইবাদতের গুরুত্বকে আমাদের সম্মুখে তুলে ধরতে করে আল্লাহ তা’আলা কুরআনে উল্লেখ করেছেন, “এবং প্রত্যেক জাতির কাছে আমি রাসূল পাঠিয়েছি এ নির্দেশ দিয়ে যে, একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাগুতকে বর্জন করো।” (আল কুরআন-১৬ : ৩৬)
ইবাদতের মূলনীতি
সকল প্রকার ইবাদত হলো সম্পূর্ণরূপে কুরআন-সুন্নাহ নির্ভর বিষয়। আল্লাহ কিভাবে কোন পদ্ধতিতে তাঁর দাসত্ব তথা ইবাদত পছন্দ করেন, তা কেবল কুরআন ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যমে জানা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ইবাদাতের ক্ষেত্রে নব-উদ্ভাবন বা মনগড়া পদ্ধতির কোনো অবকাশ নেই। কেননা কিভাবে ইবাদত করলে আল্লাহ খুশি ও সন্তুষ্ট হবেন তা কুরআন ও সুন্নাহর মাধ্যমেই আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে পরিপূর্ণরূপে জানিয়ে দিয়েছেন। তাই কুরআন ও সুন্নাহর পরিপূর্ণ অনুসরণই হলো ইবাদতের মূলনীতি।
ইবাদত কিভাবে করবো
এ-ক্ষেত্রে নামাজকে আইকন ধরা যাক। ধরুন আমরা এই দশদিনে যে-সব নামাজ পড়া হবে, সেগুলো পরিপাটি করে পড়বো। প্রতিটি রোকন ধীরে সুস্থে আদায় করে পড়বো। অর্থাৎ, রুকু-সেজদা ধীরস্থিরভাবে থেমে থেমে আদায় করবো। ‘খুশু-খুজুর’ সহিত পড়ার চেষ্টা করবো। শান্ত হয়ে পড়বো। আপন প্রতিপালকের সামনে এইভাবে নামাজ পড়ার অুনশীলন করবো।
এই উদাহরণটি লক্ষ করুন- হযরত ইসমাইল শহিদ (রহ.) একবার তার শায়খ সাইয়েদ আহমদ শহিদ (রহ.)- এর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। শায়খ জিজ্ঞেস করলেন- ভাই কী চাও? তিনি বলেন- হযরত, আমাকে সাহাবিদের মতো কোনো নামাজ পড়িয়ে দেন। শায়খ শুনে চুপ হয়ে রইলেন। রাত হলো। তাহাজ্জুদের সময় আমি উঠে পড়লাম। শায়খ আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন- উঠে পড়েছো? বললাম- হ্যাঁ, উঠে পড়লাম। শায়খ বললেন- যাও, আল্লাহর জন্যে অজু করে এসো। এই কয়েকটি শব্দে জানা নেই কী দীপ্তি ভরে ছিলো। ‘আল্লাহর জন্যে অজু করে এসো’ শুনতেই আমার হৃদয়ে আল্লাহর ভয় ও বড়ত্বের বিস্ময়কর এক তরঙ্গ বয়ে গেলো। আমি যেইমাত্র অজু করা শুরু করলাম, আমার মনে হচ্ছিলো যে, আল্লাহ আমাকে লক্ষ করছেন আর আমি তার সামনেই অজু করছি। আমি অজু করে এলাম। শায়খ জিজ্ঞেস করলেন- অজু করেছো? বললাম- হ্যাঁ, করে নিয়েছি। বললেন- আল্লাহর জন্যে দুই রাকাত নামাজ পড়ো এবার। দুই রাকাত নামাজ পড়বো। যখন আমি শুনলাম-আল্লাহর জন্যে পড়ো। আমি তখন দুইরাকাতের জন্যে নিয়ত বাঁধলাম বটে। সঙ্গে সঙ্গে আমার ওপর কান্না এসে ভেঙে পড়লো। আমি তো দুই রাকাত পড়বো মাত্র, কিন্তু হঠাৎ আমার মনে হলো আমি তো সঠিকভাবে পড়িনি। তাই আবার দুইরাকাত পড়লাম। তারপর আবার দুই রাকাত। এভাবে রাতভর আমি একশ’ নফল পড়লাম। কিন্তু আমার ‘একটি’ দুইরাকাতেও তৃপ্তি হয়নি। এরপর শায়খ বললেন- সাহাবায়ে কেরাম এমন করেই নামাজ পড়তেন। নিজেদের পক্ষে যতদূর সম্ভব দৃঢ়ভাবে আদায় করতেন, তারপর বলতেন- আমরা যেভাবে উচিত সেভাবে তোমার ইবাদত করতে পারিনি। সেভাবে তোমাকে চিনতে পারিনি, যেভাবে চেনা উচিত। এই ছিলো সাহাবায়ে কেরামের নামাজ। আমরাও ধীরে সুস্থে প্রতিটি রোকন আদায় করে নামাজ পড়বো।
ইবাদত কবুল হওয়ার শর্তাবলী-
যে কোনো আমল বা ইবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য তিনটি মৌলিক শর্ত রয়েছে। যদি তন্মধ্যে একটি শর্তও না পাওয়া যায় তবে তা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। শর্তগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
১) ঈমানঃ অর্থাৎ ইবাদতকারীকে আল্লাহ্র একত্ববাদে দৃঢ়বিশ্বাসী হতে হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “যে ব্যক্তি ঈমানকে অস্বীকার করবে, নিঃসন্দেহে তার সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (আল কুরআন-৫ঃ৫)
২) ইখলাসঃ তথা বিশুদ্ধ নিয়ত বা সংকল্প। অর্থাৎ ইবাদত করতে হবে একনিষ্ঠভাবে, কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। এছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করলে তা ইবাদত বলে গণ্য হবে না।
মোটকথা, ইবাদতকে সম্পূর্ণরূপে সকল প্রকার শির্ক তথা অংশীদারীমুক্ত রাখতে হবে এবং একনিষ্ঠভাবে এক আল্লাহ্র ইবাদত করতে হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তাদেরকে এ নির্দেশ করা হয়েছে যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করবে, সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত আদায় করবে…” (আল কুরআন-৯৪ঃ৫)
৩) সুন্নতের অনুসরণঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণ। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে যেভাবে ইবাদত করতে শিখিয়েছেন ঠিক সেভাবেই আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। আল্লাহ বলেন, “(হে নবী) আপনি বলে দিন! যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তবে আমার অনুসরণ করো।” (আল কুরআন-৩ঃ৩১)
“তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।” (আল কুরআন-৩৩ঃ২১)
অর্থাৎ, কোনো অবস্থাতেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসৃত ও প্রদর্শিত পন্থা ব্যতীত অন্য কোনো পন্থায় আল্লাহর ইবাদত করা যাবে না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামও এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি আমাদের এ দ্বীনের মধ্যে এমন কোনো নবউদ্ভাবন ঘটাবে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তাহলে তা প্রত্যাখ্যাত হবে।”
সুতরাং, যে কোনো আমল তথা ইবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য উপরোক্ত তিনটি শর্ত অবশ্যই থাকতে হবে। এগুলি ছাড়া কোনো ইবাদতই আল্লাহর নিকট কবুল হবে না।
ইবাদতের প্রকারভেদ
ইবাদতকে সাধারণভাবে দুই প্রকারে বিন্যস্ত করা যায়।১. কিছু ইবাদত বা আমল আছে যেগুলি আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত। এগুলিকে হাক্কুল্লাহ বা আল্লাহর হক বলে। ২. আর কিছু আমল আছে যেগুলি বান্দার সাথে সম্পর্কিত। এগুলিকে হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক বলে।
১. সালাত, সিয়াম, হজ্জ্ব, যাকাত, আল্লাহর নিকট দু‘আ করা, আল্লাহর যিকির করা, কুরআন তেলাওয়াত করা, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সর্বাধিক ভালোবাসা, আল্লাহকে ভয় করা ও তাঁর নিকট তাওবা করা, কথা-বার্তায় সত্যবাদিতা অবলম্বন করা, কাফের ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ইত্যাদি ইবাদত আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত।
২. অনুরূপভাবে, আমানত আদায় করা, পিতামাতার সেবা করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, ওয়াদা বা অঙ্গীকার পূর্ণ করা, সৎকাজের আদেশ দেয়া ও অন্যায় কাজে বাধা দেয়া, ইয়াতীম, মিসকীন, অসহায়, মুসাফির ও দাস-দাসির প্রতি অনুগ্রহ করা, জীব-জন্তুর প্রতি ইহসান বা দয়া করা ইত্যাদি সবগুলোই আলাহর বান্দা বা সৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত। এগুলির কোনোটির মধ্যে কমবেশি করলে তা ইবাদতে ত্রুটি বলে গণ্য হবে।
পূর্বসূরিদের ইবাদতের প্রকৃতি
ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.)- এর আমলঃ ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ছিলেন সেকালের চিফ জাস্টিস। তার সমসাময়িক মুসলিম বিশ্বে তিনি ছিলেন সবচে’ বড় বিচারপতি। দিনভর তিনি তো ইসলামের কাজেই মশগুল থাকতেন। তারপর যখন রাত নেমে আসতো, দেখা যেতো, প্রতিরাতেই তিনি দুইশ’ রাকাত নফল নামাজ পড়ছেন।
এত ব্যস্ত মানুষ, অথচ দেখুন, রাতে এত বেশি আল্লাহর ইবাদত করেছেন। দীনের জন্যে তারা নিজেদের জীবন কত সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিয়েছেন, দেখুন।
রাবেয়া বসরি (রহ.)- এর আমলঃ এক ব্যক্তি রাবেয়া বসরিকে (রহ.) দিয়ে দোয়া করাবে। কোনো এক দুশ্চিন্তায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে সে। সে বলছে- আমি ফজরের পরে গেলাম তার সাক্ষাতে, তিনি তখন নফল নামাজ পড়ছেন। আমি ভাবলাম- জোহরের পরে গেলেই ঠিক হবে। গেলাম আবার, তিনি নফল পড়ছেন। আমি ভাবলাম- আছরের পরে গেলেই ভালো। গেলাম আছরের পরে, দেখলাম তিনি কোরআন তেলাওয়াত করছেন। ঠিক আছে, তাহলে মাগরিবের পরে যাই। তখনও গিয়ে দেখি নফল পড়ছেন। এবার ভাবলাম- এশার পরেই যাই। গিয়ে দেখি, এশার পরেও তিনি নফলের নিয়ত বেঁধেছেন এবং পড়েই যাচ্ছেন, শেষই করছেন না। এভাবেই তিনি সারাটা রাত কাটিয়ে দিলেন। ফজরের সময় হলো। ফজর নামাজ পড়লেন। আমি ফজর পরে তাড়াতাড়ি গেলাম। ফজরের পরে ইশরাক আদায় করে ক্ষণিকের জন্যে চোখটা একটু বুজে এসেছে তার। আমি যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছলাম, আমার পায়ের আওয়াজে তার চোখ খুলে গেলো। তিনি এমন ধড়মড় করে উঠে বসলেন, যেমন কেউ ‘খুব দেরি হয়ে যাচ্ছে, জরুরি কোথাও যেতে হবে’ এমনভাবে উঠে বসে। উঠে তিনি দোয়া করলেন- হে আল্লাহ, আমি এমন চোখ থেকে তোমার পানাহ চাই, যা ঘুমিয়ে মোটে তৃপ্তই হয় না। দিনের অল্প একটু সময় ঘুমে ব্যয় হয়েছে, আর তার জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন।
২| ২১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ঈমান, ইবাদত ও আমল - এই তিনটি ঠিক আছে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম ।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিক পোষ্ট ছাড়া আপনি আর কিছু লিখেন না?
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই জন্যই হাদিসে বলা হয়েছে,মুমিনরা হলো নাকে দড়ি বাঁধা উট।