![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করাকে পাছঁন্দ করেন। আল্লাহ মানুষের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন। হাদীসে এসেছে বান্দা আল্লাহর সম্পর্কে যেমন ধারণা করে তিনি তেমন। তাছাড়া আল্লাহ তা’আলা বান্দাকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন, তোমরা আল্লাহর রাহমত থেকে নিরাশ হইও না। গুনাহ যত বড় হোক না কেন, আল্লাহর রহমত ও দয়া তার চেয়ে অনেক বড়। আল্লাহ তা’আলা সব ধরনের পাপকেই ক্ষমা করবেন। অনেকে হয়তো বলতে পারেন, আমরা তাওবা করতে চাই কিন্তু আমাদের গুনাহের পরিমাণ অনেক বেশী, আমাদের জীবনে যত রকমের গুনাহ আছে, তা সবই আমরা করেছি। আমরা জীবনে অনেক বড় বড় পাপ কামাই করেছি। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিগত এত বছরের সব পাপ কি আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করবেন? অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করবেন যদি আমরা খালেছ নিয়তে আল্লাহর কাছে তাওবা করি। আল্লাহ তা’আলা বান্দাদের আল্লাহর রহমত থেকে হতাশ হতে নিষেধ করেছেন।
কুরআনের ভাষ্যঃ
১.বল হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছো, তোমরা আল্লাহ তা’আলার রহমত হতে নিরাশ হয়ো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করবেন, নিশ্চয়ই তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, দয়ালু। আর তোমরা তোমাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তন কর এবং তার নিকট আত্মসমর্পণ কর আযাব আসার পূর্বেই, অতঃপর আর তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না”। (যুমার : ৫৩-৫৪)
২.হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে তাওবাতুন নাসূহা তথা আন্তরিকভাবে খাঁটি তাওবা কর। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। (তাহরীম : ৮)
৩. নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে, তারাই আল্লাহর অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে। আর আল্লাহ ক্ষমাপরায়ণ, পরম দয়ালু। (বাকারা : ২১৮)
৪.যারা খোদাভীরু তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে, কিংবা প্রকৃতপক্ষে নিজের ওপর জুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে অপরাধ ক্ষমা করে থাকে? তারা যা করেছে তা জেনে শুনে করে না। খোদাভীরুদের জন্যেই পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে ক্ষমা এবং বেহেশত, যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত। সেখানে তারা স্থায়ী হবে, সৎকর্মশীলদের পুরস্কার কত উত্তম! (ইমরান : ১৩৫,১৩৬)
৫.তাদের রাসূলগণ বলেছিলেন, আল্লাহ সম্বন্ধে কি কোন সন্দেহ আছে, যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা? তিনি তোমাদেরকে ডাকছেন তোমাদের পাপ ক্ষমা করার জন্য এবং নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদেরকে অবকাশ দেয়ার জন্য। (ইবরাহিম : ১০)
৬.যে মন্দ কাজ করে কিংবা নিজেই নিজের ওপর জুলুম করে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তার ব্যাপারে আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং করুণাময়। (নিসা : ১১০)
৭.হে আমার পুত্ৰগণ! তোমরা যাও, ইউসুফ ও তার সহোদরের সন্ধান কর এবং আল্লাহর রহমত হতে তোমরা নিরাশ হয়ো না। কারণ আল্লাহর রহমত হতে কেউই নিরাশ হয় না, কাফির সম্প্রদায় ছাড়া। (ইউসুফ : ৮৭)
৮.সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর যুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। (কাসাস : ১৬)
৯.আপনি যাদের মধ্যে মওজুদ থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে আজাব দেবেন না, যারা গুনাহ মাফ চায়, আল্লাহ তাদের উপরও আজাব দেন না। (আনফাল : ৩৩)
১০.জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ক্ষমা প্রার্থনা করুন, আপনার ক্রটির জন্যে এবং মু’মিন পুরুষ ও নারীদের জন্যে। আল্লাহ, তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত। (মুহাম্মদ : ১৯)
১১.অত:পর আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টি ধারা ছেড়ে দেবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য বাগান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী-নালা প্রবাহিত করবেন। (নুহ : ৯-১২)
১২.হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যারা মু’মিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে-তাদেরকে এবং মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং যালেমদের কেবল ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন। (নূহ : ২৮)
১৩.তারা উভয়ে বলল, হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। (আ’রাফ : ২৩)
১৪.আপনি আমার বান্দাদের জানিয়ে দিন যে, নিশ্চয় আমিই একমাত্র ক্ষমাকারী দয়ালু। (হিজর : ৪৯)
১৫.তোমরা তোমাদের প্রভূর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন (তাওবা) কর। (হুদ : ৩)
১৬.এবং তোমরা আল্লাহ কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। (মুযযাম্মিল : ২০)
১৭.হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবাই তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, যাতে করে তোমরা সফলকাম হতে পারো। (নূর : ৩১)
১৮.আর তুমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালূ । (নিসা : ১০৬)
হাদীসের ভাষ্যঃ
১.হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা বান্দার তাওবাহর কারণে সেই লোকটির চেয়েও অধিক খুশী হন, যে লোকটি মরুভূমিতে তাঁর উট হারিয়ে পরে তা পেয়ে যায়। (সহীহ বুখারী : ৬৩০৯)
২.রাসূল (সাঃ) বলেন, তোমাদের কারও আল্লাহর প্রতি সু-ধারনা পোষণ ব্যতীত মৃত্যুবরণ করা উচিৎ নয়।( মুসলিম : ৫১২৫, আবু দাউদ : ২৭০৬, ইবনে মাজাহ : ৪১৫৭) অন্য এক হাদীসে আছে আমি আমার বান্দার সাথে তেমনি ব্যবহার করি, যেমন সে আমার সমন্ধে ধারনা রাখে। ( মুসানাদে আহম্মদ : ১৫৪৪২)
৩.হযরত আবূ হুরাইরাহ বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সত্তরবারেরও অধিক ইস্তিগফার ও তাওবাহ করে থাকি। (সহীহ বুখারী : ৬৩০৭)
৫.রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেন, সেই ব্যক্তির নাক ধূলামলিন হোক, যে রমযান পেয়েছে কিন্তু তার গুনাহ মাফ করাতে পারেনি। (জামে আত তিরমিযী, হাকেম)
৬.হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত আছে, আল্লাহ বলেন, হে বনি আদম! তুমি আমার কাছে যা আশা করো এবং চাও, আমি তোমাকে মাফ করে দিলাম এবং এ জন্য আমি কোন পরোয়া করি না। (জামে আত তিরমিযী)
৭.হাদীসে কুদসীতে আরো এসেছে, আল্লাহ বলেন, হে আমার বান্দা! তোমরা দিনে রাতে গুনাহ করে থাকো, আর আমি সকল গুনাহ মাফ করি। তোমরা আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেব। (সহীহ মুসলিম) গুনাহ মাফের জন্য এর চাইতে বড় প্রতিশ্রুতি আর কি হতে পারে?
৮.হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ বলেন, হে বনি আদম! তুমি আমার নিকট যা যা দোয়া ও প্রত্যাশা করো, আমি তোমার সকল গুনাহ মাফ করে দেবো এবং এ ব্যাপারে আমি কোন কিছুর পরোয়া করবো না। হে বনি আদম! যদি তোমার গুনাহ আকাশের মেঘমালার মতো বিপুল পরিমাণও হয়, তারপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমার সে গুনাহ মাফ করে দেবো এবং সে জন্য আমি কোন পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! যতি তুমি জমীন পরিমাণ বিশাল গুনাহরাশি নিয়েও আমার দিকে ফিরে আসো এবং আমার সাথে আর কাউকে শরীক না করো, তাহলে আমিও তোমার প্রতি জমীন পরিমাণ বিশাল ক্ষমা নিয়ে হাজির হবো। (জামে আত তিরমিযি) বন্ধুগন! ক্ষমার জন্য এর চাইতে বড় আহবান আর কি হতে পারে?
৯.হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ, তোমরা যদি গুনাহ না করতে তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে উঠিয়ে নিতেন এবং যারা গুনাহ করে এমন জাতি তৈরী করতেন। তার পর তারা আল্লাহ কাছে ক্ষমা চাইত, তিনি তাদেরকে ক্ষমা কতে দিতেন। (সহীহ মুসলিম) গুনাহ করার পর গর্ব-অহংকার না করে আল্লাহ কাছে বিনীতভাবে গুনাহ মাফ চাওয়া ও তাওবা করা দরকার। তাওবা করলে আল্লাহ গুনাহ মাফ করেন। বান্দা গুনাহ করবে, আল্লাহ তা জানেন।
১০.রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : যে ব্যক্তি নিজ আমলনামা দেখে খুশি হতে চায় সে যেন বেশী করে গুনাহ মাফ চায়। (সুনানে বায়হাকী)
১১.রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : নিশ্চয়ই শয়তান বলেছে, হে আমার রব, আপনার ইজ্জতের শপথ করে বলছি, আমি আপনার বান্দাদেরকে তাদের শরীরে প্রাণ থাকা পর্যন্ত গোমরাহ করতে থাকবো। তখন রব বলেন, আমার ইজ্জত ও শ্রেষ্ঠত্বের শপথ করে বলছি, তারা যে পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে থাকবে, আমি তাদেরকে ক্ষমা করতে থাকবো। (মুসনাদে আহমদ)
১২.হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : আমার বান্দা যখন নেক কাজের ইচ্ছা করে, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমল করেনি, আমি তার জন্য একটি সওয়াব লিখি। আর যদি আমল করে তাহলে, ১০ থেকে ৭শ গুন সওয়াব লিখি। যদি গুনাহর কাজের ইচ্ছা করে, কিন্তু এখন ও তা করেনি, আমি তা লিখি না। কিন্তু যদি কাজটি করে ফেলে, তাহলে, আমি কেবল ১টি গুনাহ লিখি। (সহীহ মুসলিম)
১৩.রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : মোমেনের বিষয় আশ্চর্যজনক। তার প্রত্যেকটি জিনিসই কল্যাণকর। আর এটা মোমেন ছাড়া আর কারো জন্য নয়। সে সুখ ও আনন্দ পেলে শুকরিয়া আদায় করে, সেটা তার জন্য কল্যাণকর। আর দু:খ ও কষ্ট পেলে ধৈর্য ধারণ করে; সেটাও তার জন্য কল্যানকর।’ (সহীহ মুসলিম)
গুনাহ ও ক্রটি তখন কল্যাণকর হবে, যখন তা মানুষকে অধিক সওয়াবের কাজ এবং তাওবা-এস্তেগফারের জন্য উদ্ধুদ্ধ করে। এ জন্য কোন গুনাহ সংঘটিত হয়ে গেলে তাওবার সাথে সাথে আরো কিছু নেক কাজ করা কর্তব্য। তা সেই গুনাহর কাফফারা হয়ে যাবে।
১৪.হযরত আবু মুসা আবদুল্লাহ ইবনে কায়েস আল আশয়ারী (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) বলেছেন, পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহতায়ালার দিনের অপরাধীদের ক্ষমা করার জন্য রাতে এবং রাতের অপরাধীদের ক্ষমা করার জন্য দিনে ক্ষমার হাত প্রসারিত করে রাখেন। (সহীহ মুসলিম)
১৫.হযরত আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের লক্ষ্য করে বলেন, আমি যুলুমকে আমার উপর হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের মাঝেও যুলুম করাকে হারাম করে দিয়েছি। অতএব, তোমরা একে অপরে উপর যুলুম করো না। হে আমার বান্দাহগণ! তোমরা হেদায়াত প্রাপ্তির জন্যে দোয়া করো। আমি তোমাদেরকে হেদায়াত দান করবো হে আমার বান্দাহগণ! আমি যাকে খাদ্য দান করেছি, সে ছাড়া তোমাদের প্রত্যেকেই ক্ষুধার্থ। অতএব তোমরা আমার নিকট খাদ্য প্রার্থনা করো আমি তোমাদের খাদ্য দান করব। হে আমার বান্দাহগণ! তোমাদের মধ্য হতে যাকে আমি বস্ত্র পরিধান করিয়েছি সে ছাড়া আর সকলেই উলঙ্গ। অতএব তোমরা আমার নিকট বস্ত্র পরিধানের জন্য দোয়া করো, আমি তোমাদেরকে পরিধান করাবো। হে আমার বান্দাহগণ! তোমরা রাতে ও দিনে গুণাহ করে থাকো এবং আমি সকল গুণাহ ক্ষমা করতে পারি। অতএব তোমরা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবো। (সহীহ মুসলিম)
১৬.হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন-রাসূল (সাঃ)কে বলতে শুনেছি : আল্লাহ তায়ালা বলেছেন; হে আদম সন্তান! যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমাকে ডাকবে এবং আমার কাছে (ক্ষমা) প্রত্যাশা করবে, তুমি যাই প্রকাশ হোক না কেন আমি তা ক্ষমা করে দেব-আর আমি কোন কিছুর পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশ সমান হয়ে যায় আর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, তাহলে আমি তোমাদে ক্ষমা করে দেব। হে আদম সন্তান! যদি তুমি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে আস এবং আমার সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক না করে (আখেরাতে) সাক্ষাত কর, তাহলে আমি সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার সঙ্গে সাক্ষাত করবো। (জামে আত তিরমিযি)
১৭.হযরত আসরার ইবনে ইয়াসার আল মাজানী (রাঃ) বলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হে লোক সকল, তোমরা আল্লাহ কাছে তাওবা কর এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আমি প্রতিদিন একশত বার তাওবা করে থাকি। (সহীহ মুসলিম)
মোট কথা পাপের পরিমাণ যত বেশী হোক না কেন আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই ক্ষমা করবেন। কিন্তু তারপরও আমাদের অন্তরে এ অনুভূতি জাগে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবেন কিনা? এ অনুভূতি জাগ্রত হওয়া কারণ হচ্ছে:
প্রথমতঃ আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার ব্যাপকতা সম্পর্কে বান্দার অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস না থাকা। এর ব্যাখ্যা হিসেবে মহান আল্লাহর এ বাণীই যথেষ্ট হবে: “নিঃসন্দেহে আল্লাহ অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করবেন; নিশ্চয়ই তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, দয়ালু”। (আযযুমার : ৫৩)
দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর রহমত যে কত ব্যাপক সে সম্পর্কে ঈমানে ঘাটতি থাকা। এক্ষেত্রে নিম্নের হাদীসে কুদসীই যথেষ্ট। মহান আল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি জানলো যে, আমি গুনাহ মাফ করার ক্ষমতা রাখি তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেব এ ব্যাপারে কোন কিছুতেই পরওয়া করবো না, যদি সে আমার সাথে কোন কিছু শরীক অংশীদার না করে থাকে”। এটি হবে, যখন বান্দা আল্লাহর সাথে পরকালে সাক্ষাত করবে।
তৃতীয়তঃ তাওবার কার্যকর ক্ষমতা সম্পর্কে এ ধারণা না থাকা যে, তা সব গুনাহকেই ক্ষমা করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে রাসূলের এ হাদীসই যথেষ্ট, “যে ব্যক্তি তাওবা করবে তার যেন কোন গুনাহ থাকবে না।” অপরাধ যত বড়ই হোক আল্লাহর ক্ষমা তার চেয়েও বড় অপরাধ ও গুনাহ যত বড় বা বেশি হোক না কেন, যখন বান্দা তাওবা করবেন, আল্লাহ তা’আলা তার অপরাধকে অবশ্যই ক্ষমা করে দেবেন। আমাদের কারো মনে এমন কোন প্রশ্ন জাগে যে, আল্লাহ তা’আলা কি ছোট বড় সব ধরনের গুনাহ ক্ষমা করবেন?। অপরাধ যদি বড় হয় তাও কি তিনি ক্ষমা করবেন?। তার উত্তর হল হ্যাঁ যত বড় অন্যায় হোক না কেন আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করে দেবেন। যদি আমরার খাঁটি তাওবা করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে খাঁটি তাওবা করার তাওফিক দিন। আমিন।
২| ০৮ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
"আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি
তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।"
[আল ইমরান; ১৩৯]
অ.ট. একই লেখা প্রথম পাতায় দুইবার কেন?
৩| ০৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নিরাশ হতে নেই আল্লাহর রহমত থেকে।