![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১.উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : খাবার উপস্থিত করা হলে এবং পায়খানা পশ্রাবের বেগ সৃষ্টি হলে-এগুলো সেরে নেয়ার আগ পর্যন্ত নামাযে যাবে না। (সহীহ মুসলিম)
২.আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : যখন নামাযের ইকামত বলা হয়, তখন যদি তোমাদের কেউ পায়খানা-পশ্রাবের বেগ অনুভব করে, তাহলে সে যেনো আগে পায়খানা প্র¯্রাব সেরে নেয়। ( জামে আত-তিরমিযী, আবু দাউদ, আন- নাসায়ী ও মুআত্তায়ে মালিক)
৩.আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যদি তোমাদের কারো রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়, আর তখন নামাযের ইকামত দেয়া হয়, তবে তাড়াহুড়া না করে প্রথমে প্রশান্তির সাথে খেয়ে নেবে (তারপর নামাযে যাবে)। (সহীহ আল বোখারী ও সহীহ মুসলিম)
৪.জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা খাওয়া বা অন্য কোনো কিছুর জন্য নামায (অর্থাৎ নামাযের জামায়াত) পিছিয়ে দিওনা। (শারহে সুন্নাহ)
৫.আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : প্রবল শীত ও বৃষ্টির রাতে তোমাদের কেউ যদি আযান দেয়, তখন সে যেনো একথাও বলে দেয়: আপনার নিজ নিজ আবাসে নামায পড়–ন। (সহীহ আল বোখারী ও সহীহ মুসলিম)
এই হাদীসগুলো থেকে জানা গেলো :
১. খাবার সামনে এলে নামাযের ইকামত দিলেও খেয়ে নামাযে যাওয়া উচিত।
২. পায়খানা প্শ্রাব চাপলে নামায শুরু হলেও এগুলো আগে সেরে নিতে হবে।
৩. জামায়াতের সময় নির্ধারিত থাকলে খাওয়া বা অন্য কারণে জামায়াত পিছানো ঠিক নয়।
৪. প্রচ- শীত বৃষ্টি ও ঝড় তুফানের রাত্রের ঘরে নামায পড়ার অবকাশ আছে।
৫. রোগ ও শত্রুর ভয় থাকলে ঘরে নামায পড়ার অবকাশ আছে।
২| ২৪ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৯
ইনদোজ বলেছেন: করোনা মহামারীর ক্ষেত্রে কোন কারণটি প্রযোজ্য হবে?
৩| ২৪ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:১৮
অশুভ বলেছেন: কোন গ্রন্থগুলো থেকে হাদীসগুলোর সংগ্রহ করা হয়েছে তা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু কোন গ্রন্থের কত নম্বর হাদীস তা উল্লেখ করলে আরও বেশি ভাল হত। এই ব্যাপারটা খুব সেন্সেটিভ, চারদিকে জাল হাদীসের ছড়াছড়ি। তাই পরবর্তীতে হাদীসের পূর্ণাঙ্গ রেফারেন্সসহ (গ্রন্থের নাম, হাদীস নম্বর অথবা পৃষ্ঠা নম্বর) পোস্ট দেওয়ার বিনীত অনুরোধ রইল। যাতে করে কারও যাচাই করার ইচ্ছে থাকলে তিনি তা করতে পারেন।
আপনার উল্লিখিত ১ ও ৩ নম্বর হাদীসের সাথে ৪ নম্বর হাদীসের বৈপরীত্য (কনফ্লিক্ট) আছে। ১ ও ৩ নম্বর হাদীস অনুযায়ী, "খাবার উপস্থিত করা হলে তা খেয়ে নামায পড়তে হবে (৩ নং মোতাবেক ইকামত হওয়ার পরেও)"। পক্ষান্তরে, ৪ নম্বর হাদীস অনুযায়ী "খাওয়া বা অন্য কোনো কিছুর জন্য নামায (অর্থাৎ নামাযের জামায়াত) পিছিয়ে দেওয়া যাবে না"।
এতে অনেক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। যদি এই বৈপরীত্যের ব্যাখ্যা জানা থাকলে দয়া করে মন্তব্যে জনাবেন।
৪| ২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৬
মেরিনার বলেছেন: দেখুন:
view this link
view this link
৫| ২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৮
মেরিনার বলেছেন: @ইনদোজ!
আপনার জন্য উপরে ২ টা লিংক দিয়েছি - দেখুন।
৬| ২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ভালো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: উপরোক্ত ৫টি পয়েন্ট মুসল্লীদের জন্য স্বস্তিদায়ক। নিশ্চয়ই দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আমাদের জন্য এ ফরয পালনকে অনেক সহজ করে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ!