নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

Papon Al Hasan

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৩৫

সাকিব বাংলাদেশের ক্রীকেটের সব চেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হলে, ক্রীকেট বোর্ড বিসিবি হলো পুর বাংলাদেশেরই সব চেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।



দরীদ্রতম দেশটার সরকার পরিচালিত Organization গুলোর মধ্যে এই বোর্ডটাই হলো সম্ভবত সব চেয়ে ব্যাবসা সফল বডি। যত টাকা তত চুরি, তত অনিয়ম। তাই সাত বছর নির্বাসনে থাকার ক্ষতি সাত দিনেই তুলে নিতে এই বোর্ডের প্রধান হওয়ার বায়না ধরে ফেনীর হাজরীর মত মাফিয়া ডনেরা। ক্রিকেটের যত টুকু উত্থান সবটারই শুরু কিছু সৌখিন ক্রিকেটারদের হাত ধরেই। এর পর বোর্ডের উত্থান যতই হোক তার ম্যানেজম্যান্ট রয়েছে সরকারের হাতেই। আর বাংলাদেশী মাত্রই জানে এই দেশের সরকারী ম্যানেজম্যান্ট ব্যাপারটা কতটা ভোগান্তির, কতটা বিভৎস। সে সরকারী ব্যাংক হোক, হসপিটাল হোক, হোক থানা- পুলিশ কিঙবা কর অফিস। সেখানে প্রেসিডেন্ট, চেয়ারম্যান পদে থাকা দুই এম.পি সাহেব যে ক্রীকেট বোর্ডকে উদ্ধার করে ফেলছেন সেটা নিশ্চয়ই তারা নিজেরাও বিশ্বাস করবে না। তাদের কে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ভাইজান যে NOC (No Objection Certificate) নিয়ে আপনাদের এত্ত কথা আর এত্ত ব্যাথা সেই সার্টিফিকেট আসলে আপনাদের কে ইস্যু করে বলতে পারেন? তারা বলতে পারবে না। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে একটা NOC‘র জন্যে সাকিবকে বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে পিয়ন ঝাড়ুদার সবার কাছ থেকেই অনুমতি নেয়ার দরকার ছিলো।



বিশ্বের প্রায় সব ক্রীকেট লীগে ডাক পাওয়া আর দাপট নিয়ে খেলার যোগ্যতা এই দেশে এক মাত্র সাকিবেরই আছে। কিন্তু এই লেভেলের খেলোয়াড়দের কন্ট্রোল করা, ম্যানেজ করার মত ম্যানেজার এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অবশ্যই এ ক্রীকেট বোর্ডে এখনো তৈরী হয়নি। তারা হঠাৎ পাওয়া টাকায় বিশাল বিল্ডিঙ বানিয়ে সুন্দর সুন্দর কাপড় পরে স্পন্সরদের সাথে আনাড়ী লেনদেন করা পর্যন্ত দৌড়াতে পারে। আর সৈয়দ রাসেলের মত জাতীয় দলের পেসাররা কাপড়ের দোকনদার হয়ে হারিয়ে যায়, তারা জনে না!



বোর্ডের সাথে আছে দেশের হিংসুটে আপামর কিছু আম-জনতা। এদের কথা হলো এই বয়েসী একটা ছেলের এত কিছু থাকবে কেন, যেখানে একটা ভালো জীন্সের টাকা যোগড়ে তারা হিমসীম খায়। তাদের অভিযোগের পুরটাই দেখি অর্থ-কড়ি আর দেশ প্রেম নিয়ে। সাকিব দেশের জন্যে খেলেনা, টাকার জন্যে খেলে। শুনে মনে হয় যেন দেশপ্রেমিক এই জনগনরা সবাই কোন দাতব্য আওতায় শুধু দেশ সেবাই করে যাচ্ছে। আর সাকিবকে তারা নিয়মিত দাওয়াত দিচ্ছে অথচ সে তাদের সাথে ফ্রি দেশ সেবা না করে শুধু টাকার জন্যে খেলেই যাচ্ছে। আর এজন্যেই দেশের এই অবস্থা!!



হয়তো সবাই’ই আসলে অনভিজ্ঞ। সাকিব দেশের অপ্রতিদ্বন্ধি, অভূতপূর্ব একজন তারকা যেটা ধরে রাখতে সে’ও হয়তো অনভিজ্ঞ; অনুসরন করার মত তার সামনে কেউ নাই। নিজ দেশের এত্ত বড় তারকাকে ধারন করার অভিজ্ঞতা নাই মানুষেরও। মানুষও এমন কাউকে আগে পায়নি। আর সাকিব যে বোর্ডে চাকরী করে তাদের জন্যেতো ব্যাপারটা পরাবাস্ত পর্যায়ের। বোর্ডের শীর্ষ্য পর্যায়ে রয়েছে রাজনৈতিক নেতারা। এই দেশের নেতারা তাদের এলাকায় ঠিক মত কথা না শুনলে কলেজের শিক্ষককেও ন্যাঙটো করে রাস্তায় ঘুরাতে অভস্ত। সেখানে বোর্ডের মধ্যে তাদের চেয়ে খেলোয়াড়েরা কিভাবে গুরুত্তপূর্ণ হয় সেটা নিশ্চয়ই তাদের মাথায় ঢুকার কথা না।



এক জন সাকিব তৈরীর সক্ষমতা এই বোর্ডের না থাকলেও নিজ উদ্যমে, ঘটনা চক্রে জন্মে যাওয়া সাকিবকে ধ্বংস করার ক্ষমতা তাদের আছে। বিদেশে সিরিজ হারার কারণে ক্যাপ্টেনকে সরিয়ে দেয়া বাংলাদেশে দলের জন্যে হাস্যকর ব্যাপারই। আর সেটাই ঘটেছিলো সাকিবের সাথে জিম্বাবুয়ে সিরিজ ৩-২ এ হারার পরে। অথচ ক্যাপ্টেন হিসেবে তার শেষ ম্যাচেও সাকিব ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ছিলো! নজির বিহীন ব্যাপারই বটে, কারন হয়তো সাকিব নিজেই নজির বিহীন।



কিন্তু সব আয়োজনের মূল ক্রীকেট। আর খেলাটা খেলোয়াড়দের। মানুষ খেলায় বিনোদন চায় যন্ত্রণা না। বোর্ড যারে খুশী তারে খেলাক, যারে খুশী তারে বাদ দিক। প্রয়োজনে জনাব পাপন আর লোটাস সাহেব নিজে ব্যাট বল নিয়ে খেলতে নামুন। মানুষ কিছু মনে করবে না যদি তারা রেজাল্ট দিতে পারেন। নয়তো দর্শকের ছুঁড়ে মারা ইট পাত্থর খেলোয়াড়দের বাসে না পড়ে এর পর থেকে অবশ্যই জায়গা মতই পড়বে।



#Afnan Abdullah

০৭০৮১৪

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:০২

ভিটামিন সি বলেছেন: একটা আধলা ইট জমা দিয়ে গেলাম। আপনারা যখন মারতে যাবেন, আমিও সাথে যাবো। ভয় পাবেন না, প্রথম ইটটা আমি মারুমনে।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

সোহানী বলেছেন: সহমত...........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.