নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াত আরম্ভ হলে সুন্নাত নেই

১৬ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:৪০

১.আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন জামায়াতের জন্য ইকামত বলা হবে (অর্থাৎ যখন ফরয নামাযের জামায়াত আরম্ভ হবে) তখন ঐ (ফরয) নামাযটি ছাড়া আর কোনো নামায নেই। (সহীহ মুসলিম)
এই হাদীসের ‘আর কোন নামায নেই’ কথাটির অর্থ হলো, ফরয নামাযের জামায়াত দাঁড়িয়ে গেলে আর অন্য কোনো নামায পড়া যাবে না। এই হাদীসের ভিত্তিতে-
-ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেছেন : ফরয নামাজের জামায়াত দাঁড়িয়ে গেলে সুন্নাত নামায ত্যাগ করতে হবে এবং জামায়াতে শামিল হয়ে যেতে হবে।ইমাম আবু হানীফা (রহ.) বলেছেন : ফজরের জামায়াত এক রাকাত পাবার সম্ভাবনা থাকলেও সুন্নাত পড়ে নেয়া যাবে। তবে সফের নিকট থেকে দূরে দাঁড়াতে হবে। তার মতে সফের মধ্যে বা নিকটে দাঁড়ানো মাকরূহ।
-হাদীস বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হাদীস অনুযায়ী জামায়াত দাঁড়িয়ে যাবার পর সুন্নাত নামায পড়ার কোনো অবকাশ দেখা যায় না। কারণ-
-এমনটি করার অনুমতি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেননি।
-সাহাবায়ে কিরাম থেকেও এমনটি করার নযীর নেই।
-ফজরের সুন্নতের গুরুত্ব অন্যান্য সুন্নাত নামাযের তুলনায় বেশি হলেও সেটা সুন্নাতই, ফরয নয়।
-মুয়াযযিনের ইকামত দেয়ার অর্থই হলো, ইমামের পক্ষ থেকে জামায়াতে শরীক হবার আহ্বান। আর (ফরয নামাজের জন্য) ইমামের আহ্বানে সাড়া দেয়া তো ওয়াজিব।
সুতরাং এ হাদীসটির স্পষ্ট অর্থ এবং যুক্তি অনুযায়ী জামায়াত শুরু হয়ে গেলে সুন্নাত পড়ার অবকাশ থাকে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

২| ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য ! তবে সুন্ততে মোয়াক্কাদা যে সুন্নত নামাজ
তা ফরজ নামাজের শেষে আদায় করতে হবে যেমন
যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ এবং জুম্মার নামাজের
চার রাকাত কাবলাল জুম্মা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.