নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

!

দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া না!

মুশাসি

আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

মুশাসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীঃ রাতুল কি পারবে?

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭



সেন্টেরাস গ্রহ। পৃথিবী ছেড়ে মানুষের এই গ্রহে আসার দুইশ বছর হয়ে গেছে।পৃথিবীটা বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে গিয়েছিলো।সেন্টেরাসে আসার সুযোগ পেয়েছিলো প্রতিটি কম্যুনিটির সকল শিশু এবং দশজন করে সদস্য। যোগ্যতা স্কেলে সেরা দশজনকে এই সুযোগ দেয়া হয়েছিলো। এই দশজনের মধ্যেই ছিলো রাতুলের বাবা ও মা। তবু তারা আসতে পারেনি এখানে। ভুল হলো। আসতে দেয়া হয় নি।



তাদের আসতে দেয় নি যে লোকটা তার নাম ক্রিপটন।এই লোকটা যোগ্যতা স্কেলে দশজনের বাইরে ছিলো। এগারোতম।একদিন গভীর রাতে হঠাত রাতুলদের ঘরে ঢুকে ওর বাবা মা দুইজনকে খুন করে ক্রিপটন। পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে সব দেখে রাতুল। নিজ কম্যুনিটির কাউকে খুন করা তখনকার পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ ছিল।কিন্তু শিশু হওয়ায় রাতুলের সাক্ষী আদালতে গ্রহনযোগ্য হয় নি। বরং যোগ্যতার স্কেলে দশজনের মধ্যে ঢুকে সেন্টেরাসে আসে ক্রিপটন। রাতুলও আসে অন্যান্য শিশুদের সাথে।



সেন্টেরাসে মানব সভ্যতা অনেক দূর এগিয়েছে। রোগ শোককে জয় করেছে মানুষ।রাতুল যখন যুবক।জীবনের একটাই লক্ষ্য তার। ক্রিপটনকে হত্যা করা। তবে ক্রিপটন সেন্টেরাসের মন্ত্রীপরিষদের প্রিয়পাত্র হওয়ায় এতদিন সে সুযোগ পায় নি। অবশেষে সুযোগ এসেছে।



ক্রিপটন বয়ষ্কজনিত কারনে অসুস্থ। যে হাসপাতালে তাকে রাখা হয়েছে তার ওয়ার্ড বয় রাতুল।ক্রিপটনের রুমে তার যাতায়াত আছে। কিন্তু চাইলেই নিজের ইচ্ছা পূরন করতে পারে না সে। বাধা হয়ে আছে সেন্ট্রাল কম্পিউটার। ক্রিপটনের রুমে ঢোকার পর ওর প্রতিটা কার্মকান্ড বিশ্লেষন করতে থাকে এই কম্পিউটার। সন্দেহজনক কিছু দেখলে সেকেন্ডের শতভাগ কম সময়ে লেজার সবীম দিয়ে রাতুলের মাথা এপার ওপার করে দেবে!



সেন্ট্রাল কম্পিউটারের গঠন নিয়ে পড়াশোনা করেছে রাতুল। কিন্তু শত খুঁজেও এর কোনো দুর্বলতা পায় নি।উদাস হয়ে একদিন বাবার ল্যাপটপটা বের করলো রাতুল। এটা পৃথিবী থেকে নিয়ে আসা তার বাবার একমাত্র স্মৃতি। হঠাত কিছু পুরোনো নোট ঘাঁটাঘাটি করতে করতে উত্তেজনায় কেঁপে উঠলো সে।একটা প্যারাডক্স পেয়েছে। এই প্রাচীন প্যারাডক্স কি সাহায্য করতে পারবে ওকে? এযুগের সর্বাধুনিক ওএস এর সুপার কম্পিউটারের বিরুদ্ধে?



ব্যর্থ হলে মৃত্যু নিশ্চিত। তবু এই ঝুঁকিটা তাকে নিতেই হবে।বাবা মার মৃত্যুর প্রতিশোধ না নিতে পারলে বেঁচে থেকে কি লাভ?



ক্রিপটনের রুম। সে ঘুমিয়ে আছে। প্রতিদিনের মতো তার শরীরের সাথে সংযুক্ত সুপার কম্পিউটারের স্কিনে ডাটা গুলো চেক করলো রাতুল। শুরু করলো প্রশ্ন করা-সুপার কম্পিউটার পালস কত? মৃদু একটা যান্ত্রিক কন্ঠ পালস জানালো। -সুপার কম্পিউটার রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমান কত? যান্ত্রিক কন্ঠ জানালো।





এবার রাতুল লম্বা একটা দম নিলো। ধীর লয়ে কিন্তু দৃঢ়ভাবে বলতে শুরু করলো- সুপার কম্পিউটার,পৃথিবীতে একটা বন্ধ ঘরে একটা চেয়ার রাখা আছে।যেটা কখনোই সরানো যায় না। চেয়ারটাকে একটা ধাক্কা দেয়া হলো। যে ধাক্কাটা কখনোই আটকানো যায় না। কি ঘটবে?

যান্ত্রিক কন্ঠ নিশ্চুপ।রাতুল দেখলো স্ক্রিনে কিছু এলোমেলো নম্বর উঠছে।এক মিনিট এভাবে নম্বরগুলো উঠতেই থাকলো। তারপর একটা লাল বাতি জ্বলে স্ক্রিন অফ হয়ে গেলো। এর অর্থ রাতুল জানে। প্রাচীন পৃথিবীর প্যারাডক্স কাজ করেছে। সুপার কম্পিউটার ক্রাশ করেছে। সেলফ রিকভারি মুডে গিয়েছে কম্পিউটার। পুরোপুরি ঠিক হতে ঠিক ঠিক পাঁচ মিনিট নেবে।বাবা মার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পাঁচ মিনিট অনেক বড় সময়। ধীরে ধীরে ক্রিপটনের দিকে এগিয়ে গেলো রাতুল।





মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১০

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: ভালয় হয়েছে ভাইয়া, তবে আরেকটু জমলে ভাল লাগত :)

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

মুশাসি বলেছেন: বড় করে লিখলে মানুষ পড়ে না রে ভাই! নেক্সট এ আরো বড় লিখবো

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১১

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: :)

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

মুশাসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

অনাহূত বলেছেন: সাই-ফাই ভালো হয়েছে।
গল্পটার আরেকটু বিস্তারিত দিতে পারতেন।
আরো লিখুন।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

মুশাসি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

অনাহূত বলেছেন: সাই-ফাই ভালো হয়েছে।
গল্পটার আরেকটু বিস্তারিত দিতে পারতেন।
আরো লিখুন। ++

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

মুশাসি বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। ইচ্ছা করেই বাড়াইনি। একটা উপন্যাসের সিনোপসিস ধরনের ছোটগল্প ধরুন

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

রাজীব হোসাইন সরকার বলেছেন: ভালো লাগল সাইন্স ফিকশানটা। :)
যাদের সামর্থ আছে, তাদের উচিৎ সামর্থটা কাজে লাগানো। :)

আপনি একজন ফেসবুক সেলিব্রেটি। বাস্তবিক অর্থে এর মুল্য অনেক খানি। :)

অনেকগুলো স্যাটায়ার না দিয়ে আপনি যদি চিন্তা করে প্রতিদিন বা দুই দিনে একটা করে সুন্দর গল্প বা ধারাবাহিক নভেল-সাইন্স ফিকশান লিখতে পারেন তাহলে বিশাল কিছু করতে পারবেন। :)
সেলিব্রেটির তকমা বা বিষয়টা আপনি কাজে লাগাতে পারবেন।

ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তারদের সবজায়গাতেই সম্মান বা সামনের আসনগুলো বরাদ্দ থাকে। আপনি যদি ভালো ইঞ্জিনিয়ারের সাথে ভালো রাইটার হোন, তাহলে বাজিমাত করা কোন বিষয়ই না।

টাইমলাইন সচল রাখতে গেলে আপনাকে দীর্ঘক্ষন লিখতে বা ভাবতে হয়। সারাদিন চলে যায় আপনার লিখতে। আমি লিখি বলেই জানি কতটা সময় সাপেক্ষ। :)

আপনি যদি আপনার লেখার সুন্দর এই প্রতিভাটা কাজা লাগান, ভবিষ্যৎ জীবনে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করতে পারবেন। সম্মান, পরিচিতি আর অর্থ সব পাবেন। :) :) :)

আপনার চিন্তার ফসল এই সায়েন্স ফিকশানটা পড়েই বুঝলাম আপনার বিশাল প্রতিভা আছে। কাজে লাগান ভাই :) :)

ছোট মানুষ হয়ে উপদেশ দেবার জন্য দুঃখিত। :)

ভেবে দেখুন,

একমাসের টাইমলাইনের একটা লেখাও আপনার সম্বল না, আজকের এই ইপিক লেখাটায় সম্বল। :) :) :)

গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। তাই এতোগুলো কথা বললাম। আমার পছন্দের ফেবু সেলিব্রেটিদের একজন আপনি :)

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

মুশাসি বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব,খুব ভালো কিছু কথা বলেছো। তোমার 'যাদের সামর্থ আছে, তাদের উচিৎ সামর্থটা কাজে লাগানো।'কথাটার অন্তর্নিহিত অর্থটা পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি। একমাসের টাইমলাইনের একটা লেখাও আপনার সম্বল না মানি কিন্তু এই লেখাগুলোকে সম্বল বানাতে, মানষের কাছে পাঠাতে, পাঠক তৈরী করতে সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। তোমার ভাষায় যে প্রতিভার কথা বললে সেটা যেনো অপচয় না হয় সেই চেষ্টা থাকবে ভ্রাতা। তুমিও আমার খুব পছন্দের ছোট ভাইদের একজন। :) :) :)

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

আদার ব্যাপারি বলেছেন: bangla chayachobir niyom onusaree to ratuler baba ma k mere felar sathe sathe ratul keo mere felbar kotha.

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

মুশাসি বলেছেন: তাহলে টাইবুন্যাল কাদের সাক্ষ্যকে তুচ্ছজ্ঞান করবে বলুন?

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

~মাইনাচ~ বলেছেন: কিছু একটা কম কম

সে যাক, ভালই হয়েছে

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

মুশাসি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

এরিস বলেছেন: চমৎকার লেখা।
পড়তে কিছুটা এলোমেলো লেগেছে। (মনে হয় ক্ষুধার কারণে ব্রেইন ঠিকমতো কাজ করছে না আমার। :( )

লেখাটা বেশ ছোট। আমার মনে হয় একটা লেখাকে ঠিক ততটুকুই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত, যতটুকু প্লট ডিম্যান্ড করে। আপনার যে লেখনী, তাতে লেখা বড় হলে পাঠক পড়তে চাইবেনা, ভাবাই যায় না। আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীতে সুন্দরের আধিপত্য চিরকালের। গল্পের ভেতর কিছু থাকলে সেটা পাঠককে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে বাধ্য। আর যে পাঠক লেখা বড় দেখে পড়বেনা, তাদের চাওয়া পাওয়ার সাথে দূরত্ব বজায় রেখে চলাটাকে আমি ভালো মনে করি।

মুশাসি, আপনি খ্যাতিমান মানুষ। এতো কথা বললাম বলে কিছু মনে করবেন না। একজন পাঠক হিসেবে নিজের মতামত দেয়ার অধিকার নিজেই নিয়ে নিয়েছি।
ভালো থাকুন। শুভকামনা।

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩২

আমিনুর রহমান বলেছেন:

চমৎকার হয়েছে। তবে আরো বিস্তারিত লিখলে ভালো হত। লিখা যত বড়ই হোক যদি ভালো হয় পাঠক পড়বেই। আরো লিখা চাই এই ধরনের অবশ্যই বিস্তারিত :)

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

+++++ রইল। :)

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:২২

বটের ফল বলেছেন: সকালে খুব সুন্দর একটি লেখা পড়লাম। একগুচ্ছ প্লাস।
+++++++++++++++++++

১২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০০

লোপা এসহক বলেছেন:
আরেকটি লম্বা করলে খুব সুন্দর হত!
+

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ছোট হয়ে গেছে গল্পটা। আরও একটু বিস্তারিত করে লিখলে চমৎকার হতে পারত। আপনার সাইফাই চিন্তা ভাল লেগেছে। আরও লিখুন।

১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আরও একটু বিস্তারিত করে লিখলে ভাল হত।

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: গল্পের কাহিনী গতানুগতিক হয়ে গেছে। আর একটু প্যাঁচ লাগিয়ে চমক টমক দিলে পড়ে মজা পাওয়া যেত।

লেখার স্টাইল সুন্দর। বিস্তারি বর্ণনা সহকারে লিখলে আরও ভাল লাগত। আপনার লেখা যেহেতু গতিশীল, তাই বড় লেখা হলেও পাঠকের অভাব হবে না।

চালিয়ে যান। শুভেচ্ছা রইলো।

১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

জন রাসেল বলেছেন: বলেছেন: ব্রাদার আমাদের নতুন সং-টা দুদিন আগে রিলিজ করলাম। আপনাকে লিংকটা দিয়ে গেলাম। সময় পেলে ডু মারবেন অবশ্যইঃ স্বপ্ন দেখার দিন - টিয়ারস অফ সাইলেন্স

এই মন্তব্যটি পড়ার পর দয়া করে মুছে দেবেন। পোষ্টের কমেন্টে এসে কেউ বিজ্ঞাপন দিচ্ছে এটা দেখতে ভালো লাগে না। ;)

১৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

টেকনো(মুভি এডিশন) বলেছেন: ভাল লাগছে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.