নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তত্ত আদান প্রধান

ভালোবাসি নিজের দেশকে

এ আহাদ

অতি সাধারন একজন বাংলাদেশি

এ আহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘাতকদের উল্লাসনৃত্য। ওরা ছাত্রলিগ সালা হিন্দু না হলে বলতাম শিবির ছিল

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫০

এ দৃশ্য বড় নির্মম। একই সঙ্গে অভিনবও। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর লাশের ওপর উল্লাসনৃত্য বাংলাদেশে নতুন কিছু নয় । কিন্তু রোববার পুরান ঢাকায় যা ঘটে গেল তা একেবারেই অভিনব। রাজনীতির সঙ্গে কোন যোগ ছিল না বিশ্বজিৎ দাসের। তিনি ছাত্রশিবির করতেন না, ছাত্রদলও করতেন না। ছিলেন নিরীহ এক দর্জি দোকানি। ছাত্রলীগের সঙ্গে তার কোন শত্রুতা ছিল না। কিন্তু তারপরও ছাত্রলীগের উন্মত্ত আক্রমণের শিকার হলেন তিনি। কোন আক্রোশ না থাকলেও তার ওপর আক্রোশ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। চাপাতি দিয়ে কোপানো হলো তাকে। যাদের হাতে চাপাতি ছিল না তারা এগিয়ে এলো লাঠি হাতে। পিটিয়ে হত্যা করা হলো নিরপরাধ এক যুবককে। খুনিদের হাত থেকে বাঁচতে বিশ্বজিতের আকুতি হৃদয় এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছে সবার। নিজের ধর্ম পরিচয় দিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। কারা সেই ঘাতক পত্রিকায় পরিচয়সহ তাদের ছবি ছাপা হয়েছে। টিভি পর্দায়ও দিনভর দেখা গেছে তাদের। কিন্তু মামলা দায়েরের সময় পুলিশ কোন আসামির নাম খুঁজে পায়নি। আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের। এ রিপোর্ট যখন লেখা হচ্ছে তখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি কাউকে। বিশ্বজিৎ দাসের খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। শিবির দমনে কঠোর তিনি। পুলিশের ওপর নির্ভর না করে যুবলীগ, ছাত্রলীগকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন শিবির দমনের। কার নির্দেশে বেপরোয়া ছাত্রলীগ সে প্রশ্নও আবার উঠেছে। আইন ও বিচারমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ প্রায়ই কিছু কমন কথা বলেন। ক্ষমার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার ডাক দেন তিনি। অথচ ক্ষমার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সময় ইতিহাসে সবচেয়ে বিরল। ৪০ বছরে সর্বমোট ২৫ ফাঁসির আসামি ক্ষমা পেয়েছেন। এর ২১ জনই ক্ষমা পেয়েছেন বর্তমান সরকারের আমলে। সংবিধান প্রেসিডেন্টকে এ ক্ষমার অধিকার দিয়েছে। তবে এ ক্ষমার পেছনে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ যে প্রধান ভূমিকা রেখেছে তাতে সন্দেহ সামান্যই। বিশ্বজিতের খুনিরাও কি তবে ক্ষমা পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশে দলভিত্তিক ক্যাডারদের নির্মমতার বিচারের নজির খুবই কম। লাশের ওপর উল্লাসনৃত্যের দৃশ্য সম্ভবত সর্বপ্রথম দেখা গিয়েছিল ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর। সেদিন রাজধানীর পল্টনে লগি-বৈঠার নির্মমতার শিকার হয়েছিলেন জামায়াত-শিবিরের ছয় নেতাকর্মী। লাশের ওপর দাঁড়িয়ে উল্লাসনৃত্য করেছিল হত্যাকারীরা। সে ঘটনা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। অক্টোবরের খুনিদের বিচার তো দূরের কথা, সে ঘটনায় দায়ের করা মামলাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে বর্তমান সরকার। বর্তমান মহাজোট জমানাতেই নাটোর উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ বাবুকে পিটিয়ে হত্যা করেও উল্লাস প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রবিনাশী এ উল্লাসনৃত্য চলছেই। রাজনৈতিক শিকার ছেড়ে এখন অরাজনৈতিক শিকারে মন দিয়েছে খুনিরা। সব ধরনের যুক্তি ত্যাগ করেছে তারা। ক্ষোভ নয়, প্রতিশোধ নয়, শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই মানুষ হত্যা করছে তারা। তবে বিশ্বজিৎ দাসের হত্যা একটি পুরনো প্রশ্ন নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে, আমরা কোথায় যাচ্ছি?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫৬

মীর হাসিন রেজা বলেছেন: বিশ্বজিৎ দাসের খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। শিবির দমনে কঠোর তিনি। পুলিশের ওপর নির্ভর না করে যুবলীগ, ছাত্রলীগকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন শিবির দমনের। কার নির্দেশে বেপরোয়া ছাত্রলীগ সে প্রশ্নও আবার উঠেছে।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৭

এ আহাদ বলেছেন: আপনী খুজ করে দেখেন যারা লিগ করে সবাই আদু ভাই।শিবিরে আছে সব মেধাবি ছাত্র।দেশের আনাছে কানাছে জামাত আওয়ামিলিগ এর মধ্যে আত্বিতার সমপর্ক আছে।শিবির দেখলে আক্রমন ওরাতো রাজাকার না।স্বাধিন দেশের সন্তান

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১১

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: দিনে দুপুরে শত শত মানুষের সামনে আরেক জন মানুষকে কুপয়ে পিটিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হচ্ছে। বেসরকারী টিভি চ্যানেল তা আবার সরাসরি দেখাচ্ছে। আমরা সাধারণ দর্শকরা তা দেখে নয়ন জুড়াচ্ছি। ভাবতে র্ঘনা হচ্ছে যে আমরা মানুষ! ছি:!
একটা পশু ও অকারনে আরেক টা সমগোত্রের পশুকে আঘাত করে না। আর আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব বলে অহংঙ্কার করা প্রানী আরেকটি মানুষের হত্যার দৃশ্যে দাড়িয়ে দেখি। ক্যামেরায় ছবি তুলি!

পত্রিকা বা চ্যানেলের মালিক বিশ্বজিৎ এর হত্যার দৃশ্য দেখিয়ে ইনকাম করছে। তারা দিনভর দেখিয়েছে। চাপাতী দিয়ে খুন করার লোমহর্শক দৃশ্য।
পুলিশ নিশ্চুব, বুদ্ধিজীবী নামধারী মহাজনরাও চুপ। সরকারের মুখে কুলুপ।
একটা মামলা হয়নি। কাউকে গ্রেফতার ও করা হল না!!

জাফর ইকবাল সাহেব কয়েক দিন আগে শিবীরদের ঘৃনা করতে ওয়াজ নসিহত করেছেন। তার কাছে এবার প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে আপনি ছাত্রলীগ যারা করে, যারা লগি বৈঠা দিয়ে নিরপলাধ মানুষকে প্রকাশ্য হত্যা করে। যারা প্রকাশ্য বিশ্বজিৎ নামক নিরহ সংখ্যালুখু এক মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করে তাদের কি বলবেন আপনি?

রাষ্ট্র বড়বেশি দলবাজ হয়ে পড়লে এমন ঘটনা ঘটে।
বিশ্বজিৎ এর যায়গায় আমিও এমন হত্যাকাণ্ডের স্বিকার হতে পারি।
কেননা আমাকেও রোজগার করে খেতে হয়। আমি রাজনীতিবীধদের মত কমিশন খাইনা। চাঁদা খাইনা। আমি ভোট দিয়ে সরকার গঠন করেছি তাই সেই সরকারের দ্বায়িত্ব আমার নিরাপত্তা দেওয়া।
কিন্তু সরকার এখন সরাসরি আমাকেই হত্যার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে!
প্রতিরোধ! কেন প্রতিরোধ?
বিশ্বজিৎ এর মাঝে আমি নিজেকে খুজেছি।

এমন বার্থ্য রাষ্ট্র পাবার জন্য তো আমরা সরকারকে ভোট দেইনী।
বিশ্বজিৎ হত্যার দায় নিয়ে সরকারের উচিৎ এর বিচার করা।
একজন সাধারণ জনগণ হিসেবে আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১৯

জাতির মামু বলেছেন: ছাত্রলীগের বিচার চাই ।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২০

িবদ্রহী বলেছেন: একটা পশু ও অকারনে আরেক টা সমগোত্রের পশুকে আঘাত করে না।

@ এম . এম ওবায়দুর রহমান

একটা পশু ও অকারনে আরেক টা সমগোত্রের পশুকে আঘাত করে না ঠিক ই কিন্তু এখানে কারন ছিলো... কারনটা হলো ম খা দাদা তো দায়িত্ব দিয়েছিলো তাই না। দায়িত্ব পালন করা সুন্নত। তাই তারা দায়িত্ব পালন করেছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.