নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধ৪.আনবিক হামলা

০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধ



৪.

আনবিক হামলা



স্তালিন-গ্রাথে পাথরসম বরফের রাজ্যে সোভিয়েত বাহিনীর কাছে তিন লক্ষাধীক সৈন্য হারিয়ে প্রথম বারের মতো পরাজয়ের তিতা স্বাদ পায় হিটলারের নাৎসী মিত্র। এর পর থেকেই উপুর‌যপুরি পরাজয়ে দূর্বল জার্মান যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পিছু হটতে লাগলো। বীরবিক্রমে বার্লিনের দিকে এগিয় চললো সোভিয়েত মার্কিন মিত্র বাহিনী।



হল্যান্ডের একটি শহর। এখনও পলায়নপর জার্মানদের দেখলেই আছে। কিন্তু জার্মান সৈন্যদের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরাজয়ের ধ্বাক্কা সামলাতে ব্যাস্ত হিটলার। শহরবাসীর খাদ্য কেড়ে নিতে লাগলো তার সৈন্যরা। পরাজয়ের সাথে রসদ সঙ্কটেও পর্যুদস্ত জার্মান বাহিনী।



সুইজারল্যান্ড। সর্বদা যুদ্ধ বিরোধী, শান্তিবাদী জাতি। দেশের চারদিকে সুইচ্ সৈন্যরা ঘিরে রাখলো। বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আহত সৈন্যদের নিয়ে আসা হতে লাগলো এখানে। চিকিৎসা চললো। সাহায্য করলো রেডক্রিসেন্ট। বিশ্বের আর কোথাও তাদের কর্মতৎপরতা চালানোর সুযোগ নেই।



উপর্যপুরি পরাজয়ে কোনঠাসা জার্মান। কিন্তু তাদের মিত্র জাপান? তার সদর্পে অগ্রাসন চালাতে লাগলো। অবশেষে তারাও থামলো, তবে বড় নির্মম ভাবে।



১৯৪৫ সাল। জাপানের হিরোসিমা আর নাগাসিকো; দুমড়ে মুচড় যাওয়া বিধ্বস্ত ‍দুটি শহর। পৃথিবীর বুকে প্রথম আনবিক বোমার সফল আক্রমণ চালালো আমেরিকা। জার্মান যখন কোন ঠাসা, তখন জাপানও হয়তো আত্মসমর্পন করতো। কিন্তু প্রতিশোধ পরায়ন আমেরিকা তার আগেই পৃথিবীকে দেখিয়ে দিল সভ্যতা ধ্বংসে তার নব আবিষ্কারের ক্ষমতা।



ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স আর সোভিয়েত মিত্র ঢুকে গেছে জার্মানে। মার্কিন সৈন্যদের জন্যে আসতে লাগলো উন্নত সুষম খাবার। নতুন এক বিশেষ ধরনের জীপ আবিষ্কার করে তারা। এটি উঁচু নিচু, খানা খন্দ, ঝোপঝাড় সব কিছুর উপর দিয়ে সদর্পে চলতে পারে। এটিই হয়তো তাদেরকে স্থল যুদ্ধে বাড়তি গতি দিয়ে অনুকুল অবস্থানে নিয়ে আসে।



এক সময় বার্লিন ঘিরে ফেললো মিত্র বাহিনী। ধীর ধীরে প্রবেশ করতে লাগলো ভিতরে। পিছু হটত থাকে জার্মান বাহিনী। যদিও পিছু হটারও আর জায়গা নেই। হিটলারের প্রাসাদে আক্রমণ শুরু করলো মিত্র জোট। পরাজিত হিটলারের নাৎসী শাষিত জার্মান। প্রাসাদের ভিতরে, নিচের মাটির ঘরে আত্মহত্যা করলো হিটলার। সমাপ্ত তার কালো অধ্যায়ের। সমাপ্ত দ্বিতিয় বিশ্ব যুদ্ধের। শুরু হলো পৃথিবীতে পারমানবিক আতঙ্ক নিয়ে স্নায়ু যুদ্ধর নতুন যুগ। জোটবদ্ধ আমেরিকা সোভিয়েত দুই পরাশক্তি। কত দিন টিকবে এই জোট?



# আফনান

[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: Thanks Dhakabasi.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.